পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগণ । [ १०8 1 নাগ * * নানা প্রকার কঠোর ব্রত পালন করিতে হয় । নাগাদলভুক্ত . কল্লিতে মহস্তের বিস্তর ব্যয় হয় । ইহার অত্যন্ত উগ্ৰস্বভাব ও কলহপ্রিয়। ইহার যে সাধারণের প্রতি ভয়ানক অত্যাচার কল্পিত, কবীর ইহাদিগকে যে তিরস্কার করিয়াছেন তাহা হইতে স্পষ্ট প্রতীত হয়— ভাই হে ! আমি এরূপ যোগী কোন কালে দেখি নাই যে, নিজের ধৰ্ম্ম বিস্কৃত হইয়া বৃথা পৰ্যটন করিয়া বেড়ায়। মুখে বলেন, আমি শিবভক্ত ও প্রধান গুরু, কিন্তু হটভূমি তাহার যোগসাধনের স্থান । মায়া ভণ্ড তপস্বীর দেবতা । কোন কালে দত্তাত্রেয় গৃহ নষ্ট করিয়াছিলেন ? কোন কালে শুকদেব সশস্ত্র সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন ? কোন কালে নারদমুনি বন্দুক ব্যবহার করিয়াছিলেন ? কোন কালেই বা ব্যাসদেব তুরীযন্ত্রবাদন করিয়াছিলেন ? যুদ্ধেতে ধৰ্ম্মভ্রষ্ট হয় । যিনি ধনুকধারী তিনি কি প্রকারে অতীত ( অতিথি ) ? যাহার লোভ আছে তিনি কি প্রকারে বিরক্ত ? কি লজ্জার বিষয় ! তিনি স্বর্ণালঙ্কার ধারণ করেন। তিনি অশ্ব সকল সংগ্ৰহ করিয়াছেন, গ্রাম সমুদায় অধিকার করিয়াছেন ও ধনী বলিয়। বিখ্যাত হইয়াছেন। কখন সনক ও র্তাহার ভ্রাতাদিগের সুন্দরী স্ত্রী ভূষণস্বরূপ ছিল না। সঙ্গেতে মসীপাত্ৰ থাকিলে, সে মসীতে সহজেই বস্ত্র মলিন হয় । ( রেমৈনি ৬৯। ) বৈষ্ণবদিগের সহিত নাগাদের বিবাদ চিরপ্রসিদ্ধ। হরিস্বারে কুম্ভমেলার গঙ্গাস্নান উদ্দেশে নানা দেশ হইতে বহলোকের সমাগম হইয়া থাকে । এই মেলা উপলক্ষে শৈব নাগাদের সহিত বৈষ্ণবদিগের যুদ্ধে এক একবারে অসংখ্য লোক অকালে কালের করালগ্রাসে নিপতিত হইয়াছে। পারসিক ভাষায় লিখিত দাবিস্তান মামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, হরিদ্ধারে মুণ্ডিদের (বৈরাগীদের ) সহিত নাগাদের যুদ্ধে নাগ সন্ন্যাসীরা শত শত বৈরাগী নিধন করায় তাহারা প্রাণভয়ে মালা পরিত্যাগ করিয়া কর্ণযুগলে কুগুল ধারণ করে। উক্তগ্রন্থেই দেখা যায় যে, জলালি ও মদারি নামক দুই মুসলমান সম্প্রদায়ের সহিত সন্ন্যাসীদিগের যুদ্ধে শত শত মুসলমানের প্রাণবিনাশ হয় এবং তাঁহাদের পুত্ৰগণ শৈবধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করে । ১৭২৯ কি ৩০ শকে হরিদ্ধারে আর একটা যুদ্ধে শৈব সন্ন্যাসীরা অষ্টাদশ সহস্র বৈরাগীর প্রাণবধ করে। নাগা সন্ন্যাসীদিগের এতাদৃশ তেজস্বিত ও ঔদ্ধত্য দেখিয়া হিন্দুরাজারা ইহাদিগকে সেনাপদে নিযুক্ত করিতেন। জয়পুরে অস্তাপি নাগা-সৈন্ত বিদ্যমান আছে। , মাগার যে বিভূতি-পুঞ্জের পূজা করে, তাহাকে গোলা বলে। বিভিন্ন আখড়ায় বিভিন্নরূপ গোলা। নিরঞ্জনী আখড়ার _ - গোলা চক্রাকার ও নিৰ্ব্বাণী আখড়ার গোল চতুষ্কোণ । নিৰ্ব্বাণী ও নিরঞ্জনী আখড়ার নাগাই সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়। পশ্চিমোত্তর প্রদেশের কোন কোন স্থানে আটল-আখড়ার नां★ी दिछभांन पञांटझ् । ". নাগ, একপ্রকার স্বাধীন পাৰ্ব্বত্যজাতি। আসামের পূর্বাংশে নাগ পৰ্ব্বত ও তৎপার্শ্ববর্তী দেশই ইহাদের আবাসভূমি। । কাছাড়ের উত্তর হইতে ডিহিঙ্গ নদী পর্য্যস্ত নাগাজাতি দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাদের ‘নাগা’ নাম হইল কেন ? ইহাঙ্ক উত্তরে কেহ কেহ বলেন, বাঙ্গালা ‘দ্যাংটা’ অর্থাৎ উলঙ্গ এই শব্দ হইতে নাগা শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে। আবার কোন কোন পণ্ডিতের মত এই যে "নাগ" অর্থাৎ সর্প শব্দ হইতে ঐ অসভ্যজাতি নাগা নামে অভিহিত হয় । [ অঙ্গামীনাগা দেখ। ] নাগাজাতির মধ্যে নানা সম্প্রদায় আছে। তন্মধ্যে নিম্ন লিখিত পাচ প্রকার সম্প্রদায় ইংরাজাধিকৃত স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। যথা—অঙ্গামী, রেঙ্গম, কছা, লোটা এবং সেমা । সমুদায় নাগা সম্প্রদায়ই সেই এক লৌহিত্যজাতি হইতে উদ্ভূত এবং আদিম অবস্থায় প্রায় সমভাবে বাস করিত। কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে বিভিন্ন নাগা সম্প্রদায়ের ভাষার এত অধিক পার্থক্য হইয়াছে যে, একদিনের দূরবর্তী স্থানের নাগার পরম্পর পরস্পরের কথা বুঝিতে পারে না। নাগাজাতি সুন্দর না হইলেও দেখিতে তত কুৎসিত নয়। ইহাদের গায়ের রং তাম্রবর্ণ, নাসিক চেপ্ট) এবং গণ্ডদেশ ঈষৎ উচ্চ। ইহারা বিলক্ষণ বলবান ও সাহসী। যুদ্ধে ও শীকারে ইহাদিগের বিশেষ নিপুণতা দেখা যায়। ইহাদের প্রধান দোষ এই যে, পরস্পরের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ বিসম্বাদ হয়। নাগার। এমন নিষ্ঠুর যে স্ত্রী ও বালকগণের প্রাণসংহার করিতে কিঞ্চিষ্মাত্র কুষ্ঠিত হয় না। কেহ কোন অপকার করিলে তাহ যাবজ্জীবন মনে করিয়া রাখে, যখনই সুযোগ পায় প্রতিফল দিতে চেষ্টা করে। নাগারা পাহাড়ের উপর দোচালা ঘরে বাস করে। বাটীর চতুর্দিকে শত্রু-আক্রমণ-নিবারণ জন্য প্রাচীর, বেড়া এবং গড়খাই রাখে। ঘরগুলির দীর্ঘ ২০।২৫ হাত ও প্রস্থ ৯৷১০ হাত। পাছে ঝড়ে উড়াইয়া দেয়, এই হেতু ছাঁচ এত নীচু করিয়া নিৰ্ম্মাণ করে যে, প্রায় মাটি স্পর্শ করে। এক একটা ঘরে হুইটর অধিক প্রকোষ্ঠ নাই। এক ঘরের মধ্যেই গোরু, ছাগল, ভেড়া, শূকর, মুর্গ প্রভৃতি গৃহপালিত পশু ও নিজের বাস করে ; এমন কি সময় সময় উহার মধ্যে বড় বড় বাশের ডোলে করিয়া শস্যাদিও রাখে । ইহারা রঙ্কি অথৰা দকাচাং বলিয়া এক প্রকার বড় বড় ঘর নির্মাণ করে । ইহা