পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नद्रइब्रि कक्लदउँौं এই নামেই কাশীতে অবস্থান-কালে উক্ত টীকা রচনা করেন। ইহার প্রণীত একখানি মেঘদূতটাকাও আছে। ২ অভিনবরামকাব্য এবং কবিকৌমুদীপ্রণেতা। ৩ আহিবলচক্র নামক জ্যোতিগ্রন্থপ্রণেতা। ৪ আথৰ্ব্বণোপনিষদ্ব্যাখ্যাপ্রণেতা। ৫ চন্দ্রলক্ষ্মোৎপ্রেক্ষাশতক ও শৃঙ্গরি-শতক নামক কাব্যপ্রণেতা। ৬ বোধসার নামক কাব্য, মাধবসিন্ধান্তসার ও বিশিষ্টাদ্বৈতবিজয়বাদ নামক দার্শনিক গ্রন্থপ্রণেতা। ৭ ভগবদগীতাসারসংগ্রহপ্রণেতা। ৮ সংস্কারমৃসিংহ নামক গ্রন্থপ্রণেতা। ৯ রাজনিঘণ্ট, বা নিঘণ্টাজ নামক অভিধানপ্রণেতা, ইনি ঈশ্বর সুরির পুত্র। ১৪ নরপতিজরচর্য্যা স্বরোদয়ের টীকাকার, ইনি মিথিলাবাসী গণেশের পৌত্র ও নরসিংহের পুত্র বলিয়া উল্লিখিত। ১১ কুমারসম্ভবটীকাকার, ইনি ভাস্করের পুল্ল । ১২ অনুমানখগুদুষণোদ্ধার নামক গ্রন্থপ্রণেতা, ইছার পিতার নাম যজ্ঞপতি । ১৩ ভাবপ্রকাশ ও ভাগবততাৎপর্যাদীপিক-প্রণেতা। আনন্দতীর্থ প্রণীত ব্ৰহ্মস্বত্রায়ভায্যের ব্যাখ্যার্থ ভাবপ্রকাশ এবং উক্ত আনন্দতীর্থকৃত ভাগবততাৎপৰ্য্যনির্ণয় নামক গ্রন্থের ব্যাখ্যার্থ ভাগবততাৎপৰ্য্যদীপিকা। ইছার পিতার নাম বরদাচাৰ্য্য। ইনি নরহরি, নৃহরি বা নৃসিংহ নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৪ বাগৃভট্টমণ্ডন নামে হায়দর্শনীয় গ্রন্থপ্রণেত, ইহার পিতার নাম সহদেব ভট্ট। ১৫ নৈষধীয় টীকাকার, ইনি স্বয়ন্থর পুত্র ও বিদ্যারণ্য যোগীর সমসাময়িক । ইনি তৈলঙ্গ ব্রাহ্মণ । নরহরি, আদিশূর যজ্ঞার্থ যে পঞ্চ কনেজী ব্রাহ্মণ আনাইয়াছিলেন, র্তাহাদিগকে গ্রামাদি দান করিয়া এদেশে বাস করাইয়াছিলেন। তন্মধ্যে ভট্টনারায়ণ (ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতের মতে) ক্ষিতীশ নামক রাজপুত্র ও অর্থশালী পুরুষ ছিলেন বলিয়া তিনি দান গ্রহণ করেন নাই, মূল্য দিয়া রাজদত্ত গ্রাম কএক থানি এবং অপরের নিকট হইতে কএকখানি নিষ্কর গ্রাম কিনিয়া লইয়া একটু ক্ষুদ্র রাজ্য স্থাপন করেন। এই রাজ্যট আধুনিক বিক্রমপুরের নিকট। ভট্টনারায়ণের পুত্র নিপুর ৬ষ্ঠ অধস্তন পুরুষে নরহরি নামে রাজা হইয়াছিলেন। ইহারই বংশে নদীয়ার রাজবংশ উৎপন্ন। নরহরিউপাধ্যায়, বৈতনির্ণয় নামক গ্রন্থপ্রণেতা। নরহরি চক্রবর্তী, বাঙ্গালী ভক্তিরত্নাকর-প্রণেতা। ইনি জগন্নাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর পুত্র। ইনিও পদকৰ্ত্ত এবং ইহার দ্বিতীয় নাম ঘনশ্লাম । অনেকে পদকল্পতরুর “কৰি নৃপবংশজ, ভুবনবিদিত