পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه و به নাগপুর নাগপুর , هستان ] Tইতিহাস-অতি প্রাচীনকালে এদেশে ੱਗੀ। -জলিয়া গিয়া উত্তর একযোগে জানােনীকে আক্রম ও নাগপুর সর্দারের রাজত্ব করিতেন। দেশীয় গানে এই সর্দারগণের দেবত সদৃশ বীরত্বের গাথা পাওয়া যায়। খৃষ্টীর ১৬ শতাব্দীর পূৰ্ব্বকালের এদেশের বিশ্বাস্ত ইতিহাস পাওয়া যায় না। ঐ সময়ে দেবগড়ের গৌড়রাজ্যের মধ্যে ইহা সন্নিবিষ্ট ছিল । তখন জটবা নামে রাজগোড়জাতীয় এক রাজ ঘাট পৰ্ব্বতের নিয়ে রাজত্ব করিতেন। সম্ভবতঃ ইনি দেবগড়ের গোড়রাজের ভ্রাতা। ইনিই * স্তীসগড় পর্বতের প্রাচীন • দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করান। ছিন্দবাড়া হইতে পাৰ্ব্বত্যপথগুলি রক্ষণাথ এই দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয়। সম্ভবতঃ এ প্রদেশে যে সমস্ত গোড়ম্বুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখা যায়, সেগুলিও ইহার ও ইহার বংশীয়দিগের সময়ে নিৰ্ম্মিত। প্রায় ১৭০০ খৃষ্টাব্দে বখং বুলনা নামে এক মুসলমান নৃপতি দেবগড় রাজ্যকে অতিশয় প্রভাবসম্পন্ন করিয়া তুলেন। দিল্লীর সহিত তাহার সন্ধি হইলে, তাহার সময়েই এদেশে হিন্দু মুসলমানের বাস বাড়িতে থাকে। তিনিই নাগপুর নগর স্থাপন করিয়া যান। তাহার পর তাহার পুত্র চাদ সুলতান ঐ নগরে রাজধানী করেন। ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে চাদ সুলতানের মৃত্যু হইলে, ওয়ালীশাহ নামে বখতবুলন্দের এক দাসীপুত্র সিংহাসন অধিকার করেন। চাদ সুলতানের বিধবা পত্নী স্বীয় বালকপুত্ৰগণের জন্য বেরারের রঘুজী ভোসের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ওয়ালীশ যুদ্ধে হত হইলে বুরহানশা ও আকবরশ রাজত্ব লাভ করেন। শেষে উভয় ভ্ৰাতায় বিবাদ হইলে এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক যুদ্ধ ঘটে। বুরহানশা ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে রঘুজী ভেনিসের সাহায্যে জয়ী হন। আকবরশ পলাইয়া হায়দরাবাদে গিয়া বিষপানে আত্মহত্যা করেন। রঘুজী ভোনাসু এবার নিঃস্বার্থভাবে বুরহানশাকে সাহায্য করেন নাই । তিনি নিজ হস্তে রাজ্যশাসন ক্ষমতা লইয়া বুরহানশাকে রাজা স্বীকার করিয়া বৃত্তিভোগী করিয়া রাথিলেন এবং নিজেই নাগপুর রাজধানীতে থাকিয়৷ দেবগড় রাজ্যের অধিকাংশ স্বরাজ্যভুক্ত করিলেন। ১৭৪৪ খৃষ্টাব্দে রঘুজী পেশবাকে বাধা করিয়া বেরার হইতে কটক পর্যন্ত সৰ্ব্বত্র কর আদায়ের সনন্দ লয়েন । ১৭৫৬ খৃষ্টাঙ্গে রঘুজীর নাগপুরে মৃত্যু হয়। রঘুজীর পুত্র জানোজী নাগপুরে রাজত্ব লাভ করেন। ছত্রিশগড় ও চান্দা রঘুজীর কনিষ্ঠ পুত্র মাধোজী প্রাপ্ত হন। পেশব ও নিজামে বিরোধ বাধিলে জানোজী একবার এ পক্ষে, একবার ও পক্ষে