পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবনীত আরও এক প্রকারে নবনী হইয়া থাকে। কুগ্ধ জালে চড়া ইয়া সর প্রস্তুত করিতে হইবে, ঐ সর একটী পাত্রে ক্রমান্বয়ে তিন চারি দিনের একত্র করিয়া তাহ বাটিয়া সম্ভবতঃ জলের সহিত মিশ্রিত করিবে, পরে মন্থন করিলে উহার সারভাগ নবনী হয়। এই নবনী পরিষ্কার জলে রাখিয়া দিলে বেশ শক্ত হয়। এইরূপ সরের মাখন হইতে যে ঘৃত প্রস্তুত হয়, তাহার গন্ধ অতি চমৎকার হইয়া থাকে। কিন্তু দধিমন্থনজ নবনী হইতে যে ঘৃত হয়, তাহা এই সকল নবনীজাত ঘূতাপেক্ষ অধিক উপকারী । নবনীতের বিষয় ভাবপ্রকাশে এইরূপ লিখিত আছে— মৃক্ষণ, সরঞ্জ, হৈয়ঙ্গবীন ও নবনীত এই কএকটা এক পৰ্য্যায়ক শবদ । o গব্য নবনীত—হিতজনক, পুষ্টিকারক, বর্ণপ্রসাদক, বলকারক, অগ্নিবৰ্দ্ধক, ধারক, বায়ু, রক্তপিত্ত, ক্ষয়, অৰ্শ, অতিবায়ু ও কাশ নাশক। নবনী বালক ও বৃদ্ধ সকলের পক্ষেই উপকারী, কিন্তু শিশুর পক্ষে অমৃততুল্য ফলপ্রদ। মাহিষ নবনীত—বায়ুবৰ্দ্ধক, কফকারক, গুরু, মেদেবৰ্দ্ধক, শুক্রজনক এবং দাহ, পিত্ত ও শ্রমনাশক । ছন্ধোদ্ভুত নবনী-চক্ষুর হিতকারক, রক্তপিত্তনাশক, শুক্রবৰ্দ্ধক, বলকারক, অতিশয় স্নিগ্ধ, মধুর রস, ধারক এবং শীতবীৰ্য্য। সদ্য উদ্ধৃত নবনী—মধুর রস, ধারক, শীতবীৰ্য, লঘু মেধাজনক এবং কিঞ্চিৎ তক্র সংশ্রবপ্রযুক্ত ঈষৎ ক্যায়ামরস হইয়া থাকে। বহু কালোৎপন্ন নবনী— গুরু এবং ক্ষারসংযুক্ত, কটু, অম্লরস থাকাগ্রযুক্ত বমি, অৰ্শ, কুষ্ঠরোগ, কফ ও মেদ বৃদ্ধি করিয়া থাকে। (ভাবপ্র দ্বিতীয়তা। ) । সুশ্রীতে নবনীতের গুণ এইরূপ লিখিত আছে—সদ্যোজাত 'नरनै লঘু কোমল, মধুর, কষায়, ঈষৎ অম, শীতল, পবিত্র, অগ্নিবৃদ্ধিকর, মুখপ্রিয়, মলমূত্রসংগ্রাহক, বায়ুপিত্তদমনকারী, তেজস্কর, অবিদ্যহী এবং ক্ষয়কাশ, শ্বাস, ব্রণ ও অৰ্শরোগের শান্তিকর, কফ ও মেদবৰ্দ্ধক, বল ও পুষ্টিকর এবং শোষরোগনাশক । ইহা বালকদিগের পক্ষে বিশেষ উপকারী। অপক দুগ্ধে যে নবনীত জন্মে, তাহ অতিশয় স্নিগ্ধকর, মধুর, শীতল, কোমলতাসম্পাদৰ, চক্ষুর দীপ্তিকর, মলসংগ্রাহক, রক্তপিত্ত ও চক্ষুরোগের শাস্তিকর এবং চকুপ্ৰসাদক। ( সুশ্রুত । ) নুবনীতক (ক্লী) নবনীতাৎ কাতি প্রকাশতে কৈ-ক। ১ স্থত। নবনীত স্বার্থে-কন। ২ নবনীত । , "সর্গিঃ প্রযুক্তং নবনীতকঞ্চ” (হাঁরীত চিকিৎসিতস্থান ১.অ’) [ ૭8ર ] কের আদেশাবলী খোদিত আছে। 