পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्न्न [ ১৪৯ ] গঙ্গী ७मैन कर्णन अडौडे माहे याश शत्रात्रात्न भू न श्य । শৌচ, আচম্বন, দেক, নির্মাল্য, মলঘর্ষণ, গাত্রমর্দন, ক্রীড়া, দানগ্রহণ, অভক্তি, অন্যতীর্থের ভক্তি বা প্রশংসা, বিষ্ঠ, মূত্রপরিত্যাগ ও সন্তয়ণ এই ১৩টা কাৰ্য্য গঙ্গায় করিতে নিযিদ্ধ । কোন পুরাণের মতে বৈশাখমাসের তৃতীয় তিথিতে ব্ৰহ্মলোক হইতে হিমালয়ে গঙ্গার অবতরণ হয়। ব্ৰহ্মপুরাণের মতে জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লপক্ষের দশমীতিথিতে মঙ্গলবারে গঙ্গ হিমালয় হইতে ভূমিতে পতিত হয়। [ ভীষ্ম ও স্নান প্রভৃতি শব্দেবিশেয দ্রষ্টব্য । ] পৌরাণিক মতে বিষ্ণু, গঙ্গা ও গ্রাম্যদেবতা প্রভৃতির একটা স্থিতিকাল নিরূপিত হইয়াছে, অস্তিক হিন্দুগণের বিশ্বাস সেই নির্দিষ্ট সময় অতীত হইলেই বিষ্ণু, গঙ্গা প্রভৃতি ধরাতল পরিত্যাগ করিয়া দেবলোকে চলিয়া যাইবেন, লোকের কুর্দশায় একশেয হইবে । দেবীভাগবতের মতে, কলির পাচহাজার বৎসর অতীত হইলে গঙ্গা, সরস্বতী ও পদ্মাবতীর শাপমোচন হইবে, ইহার নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া বিষ্ণুলোকে চলিয়া বাইবেন । ইহা ছাড়া বিষ্ণুর আয়ও একটী অনুমতি আছে যে, ইহারা বিষ্ণুলোকে যাইবার সময় কাশী ও বৃন্দাবন ভিন্ন অপর সকল তীর্থও লইয়া বাইবেন (১) ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণের মৃতে সরস্বতীর শাপে গঙ্গায় বৈকুণ্ঠ পরিত্যাগ করিয়া ভারতে আসা নিশ্চয় হইলে তিনি কাদিয়া আকুল হইয়া বৈকুণ্ঠপতিকে শাপমোচনের কাল নির্ণয় করিতে অনুরোধ করেন । বিষ্ণু তাহাকে অতিশয় কাতরা দেখিয়া বলিলেন, “অদ্য প্রভৃতি দেবেশি ! কলেঃ পঞ্চসহঅকম্। “বৰ্ষং স্থিভিস্তে ভারত্যাঃ শাপেন ভারতে ভুবি।” দেবেশি ! আজি হইতে কলির পচহাজার বৎসর পর্য্যন্ত সরস্বতীর শাপে মর্ত্যলোকে ভারতবর্ষে তোমার অবস্থিতি হইবে, তাহার পরেই আবার আমার নিকট | আসিতে পারিবে।” এই প্রকারে অপর অপর পুরাণেও গঙ্গার স্থিতি সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে। ইহাতে | আপাততঃ বোধ হয় যে বর্তমান কলির পাচহাজার বৎসর পর্য্যন্তই গঙ্গায় স্থিতি, তাহার পয়ে আর গঙ্গা থাকিবে না। বরাহপুয়াণে লিখিত আছে বে “পৃথিবী গঙ্গয়া হীন। ভবিষ্যত্যস্তিমে কলেী।” ( ১ ) "কলে; পঞ্চসহস্রঞ্চ বৰ্ষং স্থিত্ব চ ভারতে । ভগ গুচ্চ সক্রিপং ৰিহায় ইংরে: পদম্ " ৯৮১• “ৰাখি সৰ্ব্বাণ তীর্থনি কাণীং বৃদখলং বিনা। স্বাতৰি মাৰ্দ্ধং