পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাজা [ با هری ] शैखाँ • থাকিলে আর একবার লাঙ্গল ও মই দিয়া তাল করিয়া श्रांश शिtऊ झ्झ । এক দিকে ক্ষেত্রটী বপনোপযোগী অপর দিকে বীজগুলি স্থানান্তরে অঙ্কুরিত হইতে থাকে। জমি প্রস্তুত হইলে ঐ বীজগুলি ক্ষেত্রে রোপণ করিতে হয়। বীজ তৈরার করিতে প্রায় দেড় মাস লাগে। তখন চারাগুলি ৮ অঙ্গুলি হইতে ২• অঙ্গুল পর্যন্ত বাড়িয়া উঠে। বীজের মধ্যে যেগুলি ছোট থাকে, সেগুলি না বাড়িলে রোপিত হয় না। অপেক্ষাকৃত ছোট চারাগুলি উচ্চ শুষ্ক ভূমিতে ও বড় চারাগুলি জার্ক্স নিম্নভূমিতে রোপিত হয়। ১•১২ অঙ্গুলি অন্তর এক একট গাছ রাখা হয়। আশ্বিন মাসের ৮১• দিনের মধ্যে এই বপন কাৰ্য্য না করিলে ভাল জন্মিতে পারে না । বপনের পর দুই তিন দিনের মধ্যে জল ন হইলেই ভাল । জল হইলে গোড়ী আল্লা হয়, গাছও শেষে মরিয়া যায়। ভাহা হইলে আবার নুতন বীজ আনিয়া বপন করিতে হয়। যে স্থানে বীজ প্রস্তুত হয়, তাহার পাট স্বতন্ত্র। দুই এক পগলা বৃষ্টির পর জ্যৈষ্ঠ মাস হইতে আরম্ভ করিয়া ভাদ্র মাস পর্য্যন্ত তাহাতে ৩৪ বার লাঙ্গল দেয়। পরে মই দিয়া জমি পরিষ্কার করিয়া খুব গুড় মাটি দিয়া রৌদ্রের সময় বীজ পুতিয়া ফেলে, তাহার উপর মই দিয়া, মাটি চাপ দেয় । বৃষ্টির জল বাহির হইবার জন্ত পাশ্বে নালি করিয়া দিতে হয়। এক কাঠা জমিতে প্রায় /৪৬ সের বীজ প্রস্তুত হয়। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে রোপিত হইতে পারে। ক্ষেত্রে বীজ রোপিত হইবার ৪ দিন পরেই তাহাতে অঙ্কুর গজায়। ৬৭ দিন পরে সেগুলি সবুজ বর্ণ পত্রাকার ধারণ করে। যে জমিতে মুথা জন্মে, তাহাতে বীজ তাল হয়। অঙ্কুরিত হইবার সময় বৃষ্টি পাইলে বীজ নষ্ট হইয়া যায়। ক্ষেত্রট খোলা স্থানে হওয়া আবশ্বক। তাহাতে ঘাস জন্মিলে উপকার বই অপকায় নাই। এক এক ক্ষেত্রে ৪৫ বৎসর বীজ প্রস্তুত হইতে পারে। রোগণক্ষেত্রের যেখানে যেখানে মৃত্তিকা উচ্চ রুরিয়া দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে অঙ্কুর রোপিত হয়। রোপণের ৩৪ সপ্তাহ পরে অশ্বিনের শেষ বা কীৰ্ত্তিকের প্রারম্ভে গাছের গোড়া ব্যতীত মুলির অপর অংশগুলি কাটিয়া দিতে হয়। তাহার পর গাছের গোড়ায় খইল বা খইলে গোবরে মিশাইয়া দেয়। পরে মুলি অর্থাৎ মাটি উচ্চ করিতে হয়। অগ্রহায়ণ মাসের প্রারম্ভে গাছের নিম্ন দিকের ২৩টা করিয়া ডাল फांत्रिद्रा अथवा काफ़ैिग्ना निष्ठ श्छ। देशंरक ८षांप्लां