পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনা [ سانo ] মেঘনা ঐছট্টের বয়া বা সুরমা-সঙ্গম পৰ্য্যস্ত প্রাচীন ব্ৰহ্মপুত্রের থাত স্থানবিশেষে মেঘনা নামে অভিহিত। কোন কোন মানচিত্রে ময়মনসিংহ জেলা প্রবাহিত ও ভৈরববাজারের সন্নিকটে ব্ৰহ্মপুত্রে সংমিলিত একটী ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনীকে আদি-মেঘন বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে । বর্তমানকালে পদ্ম ও যমুন ( ব্রহ্মপুত্র ) গোয়ালপো আসিয়া সংমিলিত কষ্টয়। চাদপুরের অপর পাশ্বে মেঘনার মোহনায় আসিয়া পতিত হইয়াছে। উপরোক্ত দুইট বৃহদাকার নদ ও নর্দার জলরাশি উদরে ধারণ করিয়৷ মেঘনার গর্ভ স্ফীত হইয়াছে এবং সময় সময় সেই আধ্যাত উদরের উদগার স্বরূপ বদ্যা অtসিয়া উভয় তীরবাসিগণকে উত্ত্যক্ত করে, সময় সময় উভয়কুল ভাসাইরা নিকটবর্তী স্থানবাসী জনসাধারণ ও পালিত পশুপক্ষী প্রভূতি জীবদিগকে স্বীয় অতল গর্ভে নিমজ্জিত यब्रिट्न' णं ब्र । - ইছায় বিস্তীর্ণ জলরাশি দক্ষিণপুৰ্ব্ব বঙ্গকে দুইভাগে বিভক্ত করিয়াছে। দক্ষিণ বা পশ্চিমকুলে উত্তর হইতে দক্ষিণাভিমুখে ষয়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর ও বাখরগঞ্জ এবং বাম বা পুৰ্ব্বকুলে যখাক্রমে ত্রিপুর ও নোৱাখালি জেলা দৃষ্টিগোচর হয়। জলপ্রবাহ প্রবল হওয়ায়, ইছার উীর নির্দেশ অসম্ভব । আজ ধে তীর দিয়া নদীজল প্রবাহিত হইতেছে, ১০ দিন পরে সেই তারের ধস ভাঙ্গিয়া গ্রামসমূহ নদীগর্ভে ডুবাইদা লইয়াছে। দক্ষিণ শাহবাজপুর, হাতিয়া ও শনদ্বীপ নামক তিনট সুবৃহৎ ‘ব’ ধাপকে বেষ্টন করিয়া মেঘনা চারিট বিভিন্ন শাখায় বঙ্গোপসাগরে অtসিয়া মিলিত হইয়াছে। মেঘনার 'জেtয়ার ভাটার’ স্রোত প্রবল থাকায় নিত্যই ধস ভাঙ্গিয় যেমন এক ধারে দেশভাগ নষ্ট হইয়া যাইতেছে, ভদ্ধপ নদীগর্ডচালিত পলিরাশি সঞ্চয় দ্বার স্থানান্তরে দেশের উৎপত্তি হইতেছে । সমুদ্রজলের প্রবল তাড়নে এবং বিভিন্ন নদী-জলের বিপরীত স্রোভোগতিতে প্রতিহত ছহয়। মেঘনার জলরাশিপ্রবাহিত পলিস্তর সমুদ্রমুখে সঞ্চিত হইয়। স্থানে স্থানে মুদীর্ঘ চরের উৎপত্তি করিয়াছে, উহাই ক্রমে ফলবুক্ষসম্বলিত খণ্ড খণ্ড দ্বীপা কারে পরিণত হইয়া সমুদ্রগভ হইতে উথিত হইতেছে। এইরূপে বিগত ৪৩ বৎসরের মধ্যে নোয়াখালি জেল সমুদ্রাভিমুখে ৫।