পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শালি শালাবত (পুং ) শলাবতের গোত্রাপত্য। শালাবত্য (পুং ) শালাবতের গোত্রাপত্য। ২ শীলাবত দেশের १tं । শালবৃক পুং ) শালায়াং গৃছে শাখায়াং বা বৃক ইব। ১ বানর। ২ কুকুর । ৩ শৃগাল। প্রসহজাতীয় শৃগাল বিশেষ, কেউ । ( অমর ) ৪ মৃগ । ( শঙ্করত্না” ) ৫ বিড়াল । ( রাজনি• ) শালস্থলি (পুং ) শালস্থলবাসী রমণী। শ:লি (পুং ক্লী) শৃণাতীতি শৃ-বাহুলকাৎ ইঞ, রপ্ত লভূং। কলমাদি ধান্ত, যষ্টিকাদি ধান্ত, হৈমস্তিক ধান্ত । চলিত আমন ধান । দেশভেদে ইহার নানাপ্রকার ভেদ আছে। বৈদ্যকে ইহার নাম ও লক্ষণাদির বিষয় এইরূপ লিখিত আছে— , “শালিধান্তং ত্ৰাহিধান্তং শূকধান্তং তৃতীয়কম্। শিষ্ট্ৰীধান্তং ক্ষুদ্রধান্তমিত্যুক্তং ধান্ত পঞ্চকম্। কগুনেন বিনা শুক্ল হৈমন্তাঃ শালয়ঃ স্মৃত: ॥” (ভাবপ্র” ) শালিধান্ত, স্ত্রীহিধান্ত, শূকধান্ত, শিন্ধিধান্ত ও ক্ষুদ্রধান্ত এই পাচ প্রকার ধtষ্ঠ । এই সকল ধান্তের মধ্যে যে সকল ধান্ত হেমন্তকালে উৎপন্ন এবং কগুন অর্থাৎ ছাটন ব্যতীত শ্বেতবর্ণ হয়, তাহাকে শালিধান্ত কহে । এই শালিধান্ত যথা—রক্তশালি, কলম, পাণ্ডুক, শকুনাহত, সুগন্ধক, কর্দমক, মহাশালি, দুখক, পুষ্পাণ্ডক, মহিষমস্তক, দীর্ঘশুক, কাঞ্চনক, হায়ন ও লোগ্ৰপুষ্পক প্রভূতি । দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের শালিধান্ত আছে । ইহার সংস্কৃত পর্য্যায়—মধুর, রুচা, ব্রীহিশ্রেষ্ঠ, নৃপঞ্জিয়, ধান্তোত্তম, কেদার, সুকুমারক। কোন কোন পুস্তকে মধুর স্থানে কলম পাঠ দেখিতে পাওয়া যায় । গুণ—মধুর, কষায়ুরস, স্নিগ্ধ, বলকারক, মলকাঠিন্ত ও মলের অল্পতাকারক । লঘুপাক, রুচিকারক, স্বরপ্রসাদক, শুক্রবদ্ধক, শরীধের উপচয়কারক, ঈষৎ বায়ু ও কফবৰ্দ্ধক, শীতবীৰ্য্য, পিত্তনাশক এবং মূত্রবদ্ধক । স্থানবিশেষে উৎপন্ন শালিধান্তের গুণও ভিন্ন প্রকার হইয়া থাকে। দগ্ধভূমিজাত শালি—কষায়য়স, লঘুপাক, মলমুত্রনিঃসরিক, রুক্ষ এবং কফনাশক । ক্ষেত্রকর্ষণ করিয়৷ ধান্ত বপন করিলে যে ধান্ত উৎপন্ন হয়, তাহ বায়ু ও পিত্তনাশক, গুরু, কফ ও শুক্রবদ্ধক, কষায়রস, মলের অল্পতাকারক, মেধাজনক এবং বলবদ্ধক । অকৃষ্ট ভূমিতে স্বভাবতঃ আপন আপনি যে ধান্ত উৎপন্ন হয়, তাহা ঈষৎ তিক্ত সংযুক্ত, মধুর, কষায় রস, পিত্তয়, কফ, নাশক, বায়ু ও অধিবদ্ধক এবং কটু ও বিপাক । বাপিতশালি-যে শালিধান্ত একবার উৎপাটন করিয়া