অন্যথাখ্যাতি [ ৩৬০ ] অন্যথাসিদ্ধ شبي-سي-جسد অন্তত (অব্য) অন্ত-সপ্তম্যর্থে তসিল । অন্ত হইতে ইত্যাদি । [ অন্তত দেখ ] অন্ততস্ত্য (ত্রি) অন্ততোহষ্ঠশ্বিন স্বেস্তরপক্ষে ভবঃ অন্ত তস্তাপ শত্র। সপত্ন। স্বপক্ষ ভিন্ন জাত। অন্যত্র (অব্য ) অন্তস্মিন অন্ত-ত্রল। অন্ত কালে। অন্ত দেশে। * । সপ্তম্যাস্ত্রল, । পা ৫। ৩। ১০। ইদমাদি শব্দের উত্তর সপ্তমী স্থানে ত্রল প্রত্যয় হয় । * । ইত. রেভ্যোহপি দৃশুতে। পা ৫ ৩ । ১৪ । ইদমাদি শব্দ ভিন্ন অল্প শব্দের এবং পঞ্চমী সপ্তমী ভিন্ন বিভক্তিতেও তসিল ত ত্রল প্রভৃতি প্রত্যয় হয়। এই শেষ স্বত্রাতুসারে কোথাও অন্ত অর্থে অন্তর এরূপ প্রয়োগ দেথা যায় । 呜 অস্তথা (অব্য ) অন্ত প্রকারে থাল। অন্ত প্রকার। * । প্রকার বচনে থাল। পা ৫। ৩। ২৩। প্রকারার্থে বর্তমান কিমাদি শব্যের উত্তর স্বার্থে থাল, প্রত্যয় হয়। নিষ্কারণ। বিতর্থ। মিথ্যা। অভাব। দুষ্ট । তষ্ঠথাকারম্ (অব্য ) অন্যথা-শমুল, যে কাৰ্য্য ষেরূপে করিতে হয় তাহার অন্যথা । * । অন্তথৈবংকথমিখংস্থ সিদ্ধাপ্রয়োগশেৎ। পা ৩। ৪। ২৭ । ক ধাতুর কোন অর্থ না থাকিলে, অন্যথা, কথং, এবং, ইথং এই চারি অব্যয় শব্দের পরস্থিত ক ধাতুর উত্তর শমুল, প্রত্যয় হয় । ক ধাতুর অর্থ থাকিলে অন্যথা কৃত্বা এই রূপ হুইবে । অন্যথাখ্যাতি (স্ত্রী) অন্যথা অন্যরূপেণ জাত খ্যাতিঃ জ্ঞানম্। ভ্ৰমাত্মক জ্ঞান। অপ্রকৃত বস্তুকে প্রকৃত বস্তু বলিয়া বিশ্বাস। যেমন, রজু সর্প নহে ; অথচ রজ্জতে রজু জ্ঞান না হইয়া যে সৰ্প জ্ঞান হয়, এই মিথ্যাজ্ঞানকে অন্যথাখ্যাতি বলা যায়। শরীর আত্মা নহে। আত্মা এবং শরীর দুই পৃথক্ পদার্থ । এমন স্থলে যদ্যপি বলা যায়—“আমি গৌরবণ” । তাহা হইলে ইহাকে ভ্ৰমাত্মক জ্ঞান অর্থাৎ ‘অন্যথাথ্যাতি’ বলা যাইবে । কারণ, “আমি” এরূপ বলিলে আমার আত্মাকেই বুঝায়। অতএব আত্মা কখন গৌরবর্ণ হইতে পারে না। প্রকৃত পক্ষে, আমার শরীরই গৌরবর্ণ। পুনশ্চ, হ্রদে বহ্নি থাকেন। অতএয হ্রদে বহ্নিমান এমন বিশ্বাস করিলে তাহাকে ভ্ৰমাত্মক জ্ঞান বলা যায়। সুতরাং এরূপ ভ্ৰমাত্মক জ্ঞানকে অন্যথাখ্যাতি কহে । মীমাংসকেরা ভ্রম মানেন না। তাহার এ রূপ জ্ঞানকে ‘জসংসৰ্গাগ্রহ’ বলেন। তাহার, হ্রদে