পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

하 : [ »१२ ] প্রবল বঙ্গয় গ্রাম নগর ভাসাইয়া লোকের সর্বনাশ করেন। রেল হইবার পূর্বে গঙ্গা দেশের বাণিজ্যের দ্রব্যাদি সমুদয় বহন করিত। রেল হইয়াও তাছা কিছু একেবারে বন্ধ হয় মাই। উত্তরপশ্চিমের পণ্যদ্রব্য এই গঙ্গা পথেই সমুদ্রে যাইত। এখনও চাউল, তিসি, সরিষা প্রভৃতি দ্রব্যাদি গঙ্গা বক্ষে আসিয়া রেলে রপ্তানি হয় । ইংয়াজদিগের আমলে গঙ্গা হইতে অনেকগুলি খাল বাহির করা হইয়াছে, উহাদিগকে গঙ্গার খাল (Ganges canal) কহে। গঙ্গার খাল প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত। উত্তর (Upper) ও নিম্ন (Lower)। গঙ্গা ও যমুনার মধ্যবর্তী প্রদেশকে দোয়াব ( অস্তর্বেদী) কহে । এই দোয়াবের পূৰ্ব্ববর্তী প্রদেশে উত্তর খাল । ১৮৩৭-৩৮ খৃষ্টাব্দে এই দোয়াবে ভয়ানক তুর্ভিক্ষ হয় । বিশেয ক্ষতি হয় । ভবিষ্যতে যাহাতে এরূপ ফুভিক্ষ না হয়, যাহাতে লোকে কৃষিকার্য্যের জন্য প্রচুর জল পাইতে পারে, তাহার উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে থালের কথা উঠে । শেষ ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে হরিদ্বারের নিকট হইতে খাল কাটা আরম্ভ হইল। ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে ৮ই এপ্রেল এই কাৰ্য্য সম্পূর্ণ হয়। হরিদ্বারের উত্তর গণেশঘাটে গঙ্গা হইতে বাহির হইয়। এই থাল শাহরামপুর, মজফরনগর দিয়া গমন করিয়া ফতেগড়ের নিকট একটী শাখা বাহির করিয়া তাহার পর পশ্চিমাভিমুখী হইয়া মিরাটে গিয়াছে। বেগমাবাদের নিকট দক্ষিণপূর্বাভিমুখে বুলদসহর ও আলিগড় হইয়া আকবরীবাদে আসিয়া দুইটী শাখায় বিভক্ত হইয়াছে । একটা এতাব ও অপরট কাণপুরে গিয়াছে। এই খালের দৈর্ঘ্য ২২২০ ক্রোশ । ইহাতে ২ কোট ৮৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা খরচ হইয়াছে। এই খাল সম্পূর্ণ হইলে ইঞ্জিনিয়ার কটলি সাহেবের সম্মানার্থ তোপ হই ছিল । নিয় বা দক্ষিণ গঙ্গার থালও উপরোক্ত থাটের বিস্তার মাত্র । তালিগড় জেলার গ্রান্তে অক্ষা- ২৭° ৪৭’ উঃ ও দ্রাঘিঃ ৭৮• ১৮ পূঃ রাজঘাট ষ্ট্যোন হইতে দুইক্রোশ অন্তরে এই থাল লাহির হইয়াছে। এই খাল নাদরাই নামক স্থানে কালীনদী ও ইটার পশ্চিম ঈশাস নামক স্থান দিয়া গোপালপুর, কানপুর, শাখা ও জের নামক স্থানে এতাব। শাখায় মিলিত হইয়াছে। তাছার পর শেখোয়াবাদ পার হইয়। দক্ষিণপূৰ্ব্বে ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলের সহিত সমান্তরালভাবে গিয়া কানপুর