পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$

  • , so

মাগরকোমতি { ৬৯৭ ] **. নাগরখগু হইয়াছে। এখন যেখানে কৰ্কেট-গিরিমাল বিস্তৃত্ব, তাহারই পূৰ্ব্বাংশে প্রায় ৪৫ বর্গমাইল জুড়িয়া উক্ত প্রাচীন নগরী অবস্থিত ছিল । কর্কেটগিরির পার্থে অবস্থিত বলিয়া কেহ কেহ ইহাকে কর্কোটনগর বলিয়াও অভিহিত করেন। প্রবাদ এইরূপ, এখানে কর্কোট-নাগবংশীয় পরাক্রান্ত নাগরাজগণ বহুকাল রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন । কেহ কেহ মনে করেন, তাহার বৌদ্ধ ছিলেন, কারণ এখান হইতে যে সকল মুদ্র বাহির হইয়াছে, তাহাতে বোধিতরু, বোধিচক্র ও বোধিদও অঙ্কিত । বৰ্ত্তমান সহর অধিকদিনের প্রাচীন নহে । কেহ কেহ বলেন, প্রাচীন নগরের পশ্চিমাংশে তাহারই মাল মসলায় বর্তমান সহর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। বর্তমান সহয়ে কএকটা প্রাচীন মন্দির অাছে। এখান হুইতে যে প্রাচীনতম শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে ১০৮০ সম্বৎ অঙ্কিত আছে। প্রাচীন নগরের দিকেও ছয়টা মন্দিরের ভিত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। এখানকার মুচুকুন্দ মন্দির স্থানীয় লোকের নিকট অতি ভক্তির জিনিস। এখান হইতে ১৩২৭ সংবতে উৎকীর্ণ শিলালিপি পাওয়া গিয়াছে। প্রায় ৪০ বর্ষ হইতে চলিল, ভীষণ মড়কে বর্তমান সহর প্রায় জনশূন্ত হইয়াছে। এখন সহরের অবস্থা ও জলবায়ু অভি শোচîn , fărgțfrs fria Cunningham's Archaeological Survey Reports, Vol. Vl. p. 162–195, J নাগরক (ত্রি) নগরে ভবঃ কুৎসিতো প্রবীণো বা বুঞ । ১ চেীর । ২ শিল্পী । নগর শব্দ যে স্থলে কুৎসিত ও প্রবীণ অর্থ বুঝাইবে সেই স্থলে বুঞ প্রত্যর হইবে অন্ত অর্থ বোধ হইলে অণু হইয়। ‘নাগর’ এই পদ হইবে। (নগরাং কুৎসনপ্রাবীণ্যয়োঃ । 'পা ৪।২।১২৮) । সেই স্থলে বুএ হইবে। ৩ রতিবন্ধবিশেষ । “উরুমুলোপরিস্থিত্বা যোষিদূরদ্বয়ং যদি । গ্রীবাং ধৃত্ব করাভ্যাঞ্চ বন্ধো নাগরকে মতঃ ॥” ৪ নাগর শবার্থ। নাগরকোইল, ত্রিবাম্বোড়রাজ্যের অন্তর্গত একটি নগর । অক্ষা ৮° ১২' উঃ, দ্রাঘি’ ৭৭” ২৮ ৪১' পূঃ । এই স্থান ত্রিবাঙ্কোড়ের প্রাচীন রাজধানী ও বর্তমান সদর কোটার নগরের উপকণ্ঠ বলিয়া গণ্য । এখানে বিদ্যালয় ও মুদ্রাযন্ত্রালয় আছে । ত্রিবাস্কোড়ের মধ্যে এখান হইতেই কেবল সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় । লোকসংখ্যা ১১১৮৭, তন্মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ৯৬৩২ { লাগরকোমতি, তৈলঙ্গের কোমতিজাতির এক শ্রেণী । - - { কোমতি দেখ। ] ( রতিম” ) ΙΧ እፄ¢ - zoo - - নাগরক্ত ( ক্লী ) নাগকৃতং রক্তম্। ১ সিঙ্গুর। ২ নাগদিগের শোণিত । নাগরখণ্ড (স্ত্রী ) নাগরং নাম খণ্ডস্ । স্কন্দপুরাণের অন্তর্গত স্বনামখ্যাত খণ্ডভেদ । এই লাগরখণ্ডের প্রতিপাদ্য বিষয় সকল নারদীয় পুরাণে এইরূপ লিখিত আছে— “অতঃপরং নাগরাখাঃ খগুঃ বণ্ঠোহতিধীয়তে ॥” ( নারদপুং ) প্রথমে ইহাতে লিঙ্গোৎপত্তি, তৎপয়ে হরিশ্চন্দ্রোপাখ্যান, বিশ্বামিত্র মাহাত্মা, ত্রিশঙ্কুর স্বর্গগমন, তারকেশ্বরমাহাত্মা, বৃত্ৰাস্বরবধ, নাগবিল, শঙ্খতীর্থ, অচলেশ্বর-বর্ণন, চমৎকারপুয়বৃত্তাস্ত, গয়শীর্ষ, বালশাখা, বালমগু, মৃগাহয়, বিষ্ণুপদ, গোকৰ্ণ, যুগন্ধপসম্প্রাপ্তি, সিদ্ধেশ্বরবর্ণন, নাগস, সপ্তার্ষয় বিবরণ, অগস্ত্যবিবরণ, ভ্রণগৰ্ত্ত, নলেশ, শাশ্মিষ্ঠ, সোমনাথ, জমদগ্নিবধাথ্যান, নিঃক্ষত্রিয়কথন, রামহ্রদ, নাগপুর, জললিঙ্গ, যজ্ঞভূমি, মুণ্ডারাদি তিনট কাকবৃত্তান্ত, সতীপরিণয়, বালখিল্যবিবরণ, লক্ষ্মীশাপ, সপ্তবিংশ সোমপ্রাসাদ, অম্বাবৃদ্ধ, পাদুকাখ্য, আগ্নেয়, ব্ৰহ্মকুণ্ডক, গোমুখ, লৌহযষ্ঠ্যাখ্য, অজাপালেশ্বরী, শনৈশ্চয়, রাজবাপী, রামেশ, কুশেশাখা ও লবেশাখ প্রভৃতি লিঙ্গবিবরণ, অষ্টযষ্টি সমাথ্যান, দময়ন্তীর স্ট্রীজাতক, রেবতী, ভটকাতীর্থোৎপত্তি, ক্ষেমঙ্করী, কেদার, শুক্লতীর্থ, মুখারাকতীর্থ, সত্যসন্ধেশ্বরাখ্যান, কর্ণোৎপলা কথা, জটেশ্বর, যাঙ্কবস্কা, গৌর্য, গণেশ, বাস্তপদাখ্যান, অঙ্গামছকথা, সৌভাগ্যঅন্ধুক, শূলেশ ও ধৰ্ম্মরাজকথা, মিষ্টান্নদেশ্বরাখ্যান, গাণপত্যত্রয়, জাবালিচরিত, মকরেশকথা, কালেশ্বৰ্য্যন্ধকাখ্যান, অপােরঃকুণ্ড, পুষ্পাদিত্য, রোহিতাশ্ব, নাগরোৎপত্তিকীর্তন, ভৃগুচরিত, বিশ্বামিত্রকথ, সারস্বত, পিপ্পলাদ ও কংসারীশবর্ণন, ব্ৰহ্মার সজ্ঞচরিত, সাবিত্র্যাখ্যান, রৈবত, ভর্তৃযজ্ঞাখ্য, প্রধানতীর্থদর্শন, কৌরব, হাটকেশ্বর, প্রভাসক্ষেত্র, পুষ্কর, নৈমিষারণ্য, ধৰ্ম্মারণা ইহার বিবরণ, বারাণসী, দ্বারক ও অবস্তীবর্ণন, বৃন্দাবন, খাগুব ও দ্বৈতবনবর্ণন, কল্প, শাল ও নন্দ এই ভিন গ্রাম, অসি, শুক্ল ও পিতৃসংজ্ঞ এই তিন তীর্থ, শ্ৰী, জৰ্বত ও রৈবত এই তিন পৰ্ব্বত, গঙ্গ, নৰ্ম্মদ ও সরস্বতী এই তিন নদী বিবরণ, শঙ্খস্তীর্থ, বালমগুন, হাটকেশ, ক্ষেত্রফলপ্রদ বিবরণ, শাম্বাদিত্য, শ্ৰাদ্ধকলা, যৌধিষ্ঠির ও অন্ধকবিবরণ, জলাশমোৎসর্গ, চাতুশ্বাস্ত, অশূন্তশয়নত্রত, মঙ্গলেশ, শিবরাত্রি, তুলাপুরুষ, পৃথ্বৗদান, বামকেশ, কপালমোচনেশ্বর, পপিপিও, সাপ্তলৈঙ্গ ও যুগমানাদি কীৰ্ত্তন, দানমাহাত্মকথম ও দ্বাদশাদিত্যকীৰ্ত্তন। মাগর ব্ৰাহ্মণদিগের বিবরণ ইহাতে বিস্তৃত ভাবে বর্ণিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম নাগয় খণ্ড । 鬚