পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

總 , গয়াসউদ্দীন ( షిసి ) গয়াসৃউদ্দীনৃ প্রথমর গর্তে ১৭টা সস্তান হয়। দ্বিতীয়ার গর্ভে একমাত্র গয়াসউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজ অমায়িকতাগুণে ও বহুবিধ বিদ্যা শিক্ষা করিয়া অপর অপর ভ্রাতৃগণ অপেক্ষা অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছিলেন । সেকনারশাহ সে জন্য তাহাকে বড়ই ভালবাসিতেন। কিন্তু ইহাতে বিমাতার ক্রমশঃ হিংসা বাড়িতে লাগিল। তাছার প্রতি কিসে রাজার স্নেহ কমে, কিসে তাছার উপর মুলতানের বিষদৃষ্টি হয়, এজন্য নানা প্রকার উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। এক দিন সুলতানকে একাকী পাইয়। তাছার বিমাতা অতি নম্র ও বিনীতভাবে বলিতে লাগিলেন, “জাস্থাপনা । আমি আপনাকে কিছু বলিব সনে করিতেছি, কিন্তু সাহস হইতেছে না । বলিলে আপনার মনে কষ্ট হইবে, রাগ হইবে।” সুলতান উৎসুক হইয়া বলিলেন, “বল, আমি রাগ করিব না, তুমি বল।” রাণী বলিলেন, “অগ্রে শপথ করুন, কাহাকেও বলিবেন না ?” সুলতান তাছাই করিলেন । বেগম বলিতে লাগিলেন, “এখন আমার বড় বিপদ-আপনি যখন বলিতে আজ্ঞা দিয়াছেন, তখন আমার ইচ্ছা না থাকিলেও বলিতে হইবে। কথাটা এই, গরাসূউদ্দীন আমার সন্তানদিগকে বিনাশ করিবার জন্য চক্রান্ত করিতেছে। শুধু তাছাই নহে, আপনাকেও বিনাশ করিবার কথা বলিয়া থাকে । আমার মত আপনার মঙ্গল আর কেহই কামনা করে না । আমার বিবেচনায় তাহাকে হয় কারারুদ্ধ করুন, না হয় তাহার চক্ষু দুইটার তারা উৎপাটন করিয়া এরূপ চক্রান্ত করিতে অসমর্থ করিয়া দিন ।” সেকনারশাহ এই কথায় একেবারে ক্রুদ্ধ হইয়। বলিয়া উঠিলেন, “বিশ্বাসঘাতিনি, কুরমতি পাপিয়সি ! ঈশ্বর তোর গর্ভে এতগুলি সস্তান সন্ততি দিয়াছেন, তাহার এক্ষণে মানুষ হইয়া উঠিল, তজ্জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ না দিয়া তুই কি না সপত্নীর একমাত্র সন্তানকে বিনাশ করিতে উদ্যত হইয়াছিল। দূর হ, তোর কথা আর শুনিতে চাই ন।” সুলতান এ কথা গয়াসউদ্দীনকে বলেন নাই। কিন্তু গয়াস্ গতিক বুঝিতে পারিয়া শিকারযাত্রাচ্ছলে মুবর্ণগ্রামে পলায়ন করিয়া সৈন্যসংগ্রহপূর্বক রাজবিদ্রোহী হইয়া পাণ্ডুয়া অভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। গোয়ালপাড়ায় আসিলে সেকনার সসৈন্যে বিদ্রোহ নিবারণ করিতে তথার উপস্থিত হইলেন। যুদ্ধ আরম্ভ হইল । গয়াস্ সৈন্যদিগকে বলিয়া দেন বে, তাহার পিতার অঙ্গে যেন অস্ত্রাঘাত না হয়। কিন্তু যুদ্ধস্থলে আজ্ঞাপালন হয় নাই। निरुनग्न अश्ठि शहेब्रांtझ्न ७निग्न १ग्नान् यडविनडीन করিতে করিতে পিতৃসমক্ষে উপস্থিত হইয় তাহার মস্তক নিজ ক্রোড়ে তুলিয়া লইয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । তথন সেকনার বলিলেন, “আমার কার্য্য শেষ হইয়াছে । তুমি মুখে রাজ্য কর।” এই কথাটা বলিতে বলিতে প্রাণত্যাগ করিলেন। গয়াস্ ১৩৬৭ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করিয়া বিমাতার পুত্রদিগের চক্ষু উৎপাটনপূর্বক বিমাতার নিকট পাঠাইয় দেন। ইহা ব্যতীত তাহার নিষ্ঠুরতার আয় কোন প্রমাণ পাওয়া যার না । তিনি ৭ বৎসর সুবিচারে রাজ্যশাসন করিয়া ১৩৭৩ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । তাহার সুবিচারের একটী গল্প শুনা যায়। একদিন রাজা ধনুক লইয়া তীর ছুড়িতে ছিলেন। একটা তীর গিয়া এক বিধবার পুত্রের গায়ে লাগে। বিধবা কাজির নিকট রাজার নামে অভিযোগ করিল। কাজি রাজাকে বিচারলয়ে উপস্থিত হইতে বলেন। গয়াসউদ্দীন একখানি তরবারি পরিচ্ছদের মধ্যে লুকাইয়া লইয়া বিচারালয়ে উপস্থিত হইলেন। কাজি বলিলেন, “তুমি এই দুঃখিনী বিধবার পুত্রকে আঘাত করিয়াছ, অতএব হয় ইহাকে কোনরূপে সন্তুষ্ট কর, নতুবা বিচারমত দণ্ড গ্রহণ কর।” সুলতান সেলাম করিয়। ঐ বিধবাকে প্রচুর অর্থ দিলে সে তাহাকে ক্ষমা করিল ও কাজির নিকট সন্তোষ প্রকাশ করিল। কাজি তাহাকে বিদায় দিলে সুলতান তরবারি বাহির করিয়া বলিলেন, “যদি এই বিচারে তোমার অনুমাত্র পক্ষপাত দেখিতাম, তাহা হইলে এ অস্ত্রদ্বারা তোমার মস্তকচ্ছেদন করিতাম। আমার রাজ্যে এরূপ সুবিচার হয় বলিয়t আমি পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ প্রদান করি।” কাজি তাপন দণ্ডযষ্টি দেখাইয়া বলিলেন, “আপনি যদি অবাধ হইতেন, এই দগু আপনার শরীর পিশিয়া ফেলিত।” রাজা ইহাতে আরও সস্তুষ্ট হইয় তাহাকে পারিতোষিক প্রদান করিলেন। আর একটা গল্প আছে। গয়াস্ কিছু আমোদপ্রিয় ছিলেন। তাহার তিনট পুষ্পের নামে তিনট উপপত্নী ছিল। একবার তাহার সঙ্কটাপন্ন পীড়া হইলে বলিয়া রাখেন যে র্তাহার মৃত্যু হইলে এই তিনজনে তাহার দেছ স্নান করাইয়া দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে রোগমুক্ত হইয়া উঠিলেন। পূৰ্ব্বোক্ত তিন উপপত্নীর প্রতি বিশেষ প্রেম হওয়াতে অদ্যান্য উপপত্নীগণ হিংসা করিয়া তাহাদিগকে ‘গোশালী বলিয়া উপহাস করিত। সুলতান ইহা শুনিতে পাইয়া কিরূপে ঐ তিন জনকে বাড়াইবেন, তাহার চিন্তা করিতে লাগিলেন। শেষে তাহীদের নামে একট কবিতা রচনা করিলেন । কিন্তু উহায় প্রথম পাদ লিখিয়া শেষ পাদপূরণ করিতে পারিলেন না । শেষে পারস্তরাজ্যে