পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নববিধান [ ૭8ક ] নববিধান


হইতে পারেন মা। তিনি প্রাণস্বরূপ, শক্তিস্বরূপ, সমস্ত বিশ্বে বর্তমান। য়ুরোপীয় বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত উত্তাপ, তাড়িত, মাধ্যাকর্ষণ, চুম্বক ও আনবিক আকর্ষণ প্রভৃতি যে পদাধিক শক্তি বা অবস্থাগত গুণ স্বীকার করেন, নববিধানাচার্য্য বলেন, সে গুলি তত্তৎ পদার্থস্থ শক্তি স্বরূপ—পরম-শক্তিরই রূপান্তর। তিনি প্রাণ ও শক্তি বলিয়া নিরাকার। তিনিই ভাব ও চিত্ত, সুতরাং তিনি অনন্ত। সমস্ত শক্তি র্তাহ হইতে উদ্ভূত বলিয়া তিনি সাস্ত । তিনি অনস্তশক্তি অবলম্বন করিয়া বিশ্বসংসার চালাইতেছেন, অতি বৃহত্তম তারকামণ্ডল হইতে ক্ষুদ্রতম পরমাণুপুঞ্জ পৰ্য্যন্ত সকলই তিনি নিজ হস্তে চালনা করিতেছেন। নববিধানাচার্ষ্য আরও বলিয়া থাকেন, ঈশ্বর তাহার ভক্ত অর্থাৎ প্রত্যাদিষ্টের নিকট তিনটী ভাবে প্রকাশিত হইয়া থাকেন–পিতৃভাবে, পুত্রভাবে ও পবিত্রভাবে। র্তাহার সকল ভক্তেরই তাহার অস্তিত্ব প্রতিপাদন করা বিশেষ কর্তব্যকাৰ্য্য এবং ইহা প্রতিপাদন করাও বিশেষ কষ্টসাধ্য ব্যাপার নহে। প্রতি মুহুর্তে প্রতি নিশ্বাস প্রশ্বাসে তিনি নিজ অস্তিত্ব প্রচার করেন। পিতৃভাবে তিনি এইরূপে প্রকাশিত হন। তিনিই একমাত্র বিশ্বের স্রষ্টা ও পাতা, এইজন্তই তিনি পিতার স্বরূপ। ইহা প্রমাণ করা আয়াসসাধ্য নহে। একবার যদি আকাশের দিকে দৃষ্টিনিঃক্ষেপ করা যায়, তাহ হইলে দেখি যে তিনি প্রকাণ্ড প্রকাও জগৎ সৃষ্টি করিয়া চালাইতেছেন। এক একটী নক্ষত্র ও স্বৰ্য্য তেজোময় এবং গোলাকার। তাহার চারিদিকে কত গ্রহ, উপগ্রহ প্রভৃতি ঘুরিতেছে। এই নক্ষত্র ও স্বৰ্য্যাদির যদি একবার গতির বিষয় চিন্তা করা যায়, তাহা হইলে চিন্তাশক্তি স্তস্তিত হইয় পড়ে। এই সকলের গতির বিষয় একটু পর্যালোচনা করিয়া দেখা যাউক। পৃথিবী স্বৰ্য্য হইতে ৯৩,০০০,০০০ মাইল দূরে। স্বৰ্য্যকে একটা গোলাকারের মধ্যবিন্দু করিয়া লইলে, তাহার ব্যাস (Diameter) ১৮৬,০০০,০০০ মাইল হইৰে । ব্যাস জানা যাইলে গোলাকারের পরিধি ঠিক করিতে পারা যায়। সেই ব্যাসকে ৩ দিয়া গুণ করিলে পরিধি হয়, অর্থাৎ সৰ্ব্বসমেত ৫৮৫,০০০,০০০ মাইল, এই গোলাকারের পরিধি দিয়া পৃথিবী স্বর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান। ৫৮৫,•••••• মাইল পৃথিবীকে এক বৎসর ধরিয়া ঘূরিতে লাগে। যদি এত মাইল ৩৬৫ দিন যাইতে লাগে, তাহ হইলে ২৪ ঘণ্টাতে সৰ্ব্বশুদ্ধ ৬৭••• মাইল ঘূরিবে। এইরূপ হইলে এক মিনিটে পৃথিবী ১৯৬ ক্লোশ যায়, এবং এই হিসাবে প্রতি মুহূর্বে ১৮ মাইল যায়। মনে বিবেচনা করিয়া