বহ্নিমান’ - এমন কথা বলিলে, হ্রদ এবং অগ্নি উভয়ই বিদ্যমান আছে, এরূপ স্বীকার করেন। কিন্তু হ্রদে বহি আছে, এরূপ জ্ঞান স্বীকার করেন না। পরস্তু, হ্রদে বহ্নির ংসর্গাভাব জ্ঞান হয় না। তজ্জন্য ইহায় নাম অসংসর্গগ্রহ। অন্যথানুপপত্তি (স্ত্রী) অন্যথা অন্যপ্রকারেগন উপপত্তিঃ। মীমাংসক মতে অন্য প্রকারে উপপত্তির অর্থাৎ সিদ্ধান্তের অভাব। যেমন,—“ঐ হৃষ্টপুষ্ট মানুষটা দিবাতে ভোজন করেন না’ । মানুষ ভোজন না করিলে কখনই হৃষ্টপুষ্ট হইতে পারে না । মুতরাং এই অনুপপত্তি জ্ঞান হইতে, হৃষ্টপুষ্ট মানুষট তবে রাত্রিতে ভোজন করে, ইহাই স্থির হইতেছে। মীমাংসকেরা এই অনুপপত্তি জ্ঞানকে অর্থাপত্তি প্রমাণ কলির স্বীকার করেন । ন্যায়ুমতে, অর্থাপত্তি অতিরিক্ত প্রমাণ নহে, ইহা কেবল অনুমান মাত্র । কারণ, ঐ হৃষ্টপুষ্ট মানুষট রাত্রিতে ভোজন করে কি না, তাহ প্রত্যক্ষ কেহ দেখে নাই । কিন্তু ভোজন না করিয়া অনাহারে থাকিলে শরীর শুষ্ক হয়, আবার ভোজন করিলে শরীর হৃষ্টপুষ্ট হইয়া থাকে। কাজেই তাহার শরীরের পুষ্টত দেখিয়া অনুমান করা যাইতেছে যে, সে রাত্রিতে ভোজন করে। অন্যথাভাব ( পুং ) অন্তপ অন্যরূপেণ ভাব: যাহার যে রূপ ভাব, তাহার সেই ভাবের অন্যরূপ হওয়া । ভাবাস্তর। অন্যথাভূত (ত্রি) অন্যথা অন্যপ্রকারেণ ভূতঃ । প্রকা রাস্তর প্রাপ্ত । অন্যথাৰ্ব্বত্তি (স্ত্রী) অন্যথা অন্যরূপেণ বৃত্তিঃ । অন্যথা স্থিতি । অন্যপ্রকার হইয়া যাওয়া । অন্যথাসিদ্ধ (ত্রি ) অন্তথা অস্তপ্রকারেণ সিদ্ধম্।। ৩ তৎ। যে পদার্থ অন্যপ্রকারে সিদ্ধ হয়। ন্যায়াদির মতে, যে পদার্থ না থাকিলেও কার্য্যের অন্য প্রকারে সিদ্ধি হয়, তদ্রুপ পদার্থকে সেই কার্য্যের অন্যথা সিদ্ধ কহে । যেমন, কুস্তকার ঘট প্রস্তুত করে। কিন্তু ঘট প্রস্তুত করিবার মাটী গর্দভাদি বহন করিয়া থাকে। কিন্তু গর্দভদ্বারা মাটী বহন না করাইলেও অন্য প্রকারে মাটী আন যাইতে পারে। তজ্জন্য গর্দভ অন্যথাসিদ্ধ। এই অন্যথাসিদ্ধের ধৰ্ম্মকে অন্যথাসিদ্ধি কহে । কোন কাৰ্য্য সিদ্ধ করিবার নিমিত্ত পূৰ্ব্ববর্তী যে যে পদার্থ নিতান্ত আবখ্যক ; অর্থাৎ যে পদার্থ থাকিলে -
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮৪
অবয়ব