পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবদ শবলিত (ত্রি) মিশ্রিত বর্ণবিশিষ্ট। কবু রবর্ণযুক্ত। ( ब्लॉछठद्ग" २t४७१) শবলী (স্ত্রী) শবগ-ভীৰু। শবলবর্ণ। গাভী। ( অমর ) শব্দ, ১ শত্রুতি, শস্ত্রকরণ, শশ। ২ ভীষণ ॥ ৩ আবিষ্কার। চুয়াদি পরীক্স অফ সেট, লট শয়তি। লুঙ, অশশৱং। শব্দ (পুং, শব্দ-ঘঞ ভাবে যা শপ আক্রোশে ( শাশপিভ্যাং দুদনে। উণ ৪৯৭ ) ইতি ধনু পকারস্ত বকার: শ্রোড়গ্রাহ গুণপদার্থবিশেষ। পর্যায়,--নিনাদ, নিনদ, ধ্বনি, ধান, রব, স্বন, স্বান, নিঘোষ, নিৰ্হা, মাধ, নিঃস্বান, নিঃস্বন, আরব, আরাব, সংরাব, বিরাব, ( অমর ) সংরব, রাব, ( শব্দচ" ) ঘোষ । ( জটাধর ) ধ্বন্ত যুক ও বর্ণাত্মক ভেদে শব্দ দুই প্রকার। মৃদঙ্গাদির শব্দকে ধ্বষ্ঠাত্মক এবং কণ্ঠতাবাদ্যভিঘাতজন্ত ক, খ ইত্যাদি শব্দ বর্ণাত্মক বাগয় প্রসিদ্ধ ; উভয়বিধ শব্দই আকাশ হইতে উৎপন্ন হয় এবং যখন শ্রোলেন্দ্রিয়ের সহিত উছার অভিযোগ १:B, তখন অবিকৃত শ্রোত্রেন্দ্ৰিয়বান জীবমাত্রেই উছার অর্থবোধ করিতে পার্ক বা ন পারুক কেবল শব্দটা অবখ্য অমুভব করিতে পারে ; ফলে যাবৎ শূন্ধের সহিত শ্রোত্রেঞ্জিয়ের অভিযঙ্গ না ঘটে, তাধৎ উহার উপলব্ধি হয় না ; এ কারণ আমরা অতি দুরবস্তু শব্দ শুনিতে পাই না, কিন্তু বর্তমান পাশ্চাত্য বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণের কৃপায় ‘টেলিফোন প্রভৃতি যন্ত্রের সাহায্যে নিরতিশয় বেষ্ট শব্দসকলও শ্রোঞ্জেস্ক্রিয়গত হওয়ায় আমরা এক্ষণে বিশদরূপে উচ্চার অনুভব করিতে পারি। শ্রোত্রোস্ত্রয়ে শব্দের বিকাশ সম্বন্ধে নৈয়ায়িকগণ বলেন— মৃদঙ্গাদি বা কণ্ঠতাম্বাদিতে অভিঘাত জন্ত তএত্য নভঃ প্রদেশে উৎপন্ন শব্দ বীচি ওরঙ্গগুয়ে অর্থাৎ যেমন কোন স্থানের জলে বায়ু কর্তৃক একটা তরঙ্গ উৎপন্ন হইলে ক্রমে তাহারই ঘাতপ্রতি ঘাতে বহুদুর পয্যন্ত তরঙ্গায়িত হয়, মৃদঙ্গাদিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদ আঘাতজষ্ঠ উৎপন্ন শব্দগুলিও বায়ুভরে ক্রমশঃ উত্তরোত্তর উক্তরূপ তরঙ্গাকারে শ্রবণেন্দ্ৰিয় পৰ্য্যন্ত পৌছয়। তাহাতে প্রতিহত হওয়ায় তথায় উহাদের বিকাশ হয়। কাহার কাহার মতে কদম্বগোণক স্তায়ে অর্থাৎ মৃদঙ্গাদিতে প্রথম দ্বিতীয়াদি আঘাতজষ্ট ক্রমশঃ উৎপন্ন শব্দ গুলির সেই প্রথম উৎপত্তি স্থানকেই কদম্বপুষ্পের স্থায় গোলাকার বস্তুর কেন্দ্রস্বরূপ এবং তীয় কেশরগুলির স্থায় উক্ত কেন্দ্রোৎপন্ন শ? বা তাহার গত ব্যাসদ্ধি স্বরূপে চতুর্দিকে বক্ষিপ্ত হয়, এই বিক্ষেপকালে যে যে স্থলে এ শব্দ বা তাহার গতির সহিত * প্রোয়সংযোগ হয়. তত্তৎস্থানেই উইদের বিকাশ দেখা যায়। “শৰ্ব্বে ধ্বনিশ্চ বর্ণশ্চ মৃদঙ্গাদভবে ধ্বনিঃ । কণ্ঠসংযোগাজিন্ত। বর্ণাস্তে কাদয়ে৷ মতাঃ ॥ [ ১৯e - } শকা সৰ্ব্ব শব্দে নভোকৃত্তিঃ শ্রোত্রোৎপন্নত্ত্ব গৃতে ॥ বীচিন্তরঙ্গগুয়েন তছুৎপত্তিস্ত কীৰ্ত্তিত । কদম্বগোলকন্যাঙ্গা পত্তিঃ কস্তচিন্মতে ॥” ( ভাষাপরি" ) শম্বো নিত্যঃ” এই শ্রুতির মৰ্ম্মে কেহ কেহ বলেন, “ঞ্জোত্রোৎপন্নপ্ত গৃহতে” উৎপন্নঃ কে বিনষ্ট কং” ‘ক’ উৎপন্ন । হুইয়াছে 'ক' বিনষ্ট হইয়াছে ; এই সকল প্রয়োগ কিরূপে সম্ভব হয় অর্থাৎ শূদ্বমাত্রেই যখন নিত্য, তখন কিছুতেই তাছাদের উৎপত্তি বা বিনাশ হুইতে পারে না, তবে যে সকল স্থলে এইরূপ ব্যবহার দৃষ্ট হয়, তথায় অনিত্যতা বুদ্ধিতেই হইন্স থাকে ; আর প্রস্ত্যভিজ্ঞাস্থলে যে, "সোহয়ং ক?” সেই এই “ক” এইরূপ ব্যবহৃত হয়, তথায় কেবল “ইহা সেই ঔষধ” (অর্থাং আমি যে ঔষধ ব্যবহার করিয়াছিলাম, এটা তৎ স্বজাতীয় ঔষধ) এইরূপ সাগত্য অবলম্বন করিয়াই উটার অথনিষ্পত্তি করিতে হয় । বস্তুত: সেই এই ক’ ‘সেই এই ঔষধ ইত্যাদি স্থলে আপাততঃ শব্দের নিত্যত্ব প্রতীতি হইণেও প্রত্যভিজ্ঞাকালে উহাদের মজাতীয়ত্বই গৃহীত হইবে, তাহাতে ব্যক্তির (পূৰ্ব্বোচ্চারিত 'ক' বা পুৰ্ব্ব ব্যবহৃত ঔষধের ) অভিন্নতার উপলব্ধি श्इं८६ न । “উৎপন্ন কো বিনষ্ট: ক ইতি বুদ্ধেরনিভ্যতা। সোহয়ং ক ইতি বুদ্ধিস্তু সাজাত্যমবলম্বতে । তদেবেষধমত্যাদে সজাষ্ঠীয়েইপ দর্শনাং ["(ভাষাপরিচ্ছেদ) ‘নয় শব্দন্ত নিতত্বছি পত্তিঃ কথমত আহ । উৎপন্নঃ কে বিনষ্ট: ক ইতি বুদ্ধেরনিত্যত ইতি। প্রত্যয়শালিত্বদনিত্যত্বমিতjর্থঃ । প্রত্যভিজ্ঞানাচ্ছ%ানাং নিত্য সং । শদালামুৎপাদবিনাশগল্প স এবয়ং ককার স্থ ভ্যাদি ঠথধেগংপধাবনাশবুদ্ধএমরূপী চেতাত আহ, সেইয়ং ক ঠত বুদ্ধিস্থ সাজাতlমবলম্বতে | তদেধৌষধমত্যাদেী সঙ্গাতীয়েইপ দশনাদিতি । অত্র প্রত্যভিজ্ঞানত তৎসজাতীয়ত্বং বিষয় । নতু তদ্ব্যক্ত্যভেদে বিষয়: উক্তপ্রতীতিবিরোধাং ইখঞ্চ দ্বয়োরপি বুদ্ধোন সমভূমিতি নয় যজাতীয়ত্বং যোহমিতি প্রত্যভিজ্ঞাঃাং ভাষতে ছড়ি কুর দৃষ্টমত্যত আই তদেবেতি । যুদৌষধং ময় কৃতঃ তHেবাষ্টেমাপি কৃতামত্যাদি দৰ্শনাদিতি ভাব: (সিদ্ধান্তমুক্তাবলী ) চরকের বিমান স্থানে বর্ণাত্মক শব্দকে চাৰ্বিভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে ; যথা- দৃষ্টাৰ্থ, অদৃষ্টার্থ, সত্য ও অমৃত । ক্রমশঃ ইহাদের উদাহরণ প্রদত্ত হইতেছে— দৃষ্টাৰ্থশব্দ–“এভির্হেতুভিদোষা: প্রকুপস্তি” "ষড় ভিরুপক্রমৈশ্চ প্রশামস্তি” অসাষ্মোক্রিয়ার্থ সংযোগ, প্রজ্ঞাপরাধ ও পরি. ৭াম এই তিনট কারণে বাঙাদিদোষের প্রকোপ হয় এবং লঙ্ঘন বুংহণাদি প্রক্রিয়া দ্বারা - সকল দোষ শমত। প্রাপ্ত হয়। এই উক্তির ফল সৰ্ব্ব দেখা যায় বলিয়াই উহাদিগকে দৃষ্টার্থশ বলে।