পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখ [ ৩৫৯ ] નિર - বলিলেন, অহিংসা বা সৰ্ব্বজীৰে সমদয়াতাৰই সার সত্য ও শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম। ঈশ্বর এক, তিনি বহু হইতে পারেন না। বিভিন্ন লোক ৰিভিন্ন সময়ে সাধারণকে বুঝাইতে র্তাহাকে বহুধা বিভক্ত করিয়াছেন । এই কারণেই দেশে ৰিভিন্ন ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় ও জাতির পৃষ্টি ঘটিয়াছে। আমরা যখন এক পরম পিতার সন্তান, তাহারই উপাসনা আমাদের কর্তব্য, সুতরাং পরম্পরের জাতিভেদ লষ্টয়া বিরোধসূচনা কদাচ কর্তব্য নহে। পুরাণ ও কোরাণের ধৰ্ম্মদ্বেবন্ত পরিত্যাজ্য ; উক্ত গ্রন্থদ্বয়ে ধৰ্ম্মজীবনের বহু উপদেশ আছে তাঙ্গ সৰ্ব্বাত্তঃকরণে গ্রাহ্য । নানক ঐ সকল গ্রন্থ হটতে ধৰ্ম্মনীতি সংগ্ৰষ্ঠ করিয়া ভারতবাসী হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্ভাৰস্থাপনে প্রয়াস পান । এই কারণে নানকেল ধৰ্ম্ম তৎকালে পঞ্জাববাসী জন সাধারণের নিকট উপৰোগী বলিয়া বোধ হইয়tfছল। মুসলমানগণও র্তাহার মত গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। কারণ র্তাহার মতে এক ব্ৰহ্মই উপাস্ত, দ্বিতীয় ঈশ্বর নাই। বেদান্তশাস্ত্রের উহাই সারভর। এষ্ট কারণে নানক ফকির বা ভিক্ষু ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। তাহার ফকির বেশ তৎকালীন মুসলমান প্রভাবের ফল। নানক বলিতেন, মনুষ্য মৃত্যুর অধীন ; সুতরাং তাহাতে পাপম্পৰ্শ অবশুম্ভাবী। তিনি পাপী মানবকে সত্যপথের পথিক হইতে উপদেশ দিতে আসিয়াছেন। তিনি অবতার বা প্যাগম্বর নহেন। পূৰ্ব্বোক্ত মহাপুরুষগণের দ্যায় এই নবতত্ত্ব তিনি ঈশ্বরের নিকট প্রাপ্ত ছন নাই । ইহা সৰ্ব্বণাস্ত্রপ্রণোদিত দ্যায়ধৰ্ম্ম এবং মনীষিগণপ্রবর্তিত। নানক বলিতেন, একমাত্র ভগবানই সৰ্ব্বময় কর্তা— “তুছে নিরহঙ্কার কর্তার, নানক বান্দা তেরা ।” তিনি ব্যতীত জীবের মঙ্গলামঙ্গল সাধনে কেহই সমর্থ নহেন। তিনি আত্মার দেছাস্তর প্রাপ্তি ও পাপক্ষয়ে পরমাত্মায় গতি স্বীকার করিতেন । [ অপরাপর বিবরণ নানকশব্দে দ্রষ্টব্য । ] নানকের মৃত্যুর পর তাছার দেহ লইয়া হিন্দু ও মুসলমান শিষ্যগণের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হয়। হিন্দুর শব দাহ করিতে এবং মুসলমানগণ কবর দিতে চেষ্টা পান । এই স্থত্রে উত্তর দলে যুদ্ধের উপক্রম হয়। অবশেষে বিজ্ঞতম শিষ্য সম্প্রদায়ের বিচারে পরম্পরের বিবাদভঞ্জনের জন্ত তাহার দেক জলে ভাসাইবার প্রস্তাব হয় । তখন সকলে ধাইয়া দেখে দেহ নাই, কেবল মাঞ্জ শয্যা ও গাঞ্জবন্ত্র পুষ্পাচ্ছাদিত রহিয়াছে। তখন মুসলমান শিষ্যের উক্ত গাত্র বস্ত্রের অদ্ধাশ কবর দিয়া এবং হিন্দুর অপরাদ্ধ জাছ করিয়া তাহার সৎকার কার্য্য সমাপন করেন । র্তাহার প্রতিষ্ঠিত কৰ্ত্তাপুরে শিষ্যগণের যত্নে তাহার সমাধিমন্দির স্থাপিত হয় । নানকের অভিপ্রায়ানুসারে তাহার প্রধান