পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিকা - - মহাভারতের অনেক স্থলে এই নালীকান্ত্রের প্রয়োগ দৃষ্ট হয়। পুরাকালে অস্থর সকল এই অস্ত্র ব্যবহার করিত। এই অস্ত্রের আকার প্রকায়ারি বর্ণনা দেখিলে আধুনিক বলুকের মত ‘ধন্ধিয়া বোধ হয়। যথা' ' - "নলিক খণ্ডুদেহ স্তাৎ তষঙ্গী মধ্যরস্কি কা। মৰ্ম্মচ্ছেদকরী নীলা ।” (বৈশম্পায়নোক্ত ধমুৰ্ব্বেদ) দেহ ঋজু, মধ্যদেশ রন্ধবিশিষ্ট, আকার ক্ষুদ্র ও মৰ্ম্মচ্ছেদকারক, অর্থাৎ নলিকাস্ত্রের কায় ঠিক সোজা ও সরু, গঠন নল সদৃশ বলিয়া নলিকা নাম হইয়াছে। ইহার মধ্যদেশ রন্ধুবিশিষ্ট, বর্ণ কৃষ্ণ, ইহা হইতে অয়ঃকরণ অর্থাৎ ক্ষুদ্র লৌহগুলিকা তীরবৎ অতিশয় বেগে বাহির হইয়া শত্রুর মৰ্ম্মচ্ছেদ করে। এই সকল বর্ণনা দ্বারা বেশ বুঝা যায় যে, এই নলিকা একপ্রকার বল্লুকজাতীয় অস্ত্র ভিন্ন আর কিছুই নহে। “গ্রহণং ধাপনং চৈব স্থাতঞ্চেতি গতিত্রয়ম্। তামাশ্রিত বিদিত্ব তু জেতাসন্নান রিপূ যুধি ॥” ( ধনুৰ্ব্বেদ) প্রথমে গ্রহণ, পরে ধ্যাপন অর্থাৎ প্ৰজলিতকরণ, পশ্চাৎ সুতি অর্থাৎ বিদ্ধ করণ,—নলিকার এই ত্ৰিবিধ ক্রিয়, ইহা সম্যকৃরূপে জানিতে পারিলে আসন্ন শক্রকে জয় করা যায়। শাঙ্গধর সংগৃহীত ধনুৰ্ব্বেদে এই অন্ত্র নালীক বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে । যথা— “নালীক লঘবে বাণ নলযন্ত্রেণ নোদিতাঃ। অত্যুচ্চদূরপাতেষু ছৰ্গযুদ্ধেযুতে মতাঃ।” (শাঙ্গধর সংগৃহীত ধন্থ) | নালীক—ইহার বাণ লঘু অর্থাৎ ছোট বা সরু । এই লঘু নালীক বাণ নলযন্ত্র দ্বারা প্রেরিত হয়। এই বাণ উচ্চ ও দূরলক্ষ স্থলে এবং যুদ্ধে ব্যবহার প্রশস্ত। এই নলিকাস্ত্রের বৈদিক নাম কুৰ্ম্ম । অস্থর সকল এই হুৰ্ম্ম লইয়া দেবতাদিগের সহিত যুদ্ধ করিত। অভিধানদিতে হুৰ্ম্মী শব্দের অর্থ ‘লোঁহ প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া লিখিত আছে। বৈদিক গ্রন্থসমূহে ইহাকে লৌহস্থণা বা স্থণাকার যন্ত্র বিশেষ এই অর্থে ব্যবহার দেখা যায়। পূৰ্ব্বে যে নলিকাস্ত্র ব্যবহার হইত এবং এক্ষণে যে বন্দুক ব্যবহার দেখা যায়, তাহ ঠিক এক আকারের নহে, তবে তাহাকে বলুক জাতীয় বলা যাইতে পারে। কৃষ্ণ যজুৰ্ব্বেদে লিখিত আছে। যথা— “এষা বৈ সুৰ্ম্মী কর্ণকাবত্যেনয়াহয় , , বৈ দেব অসুরাণাং শততই তৃংহস্তি । যদেতম মমিধ মা ধাতি বজ্ৰমেৰৈতৎ শতয়ীং যজমানোভ্রাতৃব্যায় প্রহরতি।” ( কৃষ্ণাঙ্গু ১৫৬৭ ) জলী লৌহময়ী স্থা স্বী। স চ কৰ্ণকাবতী ছিদ্রবতী, অতএব জলস্ত্রী । একেন প্ৰহারেণ শতসংখ্যকাৰু মান্নয়ন্তঃ , [ ৬১১ ] নলিকা শুরা শততর্গ। অম্বুরাণাং মধ্যে তাশান এতয়া খচা দেবু হিংসস্তি’ (সায়ণ ) লৌহনির্মিত বস্তু স্থশাপদবাচ্য, তার মধ্যপ্রদেশ অর্থাৎ অভ্যন্তরে ছিদ্র আছে, ইহার মধ্যে প্ৰজলিত হতাশন। যাহা बश्ब्रिांशउ श्न, उांश७ खगख ।। ७ई भक् मज हूभांद्र छांद्र জানিতে হইবে। আমরগণ এই সূক্ষ্মীর আঘাতে এককালীন শত শত শত্রু বিনাশ করিতে সমর্থ হয়। দেবগণও সেইরূপ তাহাদিগকে মারিবার জন্য শতঘ্নী বঞ্জ ব্যবহার করিয়া থাকেন। এই খক্-মন্ত্র শতয়ী বঞ্জ বা স্বল্প সদৃশ। ষে বজমান এই খক্‌ মন্ত্রে সমিদাহুতি প্রদান করেন, তিনি শত শত শত্রু বিনাশ করিতে সমর্থ হন। অথৰ্ব্ববেদে লিখিত আছে, সীসক দ্বারা *ज विन्छे इब्र, राक्षा

  • সীসায়াধ্যহে বরুণঃ লীলায়ারিপাবতি । সীসং স ইন্দ্ৰঃ প্রমচ্ছৎ তরঙ্গ যাতু চাতনম্। যদি নো গাহসি যদ্যশ্বং যদি পুরুষঙ্গ। তং হত্ব সীসেন বিধ্যামে যথানোহলে অরোরুহ ।”

(પાશર ઋા૪બ૭-8 ) এই সকল বৈদিক মন্ত্র প্রভৃতির বিষয় বিবেচনা করির দেখুন, লৌহনিৰ্ম্মিত স্থণা অর্থাৎ লম্বী লৌহের খোট, তাহার মধ্যদেশে সুষির বা রন্ধ, ইহার মধ্যদেশ হইতে প্ৰজলিত পদার্থ বহিরাগত হয়, ইহা এককালে শত শত শত্রু নাশ করিয়া থাকে। এই মধ্যাগত পদার্থ সীসক দ্বারা হইয়া থাকে। এই সকল বচনে স্পষ্টতঃ অনুমিত হয় যে, ইহা বন্দুক জাতীয় কোনপ্রকার আগ্নেয়াস্ত্র। শুক্রনীতিতে এই বিষয় আরও পরিষ্কার ও বিস্তৃত রূপে লিখিত আছে। যথা— “অস্ত্রস্তু দ্বিবিধং জ্ঞেয়ং নালিকং মান্ত্ৰিকং তথা । যদা তু মার্কিং নাস্তি নালিকং তত্র ধরিয়েৎ ॥ নালিকং দ্বিবিধং জ্ঞেয়ং বৃহৎক্ষুদ্রবিতেদতঃ। তিৰ্য্যগৃদ্ধচ্ছিদ্রমূলং নালং পঞ্চবিতস্তিকম্ ॥ মূলাগ্রয়োর্লক্ষভেদি তিলবিদ্যুতং সঙ্গ। যন্ত্রাঘাতাগ্নিক্কংগ্ৰাৰচুর্ণন্থক্কর্ণমূলকম্ ॥ স্বকাষ্ঠোপাঙ্গলুঃঞ্চ মধ্যাঙ্গুলবিলাস্তরম্ । স্বাগ্রেহগ্নিচুৰ্ণসন্ধাতৃশলাকসংযুতং দৃঢ়ম্ ॥ লঘুনালিকমপ্যেতৎ প্রধাৰ্য্যং পত্তিলাদিতিঃ । যথা যখ। ভূ ত্বক্সারং যথা স্থলবিলাস্তরম্ ॥ যথাদীৰ্থং বৃহৎগোলং দুরভেদি তথা তখ। মূলকীলভ্রমল্লিক্ষ্য সমসন্ধানভাজি তৎ। 警 বৃহন্নালীকসংজ্ঞংতৎ কাঠবুধবিবর্গিতম্। প্রবাহ শকটাদ্যৈৰ স্বযুক্তং বিজয়প্রদম।” (শুক্রনীত্তি ৪ জ)