নসরু । কাছগ্নিৰ্যস্ত। প্রমাদামি দ্বারা লুপ্তারি দ্বিজ, ষে সকল . সাগ্নিক ব্রাহ্মণের প্রমাদ ও আলস্তবশতঃ অগ্নিলোপ হইয়াছে। নষ্টভঙ্ক (ত্রি ) আতঙ্ক বা চিন্তার অভাব। নষ্টাৰ্থ (ত্রি) নষ্টধন, মাহার অবস্থা হীন হইয়াছে। নষ্টাস্তিসূত্র (র) নষ্টত চেরোপহতস্তাথে সাধন স্বত্র চিহ্নম্। অপহৃত দ্রব্যের লাভসাধন চিহ্নভেদ, কিঞ্চিৎ প্রাপ্ত চেরনীত বস্তু, পৰ্য্যায় লোপ্ত, যে বস্তু অপহৃত হইয়াছে, তাহার কিয়দংশ প্রাপ্তির নাম নষ্টাপ্তিস্বত্র। ইহার চলিত নাম বীমাল । নষ্টামি ( দেশজ ) শঠত, ইষ্টত, ঠেটামী। নষ্টাশঙ্ক (ত্রি) নষ্ট আশঙ্ক যন্ত। নির্ভয়, আশঙ্কাশূন্ত । নষ্টাশ্বদগ্ধরথমৃদয় (পুং ) হায়ভেদ । ছুইজন লোক পৃথক রথে চড়িয়া একৰদের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছিল। হঠাৎ সেই বনে দাৰানলে একজনের রথ ও একজনের অশ্ব পুড়িয়া যায়। এইরূপে একজন নষ্টাশ্ব অন্যজন দগ্ধরথ হইয়া কাননে থাকে। দৈবযোগে একদিন দুইজনের সাক্ষাৎ হইলে উভয়ে যুক্তি করিয়া একজনের রথে অন্তের অশ্ব যোজনা করিয়া অনায়াসে দুইজনে পরমসুখে গন্তব্যস্থানে গমন করিল। এই দ্যায় দ্বারা এইরূপ প্রতিপাদিত হইয়াছে, নিষ্কাম শুদ্ধ ধৰ্ম্মরূপ রথে জ্ঞানরূপ অশ্ব সংযোজিত করিয়া মানব সকল অনায়াসে অবশু প্রাপ্তব্য পরমেশ্বরকে পাইবে, বৈদাস্তিক পণ্ডিতের এই স্তায় দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন করিয়াছেন । { স্থায় দেখ। ] নষ্টাক্স (ত্রি) নষ্টবং অসবো যন্ত। যাহার প্রাণবায়ু গিয়াছে। নষ্টি (স্ত্রী) বিনাশ, ধ্বংস। নষ্টেন্দুকলা ( স্ত্রী) নষ্ট ইন্দুকলা বস্তাম্। কুছ। (অমর) নস, ১ ব্যাপ্তি। ভূদি, আত্মনে, সক, সেটু। (বেদনি)। লট নসতে। লোটু নসতাং । লু অনসিষ্ট। ২ সংশ্লেষ। “স মোদতে নমতে সাধতে গিয়া" ( ঋক্ ৯,৭১৩ ) নসতে গ্ৰহাদিষু সংশ্লিষ্টে ন ভবতি (সায়ণ) নস, ব্যাপ্তি। ভূদি, পরশৈ, সক, সেটু। (নিবন্ট)। লট নসতি। লোট নসতু। লিটু ননাস, নেসতুঃ। লুঙ, অনাসীৎ, অনসীৎ। । “মুরভিষ্টমং নরাং নসন্ত” ( ঋক্ ১।১৮৬৭ ) - ‘নসন্ত বাপু বস্তি নসতিৰ্য্যাপ্তিকৰ্ম্মেতি।’ (সারণ) নস্ (স্ত্রী) নাপি। নাসিকা । “অবিনা মেষে। নসি বীৰ্য্যায়” (শুক্লাজু ১৯১০ ) ‘নসি নাসিকায়াং' ( বেদদীপ ) নদ (আরবী) ঈগল পক্ষী। প্রাচীন জায়বদিগের দেবমূৰ্ত্তিবিশেষ। অনসরিয়া গ্রদেশের ধৰ্ম্মও নসর-উ-তরির নামে طضبط ] নম্বরতগঞ্জ কথিত হইত। নগর শঙ্কে স্বর্ধকে বুৰায়। ঈগল পক্ষী আলোক ও সুৰ্য্যের চিহ্ন বলিয়া উল্লিখিত হইয় থাকে। বলবেক নগরের ধ্বংসাবশিষ্ট স্বৰ্ধমন্দিরের ইচ্ছুকাদিতে ঈগলৰাহন স্বৰ্য্যমূর্তি এখনও পাওয়া যায়। 