緣 নবন্দগড় ' L নবমীতধেনু (জী) নবনীতেন কত ধেনু মধ্যপদলোপ কৰ্ম্মধা” । দানার্থ কৃত নবনীতময় ধেনুবিশেষ, নবনীর ধেনু প্রস্তুত করিয়া দান করিবার বিষয় বরাহপুরাণুে এইরূপ লিখিত আছে— 燕 馨 “নবনীতময়ীং ধেমুং শৃণু রাজ প্রযত্নতঃ। যাং শ্রীত্ব সৰ্ব্বপাপেভ্যো মুচ্যতে নাত্র সংশয়ঃ।” ( বরাহপু । ) নবনীত ধেনুদানের বিধান এইরূপ—প্রথমে যে স্থানে এই ধেনু দান করিতে হইবে, সেই স্থান গোময় দিয়া পরিষ্কার করিতে হইবে, সেই পরিষ্কৃত ভূমিতে মৃগচৰ্ম্মের উপর নবনীতকুস্ত রক্ষা করিবে। নবনী এক প্রন্থের অর্থাৎ দুই সেরের কম হইলে হইবে না। নবনীতের চতুর্থ ভাগের এক ভাগ দ্বার বৎস কল্পনা করিবে। এই কল্পিত বৎস উত্তর দিকে রাথিয়৷ দিবে। এই ধেমুর শৃঙ্গ সুবর্ণদ্বার, চক্ষু মণি ও মৌক্তিকের দ্বারা গুড়ে জিহবা, পুষ্পে ওষ্ঠস্বয়, ফলে দত্ত, নবনীতে স্তন, ইক্ষুদণ্ডে পাদদ্বয়, তাম্ৰে পৃষ্ঠদেশ, কাংস্তে দোহ অর্থাৎ পালান এবং রৌপ্যে ক্ষুর কল্পনা করিবে। এই ধেমুর সহিত চারিট তিলপাত্র দিতে হইবে, চতুৰ্দ্দিকে দীপ জালিয়া এই ধেনু বস্ত্রদ্বয়ে আচ্ছাদন করিয়া, এই মন্ত্রে বেদবি ব্রাহ্মণকে দান করিবে । মন্ত্ৰ—“পুরা দেবাসুরৈঃ সৰ্ব্বৈঃ সাগরস্ত তু মন্থনে। উৎপন্নং দিব্যমযুতং নবনীতমিদং শুভম্। আপ্যায়নঞ্চ ভূতানাং নবনীত নমোহস্তু তে।” এইরূপে নবনীতধেনু দান করিয়া তিন দিন হবিষ্য করিতে হইবে। যিনি যথাবিধি এই ধেমু দান করেন, তিনি সকল পাপরহিত হইয়া শিবসাযুজ্যতা প্রাপ্ত হন, এবং কল্পান্তপর্যন্ত বিষ্ণুলোকে অবস্থান করেন। যিনি এই ধেনু দান করিতে দেখেন ব, এই বৃত্তাস্ত শ্রবণ করেন, অথবা অপর লোককে শ্রবণ করান, তিনি সকল পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়। থাকেন। ( বরাহপু ) । , রাজেন্দ্রচোল দেব তাহার রাজত্বের ৭ম ও ১০ম বর্ষ মধ্যে এই পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশ জয় করেন। এই স্থান জয় করিয়াই তিনি চালুক্যরাজ তৃতীয় জয়সিংহকে জয় করিতে যান। নবন্দগড়, একটা ভগ্ন দুর্গ, ৬২ হাত উচ্চ, লাউরিয়া নামক গ্রামের অতি সন্নিকটে অবস্থিত। এখান হইতে গগুকী নদী ৫ ক্রোশ মাত্র। প্রাচীন ভগ্নাবশেষের মধ্যে একটা সুন্দর প্রস্তরস্তম্ভ আছে। ঐ স্তম্ভের মস্তকে একটা সিংহ ও গাত্রে অশোএখানে বহুসংখ্যক মৃত্তিকার তপ দেখিতে পাওয়া যায়। অনেকে एवथ्रभांत्र করেন, এ সকল ৰূপ বৌদ্ধধর্মের অস্থারের পূর্বতন রাজা