পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

םציי-יי-ד-- অস্ত্র অভূষি কহে। ইহার অপর পর্য্যায়—দরদগ্ধ। আপঙ্ক। পোলি। অভ্যোষ। অভ্যৌষ। রাজনির্ঘণ্টে অভু্যুষের এই রূপ গুণ লিখিত হইয়াছে,—মধুর, গুরু, রোচক, বলকারী ; ইহাতে শ্লেষ্মা, রক্ত ও পিত্ত বুদ্ধি হয়। অঙ্গারে ভাজিয়া লইলে,— আগ্নেয়, বায়বৃদ্ধিকর, লঘু ও বলকর হইয়া থাকে। অভূষিত (ত্রি) অভি-বস-ক্ত। যে সমূথে থাকে। যে একত্র বাস করে। [অধুষিত শবে স্বত্র দেখ ] অভূহে (পুং ) অভি-উহ-ঘএ বিতর্ক। অসম্পূর্ণ বাক্যের সম্পূর্ণতা সাধন। অভূাহনীয়। অভূহে (ত্রি) অভিত: উইনীয়ম উহং বী। অভি-উহ-অনীয়র যং বা । তর্কণীয়। অভ্র। গর্তে, ভূ- পঃ সক, সেট । লট-অভ্ৰতি। লিট আনন্দ্র। লুঙ-আশ্ৰীং । অভ্র ( ক্লী) অভ্র-আচ । [ অন্যান্ত বিবরণ অবদ্র শব্দে দেখ] মেঘ। মুস্তক। মুতা। আকাশ। ভারতবর্ষ, সাইবিরিয়া, পেরু, মেক্ষিকো, নরোয়ে, সুইডিন প্রভৃতি নানা স্থানের পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশে এই উপধাতু জন্মে। সচরাচর দেখিতে কাচের মত পরিষ্কার ও শ্বেত বর্ণ। কোন কোন জাতীয় অভ্রে কেবল সিলিকা ৪৭-৬৩ ভাগ, ম্যাগ্নেসিয়া ৩০-৩৫ ভাগ এবং জল ২-৬ ভাগ আছে। তদ্ভিন্ন অন্যান্ত জাতীয় অভ্রে লৌহ, ম্যাঙ্গেনিজ, ক্রোম, ফুেরি প্রভৃতি পদার্থও বিদ্যমান থাকে। ঐ সকল পদার্থের গুণে শ্বেত, ধূসর, সবুজ, রক্তবর্ণ, কটা, কৃষ্ণবর্ণ এবং কচিৎ পীতবর্ণ অভ্র দেখিতে পাওয়া যায়। কোন কোন অভ্র চটচটে, কোন জাতীয় অভ্র বিলক্ষণ স্থিতিস্থাপক এবং অনেক অভ্রই ভাঙ্গিলে স্তরে স্তরে উহার পর্দা খুলিয়া আসে। অভ্র অতিশয় পাতলা। সচরাচর ৩০০,০০০ ইঞ্চের অধিক পুরু হয় না। অনেক খনিতে দুই হাত ব্যাসের বড় বড় অভ্র পাওয়া যায়। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের পরীক্ষার দ্রব্য নির্দিষ্ট করিবার জন্ত অভ্র যথেষ্ট ব্যবহৃত হয়। সাইরিয়া, পেরু, মেক্ষিকে প্রভৃতি স্থানে জানালায় কাচের সার্সির পরিবর্তে অত্র লাগান হইয়া থাকে। শীতোষ্ণতার পরিবর্তনে অভ্র ধাতুর গুণের কিছুই ব্যতিক্রম হয়না, কিন্তু কাচেরগুণের অনেক ব্যতিক্রম ঘটে। তজ্জন্ত লাঠনেও ভাল অভ্র লাগাইতে পারা যায়। প্রাচীর উজ্জ্বল ও স্বত্র দেখাইবে বলিয়া অনেক দেশের স্থপতি অভ্রচুর্ণ দিয়া দেউল রঙ করে। ভারতবর্ষের অম্বর প্রভৃতি নানা স্থানের অট্টা [ 8૧t ] অভ্র