व। বিষপাতা তাঙ্গ বলে । এরূপ করিলে গাছের তেজ উৰ্দ্ধগামী হয়। তৎপরে সুলির মধ্যস্থিত নিম্নভূমি লাঙ্গল দিয়া কর্ষণ করিতে হয় । অগ্রহায়ণ মাসের ১•১২ই, কখন বা তাহার পূৰ্ব্বে গাজার পরীক্ষক আসে। তাছাকে পোদার বা পরস্থার বলে। পরর্থদারকে দুই তিন বার পরীক্ষা করিতে হয়। সে প্রত্যুষে হুর্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে পুষ্পগুলির পরীক্ষা করে। তাহায় যেগুলি মাদি বলিয়। ষোধ হয়, সেইগুলির বৃস্ত ভাঙ্গিয় দিয়া আসে। পরে কৃষক আলিয়৷ সেইগুলি উপাড়িয়া ফেলে। এইরূপ পরীক্ষা অগ্রহায়ণ মাসে তিনবার ও পৌষ মাসে একবার হইয়া থাকে। ইহাকে বাছাই করা বলে। তথাপি মাদি ( প্রকৃত মদl ) গাছ একেবারে নষ্ট হয় না। অনেক গাছ থাকিয়া যায়। বাছাই হইয়া গেলে কৃষকেরা নিজে গাছগুলি একবার দেখিয়া যায়। যেখানে যে যে পত্র হরিদ্রা বর্ণ হুইয়াছে, সেইগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া দেয়। এই সময় যেখানে গাছ ঘন থাকে, সেখান হইতে দুই একটা গাছ উঠাইয়া লইয়া যেখানে স্থান হইয়াছে, সেইখানে মাদিগাছ পুতিয়া দিতে হয়। রোপিত হইলে ভূমির অবস্থা দেখিয়া সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রহায়ণ মাসে একবার ও পৌষমাসে একবার এই দুইবার জল সিঞ্চন করিতে হয়। পরে পৌষমাসের শেষ অথবা মাঘমাসের প্রারস্তে গাছে ফুল ধরিতে আরম্ভ হয়। মাঘমাসের মাঝামাঝি ফুলগুলি পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। ফুল যত পরিপক্ক হইতে থাকে, তত কটা বর্ণ হয়। তাহদিগকে তখন খুচরা বা ভূয়া বলিয়া থাকে। পুংজাতীয় গাজার ফুলকে “ফুল” ষলে। মাঘমাসের শেষ বা ফাল্গুন মাসের প্রথমে গাজার গাছ কাটা হয়। গাজা দুই প্রকার । একপ্রকার চেপ্টা ও অপর প্রকার গোলাকার । চেপ্টা গাজা প্রস্তুত করিবার জন্য একটা ঘাসযুক্ত জমি পরিষ্কার করিতে হয়। তাহাকে চাতর বলে। বেলা ৯টার সময় গঙ্গার জটাগুলি কাটিয়া আনিতে হয়। অর্থাৎ দেখিতে হয় যেন প্রাতঃকালের শিশির না লাগে। যেগুলি বেশ পূর্ণতা লাভ করিয়াছে, সেইগুলি প্রথমতঃ কাটিয়া আনিয়া ঘাসের উপর বেলা একটা বা দুইটা পৰ্য্যন্ত শুকাইতে হয় । তাহার পর এক চfতরে বসিয়া ফুলের দিকে ১ হাত ৫ পোয় রাথিয়। গাছের বাকিটা কাটিয়া ফেলিয়া দেয়। সেই সঙ্গে যে সকল ডালে ফুল ধরে নাই, সেইগুলি ছাটিয়া ফেলে। পরে সেইগুলি সমস্ত রাত্রি শিশিরে রাখে। কোথাও কোথাও শিশির খাওয়াম হইলে পর ছাটা হইয়া থাকে। 哆