অনেকার্থ নিয়ত শব্দের শক্তিকে সামর্থ কহে । যেমন, ‘মধুনা মত্তঃ কোকিলঃ’ । মধুতে কোকিল মত্ত হইয়াছে। বসন্ত কালেই কোকিল মন্ত হইয়া উঠে, তাই এখানে মধু শব্দে বসন্ত কালকে বুঝাইতেছে, মদ্য কিথা ফুলের মধুকে বুঝাইতেছে না । ঔচিতী অর্থাৎ ঔচিত্য । ৰাতু তে দয়িতামুখম । তোমার প্রিয়ায় সম্মুখে যাউক । তোমার প্রিয়ার মুখে যাউক’ এমন কথা বলা কখন উচিত হয় না, তজ্জন্ত এখানে মুখ শব্দে সন্মুখ বুঝাইতেছে। দেশ অর্থাৎ স্থান বুঝিয়া কোথায় কেমন অর্থ সঙ্গত হয়, তাহ নিশ্চিত করা যায়। ধেমন,—‘এই রাজ্যে পরমেশ্বর বিরাজ করিতেছেন’। রাজ্যের ভিতরে সর্বনিয়ন্ত৷ ঈশ্বর বিরাজ করিবেন, ইহা কখন সঙ্গত নহে, কাজেক্ট এস্তলে পরমেশ্বর শব্দে রাজাকে বুঝিতে হইবে। আবার, *সৰ্ব্বত্র পরমেশ্বর বিরাজ করিতেছেন”। এমন কথা বলিলে সৰ্ব্বময় ঈশ্বরকে বুঝাইবে । কাল অর্থাৎ বিশেয সময় দেখিয়া কোথায় কোন অর্থ সঙ্গত হইবে, তাত বুঝিতে পারা যায় । যেমন, ‘চিত্রভাতুৰ্বিভাতি দিনে’ । দিবসে চিত্রডায়ু শোভা পাইতেছেন। চিত্র ভান্স শব্দে স্থৰ্য্য এবং অগ্নিকে বুঝায়। কিন্তু এখানে ‘দিন’ এই শবের উল্লেখ থাকায় ‘চিত্রভাতু’ শস্বে স্থৰ্য্য অর্থই সঙ্গত হইতেছে । আবার যদি বলা যায়, ‘চিত্রভানু রাত্রিতে শোভা পাইতেছে, তাহ হুইলে অগ্নি অর্থ ই সঙ্গত হইবে । ব্যক্তি শব্দে পুংলিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গ প্রভৃতিকে বুঝায়। শন্ধের লিঙ্গ দেখিয়া কোথায় কি অর্থ সঙ্গত হইবে তাহা নিশ্চিত হইয় থাকে। যেমন, মিত্রস্তাতি’। মিত্র শোভা পাইতেছেন। এখানে মিত্র শব্দ ক্লীবলিঙ্গ, তজন্ত ইহা দ্বারা সুহৃৎকে বুঝাইতেছে । আবার, “মিত্রোভাতি’। এখানে মিত্র শব্দ পুংলিঙ্গ, সে কারণ ইহা দ্বারা স্বৰ্য্যকে বুঝাইতেছে। উদাত্ত, অমুদাত্ত ও স্বরিতকে স্বর কহে । স্থল কথা, শব্দ যিশেষের উপর জোর দিয়া মন্ত্রাদি উচ্চারণ করিলে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায় । উদাত্ত, অমুদাত্ত, স্বরিত প্রভৃতি স্বরভেদে বিভিন্ন অর্থ হইতে পারে, এ বিষয়ে একটা গল্প আছে। পূৰ্ব্বকালে বৃত্ৰাস্বর (?) ইন্দ্রের বধেয় মিমিত্ত যজ্ঞ জয়ম্ভ করে। ঋত্বিগ গণ, বৃত্রের डतूरुिद्र बछ,-‘हेखभऊर्द६ष'-4ई अङ डेछात्रभ করিতে লাগিলেন। মন্ত্র গুনিয়া বৃত্ৰ মনে করিল যে, [ ২৯৭ ] অনেদ্য যজ্ঞ দ্বারা তাহারই মঙ্গল হইবে । কিন্তু বস্তুতঃ, তাহ। ঘটে নাই। কারণ, ঋত্বিগ গণ যদি ইন্দ্রশক্রঃ ইহা উচ্চারণ করিবার সময়ে শত্রু শব্দের উপরে জোয় দিতেন, তাহা হইলে "ইন্দ্রেয় শক্ৰ’ এই রূপ তৎপুরুষ সমাস হইয়া বুত্রেরই মঙ্গল হইত। কিন্তু ঋত্বিকরা তাই। না করিয়া ঈশ্র শব্দের উপরে জোর দিয়াছিলেন । তক্ষষ্ঠ বহুব্রীহি সমাস হওরায় এই অর্থ বুঝাইল ষে, ইন্দ্র যাহার শত্রু অর্থাৎ ঘাতক তাহারই শ্ৰীবৃদ্ধি হউক । , মন্ত্রেণহীনঃ স্বরতো বর্ণতো বা মিথাপ্রযুক্তো ন তমর্থমাহ, স বাগুজো যজমানং হিনস্তি ধথেন্দ্রশক্রঃ স্বরতোইপরাধাৎ । মন্ত্রের স্থার কিম্ব বর্ণহীন হইলে, কিম্বা মিথ্যাশ্রয়োগ করিলে, সেই বাক্য রূপ বজ্ৰ যজমানকে নষ্ট করে । ধেমন স্বরপ্রয়োগ বিষয়ে অপরাধ হওয়ায়, ‘ইন্দ্রশক্র’ এই শব্দ ধজমানকে নষ্ট করিয়াছিল । ঈশ্রশক্রবদ্ধস্বেত্যস্মিন্মন্ত্র ইন্দ্রস্ত শত্রুর্ঘাতক ইত্যস্মিন বিবক্ষিতেহুর্থে তংপুরুষ সমাসঃ, সমাস্তেতি স্বত্রেণ সমাসত্বাদস্তোদাত্তেন ভবিতব্যং, আছু্যদাত্তস্তু প্রযুক্তঃ । তথা সতি পূৰ্ব্বপদপ্রকৃতিস্বরত্বেন বহুব্রীহিত্বাদিস্ত্রে ঘাতকে যস্তেতি তাৎপৰ্য্যার্থঃ সম্পন্নঃ । ( সায়ন )। অনেকাশ্রিত (পুং ) অনেকেষু বহুবু আশ্রিতঃ যুক্তঃ । ৭-তৎ । সংযোগাদি । সামান্ত । ‘সংযোগশ্চ বিভাগশ্চ সংথ্যাদ্বিত্বাদিকাস্তথা । দ্বিপৃথকৃত্বাদয়স্তদ্বদেতেহনেকশ্রিতাগুণাঃ । ( ভাষাপ০ ) । সংযোগ বিভাগ দ্বিত্বাদি সংখ্যা এবং দুয়ের পৃথকৃত্ব প্রভৃতি অনেকাশ্রিত গুণ । (ত্রি) অনেকের শরণাপন্ন। অনেকের গৃহাগত । অনেজৎ ( ক্লী ) এজকম্পে শতৃ ন এজৎ। নঞ তৎ। এজনং কম্পনং স্বভাবাৎ ক্ষরণং তদ্বর্জিতং সৰ্ব্বদা একরূপত্বাৎ । সৰ্ব্বদা এক রূপ পরব্রহ্ম । ( ত্ৰি ) কম্পন য়ঙ্কিত। ( স্ত্রী) উীপ্ত অনেজৰ্ত্তী শপৃষনোদিত্যং । প৷ ৭ ৷ ১ ৷ ৮১ ৷ শী (ঈ ) এবং নদী (উীপ ) পরে থাকিলে শপ এবং যনের পরস্থিত শতৃস্থানে নিত্য মুম্ হয়। অনেড়মূক (ত্রি) এড়ো বধির মুকো বাকশক্তিশূন্তশ্চ নাস্তি ষন্মাৎ । অতিশয় বধির । অতিশয় বোৰা। যাহার চেয়ে আর কালা নাই। যাহার চেয়ে আর বোবা মাই। অনেদ্য (ত্রি) গিদি কুৎসায়াম্নেদ্যতে নিদ্ব-শ্যৎন নেদ্যঙ্গ। নঞ তৎ। আগমানিত্যা ন জিতে। (নিরুজ)। [*4 J
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩২১
অবয়ব