দেখ, “এক বলিলাঙ্গ জার পৃথিবী بیست --------- چج ১৮ মাইল চলিয়া গিয়াছে। ইহা কি কল্পনাশক্তির বিষয় ? ঈশ্বর তাহার কার্য্যে দিন, ঘণ্ট, মিনিট, মুহূর্ত ও মুহূর্তের ভগ্নাংশ ঠিক করিয়া রাখিয়াছেন। ঠিক কোন সময় পৃথিবী কোনখানে থাকিবে, স্বৰ্য্য কোন নক্ষত্রে অবস্থান করিবেন, কোন গ্রহ কোথায় উদিত হইয়া কোথায় অস্ত যাইবেন, এই সকল গণনা আমরা করিয়া আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে দেখি যে, ঠিক সেই সময় এই সকল অদ্ভূত ও অভাব-. নীয় ব্যাপার সকল ঘটতেছে। ভগবানের রাজ্যে একমুহূর্তের ভগ্নাংশ মাত্র ব্যতিক্রম হইবার সম্ভাবনা নাই, যদি সম্ভাবনা থাকিত, তাহা হইলে তাহার অস্তিত্বের প্রতি সন্দেহ থাকিতে পারিত। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে প্রলয় উপস্থিত হইত। নিঃশবো সকলই কাৰ্য্য করিতেছে, কোনই বিশৃঙ্খলা নাই। এইজন্ত প্রতি মুহূর্তে তিনি আছেন, তাহার প্রমাণ পাইতেছি। ভগবান পিতা হইয়া যে সকল কাৰ্য্য করেন, তাহ গোপনে করিয়া থাকেন, অন্ত কাহারও হস্তে দেন না । একটা দৃষ্টান্ত দেখিলে বুঝিতে পারিবে। একটী বৃক্ষ অবলোকন কর, ইহা দেখিতে জড় এবং বায়ু সঞ্চালনে উত্ত্বেলিত হইতেছে। বাহ্যতঃ ইহাই দেখা যাইবে, কিন্তু তাহা নহে। এই বৃক্ষ প্রতি মুহূর্বে বাড়িতেছে। ইহার জীবন প্রতি পত্রে, প্রতি শাখায় ও প্রত্যেক শিরায়। এই বৃক্ষ মূল হইতে রসাকর্ষণ করিয়া জীবিত রহিয়াছে, বায়ুদ্বারা নিশ্বাস প্রশ্বাস দিবারাত্র চলিতেছে। কাহার শক্তিতে এতগুলি ব্যাপার আমাদের অজ্ঞাতসারে হইতেছে ? একবার মনুষ্যশরীরের প্রতি দৃষ্টিনিঃক্ষেপ কর। আমরা কাৰ্য্য করি তাহা সত্য, এবং কাৰ্য্য করিলে আমাদের শরীরও বদ্ধিত হয়। কিন্তু জীবনের ভার, আমাদের হস্তে ভগবান রাখেন নাই। রাত্রিতে নিদ্রাবস্থায় যখন অচেতন হইয়া থাকি, তখন কি আমরা আমাদিগকে চালাইতে পারি? সেই সময় আমরা স্পন্দরহিত থাকি, কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাসের এক মুহূর্তের জন্তু বিরাম নাই, এই ভার তাহার নিজ হস্তে। তিনি আমাদের শরীরের কল দিনরাত্র চালাইতেছেন, অথচ আমরা তাহার কিছুই জানিনা বা বুঝিতে পারিন । এই সকল কার্য স্বনিয়মে চলিতেছে দেখিতেছি, অথচ কর্তা কে তাহ জানিতে পারিন । একমাত্র ঈশ্বর পিতার স্বরূপে অবস্থান করিয়া এই সকল কাৰ্য্য করিতেছেন, ইহা আমরা বিজ্ঞান হইতে জানিতে পারি। কিরূপে জীবোৎপত্তি হইতেছে, কোন নিয়মে বিশ্বব্যাপার সকল ঘটতেছে, বিজ্ঞান এই সকল বলিয়া দেয়। সমস্ত জড়-জগতের তিতন্ত্র একটা মনের কার্ঘ্য চলিতেছে, সেই মনই अक्र बांध्य अखिदिङ ! देजि ब्रिछ यिद अहङङ्ग ठि।