যশ, জয় ঘনপ্রাম বলরাম,” এই পদ হইতে কবিরাজ বংশোদ্ভূত ঘনপ্তামকেই একমাত্ৰ পদকর্তী বলিয়া ধরেন, কিন্তু ভক্তিরত্নাকরের ভণিতার [ &bt. I ঘনা নামের উল্লেখ দেখিয়া নরহরি চক্রবর্তত কোন নাম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ থাকে না । ইহার ভক্তিরীকর বৈষ্ণবসমাজের প্রস্তু ও প্রভূশিষ্যগণের বংশপরিচয় ও সামাজিক তত্ত্বে পূর্ণ। ইহা ১৫শ তরঙ্গে বিভক্ত। ইনি মহাকবি ছিলেন, ইহার কবিত্ব চমৎকার, বর্ণনা যেমন তেজস্বিনী তেমনই মনোহারী। ম্যাণ্ডিভাইলের জেরুসালেম ও হিউএন্‌সিয়াংএর কুশীনগর বর্ণনা বিদ্বৎসমাজে যেরূপ মহা আদৃত হইয়া থাকে, নরহরির নবদ্বীপ ও বৃন্দাবনবর্ণনা তাহ অপেক্ষাও চমৎকার ও আদরণীয়। বৈষ্ণব গ্রন্থে সংস্কৃত শ্লোকাদি উদ্ভূত করিয়া প্রমাণাদি উল্লেখ করা একবারে নিয়মবদ্ধ। নরহরি তাহাও করিয়াছেন, অথচ একটা নুতন প্রথা প্রবর্তিত করিয়া গিয়াছেন। প্রমাণ স্বরূপ তিনি তাহার পূৰ্ব্ববর্তী কবিগণের বাঙ্গাল কাব্য গ্রন্থ হইতেও কবিতা উদ্ধৃত করিয়া বাঙ্গালা ভাষাকেও সংস্কৃতের সহিত সমানাসন দিয়া গিয়াছেন। নিজ রচনা সৌন্দৰ্য্যবিশিষ্ট করিবার জন্ত তিনি নিজের সমসাময়িক ঘটনা বর্ণনাকালে সমসাময়িক কবিগণের পদাবলী উদ্ধৃত করিয়াছেন। নরহরির রচনা বড়ই সরল, পদ্য হইলেও গদ্যের দ্যায় । ইনি প্রসিদ্ধ বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর শিষ্য ছিলেন। এতদ্ব্যতীত তাহার রচিত “নরোত্তমবিলাস” ও “গোরচরিত্রচিন্তামণি” প্রসিদ্ধ। “লীলাসাগর” নামে তাহার একখানি সঙ্গীত সংগ্ৰহ আছে। ঘনশ্রাম নরহরি একজন প্রসিদ্ধ পদকর্তা। সার্ক দ্বিশত বর্ষেরও পূৰ্ব্বে ঘনশ্বাম প্রাদুর্ভূত হইয়াছিলেন। ভক্তিরত্নাকরের শেষে তিনি বলিয়াছেন— “পুৰ্ব্ববাস গঙ্গাতীরে জানে সৰ্ব্বজন ॥ বিশ্বনাথ চক্রবর্তি সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত। উার শিষ্য মোর পিতা বিপ্র জগন্নাথ ৷ ন জানি কি হেতু হৈল মোর স্থই নাম । নরহরি দাস আর দাস ঘনগুাম ॥ গৃহাশ্রম হৈতে হইলু উদাসীন। মহাপাপ বিষয়ে মজিন্তু রাত্রি দিন ॥” ইতি । নরহরিতীর্থ, স্বত্যর্থসাগর গ্রন্থে ইহার উল্লেখ আছে। ইনি আনন্দতীর্থের শিষ্য ও পদ্মনাভ তীর্থের উত্তরাধিকারী । ইহার পূৰ্ব্বনাম রামশাস্ত্রী। # নরহরিভট্ট, ১ আখলায়নীর দর্শপূর্ণমালহৌত্র নামক গ্রন্থপ্রণেতা। ২ মণ্ডপকুগুমগুলপ্রকাশিকা-প্রণেতা। - ৩ রসযোগমুক্তাবলী নামক বৈদ্যক এন্থপ্রণেতা। ৪ শ্রবণভূষণবিদগ্ধমুখমণ্ডনের এক টীকাকার । নরহরি শাস্ত্রী, নৃসিংহচম্পূগ্রণেতা।