পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনগর [ ৬৬২ ] নবান্ন এই পুষ্করিণীর পূর্ব পাড়ে অনেকগুলি দেবালয় আছে। কথিত মাছে, সীতারাম এবং বেণীরাম নামক দুইজন বণিক এই সকল মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। নবাঙ্গ (ত্রি) নববিধং অঙ্গং যন্ত। ১ নববিধ অঙ্গযুক্ত। (ক্লী ) ২ পাচনবিশেষ । "বিশ্বামৃতাভূনিন্ধৈঃ পঞ্চমূলীসমদ্বিতৈঃ । কৃতঃ ক্যায়ো হস্ত্যাগু বাতপিত্তোস্তুবং জরম্।।” (চক্রদত্ত ) শুষ্ঠ, অমৃত, অদ, ভূমিম্ব ও পঞ্চমূলী এই সকল দ্রব্য একত্র কষায় প্রস্তুত করিয়া সেবন করিলে বাত ও পিত্তোস্তুব জর আশু বিনষ্ট হয় । ( পুং ) ৩ শুঠ, পিপুল, মরিচ, হরিতকী, বয়ড়া, আমল, চিতেমুখ ও বিড়ঙ্গ এই নয়ট নবাঙ্গ । ( চক্রদত্ত ) নবাঙ্গা (স্ত্রী) নবাঙ্গ-টাপ্ত। কর্কটশূঙ্গী, কাকড়া শৃঙ্গ । নবাজিশ খ, ১ আকবরের সভায় পাঁচহাজারী মনসবার সৈয়দ খার পুত্র সাদুল্লা খ ১০১• হিজির সনে নবাজিশ খা নাম প্রাপ্ত হন। মীর্জাগাজী ও থশু সিন্ধুতে যে বাদশাহী সৈন্ত ছিল তাহা লইয়া বিদ্রোহী হইবার উপক্রম করিলে সেই উপদ্রব দমনার্থ নবাজিশ র্থ পিতার সহিত ভক্করে গমন করেন। ২ গুলজারদানীশ নামক পারস্ত গ্রন্থপ্রণেতা । নবাজিশ মহম্মদ, ঢাকার একজন নবাব, আলীবর্দী খার জামাত । নবাদ, ১ গয়া জেলার একটী উপবিভাগ। অক্ষা” ২৪° ৩০% ৩০ ও ২৫° ৭' উঃ, এবং দ্রাঘি” ৮৫• ১৫' ৩০" ও ৮৬ ৬' পূঃ মধ্যে অবস্থিত। ক্ষেত্রফল ১০২০ বর্গ মাইল । ২ গয়াজেলার একটী নগর, নবাদ উপবিভাগের প্রধান স্থান। এখানে ইষ্ট-ইণ্ডিয়ান রেলওয়ের একটী ষ্ট্ৰেসন আছে। নবীনগর, (নবনগর) কচ্ছ উপসাগরের তীরবর্তী একটা দেশীয় রাজ্য। কাঠিয়াবাড় প্রদেশে হল্লার বিভাগে এই রাজ্য অবস্থিত। ইহার উত্তরে কচ্ছ উপসাগর ও রণ নামক লবণ ভূমি, পশ্চিমে আরব সাগর ও ওখ নামক লবণক্ষেত্র, পূৰ্ব্বে মোৰ্ব্বি, রাজকোট, প্রোল এবং গোগুলি প্রভৃতি দেশীয় রাজ্য ; দক্ষিণে সুরাট বিভাগ। এই রাজ্যের পরিমাণ ১৩৭৯ বর্গ মাইল । লোক সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। এই রাজ্য সামান্ততঃ সমতল। বরদা পৰ্ব্বতের বার অান অংশ এই রাজ্যের মধ্যে। এখানকার বেণুশৃঙ্গ সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ২০৫৭ ফিটু উচ্চ। জলসঞ্চালন কুপাদি হইতে হয়। গবাদিতে জল তোলে। রাজধানী নবনগরের পানীয় জলের জন্ত নগরের ৪ ক্রোশ দক্ষিণে এক দীর্থিক প্রস্তুত হইয়াছে। উপসাগরের তীরবর্তী স্থানের জলবায়ু খুব ভাল। এই রাজ্যের কন্দোর্ণ ও ভনবর তালুকে নানাবিধ মৰ্ম্মর প্রস্তর ( Marble ) পাওয়া যায়। কস্তালিয়া পরগণার তামার খনি

