পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিথী [ ৩৬২ ] fնi« হইতে পিতার তরবারি পাইয়। তেগ বাহাদুরের শৌর্ঘ্য বীৰ্য্য জাগিয়া উঠে। প্রথমে তিনি দম্যতা করিয়া অর্থ সংগ্ৰছ করিতে थांटकन । यहें नभtब्र श्राभभ शकिङ नाभक (धकछन भूगणमान ফকির তাeার দলে আসিয়া যোগ দেন। গুরু যেমন ধনবন হিন্দু পরিবারের নিকট হইতে দম্যতা বা বলপূৰ্ব্বক অথবা বার্ষিক কর আদায় করিতেন, মুসলমান ফকির হাফিজও সেইরূপ মুসলমানগণের নিকট হইতে অর্থ আদায় করিয়া শিথ সম্প্রদায়ের বলবৃদ্ধি করিতে থাকেন। এই সময়ে পলাতক অনেক মোগলসৈনিক তাহার দলে আসিয়া আশ্রয় পায়। ইহাতে সম্রাটু কুপিত হইয়া গুরুকে দিল্লীতে ধরিয়া জানান এবং ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে সম্রাটের আদেশে ঠাছাকে বধ করা হয় । তেগ বাহাদুর যখন দিল্লীযাত্র করেন, তখন স্বীয় পুত্র গোবিন্দ সিংহকে হরগোবিনোর তরবারি দি বলিয়া যান, “এই নিদর্শন যেন তোমার পিতামহের বীরত্বগৌরব অক্ষুণ্ণ রাখে এবং তুমি যেন আমার মৃত দেহ দিল্লী হইতে আনিতে সমর্থ হও।” গুরু গোবিনসিংহ গদী লাভ করিলেন বটে, কিন্তু রামরায়ের অনুগত শিখগণ এ সম্বন্ধে অভিমত প্রকাশ না করিয়া তাঙ্গার শক্ৰতাচরণে প্রবৃত্ত হলেন। গুরু-গিরিতে এই বিভ্ৰাট, দেখিয়া গোবিন'সংহ যমুনা তীরস্থ পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে যাইয়া ধনুৰ্ব্বাণ শিক্ষা করতে থাকেন। এখানে ব্যাঘ্র ভল্ল কাদি বস্ত পণ্ড শকার করিয়া তাছার লক্ষ্য স্থির হয় । এই সময়ে তিনি হিন্দী ও পারস্ত ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন, সংস্কৃত সাহিত্যেও তাঙ্গর কতক জ্ঞান জন্মিয়াছিল। নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া তিনি ৩৫ বৎসর বয়সে শিখসম্প্রদায়ের সংস্কারকল্পে হিন্দুর জাতিভেদ লোপ, বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীকে শিখধৰ্ম্মে গ্রহণ, সমগ্ৰ শিখ সম্প্রদায়ের শঙ্কধারণ, শিখদিগের ধনসঞ্চয় ও স্বধৰ্ম্মের পোষক সদনুষ্ঠান সাধন, শিখ মাত্রেরই পরম্পরে সমতা জ্ঞান প্রভৃতি কতকগুলি নিয়ম প্রবর্তন করেন । এইরূপে গুরুগোবিন হইতে নানকের অহিংসামূলক সাত্বিক ধৰ্ম্মের সহিত দেশহিতকর বীর ধৰ্ম্মের সংমিশ্রণ হওয়ায় শিখদিগের শৌর্যবীৰ্য্য অধিকতর উদ্দীপ্ত হইয়াছিল। মোগলহস্তে পিতার ঘৃণিত নিধনবার্তা অবগত হইয় তাহার পূৰ্ব্ব প্রতিশ্রুত প্রতিজ্ঞ স্বরণ হইল। তিনি স্বজাতিপক্র প্রত্যেক মুসলমানকেই আপনার শত্রু বলিয়া জ্ঞান করিতে লাগলেন এবং যাহাতে এ পিতৃহস্তার প্রতিশোধ লষ্টতে পারেন, তদ্বযয়ের উপায় চিন্তায় ব্যাপৃত রহিলেন। এ রূপে মুসলমান শক্রর উচ্ছেদ সাধনে বদ্ধপরিকর হইয়। গোবিনসিংহ একদিন শিখদিগকে পবিত্র দ্রব্য স্পর্শে দিব্য কয়াইলেন