變 নসর খা, শস্তলের একজন মুসলমান শাসনকর্ত। শেরশাহের রাজত্বকালের মুসলমান ইতিহাস তারিধি-শেরশাহীতে উল্লিখিত আছে যে, শের শম্ভলাধিপতি নসর ধার বিধবাপী গহ্য কুশানীকে বিবাহ করিয়া ৬০ মণ সোণ পাইয়া ছিলেন। " নম্রতগঞ্জ, রোহিলখণ্ডবিভাগে বরেলী জেলায় রামনগরের উত্তরস্থ একটা গ্রাম। প্রবাদানুসারে এই রামনগরই মহাভারতোক্ত উত্তর পাঞ্চলের রাজধানী অহিচ্ছত্রা নগরী। বরেলী সহর হইতে ১০ ক্রোশ পশ্চিমে ইহা অবস্থিত। অহিচ্ছত্র নাম এখনও বর্তমান আছে। রামনগর গ্রামের উত্তরদিকে এক বৃহৎ বন আছে, ঐ বন রামনগরের উত্তরস্থ আলমপুরকোট এবং নসরতগঞ্জ গ্রামের অন্তর্গত। এখন ঐ বনকেই অহিচ্ছত্রাবন বলে। এই সকল স্থানে প্রাচীন নগরের ও দুর্গের ভগ্নাবশেষ, এবং বৌদ্ধযুগের শুপাদির ধ্বংসাবশেষ যথেষ্ট আছে। ভাবশিষ্ট দুর্গের দক্ষিণপশ্চিম কোণে ৪৭ ফিটু উচ্চ সাহেব-বুরুজ নামে এক স্তস্ত আছে। এখানকার জমী খুড়িলে মধ্যে মধ্যে মিত্ররাজগণের মুদ্রাদি পাওয়া যায়। দুর্গ-ভগ্নাবশেষের উত্তর প্রাচীরের নিকট এক শিবমন্দিরের ভগ্নাবশেষ আছে । ইহার ইষ্টক রাশিই ৬৮ ফিট উচ্চ হইয়া পড়িয়া আছে। কনিংহাম্ সাহেব অনুমান করেন, ঐ মন্দিরট এক শত ফিটেরও অধিক উচ্চ ছিল। মন্দিরের নিম্নাংশ ও বৃহৎ লিঙ্গ এখনও বর্তমান আছে। লিঙ্গট ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, কিন্তু এখনও ৮ ফিট উচ্চ আছে। ইহার বেড় ৩২ ফিট । এই ভগ্ন লিঙ্গ এখন “ভীমের গদা” নামে কথিত হয়। এখানে একটা স্তুপে এক যুদ্ধমূৰ্ত্তি আছে। হিন্দুরা তাহ হিন্দু দেবতা ভাবিয়া পূজা করে। নসরতগঞ্জের দেবতাগুলিও ঐরূপ বৌদ্ধ-হিন্দুমন্দিরাদি হইতে সংগৃহীত। স্তুপের উপর যে গোলাকার ঢালের স্থায় ছাদ ছিল, সেই ছাদ এখনও এক ভগ্নস্ত,পের উপর পড়িয়া আছে । ইহা স্থানীয় লোকের নিকট “পিষাণহারী-ক ছতর” অর্থাৎ জঁাতাপেষকগণের ছত্র। এই ছত্রের ভগ্নাবশিষ্ট যতটুকু আছে তাহারই ব্যাস ৩০ ফিট। অকুমান ইহ পূৰ্ব্বে ৫০ ফিট্র ছিল। কনিংহাম্ বলেন, ইহাই ২৫০ খৃঃ পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত অশোক প। এই ৰূপ হিউএনসিয়াং দেখিয়াছিলেন। নস্রতগঞ্জের প্রায় একশত গজ পূৰ্ব্বে আরও একটা ফুর্গের ভগ্নাবশেষ আছে। উহ। এক ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপর। তাহার নাম কোটারী-খেয়া বা ধ্বংসাবশিষ্ট