আছে। নিকটবর্তী অজাদৰীপে রৌপ্যখনি আছে বলিয়া প্রবাদ আছে। শস্ত ও তুলা প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। কাপড় ও রেশম প্রধান শিল্প। জোয়ার, বাজুর, গম ও ছোলা প্রধান শস্ত। এখানে গমের চাষে জল প্রয়োজন হয় না। সমুদ্রোপকুলে মুক্ত উত্তোলিত হয়। মাছের পটপট ও খাঞ্জিণ মৎস্তের ব্যবসায় ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে। নবনগরের নিম্নে রঙ্গমতী নদী প্রবাহিত । ইহার জলে নানাবিধ রং প্রস্তুত হয়, ঐ রঙ্গের. বাহার খুব ভাল হয় বলিয়া ঐ নদীর জলের প্রসিদ্ধি আছে। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত এই রাজ্যে মধ্যে মধ্যে পাৰ্ব্বত্য সিংহের উপদ্রব হইত। এখন গির্ণর পর্বতে ও জুনাগড়ে মধ্যে মধ্যে সিংহ দেখা যায়। নবনগর প্রদেশে চিতাবাঘ, নীলগাই হরিণ, এবং কয়েক প্রকার ব্যাঘ্র বনপ্রদেশে দেখা যায় । প্রধান সহর ২২° ২৬/৩০" উত্তর অক্ষাংশে এবং ৭০° ১৬ ৩০% পুৰ্ব্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। সহরের লোকসংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার, হিন্দুই অধিক। ১৫৪০ খৃষ্টাব্দে জাম রাওল এই নগর প্রতিষ্ঠা করেন । ইহা প্রায় প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত । ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দে এখানে দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয়। এই সহরে ব্যবসায় বাণিজ্য যথেষ্ট। জরীর ও রেশমের কাজের জন্যই এই স্থান বিখ্যাত। এখানকার সুগন্ধি তৈল ও ধূপাদি অতি উৎকৃষ্ট । কন্তু নামক তিলক-মাটি এই স্থানে প্রস্তুত হয় । এই রাজ্যের রাজার উপাধি জাম। বর্তমান রাজা ঝাড়েজ রাজপুতবংশীয় । পুরবন্দরের জেটব রাজপুতবংশীয় রাজাকে পরাস্ত করিয়া এই বংশ রাজ্য গ্রহণ করিয়াছেন। প্রথমে ইহারা ঘুমলি নামক স্থানে বাস করিতেন, পরে ১৫৪০ খৃষ্টাব্দে জাম রাওল নবনগর রাজধানী স্থাপন করেন । [ কচ্ছ দেখ। ] মুসলমানেরা ইহার ইস্লামাবাদ নাম দিয়াছিল। কচ্ছের রাওগণও যে বংশীয়, জামরাজগণও সেই বংশীয় । প্রোলরাজ ও রাজকোট-রাজবংশও এই জামবংশ হইতেই উৎপন্ন। এইরাজ্য কাঠিয়াবাড় প্রদেশের করদ রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে গণ্য। এখানকার রাজা বা জাম বৃটশরাজ্যে সন্মানসূচক ১১টা তোপ পাইয়া থাকেন। ইনি নিজ প্রজার দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্ত। এই রাজা বুটশরাজ, বরদারাজ ও জুনাগড়ের নবাবকে একত্র বার্ষিক ১২০১১০২ টাকা কর দেন। ইহার সৈন্ত সংখ্যা শত। ইহার পোষ্যপুত্র-গ্রহণের ক্ষমতা আছে । নবান্ন ( ক্লী) নবং নূতনং অন্নম্। ১ নূতন অন্ন। তৎপ্রাপ্যতয়াইত্ৰাস্তি আছ। ২ নবায় নিমিত্তকশ্রাদ্ধ। নবায়কাল আগত হইলে শ্ৰাদ্ধ করিয়া নবান্ন ভক্ষণ করিতে হয়। ধান্তপঙ্ক হইলে এই নূতন ধান্ডের তখুলে দেবতা ও পিতৃগণের উদেশে নিবেদন هي Rలిe o