সাহায্য করিয়া অর্থ সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন । -- ১৭৬৫ খৃষ্টাঙ্গে নিয়াম ও পেশব জানোজীর এই ব্যবহারে IX ১৭৩ সহরে অগ্নিপ্রদান করেন। জানোঙ্গী বাধ্য হইয়া অধিকাংশ টাকা প্রত্যপণ করেন। ইহার ৪ বৎসর পরে জানোঙ্গী ও পেশবার মধ্যে এক সন্ধি হয়, তাহাতে ভোল্লুর পেশবার অধীন বলিয়াই স্বীকার করেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে জানোজী মাধোজীর পুত্র রঘুজীকে দত্তক গ্রহণ করেন। জানোজীর মৃত্যুর পর মাধোজী পুত্রকে লইয়া নাগপুরে আসিবার সময়ে প্রথম রযুজাঁর আর এক ভ্রাতা সবাজী শূন্তসিংহাসন অধিকার করিয়া বসেন। পাচগাঁ নামক স্থানে যুদ্ধ হয়। রণক্ষেত্রে মাধোজী স্বহস্তে ভ্রাতৃবধ করিয়া পুত্রের রাজ্য নিষ্কণ্টক করেন। মাধোজী অবশিষ্ট জীবন নাগপুররাজের অভিভাবকরূপেই কাটাইয়া দেন। ১৭৭৭ খৃষ্টাব্দে মাধোজী ইংল্লাজের সহিত বন্ধুতাসুত্রে আবদ্ধ হন। ১৭৮৮ খৃষ্টাঙ্গে তাহার মৃত্যু হয়। এই সময় হইতে নাগপুর প্রদেশ স্বশাসিত হইতে থাকে। দ্বিতীয় রঘুজী অবশেষে সিন্ধিয়ার সহিত একযোগে ইংরাজদিগের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হন। আসাই ও অরগায়ে যুদ্ধ হয়। দেওগায়ের সন্ধি অনুসারে রঘুজী প্রায় একতৃতীয়াংশ রাজ্য হারাইলেন, চিরকালের জন্ত রেসিডেন্ট রাখিতে বাধ্য হইলেন। ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে দ্বিতীয় রঘুজীর মৃত্যু হইলে তাহার অন্ধ ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুত্র পাওজী রাজা হইলেন বটে, কিন্তু রাজ্যভোগ করিতে পান নাই। র্তাহার এক ভ্রাতু পুত্র অপা সাহেব ও বিধবা পত্নী উভয়ে রাজ্যাধিকার লইয়া বিবাদ করেন। শেষে ইংরাজের মধ্যস্থতায় অপাসাহেবই রাজা হন । পাওজী অপাসাহেবের প্রদত্ত বিষপানে কালকবলে পতিত হন। অপাসাহেব রাজ্যলাভ করিয়াই ইংরাজের সৌহার্দ্য ভুলিলেন এবং পেশবার সহিত যোগ দিলেন । রেসিডেন্ট আত্মরক্ষার্থ যৎসামান্ত সৈন্ত লইয়া সীতাবলী দুর্গ অধিকার করিয়া বসিলেন । ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে নাগপুরের মহারাষ্ট্ৰীয় সেন। ইহাদিগকে মহা উৎপীড়িত করে। অবশেষে সীতাবলী দুর্গের জয় হয়। অপাসাহেব নিজ জ্ঞাতসারে এই উৎপীড়ন হইয়াছে, ইহা স্বীকার করেন নাই। যাহা হউক আরও ইংরাজসেনা রেসিডেণ্টেয় সাহায্যাৰ্থ আসিলে রেসিডেন্ট রাজাকে আত্মসমর্পণ করিতে ও সৈন্তসমাবেশ ভাঙ্গিয় দিতে অনুরোধ করিলেন। অপাসাহেব আত্মসমর্পণ করিলেন বটে, কিন্তু সৈদ্যসমাবেশ ভাঙ্গিলেন না । শেষে নাগপুরের নিকট যুদ্ধ হয় । সেই যুদ্ধে মাৰ্হাট্টার পরাস্ত হয়। ইংরাজের পুনরায় অপাসাহেবকে সিংহাসন প্রদান করেন। এই সময় পাওজীকে বিবদানের কথা প্রকাশ হইলে ও নূতন ষড়যন্ত্রের বিষয় জানিতে প্ররিলে

  1. .