জাতিক বৈকুণ্ঠমালয় হরে r দেবীভাগৰত ৯,৮২৯। у سیاری অস্তিম কলি অর্থাৎ প্রলয়ের পূর্ব কলিতে পৃথিবীতে গঙ্গা থাকিবে না। আধুনিক ধৰ্ম্মমীমাংসক হিন্দু পণ্ডিতগণ বরাহপুরাণের বচনের সহিত অপর পুরাণের বচনের একযাক্যতা করিয়া অস্তিম কলিতে গঙ্গা চলিয়া যাইবে, বর্তমান কলিতে নহে, এইরূপ মীমাংসা করেন। দার্শনিকেরাও বলেন যে, প্রলয়ের পুৰ্ব্বে ভয়ানক একটা স্বৰ্য্য উঠবে, তাহার তেজে পৃথিবীর সমস্ত জল শুকাইয়। যাইবে, পৃথিবীতে নদ নদী কিছুই থাকিযে না। বঙ্গের অতি প্রাচীন কবি কৃত্তিবাস পণ্ডিত নান পুয়াণ ও উপপুরাণাদির মত সঙ্কলন কল্পিয়া গঙ্গার বিবয়ে এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন—দিলীপননান ভগীরথ মায়ের মুখে পুৰ্ব্বপুরুষগণের দুৰ্গতি শুনিয়া গঙ্গাকে ভূতলে আনিতে চেষ্টা করেন। ভগীরথ সৰ্ব্বপ্রথম ইন্দ্রের আয়াধন করেন । ষাইট হাজার বৎসর পরে ইন্দ্র ৰ্তাহীর প্রতি সন্তুষ্ট হন। ভগীরথকে বর দিতে উপস্থিত হইলে ভগীরথ আপনার অভিপ্রায় জানাইলেন। সহস্ৰলোচন তাহাকে মহাদেবের আরাধনা করিতে উপদেশ দেন। তণীরথ ইন্দ্রের উপদেশে কৈলাসপৰ্ব্বতে যাইয়া মহাদেবের উপাসন করেন। দশহাজার বৎসর পরে শিব সন্তুষ্ট হইয়া ভগীরথকে বলিলেন, “বৎস ভগীরথ ! আমা দ্বারা একাৰ্য্য হইবে না, আমার বরে তুমি গঙ্গাকে আনিতে পরিবে, গোলোকপতি বিষ্ণুর উপাসনা কর।” ভগীরথ শিবের আদেশে গোলোকে যাইয়া তপস্তা করিতে লাগিলেন, এখানে ভগীরথকে তার অধিক কষ্ট পাইতে হইল না, চল্লিশ বৎসর তপস্তার পরেই বিষ্ণুকে দেখিতে পাইলেন। বিষ্ণু বর দিতে উপস্থিত হইলে ভগীরথ আপনার অভিপ্রায় জানাইলেন । বিষ্ণু বলিলেন, "বৎস! গঙ্গা ব্ৰহ্মলোকে, আমি তাহার মহিমা জানি না ।” ভগীরথ এইবার নিরাশ হইয়া কাদিয়া ফেলিলেন, তাহাতে বিষ্ণুর হৃদয় গলিয়া গেল। তিনি তগীরথকে লইয়৷ ব্ৰহ্মলোকে গমন করিলেন । ব্ৰহ্মলোকে যাইবার পূৰ্ব্বেই মায়া করিয়া ব্ৰহ্মলোকের সমস্ত জল হরণ করিলেন । ব্রহ্মলোকের নদ নদী এমন কি জলের কলসীটী পৰ্য্যস্ত ও জলশূন্ত হইল। বিষ্ণু ব্ৰহ্মলোকে উপস্থিত হইলে ব্রহ্মা তাহাকে পাদ্য দিতে জল আনিতে গেলেন, কিন্তু কোথাও জল পাইলেন না । কমলযোনি লজ্জায় অধোবদন হইয়। ভাবিতে লাগিলেন, শেষে কমণ্ডলু মধ্যে গঙ্গা আছে মনে পড়িল, ব্ৰহ্মা সেই গঙ্গাজলে বিষ্ণুকে পূজা করিলেন। বিষ্ণু ভগীরথের হাতে একটা শঙ্খ দিয়া বলিলেন, “তুমি আগে আগে শঙ্খ বাজাইয়া চলিয়া যাও, গঙ্গা তোমার অনুগমন করিবে।" ভগীরথের ছাটিয়া যাইতে কষ্ট হইবে, দেখিয়া