জেলার দক্ষিণে শিকঙ্গ ও ভগিনীপুর হইয়। यभूनांग्र °ष्ठिउ झहेग्नोग्नह । cवश्ष्ब्र cो५ ७ भन्नाङ्ग भएक्षा, रु७की थीण जोप्झ् । তাহাতে প্রজালোকেরও | श्रृंत्रतं কলিকাতা হইতে পূৰ্ব্বাভিমুখে একটা খাল গিয়াছে। এই সকল খাল হইতে বিশেষ উপকার হইয়াছে। যে যে স্থানে পূৰ্ব্বে জলাভাবে শস্ত জন্মিত না, খালের গুণে তাছাতে বেশ কৃষিকার্য্যের সুবিধা হইয়াছে। বৃষ্টি না হইলেও থালের জলে কৃষিকাৰ্য্য চলিতে থাকে । , গঙ্গার মাহাত্ম্য এই প্রকার ক্রমশই বাড়িয়াছে। এক গঙ্গা হইতে কত লোকের যে জীবনোপায় হইতেছে, তাহার সীমা নাই। জগতের কোন নদীর তীরে এত তীর্থ নাই। যেখানে আসিয়া গঙ্গা সাগরে মিলিত হন, তাহারই নাম গঙ্গাসাগরসঙ্গম। অতি প্রাচীনকাল হইতে এই সঙ্গম হিন্দুজাতির অতি পবিত্র তীর্থস্থান বলির প্রসিদ্ধ। (ভারত ৩৮৫ অঃ, হরিবংশ ১৬৮ অঃ ) কিন্তু পুৰ্ব্বকালে এই সাগরजश्रम ८ङ्ग१tश् छ्लि, उtश्! शशृंग्राहॆ cभtण । ङ्ठदिन्। পণ্ডিতেরা অনুমান করেন, একসময়ে সাগরের স্রোত রাজমহল অবধি প্রবাহিত হইত, এরূপস্থলে স্বীকার করিতে হয়, এখনকার প্রায় দেড়শত ক্রোশ উত্তরে সাগরসঙ্গম ছিল, ২৪ পরগণা, নদীয়া, যশোর, বদ্ধমান প্রভৃতি জেলা তখন নদী গর্ভে অবস্থিত ছিল । মহাভারতে তীর্থযাত্রাপধ্বাধ্যায়ে লিখিত আছে— “কৌশিকীর্তীর্থে (অর্থাৎ গঙ্গা ও কোশিনদীর সঙ্গমে ) রাজা যুধিষ্ঠির উপস্থিত হইয়া অনুক্রমে সমস্ত আয়তনে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। তাঁহারই পর পঞ্চশত নদীযুক্ত গঙ্গাসাগরসঙ্গম । সাগরের তীরে কলিঙ্গদেশ ।” (বনপৰ্ব্ব১১৩ অঃ) রঘুবংশে রঘুর দিগ্বিজয়বর্ণন পাঠ করিলে বোধ হয়, তৎকালে বঙ্গ দেশের পশ্চিমাংশে গঙ্গ। প্রবাহিত ছিল, এবং ইহর মধ্যে বড় বড় দ্বীপ ছিল । ( রঘু ৪৩৫-৩৬) সপ্তম শতাবে হিউএনপিয়াং কামরূপের প্রায় একশত ক্রোশ দক্ষিণে সমতট নামক স্থানে আগমন করেন। তাহার বর্ণনানুসারে এই স্থান বর্তমান ঢাকাজেলার উত্তরাংশ বলিয়া বোধ হয়। র্তাহীর বর্ণনায় এই সমতট সাগরের তীরে অবস্থিত । কাশ্মীরের রাজতরঙ্গিণী পাঠে জানা যায়—যে ললিতাদিত্য যথন গোঁড়ে আগমন করেন, তখন গৌড়ের পরই পুৰ্ব্ব সমুদ্র প্রবাহিত ছিল । (রাজতরঙ্গিণী ৫ম তরঙ্গ । ) উপরোক্ত প্রমাণ ও অনুমান দ্বার বোধ হয় সহস্রবর্ষ পূৰ্ব্বে বঙ্গের অধিকাংশ সমুদ্রশায়ী ছিল, সাগরসঙ্গমও অনেকটা উত্তরে ছিল। বঙ্গবাসীরা এখন যাহাকে গঙ্গা বলিয়া থাকেন, তাছারই প্রকৃত নাম তাগীরথী। ভৌগোলিকের মতে ইহ মূল গঙ্গা ময়, গঙ্গার একটা শাখামাত্র। গৌড়নগরের দক্ষিণে গঙ্গা