যে, তাহারা বীরের স্থায় মোগলের বিরুদ্ধে গুরুহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করিবেন। এই উদ্দেপ্ত সাধনের জন্ত তিনি নৈনাদেবী নামক শৈলশিখরে দুর্গামূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া শক্তি দেবীর আরাধনা করেন। পূজান্তে নরবলি দিবার ব্যবস্থা হয়। ঐ সময়ে তিনি পুনরায় শিখদিগের দীক্ষার "পাল" পাঠ করার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন এবং তাছায়ই কথানুসারে শিখগণ খালস। নামে খ্যাত ও সিংহ উপাধিতে ভূষিত হন। এই সময়ে তিনি শিখদিগকে আরও জানাইয়াছিলেন যে, কাল্পী, কাছ, কৰ্দ্দ ( ছুরি ), কেশ ও কৃপাণবর্জিত ব্যক্তি কখনই প্রকৃত ও ভক্ত শিখ বলিয়া গণ্য হইবে না । 轟 শিথদিগকে এইরূপে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ করিয়া গোবিলসিংহ শিথদিগের মধ্যে আদেশ প্রচার করিলেন যে, যাহার। নানকের শিষ্য সেই সকল ভক্ত শিখবীরগণ অচিরে আমাকে দর্শন করিতে আসিবে এবং যাহাদের পরিবারে চারিজন পুরুষ আছে তাহার অন্ততঃ পক্ষে দুইজনকে দেশের ও গুরুর সেবায় নিযুক্ত করবে। এই আদেশ পাইবার একপক্ষ মধ্যে প্রায় ৮৯ হাজার শিখ তাহাকে দর্শন করিতে মখোবাল গ্রামে সমবেত হষ্টলেন । তখন তিনি তাহাদিগকে স্বীয় উদ্দেশু জ্ঞাপন করিলেন এবং সেই শিখদিগকে সেনাদলে বিভক্ত করিয়া যমুনা ও শতদ্রুর স্থানে স্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রক্ষার ব্যবস্থা করিলেন। এই সময়ে নীহন, ইন্দোর ও নালগড়ের রাজগণ তাছার সহিত শক্ৰতায় প্রবৃত্ত হইলেন, কিন্তু অচিরে তাহার হস্তে র্তাছার হতবল হইয়াছিলেন । স্বয়ং গোবিন্দসিংহ নালগড়াধিপতি হরিচাদকে স্বহস্তে নিহত করিয়াছিলেন । কস্থলুর পতি ভীমচাদ ও অপরাপর কএকজন পাৰ্ব্বতীয় সামঞ্জরাজ শিখগুরুর আদেশে মোগল সরকারে রাজকর দিতে অস্বীকার করিলে মোগল-শাসনকর্তা তাহাদিগকে দমন করিতে সেন প্রেরণ করেন। এই যুদ্ধে শিখদ্বিগের হস্তে মুসলমান সৈন্য পরাজিত ও সম্পূর্ণরূপে বিপৰ্য্যস্ত হইয়াছিল। মুসলমান সেনার পরাজয় সংবাদ পাইয়া মোগল-সম্রাটু অরঙ্গজেব লাহোরের শাসনকর্তা জবরদস্ত থ" এবং সরহিন্দের শাসনকৰ্ত্ত সামস উদ্দীনকে শিখগুরুর বিরুদ্ধে সদলে অগ্রসর হইতে আম্বেশ করেন। বহুদিন যুদ্ধের পর, মখোবাল দুর্গে গুরুজী সদলে অবরুদ্ধ হইলেন। যখন সমস্ত রসদ ফুরাইয়া আসিল, তখন গুরুজী ৪• জন বিশ্বস্ত অম্লচর সঙ্গে লইয়া চামকোর দুর্গে আশ্রয় লইলেন । এখানে স্বল্প মাত্র সেনা লইয়া তিনি মোগল সেনাপতি নাহয় ষ ও খাজা মহম্মদকে স্বহস্তে নিহত করেন । অপরিমিত মোগল-বাহিনীর ৰিৰুদ্ধে স্বল্পসংখ্যক শিখসেন ইয়া প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ অসম্ভব জানিম্ন রাত্রির অন্ধকারে শিবির ত্যাগ করিয়া পলায়ন করেন ।