৬ মাছলের অধিক অগ্রসর হইয় পড়িয়াছে। স্থানবিশেষে ধস ভাঙ্গির গাছের গুড়ি প্রভৃতি নদীগর্ভে এরূপে দৃঢ়ভাবে আটুকাইয় পড়ে যে, ভাটার সময় সেই স্থাম দিল্প নেীক চালান বড়ই কষ্টকর হয় । কারণ ভারবাহী cमोको श्रावाङ अधाक्ष श्हेप्ण उणप्र्मक्ष दिनँौर्न श्हेब्र। निमक्किङ হওয়া সম্ভবপর। এতদ্ভিন্ন নদীগর্ভস্থ চোরাবালুও বিশেষ छब्रांदए । জোয়ার ভাটার সঙ্গে নদীর বাণ দেখিবার জিনিষ। অমাবস্ত ও পূর্ণিমার কোটালে এবং অপরাপর দিন জোয়ারের সময় জল প্রায় ১০ হইতে ১৮ ফিট পর্য্যস্ত উচ্চ হয় । বাণ ডাকিবার পূৰ্ব্বে মেঘের ডাকের ন্যায় জলের গর্জন শ্রত হওয়া যায়। উহার অব্যবহিত পরেই তুলারাশির ন্যায় মুবৃহৎ বাণের ঢেউ ( bore ) দ্রুত গতিতে অগ্রসর কইতে থাকে। এই বন্য। মাঝি-মাল্লাদিগের বিযম ভয়ের কারণ। ১•ই ও ১১ই চৈত্র স্বৰ্য্যদেব যখন বিষুবরেখায় পদার্পণ করেন, এই দুই দিন বহার ঢেউ অধিক বদ্ধিত হইতে দেখা যায় । ঐ সময়ের এবং দক্ষিণবায়ু প্রবলবেগে বহিলে কএকদিন পরেও জলপথে বাণিজ্য বন্ধ থাকে । বন্যার ঢেউ যেন ২• ফিট উচ্চ তুলারাশি লইয়া ঘণ্টায় ১৫ মাইল হিসাবে অগ্রসর হইতে থাকে। ঐ সময়ে যাহা কিছু সম্মুখে পড়ে, তাহাই বিপৰ্য্যস্ত, ধ্বস্ত ও নদীগর্ভে নিমজ্জিত হয়। কএক মিনিট পরে নদীজল সমতল হইয়া পুনরায় পুৰ্ব্বভাব ধারণ করে । কাণেকাণ নদী তৎপরে ক্রমশঃ পুৰ্ব্ববৎ জোয়ার ভাটায় খেল। করিতে থাকে । সাইক্লোন নামক প্রবল ঝটিকাপাতের সঙ্গে সঙ্গে এবং মে ও অক্টোবর মাসে মস্থমবায়ু পরিবর্তন সময়ে এই নদীগর্ভে বৃহদাকার ঢেউ (Storu-waves) সমুখিত হইতে দেখা যায়। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের মে মাসের ঝড়ে ৪০ ফিটু উচ্চ ঢেউ উঠিয়৷ সমগ্র হাতিয়া দ্বীপ নিমজ্জিত করিয়া দিয়াছিল। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দের ৩১শে অক্টোবরের ভাষণ ঝটিকায় ঐক্লপ অার একট, বিপৎপাত ঘটে । সন্ধ্যার সময় ঝড় উঠে, মধ্যরাত্র হইতে, স্থান বিশেষে প্রাতঃকাল পয্যন্ত বস্তার গজ্জন শ্রত হইতে থাকে । ঐশন্ধে ঝটিকার শনশন পঙ্ককে স্তম্ভিত করিয়াছিল। উপর্যপরি ঐরূপ তিনটী ঢেউ উঠিয় নিমেষ মধ্যে সমগ্র দেশকে বল্লাপ্লাবিত করিয়া দেয় । অসতর্ক দেশবাসী সেহ গর্ভার রাত্রে ঝটিকাতাড়িত হুইয়। অগুত্র আশ্রয় লাভ করিতে সমর্থ হয় নাই । বস্তার জল নিশীথে সবেগে প্রবাহিত হইয়া সম্মুখে যাহ পাইয়াছিল, মড়মড় শৰে তাহহে ভাঙ্গিয়া লহয়৷ গিয়াছিল । সেই ভীষণ রাত্রিতে একমাত্র নোয়াখালি জেলার মূল দেশভাগ ছাতিয়া ও শনদ্বীপ হইতে গবাদি ব্যতীত লক্ষাধিক লোক জলগ্নর্ভে সমাধিলাভ করিয়াছিল। ইছার পর, জলপ্লাবনহেতু স্থানীয় স্বাস্থ্যের অপলাপ এবং শস্তাদি খাস্তফ্রব্যের অভাৰে অনেকে বিস্থfচক প্রভৃতি রোগে আক্রাঙ্ক হইয় প্রাম তত্তোধিক লোক মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল।