বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্নিশিখা ge অগ্নিশিখা অগ্নিশৰ্ম্মাণ । অগ্নিশৰ্ম্মণোস্থপত্যংপুমান অগ্নিশর্মিঃ । [ বাছবাদিভ্যশ্চ-অগ্নিমারুতি দেখ } । অগ্নিশৰ্ম্মন শব্দ মড়াদি গণের মধ্যেও পঠিত হইয়াছে। সুতরাং অগ্নি । শৰ্ম্মণে গোত্রে জাত: আগ্নিশৰ্ম্মায়ণঃ । * । নড়াদিভ্যঃ ফক। পা ৪। ১ । ৯৯ । গোত্রাপত্যে নড় প্রভৃতি শব্দের উত্তর ফক্‌ প্রত্যয় হয় । অগ্নিশালা (স্ত্রী) অীনাং শালা গুহম্। অগ্ন্যাধানের স্থান। অগ্নিশাল এই প্রকার রূপও হইয়া থাকে। অগ্নিশিখ (পুং, কী ) অগ্নেরিব অগ্নিরিব বা শিখা যন্ত । বাণ। স্বর্ণ। কুমুম্ভবৃক্ষ, কুঙ্কুম। লাঙ্গলীবৃক্ষ। বিষলাঙ্গলী। অণাগ্নিশিখমুদ্দিষ্টংকুকুম্ভেকুন্ধুমেহপিচ। লাঙ্গলিক্যাথোষধৌ চ বিশল্যায়াঞ্চ যোধিতি। (মেদিনী)। অগ্নিশিখা (স্ত্রী) আগ্নেঃশিখা। অগ্নিজাল । আগ্নেঃ শিখেব শিখা যন্ত । লাঙ্গলীবৃক্ষ (পুং)। বিষলাঙ্গলা । আগুনের শীষ । ফলিনী, শক্ৰপুষ্পী। অনস্তা। [ বিশল্যা দেখ ]। অগ্নিশিখা কি বুঝিতে হইলে, প্রথমে কাঠ প্রভৃতি দাহ পদার্থ কি প্রকারে দগ্ধ হয় তাহ জানা আবশুক । অক্ষিজেন শব্দে অম্লজানের বৃত্তান্ত লেখা হইয়াছে । আমরা নিশ্বাসের সঙ্গে যে বায়ু গ্রহণ করি তাহার পাঁচ ভাগের এক ভাগ অকৃষিজেন । জগতের অনেক বস্তুর সঙ্গে সহজে অম্লজান মিশিয়া যায় । ভাই, অম্লজান ও অন্তান্ত পদার্থ সংযোগে সৰ্ব্বদাই নূতন নূতন যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন হইতেছে । অকৃষিজেন, অন্ত পদার্থে মিশিতে গেলে তাপোৎপন্ন হয়, তাহাকেই আমরা দগ্ধ হওয়া বা পোড়া বলি। পদার্থ সমুদয় এক প্রকারে দগ্ধ হয় না। কোন বস্তু পচিয়া পচিয়া পুড়িতে থাকে আবার কোন বস্তু অগ্নিবং হইয়া, পুড়িতে থাকে । কোন দ্রব্যে অল্পে অল্পে অকৃষিজেন্‌ মিশিলে ভাহীকে ‘পচিয়া যাওয়া বলে। কাষ্টাদিতে তদপেক্ষা আরও কিছু শীঘ্র শীঘ্র অকৃ ধিজেন মিশিলে, সচরাচর আমরা বলিয়া থাকি যে, কাঠ গুমে গুমে পুড়িতেছে। তাহার চেয়ে আরও শীঘ্র শীঘ্ৰ মিশিলে খৃঃপূঃ করিয়া কাঠ জ্বলিতে থাকে । বাঙ্গদে আগুন লাগিলে অকৃষিজেন্‌ মিশিতে কিছুইবিলম্ব হয় না, তাই নিমেষমধ্যে দপ্‌ করিয়৷ জলিয়া উঠে। অরতাপে অনেক পদার্থের সঙ্গে অকৃষিজেন্‌ সহজে মিশিষ্ঠে পারেন,—যথা,লৌহ লোহার অস্নিচ ধরিলে, লৌহ পচিতেছে’ ৰ পুড়িতেছে। এ কথা বলিতে পাৱা যায়। কারণ, লৌহের সঙ্গে