শিষ্য লংন্ম ( »4०8 १ः छन्द्र ) १ि५ गच्थनांtग्नब्र श्वक्र?tन जफिक्खि हन । এক সময়ে নানক লছনাকে আলিঙ্গন দিয়া বলিয়াছিলেন, আমার আত্মা তোমাতে প্ৰবেশ করিল এবং ভূমই আমার জন্ম বলিয়া বিবেচিত হইলে । শিখ সম্প্রদায়েরও বিশ্বাস নানকের আত্ম তাহার অঙ্গে প্রবেশ করিয়াছেন। এই কারণে তিনি গুরু অঙ্গদ নামে আখ্যাত হন। গুরু অঙ্গদ শিখ গুরুপদের উপযুক্ত পাত্র। তিনি ধৰ্ম্ম ও স্কারবান ছিলেন এবং স্বহস্তে মুজতৃণ হইতে রজ্জ, প্রস্তুত করিয়া স্বীয় জীবিক উপার্জন করিতেন। র্তাহাকে গুরুপম্বে অধিষ্ঠিত করিয়া গুরু নানক স্ববুদ্ধি ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়াছিলেন। ইছাতেই শিখ সম্প্রদায়ের একতা-ভিত্তি ও স্থায়িত্ব বদ্ধমূল হইয় ছিল । নানক-শিষ্য মাত্রই ঐ সন্মানভাজন পদের আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ে পোষণ করিয়াছিলেন । গুরু অঙ্গদ পুৰ্ব্বে জালামুখী তীর্থস্থ দেবী মূৰ্ত্তির উপাসক ছিলেন এবং প্রতি বৎসর পদব্রজে উক্ত তীর্থে গমন করিয়া দেবীপূজা করিতেন। গুরুপদে আসীন হষ্টয়া তিনি নানকের প্রবর্তিত একেশ্বরবাদের পোষকতা করিতে লাগলেন। নিজের বিদ্যা বুদ্ধি প্রখর না হইলেও ধৰ্ম্মবুদ্ধিবলে অঙ্গদ বাবা নানকের প্রৰৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মনীতি শিক্ষা করিয়া শিখধৰ্ম্মবিস্তারে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনি নানকের জীবনী ৰ্যতীত, স্বীয় ধৰ্ম্মচৰ্য্যার ফলস্বরূপ কতক গুলি ধৰ্ম্মনীতি গ্রন্থ মধ্যে সন্নিবেশিত করেন । শেষ জীবনে অঙ্গদ শিখধৰ্ম্মের কেন্দ্রভূমি ডেরা-বাবা-নানক পরিত্যাগ করিয়া স্বীয় জন্মভূমি খাণ্ডুর গ্রামে চলিয়া আসেন। এখালে ১৫৫২ খৃষ্টাৰে তাছার জীবন্মুক্ত ঘটে। অঙ্গর প্রায় ১৫শ বর্ব গুরুপদে থাকিয়া শিখ-সম্প্রদায়ের শিষ্য সংখ্যা বৃদ্ধি করিয়া যান। তিরোধানকালে অঙ্গদ স্বীয় প্রিয় অমুচর বিশ্বস্ত শিষ্য আমরদাসকে গণীর উপযুক্ত পাত্র নির্বাচিত করেন। গুরু অঙ্গদে যে শিক্ষা ও বিজ্ঞানবুদ্ধির অভাব ছিল, অমরদাসে তাছ। সৰ্ব্বতেভাবে বিদ্যমান ছিল এবং আমরদাস গুরুপদের উপযোগী নৈতিক সাংস ও ধৰ্ম্মপ্রাণতায় পরিপূর্ণ ছিলেন। তিনি ১৫০৯ খৃষ্টাম্বে অমৃতসর জেলার বাস কী গ্রামে ভল্ল বংশীয় ক্ষত্রিয়কুলে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায়, বাল্যকালে অমরদাসের বিশেষরূপ শিক্ষালাভ হয় নাই । তিনি সামান্ত পণ্যঞ্জৰা ক্রয় করিয়া গ্রাম হইতে গ্রামাস্তরে বাষ্টয় তাহী ৰেচিয়া লাভের ংশ হইতে স্বীয় জীবিকা নিৰ্ব্বাহ কল্পিতেন । এই অবস্থায়ই ফকিরুদিগের প্রতি র্তাহার আসক্তি জন্মে এবং তদন্থসারে তিনি খাদুর গ্রামে আলিয়া অঙ্গদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । এখানেও তিনি শ্বোপঞ্জিত অর্থ ভিন্ন গুরু ভাগুfর হইণ্ডে কোসরূপ সাহায্য গ্রহণ করিতেন না । তাছার আচার্য্যের প্রতি ভুক্তি ও