পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবকৃষ্ণ [ ७२8 ]

  • — *—

অত্যাচারের বিচারার্থ গ্রাম্য বিচারালয়ে ( Country-govern.ment ) অর্পিত হন ।* বোলটুস বলেন, রাজা নবকষ্ণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ হওয়ায় ভেরেলেষ্ট রামনাথকে কৌশল করিয়া এত কষ্ট দেন। মিঃ বোলটুস যাহাই বলুন, কিন্তু সিলেক্ট কমিটির ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রেল তারিখের কার্য্যবিবরণী পাঠ করিলে নবকৃষ্ণের বিরুদ্ধে উক্ত দুই অভিযোগ মিথ্যা বলিয়া বুঝা যায়। তাহাতে দেখা যায়, কমিটির সম্মুখে উক্ত উভয় অভিযোগের বিচার হয়। এছাড়া নবকৃষ্ণের বিরুদ্ধে এক ব্রাহ্মণকস্তার সতীত্ব নাশের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থিত হয় এটা ষড়যন্ত্র মাত্র। কোন দরিদ্র ব্রাহ্মণকে রামমুনার ঘোষ ও নিমুগাঙ্গুলি নামক দুই ব্যক্তিকে অর্থের লোভ দেখাইয়া বশীভূত করেন। তাহারা বলেন যে, সে যদি নবকৃষ্ণের নামে তাহার স্ত্রীর সতীত্ব নাশের দাবীতে নালিশ করিতে সন্মত হয়, তবে সে বিপুল অর্থ পাইবে। তাহার পত্নীকে এ কথার প্রস্তাব করিলে সে তাহার সতীত্ব নষ্ট হইবে বলিয়া স্বীকার করিতে সম্মত হইল না। তাহার উপর তাহার স্বামী পীড়ন করিল। শেষে তাহারা তাহার অসন্মতিতেই নালিশ করিল। যেদিন কমিটিতে গোকুল সোণারের এবং রামনাথ দাসের অভিযোগের বিচার হয়, সেই দিন এই মোকদ্দমার বিচার হয়। ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী কমিটির সম্মুখে সমস্ত সত্য কথা প্রকাশ করিয়া বলে। এইরূপে উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গৃহীত হইলে তাহাতে জানা যায় যে মহারাজ নন্দকুমার, স্বয়ং মিঃ বোলটুস, রামসুন্দর ঘোষ ও নিমু গাঙ্গুলী প্রভৃতি কয়েক ব্যক্তির প্ররোচনায় এই সকল অভিযোগ উপস্থিত হইয়াছিল। তৎপরে কমিটির বিচারে সিদ্ধাস্ত হয় যে, রামনাথ কলিকাতায় থাকিতে পাইবে, কিন্তু মালদহের অত্যাচারের জন্য গ্রাম্যবিচারালয়ে অর্পিত হইবে। মিঃ বোলট্স্ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলিয়া তিনি অপরাধী গণ্য হন এবং অনতিবিলম্বে ভারতত্যাগ করিতে আদেশ পান। মহারাজ নন্দকুমারও ঐ দোষে স্বীয় বাটতে কিছুদিন পাহারা-বেষ্টিত থাকিতে আদিষ্ট হন। রামসুন্দর ঘোষ, নিমু গাঙ্গুলী ও অন্যান্য সাক্ষীকে আদালতে সৰ্ব্বসমক্ষে চাবুক মারিয়া ইংরাজাধিকারের বাহিরে তাড়াইয়া দেওয়া হয়। এই কাৰ্যবিবরণীটি অতি বৃহৎ, সুতরাং তাহ উদ্ধৃত করিতে পারা গেল না। তাহার পর কাটিয়ার ১৭৬৯ খৃষ্টাব্দে গবর্ণর হন। ১৭৬৯-৭ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ বাঙ্গালী ১১৭৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত ছিয়াত্তরে মন্থস্তুর ঘটে। এই সময়ে নদীয় রাজ্যের বিস্তর রাজস্ব বাকী পড়িয়া

  • Bolt's Indian Affairs, Vol. I, p. 100-107.

ছিল । তাহ আদায়ের বন্দোবস্ত করিবার জন্তু রিচার্ড বেচার প্রভৃতি নিযুক্ত হন। কিন্তু নবদ্বীপাধিপতি কোন ব্যবস্থা না করায় তাহার দেওয়ান প্রভৃতি কৰ্ম্মচারিরা তিন বৎসর মেয়াদে নদীয় রাজ্য ইজার বিলি করিতে বলেন। মহারাজ নবকৃষ্ণ ও কলিকাতার অন্যান্য বণিকের ইজারা লইতে সম্মত হন। বন্দোবস্ত স্থির হইলে নবকৃষ্ণ প্রভৃতি লোক পাঠাইয়া তহসীল ( কর আদায় ) আরম্ভ করেন, কিন্তু পরিশেষে তাহারা রাজ্যের • স্বত্ব ও ক্ষমতা নষ্ট করিয়া আপনারাই সেই স্বত্ব ও ক্ষার্তা পাইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। নানা অত্যাচার করিতে লাগিলেন ও বন্দোবস্ত অনুসারে সরকারী খাজনাও জমা দিলেন না। নবদ্বীপাধিপতি এই সময়ে সৰ্ব্বনাশ সমুপস্থিত দেখিয়া ইংরাজ কৰ্ম্মচারিগণের নিকট ইজারাদারগণের দ্যায়বন্দোবস্তে জমীদারীর ব্যবস্থা করিতে স্বীকার করায় দেওয়ানাদি কৰ্ম্মচারীরাও সম্মত হইলেন। ইজারাদারেরা তখন অধিকার ছাড়িতে চাছিলেন না ; তাহারাষ্ট জমীদারীর স্বত্ব চাহিতে ছিলেন। ইংরাজ কৰ্ম্মচারীরা তখন নবকৃষ্ণাদি ইজারদারদিগের অসদুদেহু বুঝিতে পারিলেন। তাহার কলিকাতায় গবর্ণর কাটিয়ারকে সমস্ত বিবরণ লিথিয়া এক পত্র পাঠাইলেন। ইজারদারের এই সময় ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কর আদায় করিয়াছেন যলিয়া নদীয়ার রাজা তাহাদের নামে অভিযোগ উপস্থিত করেন।* - নবকৃষ্ণ প্রভৃতি এই অভিযোগের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তাহদের নিকট হিসাব পত্র চাহিয়াও পাওয়া যায় নাই। । এ বিষয়ের কি মীমাংসা হয়, তৎসম্বন্ধে সরকারী কোন কাগজপত্র পাওয়া যায় নাই। ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে মহারাজ নবকৃষ্ণের বাল্যবন্ধু ও ছাত্র ওয়ারেণ হেষ্টিংস গবর্ণর হন। ইহার ১৩ বৎসর শাসনকালে মহারাজ নবকৃষ্ণের প্রাদুর্ভাবের পরিসীমা ছিল না। ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে অযোধ্যার নবাব আসফউদ্দৌলার মাতার উপর মিঃ ব্রিষ্টে অত্যাচার করায় হেষ্টিংস নবকৃষ্ণকে তদন্ত করিতে পাঠান। ১৭৭৮ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে হেষ্টিংস নবকৃষ্ণের ক্ষুদ্র মহাল নপাড়া প্রভৃতি গ্রামের বিনিময়ে কলিকাতার উত্তরাংশস্থিত সুতাহটর তালুকদারী প্রদান করেন। এই সনন্দ দিবার সময় অগ্রে নিমভলার দত্তচৌধুরীর পরে অন্যান্য পুরাতন গণ্যমান্ত সন্ত্রান্ত

  • Letters from the Zemindars & amils.-Letter dated 80-8-67. From R. Bechar to Governor Cartier, Received at Fort Willlam 28-4-70,

+ Vide do. Letter received at Fort WiHiagm 15-9-30. From Bechar to Governor Cartier.