ভয়ঙ্গাত্র মিশিলে লোহা, (Oxide of iron). উৎপন্ন इई, एॉइट्रिक्रे - মরিচা ধরা কহে । - জলন্ত আগুনের হাপোরে একখানি লৌহদ ফেলিয়া রাখিলে তপ্ত ও সিন্দূরবর্ণ হয়, বাহির করির আনিলে আবার শীতল ও কৃষ্ণবর্ণ হইয় পড়ে,—তাহার ভার কমেন, এমন স্থলে লৌহ অগ্নিবৎ হয়, কিন্তু পুড়িয়। যায় না। লৌহকে কাঠের মত পোড়াইতে হইলে অধিক তাপ চাই। কারণ, লৌহের সঙ্গে অম্লজান্‌ সহজে মিশিতে পারে না। কিন্তু অনেক দ্রব্যের সঙ্গে অকৃষিজেন সহজে মিশ্রিত হয়। যথা—অঙ্গার ও জলজান (Carbon and ' Hydrogen)। কাঠ, পাথুরিয়া কয়লা, তৈল,চৰ্ব্বি, ঘৃত, প্রভৃতি দ্রব্যে অঙ্গর অথবা জলজান অধিক আছে। তৰ্জ্জন্ত আগুনের প্রয়োজন হইলে এই সকল দ্রব্য আমরা অধিক ব্যবহার করি । কলিকাতা সপ্তরে যে গ্যাসের আলো জলে, কাহা পাথুরিয়া কয়লা হইতে প্রস্তুত । অঙ্গার ও জলজান মিশ্রিত বাষ্পকেই আমরা গ্যাস বলিয়। থাকি। ঐ গ্যাসের মধ্যে অলিফাএণ্ট (Olefant gas ) নামে এক প্রকার বাষ্প আছে, তাহার আলো অত্যন্ত প্রখর। জলজান পুড়িবার সময় অগ্নিশিখার উপর একটা পাত্র ঢাকা দিলে তাহাতে ঘামের মত বিন্দু বিন্দু জল জমে। কাষ্টে ও পাথুরিয়া কয়লায় অঙ্গারের ভাগ অধিক, — কাঠে শতকরা ৪৫ হইতে ৫২ অংশ, পাথুরিয়। কয়লায় ৭৪ হইতে ৯৪ অংশ। কাষ্ঠদগ্ধ কয়ল। এবং পাথু রিয়া কয়লা প্রায় এক প্রকার পদার্থ। কাঠ অল্প পোড়ইয়। তাহাতে মটি ঢাকা দিলে যে রকম কয়লা প্রস্তুত হয়, পাথুরিয়া কয়লার উৎপত্তি প্রায় তদ্রুপ। কত যুগ যুগান্তর হইল বড় বড় জঙ্গল মাট ঢাকা পড়িয়ছে,ঢাক৷ পড়িয়া অকৃষিজেনের প্রভাবে ক্রমে পাথরের মত কয়লা হইয়া গিয়াছে। (পাথুরিয়া কয়লা দেখ] । কাঠের কয়লা ও পাথুরিয়া কয়ল বিশুদ্ধ অঙ্গার (Carbon ) নহে। কাষ্ঠাদি পুড়িয়া যে ছাই পড়ে, তাহী ক্ষার প্রভৃতি পার্থিব পদার্থ। তাপ লাগিলে কাঠের বিশুদ্ধ। অঙ্গারের ভাগ অন্নজা সহযোগে অঙ্গারক বাপ (Carbon dioxide or "Carbonic acid gas) gÈM Efyw যায়। অতএব দেখা যাইতেছে, জল পুড়িয়া জলীয় বাষ্প (Steam ) এবং অঙ্গার পুড়িয়া অঙ্গারক বাম্পের উৎ- , পত্তি হয়। জলীয় বাণ শীতল হইল মেৰও জল হইতে থাকে। অঙ্গায়ক ৰাষ্পকে, বৃক্ষাদি নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করিয়া মঙ্গার খাছিয়া লয় এবং অন্নজা ত্যাগ করে। এই আলারে ক্ষীি পুষ্ট হইয়া থাকে। পরে জঙ্কান্ত পদার্ষের