পুনরায় বপন করা যায়, তাছাকে বাপিতশালি কহে । ( రిe 1 শালিক এই ধান্ত মধুর, কথায়রুস, শুক্ৰবৰ্দ্ধক, বলকারক, পিত্তয়, কফবৰ্দ্ধক, মলের অল্পতাকারক, গুরু এবং শীতবীৰ্য্য। অবাপিত শালি বাপিত অপেক্ষ কিঞ্চিৎ হীন গুণযুক্ত । রোপিতশালি-বোনাশালি উৎপাটন করি রোপণ কৰিলে যে ধান হয়, তাছাকে রোপিতশালি কহে। ইং নুতন অবস্থায় শুক্রবদ্ধক এবং পুরাতন হইলে লঘু। অতিরোপ্যাশালি-রোপ্যাশালিকে উৎপাটন করিয়া বপন করিলে ধে ধান হয়, তাহাকে অতিরোপ্যাশালি কহে। ইহা রোপ্যাশালি অপেক্ষা অধিক গুণযুক্ত ও লঘুপাক । ছিন্নরূঢ়াশালি-শীতবীৰ্য্য, রুক্ষ, বলকারক, কফনাশক, মলরোধক, ঈষৎ তিক্তসংযুক্ত, কবার রস এবং লঘু। শালি ধান্তসমূহের মধ্যে রক্তশালি সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । এই ধান্ত বলকারক, ত্রিদোষনাশক, চক্ষু-হিন্তকয়, মূত্রবদ্ধক, স্বরপ্রসাদক, শুক্ৰবৰ্দ্ধক, অগ্নিকারক, পুষ্টিজনক, পিপাস, জার, ব্রণ, শ্বাস, কাস ও দাহনাশক । মহাশালি প্রভৃতি রক্তশালি অপেক্ষা অল্প গুণযুক্ত। (ভাবপ্রকাশ ) - বাভট মতে-শালিধান্তের ভিন্ন ভিন্ন নাম-শালি, মহাশালি, কলম, তুর্ণক, শকুনাহত, সারামুখ, দীর্ঘশূক, রোধপূক, মুগন্ধক, পতঙ্গ ও তপনীয় এই সকল শালি নির্দোষ । গুণ—স্নিগ্ধ, বলকর, কষায়, লঘু, পথ্য, শীতল ও মূত্রবদ্ধক। (বাডট স্বত্রস্থ ৬ অ' ) স্বপ্রীতমতে নাম-শালি, কলম, সুগন্ধক, শকুনাম্বত, মহাশালি, শীত ভীরুক, রোধ পুষ্পক, মহিষমস্তক, কর্দমক, পাণ্ডুক, মহাদুৰ্যক, গুম্পাওক, পুওৱীক, কাঞ্চনক, দীর্ঘশূক, হায়নক, দূষক, মহাদুষক । (সুশ্রুত স্বত্রস্থ ৪৬ অ' ) রাজনির্ঘণ্ট মতে শালি ধান্ত দশ প্রকার । “রাজান্নষষ্টিকলিতে তরর কুমুওস্থলাণুগন্ধনিরাপাদিকশালিসংজ্ঞাঃ । ব্রাহিস্তখেতি দশধা ভুবি শালয়স্থ্যস্তেষাং ক্রমেণ গুণনামময়ং ব্ৰবীমি ॥" ( রাজন” ) [ ধান্ত শব্দে বিশেষ বিবরণ দ্রষ্টব্য । ] ২ গন্ধমৃগ, চলিত গন্ধগোকুল। (ত্রিকা” ) ৩ কৃষ্ণজীরক । (রাজনি" ) ও রসালেফু, অতিশয় রসফুক্ত ইক্ষু। (বৈদ্যকনি” ) ৫ পক্ষী । ( উণ ৪১২৭ উজ্জ্বল ) শালি ( দেশজ ) গুলিকা শব্দের অপভ্রংশ, পত্নীর ভগিনী। শালিআন ( পারসী ) বাৎসরিক, যথা শালিআন খাজনা, এক বৎসরে যে খাজনা দিতে হয় । শালিক ( দেশজ ) পক্ষিবিশেষ, শালিক পাখী, শুক পক্ষী । শালিক ( পুং ) স্বনামপ্রসিদ্ধ ক্ষুদ্রকায় পক্ষিবিশেষ Turdus ৪alica) । শালিক, গাঙ্গ-শালিক ও গুয়ে-শালিক নামে