অপস্মার --- সড় সড় করিয়া পৃষ্ঠবংশ দিয়া মস্তকে উঠিতেছে। কোন কোন ব্যক্তির ধারণা অন্য প্রকার। তাহারা সম্ভ" বতঃ বিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখিয়াছে যে, মুচ্ছৰ্গর পূৰ্ব্বে কটিদেশ হইতে ঠিক যেন শীতল জলের ধারা পৃষ্ঠবংশের উপর দিকে ঠেলিয় উঠে। কচিৎ কথন ঐ ধারা অত্যন্ত উষ্ণ বলিরাও বোধ হয়। এই রূপ পূৰ্ব্ব লক্ষণ জানিতে পরিলে রোগী সাবধান হইতে পারে, নতুবা জলে কিম্বা অগ্নিতে বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা। মুচ্ছৰ্ণবস্থা—মুছা হইবার পূৰ্ব্বে রোগী ভয়ঙ্কর চীৎকার করিয়া অজ্ঞান হষ্টয়া পড়ে। সেই চীৎকার শুনিলে সকলেরই মনে আতঙ্ক জন্মে। তাহার পর মস্তকে, গ্রীবাদেশে ও হস্ত পদে ঘন ঘন আক্ষেপ হইতে থাকে। সচরাচর শরীরের একপাশ্বেরই অধিক আক্ষেপ হয়। হাতের সমস্ত অঙ্গুলি দৃঢ় ও জড়ীভূত হইয়া যায় এবং বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ গুটাইয়া হাতের তলে আসিয়া পড়ে। ওষ্ঠ মৃতদেহের মত বিবর্ণ হয় ; দাতকপাট লাগে ; কখন কথন এই অবস্থায় রোগী, দস্তদ্বারা জিহবাদি কাটিয়া ফেলে ; মুখ দিয়া ফেন নির্গত হয় এবং দস্তু দ্বারা জিহাদি কাটিয়া ফেলিলে তাহাতে রক্ত মিশ্রিত থাকে। গলনালী প্রভৃতির আক্ষেপ জন্য অতিশয় শ্বাসকুচ্ছ জন্মে ; চক্ষের তারা ঘুরিয়া বেড়ায়, গ্রীবাদেশের এবং কপালের শীরা উচ হইয়া উঠে ; হৃৎস্পননের আবেগ আতিশয় বৃদ্ধি হয় ; ফলতঃ সে সময়ে রোগীর অবস্থা দেখিলে, শীঘ্রই মৃত্যু ঘটিবে এই রূপ বোধ চষ্টয় থাকে। এই রূপ অবস্থা প্রায় ২। ৩ মিনিট থাকে, তাহার পর রোগী নিদ্রাভিভূত হয়। মৃচ্ছার পর—মুচ্চার অন্নক্ষণ পরেই কোন কোন aোণী সুস্থ হইয়া আপনার কার্যাদি করিতে পারে । কেহ কেহ সজ্ঞান হইয়া আবার কিঞ্চিৎ কাল নিদ্রিত পাকে। মিত্রার সময়ে অনেকের কনীলিকা প্রসারিত হয়, তৎকালে চক্ষুর কাছে প্রদীপ ধরিলে তারা কুঞ্চিত হয় না। ঘুম ভাঙ্গিলে শরীর দুৰ্ব্বল ও গ্লানিযুক্ত বোধ হয়, তদ্ভিন্ন অন্ত কোন উপদ্রব দেথা যায় না। কিন্তু কোন কোন রোগী এই অবস্থায় উম্মত্তের দ্যায় প্ৰলাপ দেখে। মধ্যে মধ্যে নানা রূপ ভ্রম বাক্য কহে । উঠিয় দাড়াইলে মাতালের মত তাহার পাটলিতে থাকে। রোগী এরূপ উন্মত্ত হইলে তখন আপনাকে কিম্বা অন্য ব্যক্তিকে আঘাত করিতে পারে। কিঞ্চিৎ কাল পরে এ প্রকার অবস্থা দূরীভূত হয় এবং রোগী | 9 אס\] অপস্মার - - --- ஆளு সজ্ঞান হষ্টয় পড়ে। জ্ঞান হইলে পীড়ার কোন বৃত্তাস্তু তাহার স্মরণ থাকে ন! । প্রকৃত মৃগীরোগ একবার ঘটিলে রোগী নিশ্চিত शूनः शूनः भूझि उ इग्न । किढ़ रुउ निन खरुद्र चरुद्र মুচ্ছ ঘটিতে পারে তাহার কিছুই স্থিরতা নাই। পীড়ার প্রথম প্রকাশের পর দীর্ঘ কাল অন্তর মুচ্ছ হইয়। থাকে। প্রথম মুচ্ছৰ্ণয় পাঁচ ছয় মাস, বা পাচ ছয় বৎসর, আবার কোন কোন স্থলে ১০ । ১২ বৎসর পরে দ্বিতীয় বার মুচ্ছ হর। কিন্তু সচরাচর তরুণাবস্থায় বৎসরের মধ্যে প্রার ২ । ৩ বার মুচ্চর্ণ হইয়া থাকে। ক্রমে পীড়া কঠিনও গাঢ় হইয়া বসিলে তখন দিবসের মধ্যে ৩। ৪ বার মৃচ্ছা হইতে পারে। কচিৎ কোন কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় ১৪ । ১৫ বৎসর সুস্থ থাকিতে পারে, তাহার পর হঠাৎ এক দিন পীড়া পুন র্বার প্রকাশিত হয় । উপসর্গ—পুনঃ পুনঃ রোগাক্রমণ ঘটিলে ক্ষুধামান্য, বৃদ্ধির জড়তা, ভ্রম, এবং আয়ুক্ষয় হয় । কদাচিৎ কেহ কেহ উন্মাদ রোগগ্ৰস্ত হইয়া থাকে। ভাবিফল—যৌবনাবস্থার পূৰ্ব্বে নানা প্রকার কুক্রিয়ার নিমিত্ত এই রোগ জন্মিলে, কিম্বা স্ত্রীজাতির জরাযুর ক্রিয়াবিকার হইতে মৃগীরোগ উপস্থিত চইলে আরোগোর আশা থাকে। কিন্তু যৌবনাবস্থার পর পুন: পুন: রোগাক্রমণ ঘটিলে ইহার প্রতীকারের আশা থাকে না। অনেক স্থলে দেখা যায়, চকু ঘোলা ও ঈষৎ হরিদ্র বর্ণ হইলে এবং মুখমণ্ডল কতকটা পাগলের মত দেথাইলে রোগের প্রতীকর হয় না। রোগনির্ণয়—হিষ্টিরিয়া নামক মুচ্ছ রোগে রোগীর কিছু কিছু জ্ঞান থাকে, কিন্তু মৃগীরোগে রোগীর কিছুই জ্ঞান থাকে না । কিষ্টিরিয়া রোগে রোগীর উদরের মধ্য হইতে একটা গুল্ম উপর দিকে যেন ঠেলিয়া উঠে, এই রূপ অনুভব হয়; কিন্তু মৃগীরোগে কীটাদির মত কোন পদার্থ পৃষ্ঠদেশে অনুভব হইয়া থাকে। অতএব এই দুই পীড়াকে সহজেই প্রভেদ করা যায়। মৃগীরোগে রোগী অধিকক্ষণ অজ্ঞান হইয়া থাকে না এবং ইহাতে অত্যন্ত শ্বাস কৃচ্ছ, হয় ; কিন্তু সংষ্ঠাসে রোগী দীর্ঘ। কাল অজ্ঞান হইয়া থাকে এবং তাদৃশ শ্বাসকৃচ্ছ, ইয় না। শৈশবাবস্থায় জরের সঙ্গে শিশুদের আক্ষেপ (convulsion ) *ề#I qft#, f# ##t#Its! s# না থাকিলেও মুছ হয়।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৪
অবয়ব