་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་---་

লিকার ভিতরের ছাদে রক্তবর্ণ, সবুজবর্ণ প্রভৃতি অনেক প্রকার তাম্রের উপর অভ্র ঢাকা আছে। ইহাতে রাজপ্রাসাদের বিশেষ সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি হয়। কামান প্রভৃতির গভীর শব্দের প্রতিঘাতে কাচ ঝন ঝন করিয়া ভাঙ্গিয় যায়, কিন্তু অভ্ৰ ভাঙ্গে না ; তজ্জন্ত ইহা রণপোতের সার্সিতেও গাগান হইয় থাকে এ দেশের মালীর রাস, দোল, বিবাহ প্রভৃতি নানা প্রকার উৎসবে অভ্রের ঝাড়, গ্লাস, ফানস ও অন্তান্ত অনেক দ্রব্য প্রস্তুত কয়িয়া থাকে। অভ্রে অনেক প্রকার থেলানা ও প্রস্তুত হয়। আবীর ও ফাকের সঙ্গে কেহ কেহু অভ্র, মিশ্রিত করে। বৈদ্যেরা বিবিধ রোগে ঔষধের সঙ্গে অত্র প্রয়োগ করেন । বৈদ্যমতে অভ্র চারি প্রকার। যথা, পিনাক, দর্দুর, নাগ এবং বস্ত্র । কথিত আছে যে, পুৰ্ব্বকালে ইস্ত্র বৃত্ৰমুরকে বধ করিবার নিমিত্ত বজ্র উৎপাদিত করেন। সেই বজ্ৰ হইতে ফুলিঙ্গ বাহির হইয়। পৰ্ব্বতে পতিত হয়। তাহাতেই অভ্রের উৎপত্তি হইয়াছে। তজ্জন্ত আজও এই লোক প্রসিদ্ধি আছে যে, মেঘ গৰ্জ্জন হইলে অত্র উৎপন্ন হয় । লোকে আরও এই কথা বলিয়া থাকে যে, মেঘ হস্তীরূপে সাল পাতা থাইয়া থাকে। সাল পাত খাইবার সময়ে তাহদের মুখ দিয়া লাল পড়ে। সেই স্বচ্ছ লালে অভ্র উৎপন্ন হয়। রসেশ্বরে লিখিত আছে যে, গৌরীর রজ হইতে অভ্রক ধাতুর উৎপত্তি इहेग्रांटछ् । শাস্ত্রকারের কহিয়া থাকেন,—শ্বেতবর্ণ অভ্র,জাতিতে ব্রাহ্মণ, রক্তবর্ণ—ক্ষত্রিয়, পীত—বৈশু এবং কৃষ্ণবর্ণ শূদ্র । ইহার মধ্যে রৌপ্য মুক্তাদিতে শ্বেতবর্ণ অভ্র বিহিত । রসায়নে রক্তবর্ণ ; সুবর্ণাদিতে পীতবর্ণ এবং রোগাদিতে কৃষ্ণবর্ণ অভ্র প্রশস্ত। পিনাক অত্র আগুনে নিক্ষেপ করিলে উহার সমস্ত পর্দা খুলিরা যায়। ইহা ভক্ষণ করিলে কুণ্ঠরোগ জন্মে। দর্দুর অত্র অগ্নিতে ফেলিলে তাহার গায়ে গোল গোল কুণ্ডলী উঠে ও এক প্রকার শস্থ হয়। এই অত্র থাইলে মৃত্যু ঘটতে পারে। নাগাভ্র আগুনে ফেলিলে সাপের মত ফেঁাস্ ফোস শব্দ উঠে । ইহা খাইলে ভগন্দর রোগ জন্মে। বঙ্গাত্ৰ দেখিতে কৃষ্ণবর্ণ। ইহা অগ্নিতে নিক্ষেপ কয়িলে তাহার কোন ভাবাস্তর ঘটে না, তজ্জন্ত ইহা সকল অভ্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। উত্তর পর্বতে যে সকল কৃষ্ণ অত্র জন্মে, তাহাই বিশেষ গুণকর । দক্ষিণ পৰ্ব্বতের