পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা ফঞ্জনবিশ [ १&8 ] নানপুরকোলি, ত্রিহুত জেলার মজঃফরপুর হইতে পুপরি পর্যন্ত যে সদর রাস্ত গিছে, সেই রাস্তার উপরস্থিত একটা গ্রাম। মজঃফরপুর হইতে ৩২ মাইল দূরে অবস্থিত। এই স্থানে জমিদার রুদ্রপ্রসাদের আবাসবাটী ছিল । নানভট, একজন সংস্কৃত কবি। তাছার পুত্রের নাম রঙ্গলাল, পৌত্র বালকৃষ্ণ, বালকৃষ্ণের পুত্র রঙ্গলাল বিক্রমোর্কশীটীকা প্রণয়ন করেন। নানা (অব্য ) ন-নাঞ, প্রত্যয়ঃ (বিনঞ ভ্যাং নানাঞে ন সহ। পী ৫৷২২৭ ) ১ অনেকার্থ। বহৰিধ, অনেক প্রকার। “বহীৰু চৈকজাতানাং নানান্ত্ৰীৰু নিবোধত।” ( মন্ত্র ৯/১৪৮ ) २ ॐष्ठग्नांर्ण । ७ विमांर्थ । “ন নানা শকুন রামাৎ বর্ষেণাধোহক্ষজোবরঃ।” ( মুগ্ধবোধ ) নানা, বালাজী রাও পেশবা হিন্দুস্থানে সাধারণতঃ এই নামে খ্যাত ছিলেন । নানা রাও, পুণা জেলার অন্তর্গত নানাঘাট পাহাড়ের উপরে কতিপয় পান্থশালা ও গুহ আছে। তথায় যাতায়াতের সুবিধার জন্ত মানারাও পাহাড় কাটিয়া সিঁড়ি প্রস্তুত করিয়া দেন। নানা, ১ পুণার মধ্যে একট পাৰ্ব্বতীয় পথ। দক্ষিণাত্য হইতে কোঙ্কণ যাইতে হইলে সাধারণতঃ এই পথ দিয়া যাইতে হয় । এই পথের নিকটে ‘নানার আংঠা’ নামক একটা ক্ষুদ্র পাহাড় আছে । বণিকেরা নানাপ্রকার বাণিজ্য দ্রব্যাদি গোযানে করিয়া এই পথে যাতায়াত করিয়া থাকে। ২ এক প্রকার বৃক্ষ । এই গাছ অতিশয় সোজা ও লম্বা হইয়া থাকে। ইহাতে অতি মূল্যবান তক্ত প্রস্তুত হয়। ৩ ‘পুণ’ ( ১৮৮৪ খৃঃ অব্দে ) অষ্টাদশ ভাগে বিভক্ত হয়। ইহার মধ্যে একটা ভাগের নাম ‘নানা’। ‘নানা অথবা ‘হনুমান’ খণ্ডের দৈর্ঘ্য ১০৪• গজ এবং প্রস্থ ৫০০ গজ । ইহার লোকংখ্যা প্রায় ছয়হাজার। এই স্থানটী অতিশয় উন্নতিশীল। দিন দিন নুতন নুতন অট্টালিকা নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করিতেছে। এখানকার প্রধান স্রষ্টবা—পারসিকদিগের অগ্ন্যাগার, ঘোড়পড়ের প্রাসাদ, বিঠোবার মন্দির এবং রোমান কাথলিকদের একটা গিরজ। নানা ফভূনবিশ, মহারাষ্ট্রের জনৈক প্রসিদ্ধ রাজনীতিজ্ঞ । ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে তিনি পুণার পেশব মাধব রাঙর কারকুন নিযুক্ত হন । এই সময়ে মান ফন্ডুবিশের নাম ছিল বালাষ্ট্ৰী জনাৰ্দ্দন তাঙ্কু। ১৭৪৩ খৃষ্টাকে তাহাকে ষড়নবিশ পদ দেওয়া হয়। ১৭৭৪ খৃঃ মগজুইতে ১৮০০ খৃঃ অঙ্গ পৰ্য্যস্ত নানা ফঞ্জনবিশ পুণার মন্ত্রিপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই সময় পুণাতে বিখ্যাত আটসন রাজনীতিবিশারদের নাম শুনা যায়। তন্মধ্যে | মানা ফলবিশ ও হরিপন্থ ফাকের নাম । প্রসিদ্ধ । রঘুনাথরাও যখন স্থায়দরাবাদের নিজাম অদিকগতিরোধের