পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমানধৰ্ম্ম [ মৃত্যুক্রোড়শারী প্রত্যেক রোগীকে মৃত্যুর চারি পাচ দিন পূৰ্ব্বে বলিক ৰ বসিউৎনাম (মৃত্যুকালীন ইচ্ছাপূৰ্ব্বক দানপত্র },লিখির উপযুক্ত উত্তরাধিকারী স্থির করিতে হয়। মৃত্যুকাল উপস্থিত হইলে একজন কোরাণঞ্জকে আনিয়া মুরাএ-যাসিন গুনান হয়। ঐ সময়ে কলমা-এ-তয়িব ও কলমএ-শহাদং পাঠ করা হইয়া থাকে। মৃত্যুশ্বাস উপস্থিত হইলে সয়বং দিয়া প্রাণবায়ু-বহির্গমনের সুবিধা করা হয় । মরিয়া গেলে, শবের মুখ বুজাইয়া দেয় এবং পদদ্বয় একত্র করিয়া বাধে। মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই দেহ কবরস্থ করা নিয়ম ; কিন্তু আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি সংগ্ৰহ করিতে বিলম্ব থাকিলে ‘বাসী-মড়া’ হ’হলেও দোষ হয় না । কবরে পুতিবার পূৰ্ব্বে শবদেহ স্নান করান হয়। ঐ সময়ে গোসল মুর্গ-শো আসিয়া স্মৃত্তিক খননপুৰ্ব্বক তন্মধ্যে জল ঢালিয়। শবদেহ পূৰ্ব্বশিয়রে শোয়াইয়া দেয় । পুরুষ হইলে, নাভিমূল হইতে জামু পৰ্য্যন্ত এবং রমণী হইলে বক্ষ হইতে পদতল পৰ্য্যস্ত শ্বেতবস্ত্র দ্বার। আচ্ছাদিত রাখা হয় । অতঃপর ঈষদুষ্ণ বা শীতল জলে গামোছা দিয়া শবের সব্বাঙ্গ রগড়াইয়া ধুইয়৷ দেয় । নাসারন্ধ, ও মুখবিবরে ভিজা কাপড় বুলাইয়া ময়লা পুছিয়া দেওয়া হইয়া থাকে। তংপরে বজু সমাপন করিয়া অর্থাৎ মুখ, হাত, (কছুই পৰ্য্যস্ত পা ও মাথা ধোয়াইয়া) কপুর ও কুলপত্রমিশ্রিত জলে পুনরায় শবের গাত্র ধৌত করা হয়। যতবার জলে ধৌত করা হয়, ততবারই ঐ সময় কলসী এ भश९--*ङ१-श्र्-4न1यम्। লা-ইল-লাহা ইল্লাহে লাছা বহু দছ ল৷ শরিক লহু বে। উশ, হদে৷ অক্সা মহম্মদন আবদছ লে রমুল্লহ”—পাঠ করা হয় । গোসলকার্য্য সমাহিত হইলে, গা মুছাইয়া কফ ফন বা নুতন শ্বেত বস্ত্র পরান হইয়া থাকে। পুরুষের লুঙ্গা বা হজের, আলফা, পিয়ান বা কুপ্ত (ছছ গলদেশ হইতে প্রায় পাদসন্ধি পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত) এবং লঙ্কাক বা আবরণবস্ত্র এবং রমণী হৰ্চলে fপনাবন্ধ বা বগ বাস এবং দাম্নী বা শিরোবন্ধনী নামক ছইট অতিরিক্ত বাস থাকে। অতঃপর মৃতের চগে কাজল, অজুরী ও পয়সা দিয়া পুল লাগান হয় এবং কপাল, নাসিক1, হস্ততালু, পদতল ও হাঁটু প্রভৃতি স্থানে কপূর স্পর্শ করাইয়। সমাধিস্থানে আনা হয়। আনিবার সময় শববাহিগণ কলমী পাঠ করিতে থাকে। সমাধিস্থানেী কবর খোড়া হয়, পুরুষের হইলে তাহা কোমক্ষ পৰ্য্যন্ত এবং রমণীর পক্ষে বক্ষ পর্য্যন্ত । ঐ স্থানের নিমিত্ত স্বত ব্যক্তিকে মূল্য দিতে হয়। শিরা ও স্বয়া সম্প্রজান্ধের খনন