বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জচ se l অচ্যু পাণ্ডত ও গুরুজন প্রভৃতির পত্রে চন্দনের চিহ্ন দেওয়া অবস্তক। স্বামীর পত্র স্ত্রী সিম্বরের ফেঁটা দিবেন। স্বনী, পত্নীকে পত্র লিখিতে হইলে আলত দিয়া রঙ, করিবেন। আবার শত্রুর কাছে পত্র পাঠাইতে হইলে তাহাতে রক্তের চিহ্ন দেওয়া চাই । এ কিছু দিন পূর্বের সংবাদ । যখন বররুচি জীবিত ছিলেন, তাহার কিছু আগে হইতে এই সকল নিয়ম চলিয়া আসিতেছিল। কিন্তু আরও পূৰ্ব্বে লোকে কি করিতেন, তাহ ঠিক বুঝিতে পারা যার না। তবে ঐ সকল চিহ্ন কাটিবার প্রণা দেখিয়া স্পষ্ট অনুমান হই তেছে যে, ছিন্দুরা যথন লিখিতে জানিতেন না, সে সময়ে কেবল চিত্র আঁকিয়া দূরের লোককে মনের কথা বলিয়া পাঠাইতেন। হিন্দুদের অভ্যাস এই,—একবার • কোন রীতি চলিত হইলে চিরকাল তাহ মানিতে হইবে, ন। মানিলে প্রত। বায় হয় । তাই, অজ্ঞতাবশতঃ কোন কালে লোকে চিত্র অকিয়া পত্র লিখিত, সে দিন পৰ্য্যন্ত আমরা সেই পুরাতন নিয়ম মানিয়া আসিতে ছিলাম,—এখনও বিবাহের পত্রে, কিছু না হউক, তবু সিন্রের ফোটাটা দেওয়া চাই। আর এক কথা । নাগা সাওতাল প্রভৃতি অসভ্য জাতিরা লিখিতে জানে না, পড়িতে পারে না । দুরের লোককে মনের কথা বলিয়া পাঠাইবার জন্ত তাছাদের এক একটা সঙ্কেত অাছে । সঁওতালের বিপদে পড়িলে গ্রামে গ্রামে সংবাদ দিবার নিমিত্ত সাল গাছের একটা ডাল পাঠাইয়া দেয়। এই সঙ্কেত পাইলেই সমস্ত লোক ধনুর্বাণ লইয়া চুটিতে থাকে। শত্রুদিগকে ভয় দেখাষ্টতে হইলে নাগার একখানি পোড়া কাঠ, লঙ্কা এবং অস্ত্র পাঠাইয়া দের। ইহার তাৎপর্য্য এই যে, শত্রুদের গ্রাম পোড়াকাঠের মত দগ্ধ করা হইবে এবং তাহারা অস্ত্রাঘাতে ঝাল লঙ্কার মত জ্বর জর হইতে থাকিবে । এখন যেমন ভারতবর্ষের অজ্ঞ জাতির মধ্যে সংবাদাদি পাঠাইবার এক একটা সঙ্কেত চলিত আছে, আদিম অবস্থায় আর্য্যেরা যখন অজ্ঞ ছিলেন সে সময়ে তাহাদের মধ্যে সংবাদ পাঠাইবার কোন প্রকার সঙ্কেত ছিল, তাছার সন্দেহ নাই। প্রথম প্রথম অনেক দেশের লোক পশুপালন “করিত। কাজেই ছাগ মেষ ও গোবৎসাদিগকে চরাইবার জন্ত দিবারাত্র তাহাদিগকে মাঠে, বনে, নদীকূলে এবং পৰ্ব্বতের উপর বেড়াইতে হইত। সন্ধ্যায় কোন তারাটা কোন নক্ষত্রটা কোথায় থাকে, পৰ্ব্বতের উপর হইতে তাহারা আকাশে গ্রহনক্ষত্রাদির এই সকল গতি বিধি বেশ দেখিতে পাইড। তাই সকল দেশেই জ্যোতিষের মন্ত্রগুরু পশুর রাখালের । কাল্ডিয়া দেশেও প্রথমে গোপালের জ্যোতিষের মৰ্ম্ম বুঝিয়াছিল। তাহা যদি হইল তবে রাশি প্রভৃতির নাম সেই সকল পশুপালকেরাই দিয়াছিল, একথা স্বীকার করিতে হইবে। তখন গোরুব রাখালের সামান্ত লোক ছিল ; রাশি প্রভৃতির ভাল দেখিয়া নাম রাখা তাহদের বুদ্ধিতে ঘটিতে পারে না । তজষ্ঠ যে সকল দ্রব্য তাহারা অষ্টপ্রহর দেখিত, হাতে করিয়া বেড়াইড, খাইত,—তাহাই দেখিয়া রাশি প্রভূতির নাম রাখিল। মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধন্থ, মকর, কুম্ভ, মীন। বারটা রাশির নাম এই। সত্য কিছু কোন রাশি ভেড়াও নয় র্যাড়ও নয়। কোন রাশি সিংহের মত কেশর ফুলাইয়াও নাই। আকাশের স্থানে স্থানে কতকগুলি তার কাছাকাছি যেন মিলিত হইয়া আছে। অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখিলে তাহাদিগকে এক একটা বস্তুর আকারের মত বোধ হর। কেহ সেই সকল নক্ষত্রপুঞ্জকে ভালুকের সঙ্গে তুলনা করেন,—যিনি যে বস্তু ভাল রকম চেনেন, তিনি তাহার সঙ্গে তুলনা করেন। সেকালের রাখালের বে সকল বস্তু ভাল চিনিত, তাহাই দেথিয় রাশিদের নাম রাখিয়াছিল। কিন্তু জ্যোতিমের মেষ প্রভৃতির ঠিক চিত্র আঁকা থাকে না । ভাল দেখাইবে বলিয়া কেহ যদি রাশিদের নামাকুসারে অবিকল ছবি চিত্র করিয়া দেন, সে স্বতন্ত্র কথা । কিন্তু অবিকল চিত্র দিবার প্রথা নাই। রাশির আকৃপ্তির এক এক প্রকার সঙ্কেত আছে । { রাশি দেখ] । ইহদীরা যেমন জল বুঝাইতে হইলে ঢেউ চিত্র করিয়া দেখাইত— এবং জ্যোতিষের কুম্ভ রাশির স্থলে তাহার ঢেউ আঁকিয়া রাথিত, এদেশেও রাশির সঙ্কেত কেবল মেষবৃষাদির সংক্ষিপ্ত আকার বৈ আর কিছুই নর। পূর্কে ড.হাদের যে প্রকার চিত্র ছিল, এখন তাহার অনেক পরিবর্তম श्हेब्राप्रु, ऊाहे स्वाभञा ििनाउ शाब्रिन । यहे नकल বিষয়ের আলোচনা করিলে অনেকটা বিশ্বাস জন্মে যে, লিখিবার কৌশল আবিষ্কৃত হইবার পূৰ্ব্বে এদেশের লোকেও চিত্র পাঠাইরা দুরের লোকের কাছে মনের ভাৰ প্রকাশ করিতেন। পরে স্থৰিধার নিমিত্ত্ব এক একটা वखब आनाक्रब श्रं:७ वर्षभागात्र बाह्नि ऋ* रहेबारइ ।