চেষ্টা করেন, তখন নানা ফল্গুনৰিশ ও অন্যান্ত মন্ত্রিগণ রঘুনাথরাওর পক্ষ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । এই সময়ে নুরায়ণ রাওর বিধবা স্ত্রী গঙ্গাবাই গর্তাবস্থায় ছিলেন। নানাফড়নবিশ, ও হরিপন্থ ফন্ড্রকে তাহাকে লইয়া পুণা হইতে পুরঙ্গয়ে গমন করিলেন। তাছাদের অভিপ্রায় ছিল, উক্ত রাণীর গর্তে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করিলে পুণার রাজা হইবে। প্রবাদ আছে যে,T গঙ্গাবায়ের সঙ্গে আরও কএকটী গর্ভবতী স্ত্রীলোক ছিল । রাণীর গর্ভ নষ্ট হইলে তাঁহাদের সন্তান রাণীর গর্ভজাত পুত্র বলিয়া পরিচয় দেওয়াই ইহার উদ্দেশু। এই সময় পুণায় ব্রাহ্মণ অমাত্যগণের বিশেষ আধিপত্য ছিল। রঘুনাথ রাও এই ব্রাহ্মণগণের অতি অপ্রিয় হইয়াছিলেন । ১৭৭৫ খৃঃ অব্দে, ইংরাজ গবর্মেন্ট কর্ণেল আপটনকে (Colonel Upton) বোম্বাই গবর্মেন্ট ও মহারাষ্ট্র অমাত্যগণের মধ্যে সন্ধিস্থাপনের নিমিত্ত প্রেরণ করেন। ১৭৭৬ খৃঃ অব্দে পুরন্দরে সন্ধি হয়। ১৭৭৮ খৃঃ অব্দে পুনরায় পুণাস্থ মন্ত্রীদিগের মধ্যে পরম্পর বিবাদ উপস্থিত হয়। নানা ফৰ্ডনবিশের জ্ঞাতিভ্রাতা মোরোবা ফভূনবিশ বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিতে লাগিলেন দেখিয়া, নানা ফৰ্ডনবিশের ঈর্ষা প্রবল হইয়া উঠিল । তিনি র্তাহার ক্ষমতা খৰ্ব্ব করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু রঘুনাথ রাওর পক্ষীয়ের মোরোবার পক্ষ সমর্থন করিতে লাগিল। গঙ্গাবায়ের মৃত্যুর পর সখারাম নানা ফৰ্ডনবিশের প্রতি সন্দিহান হইয়া পুনরায় রঘুনাথ রাওকে শাসনকর্তা করিবার প্রস্তাব সমর্থন করিতে লাগিলেন। ইংরাজ গবমেন্টের প্রতি নানা ফভূনবিশের অতি বিদ্বেষ ছিল। এই নিমিত্তই ফরাসীদিগের সহিত র্তাহার সম্ভাব হইয়াছিল। মোরোবাকে ধৃত করিবার জন্য নানা যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহার সে চেষ্টা সফল হয় নাই । অবশেষে মুচতুর ফভূনবিশ সখায়াম বাপু দ্বারা মোরোবাকে র্তাহার দলভুক্ত করিয়া লইলেন। এই সময়ে ফরাসীসূত সেন্ট লুবি (St. Lubin) পুণার রাজদরবারে বাস করিতেছিলেন। ইংরাজ গবর্মেন্ট তাহার অবস্থিতি সম্বন্ধে আপত্তি করিলে, নানা তাহাকে বিদায় দিলেন। কিন্তু সেন্ট লুবিকে বলিয়া দিলেন যে, যদি তিনি একদল ফরাসী সৈন্ত লইয়া আসিতে পারেন, তাহ হইলে মহারাষ্ট্রগণ র্তাহাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত আছেন। অপরদিকে ইংরাজ গৰমেন্ট ‘মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়া সৈতে লইয়া ধাইস্তে চাহিলে, তাহাদিগকে নিৰ্ব্বিঙ্গে গমনের পল্পগুরানী.প্রদান করিলেন বটে, কিন্তু তাঁহ