পরম্পন্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। মুন্নীগণ উপরোক্ত শিরা २१¢ ] মুসলমানধৰ্ম্ম প্রণালীর ঠিক বিপরীত গৰ্ত্ত খনন করে, ও স্ত্রীলোকের জন্ম গর্তের মধ্যভাগ গভীর খাতযুক্ত করে। বাঙ্গালার নিয়শ্রেণীস্থ মুসলমানের মধ্যে সমাধির উপর মাটির ঢিপি তুলিয়া সমাধিস্তম্ভ করা হয়। অপেক্ষাকৃত ধনবানগণ প্রস্তরখোদিত করির কবরের উপর গ্রথিত করে। নবাব ও বাদশাহগণ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ कवृक्लब गगाविभगिन्न স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। আগ্রার তাজমহল তাহার উজ্জ্বল নিদর্শন। সমাধির উপর ইষ্টকাদি দ্বার স্তন্তু নিৰ্ম্মাণ বা নামান্ধনাদি মুসলমান-শাস্ত্রনিষিদ্ধ, কিন্তু অধুনা কেহই এ নিয়ম পালন করেন না । মুসলমানমাত্রেরই শবামুগমন কৰ্ত্তব্য। মিস্কং উল-মন্মবিহু নামক গ্রন্থে লিখিত আছে যে, মুসলমান, য়িহদী অথবা যে কোন ধৰ্ম্মাবলম্বীই হউক, অশক্ত হইলে অন্ততঃপক্ষে ৪০ পাদ পৰ্য্যস্ত পদব্রজে শবের অমুগমন করিতে ক্রট করিবে না। মুসলমান শাস্ত্রে নিম্নলিখিত ৫টা ‘ফজ কফাইয়া” মুসলমান সাধারণের কৰ্ত্তব্য বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে,-১ নমস্কারের প্রতিনমস্কার । পীড়িতকে দর্শন ও তাছার মঙ্গলপ্রার্থনা । ৩ পদত্ৰজে সমাধিস্থান পৰ্য্যন্ত শবাসুগমন । ৪ নিমন্ত্রণ গ্রহণ । এ ছাচির পর কেহ ‘অলহম্মদ-ও-লিল্লাহ ? বলিলে তৎক্ষণাৎ ‘যবৃ-হমক্‌-আল্লাহ, বলিয় তাহার প্রত্যুত্তর-দান। আমাদের দেশেও হাচির পর ‘জীব এবং প্রত্যুত্তরে "য়া সহ বলবার (2५| अ८िछ् । - সমাধির পর তৃতীয় দিন তীজ, জীয়ারাৎ বা ফুল-চড়ান। নামে কথিত। ঐ দিন প্রেতাত্মার উদ্দেশে যুতের আত্মায়ের নানারকম ফল, চিড়া, পাণমপারা প্রভৃতি লইয়া মোল্লার সঙ্গে সমাধিস্থানে যায় এবং প্রেতাত্মার মুক্তি কামনায় এক দুই বা তিনবার কোরাণ পাঠ করায় । কখন বা ৫০ হইতে ১• • মোল্লা বসিয়া প্রেতাত্মার মঙ্গল কামনা করে । তৎপরে সমাধির উপর রঙ্গ করা কাপড় বিছাইয়৷ তদুপরে ফুল ছড়াইয়া অথবা ফুলের মালার চাদর ঢাকিয় দেয়। ইহার পর ফতিহা পাঠ করিয়া সকলে গৃহে প্রত্যাগত হয় । মহম্মদীয় স্মৃতিতে এই ক্রিয়ার কোন বিধান না, উহা কেবল ভারতীয় হিন্দুদিগের অনুকরণ দেশাচারমাত্র । এইরূপ ১• দিনে দশপিও, ২০ দিনে পিষ্ট কপিগু ও ৩• দিনে ফতিহা ও ভোজ্য দান এবং ৪•শ দিন শ্রাদ্ধাচার অমুষ্ঠিত হয়। ৪• দিনের কার্য্যারস্ত হুইবার পুৰ্ব্বে, অর্থাৎ ৩৯ তারিখের দিবাভাগে তাহার ১০ম দিনের স্থায় পোলাও প্রভূতি রণধিয়া সেই প্লেতাত্মকে উৎসর্গ করে, পরে ঐ দিম সন্ধ্য হইতে নানাভক্ষ্য ভোজ্য গ্রস্তুত করির একখানি পাত্রে এবং অর্গঙ্গা, গুল্ম।