পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] ৩৬৩ [ איf পলায়নসংবাদ পাইয়া মোগল সৈন্ত তাহার পদামুসরণ काव्र, किड़ नाम श1 ७ श्र१ि४ मांभरू उनैौग्न अश्शङ झहे •ा?ाएनम्न जाश्रया डिनि रुरु एणाणभूहन्न बौग्न प्राञ्जनौ विक्रक পীর মহম্মদের ভবনে আশ্রয় পাইলেন। গোপনবাসে কিছুকাল মান কষ্ট ভোগ করিয়া গুরুগোবিন্দ ভাতিওীর জঙ্গলে উপনীত ছইলেন। এখানে বহুসংখ্যক শিখ পুনরায় তাঙ্গর সহিত মিলিত হইল। শিখালে পরিবৃত হইয় গুরুগোবিন্দ কিছুকাল রায়পুর ও কঙ্কলুর গ্রামে বাস করিয়া স্বাস্থ্য ও বল সংগ্ৰহ করিয়া ফিরোজপুর জেলার মুক্তেশ্বর গ্রামে আসিয়া দেখা দিলেন । মোগলসৈদ্যের ভয়ে যে সকল শিখযোদ্ধ গুরুর পক্ষত্যাগ করিয়া পলায়ন করি ছিল, তাহারাও এখানে আসিয়া যোগ দিল । দেখিতে দেখিতে প্রায় স্বাদশ সংস্র পদাতিক ও অশ্বারোহী শিখ সৈন্য তাহার ছত্রতলে সমাসীন হইল । সরহিন্দের শাসনকৰ্ত্তা এই সংবাদ পাইয়া শিখদিগের বিরুদ্ধে ৭ হাজার মোগল-সৈন্ত প্রেরণ করেন। মুকেশ্বরে উভয়পক্ষে যুদ্ধ হয় এবং মোগল-সৈন্ত পরাভব স্বীকার করে। গুরুগোবিন্দ অধীনস্থ শিখসেনাদিগকে আশ্বস্ত করিয়া তাহদের বিজয়কীৰ্ত্তি স্থাপনের জন্ত ঐ রণক্ষেত্রে একটা সুদীর্ঘ দীর্বিক খনন করান। ঐ পুষ্করিণীর নাম মুক্তেশ্বর রাখা হয় । শিখদিগের বিশ্বাস, যে ব্যক্তি ঐ পুষ্করিণীতে স্নান করে, তাহীর অক্ষয় স্বৰ্গলাভ হয়। মাঘমাসে ঐ যুদ্ধ সংঘটিত হয় বলিয়া প্রতিবৎসর সেই বিজয়ঘটন স্মরণার্থ এখানে মাখমাসে একটী মেলা হয়। ঐ সময়ে সমগ্র পঞ্জাবৰাসী শিখগণ এখানে সমবেত হইয় থাকেন । অতঃপর গুরুগোবিন্দ কিছুদিন মালব রাজ্যে যাইয়া বাস । করেন। এখানে তিনি স্বীয় জ্ঞানপুর্ণ উপদেশ দ্বারা বহুসংখ্যক লোককে পন্থাল পাঠ করাইয়া শিখসম্প্রদায়ভুক্ত করেন। মালব চইতে প্রত্যাগমন কালে তিনি সরহিন্দ হইয়া আনন্দপুরে আসেন । সরহিন্দের মোগল শাসনকর্তা জোরাবর সিংহ ও ফতেসিংহ নামক গুরুগোবিনোর পুত্রদ্বয়কে ধৃত করিয়া নিহত করায় শিখগণ সেই ঘটনা স্মরণার্থে একট মন্দির স্থাপন করেন । উহা শিখদিগের একট তীর্থক্ষেত্ররূপে পরিগণিত। উক্ত বর্ষে চামকেীর দুর্গে পলায়নকালে মোগলসৈন্ত জোথর সিংহ ও জিংসিংহ নামক গুরুগোবিনের অপর পুত্রদ্বয়কে নিহত করিয়াছিলেন। জীবনের শেষ সময়ে, গুবগোবিন্য দমদমায় যাইয়া নিশ্চিন্তু মনে ও নিরুদ্বেগে বাস করিয়াছিলেন, কারণ মোগলসম্রাট অরঙ্গজেব বাদশাহ তৎকালে দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধবিগ্ৰছে ব্যতিব্যস্ত। দক্ষিণাতে থাকিয়া সম্রাট, সৰ্ব্বদাই শিখজাতির অভু্যদয়ে রাজ্যের ভাবী বিপদ আশা করিতেন। গুরুগোবিন্দ খালসা শিখ › ዓ • : «:: 零 નિષ્ણ 象 শক্তি দৃঢ় করিতে যে সকল পন্থা অবলম্বন করিয়াছিলেন, বাস্তবিকই তাহ চিস্তার বিষয় হইয়াছিল। তাহার প্রবর্ধিত "গুরুমাতা” সভা এবং “মুক্তন বিধি” শিখদিগকে নবোদ্যমে জাতীয়ব্ৰতে বলীয়ান করিয়াছিল। তাহার শিক্ষা ও দীক্ষায় একদল অশিক্ষিত দুৰ্দ্ধৰ্ষ জাট ধৰ্ম্মপ্রাণ যোদ্ধ পুরুষে পরিবর্তিত হইয়াছিল। একসময়ে দম্যতা ও কৃষিবৃত্তি যাহাঁদের একমাত্র অবলম্বন ছিল, তাহারাই গুরুগোবিন্দের অধীনে একটা জাতীয় শক্তি ও রাজনৈতিক সমিতি গঠন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। গুরু নানকের আদিগ্রন্থ সংস্কারপূর্বক তিনি দমদমায় অবস্থানকালে ৰে নূতন ধৰ্ম্মগ্রন্থ সঙ্কলন করিয়াছিলেন, তাহা দশবান্‌ বাদশাহ কা গ্রন্থ" নামে পরিচিত । এই গ্রন্থই নিশ্চেষ্ট ও হতবীৰ্য্য শিখসম্প্রদায়কে নূতন শক্তিদানে উদ্বেজিত করে। ঐ গ্রন্থে তিনি শিখ জাতির সামাজিক স্বাধীনতা ও বীরত্ব ওজস্বিনী কবিতায় ও উজ্জ্বলময়ী ভাষায় বর্ণনা করিয়া শিখদিগকে রণক্ষেত্রে বীরজীবন বহন করিতে প্রণোদিত করিয়াছিলেন। অরঙ্গজেব দশম শিখগুরু গোবিন সিংহের এইরূপ প্রভুত্ব ও প্রতিপত্তিদর্শনে ঈর্ষান্বিত হইয়া কৌশলে তাহাকে হস্তগত করিবার অভিপ্রায়ে দাক্ষিণাত্য হইতে র্তাহার নিকট পত্র সহ দূত পাঠাইলেন। গোবিন্দসিংহ সম্রাটের অভিসন্ধি জানিয়া এক সকরুণ পারসী গাথায় সম্রাটকে স্বীয় দুঃখময় জীবনকাহিনী ও বংশনাশ ব্যাপার জ্ঞাপন করিলেন । ভাই দয়াসিংহ ঐ পত্র লইয়া সম্রাট, সকাশে উপনীত হইলে, সম্রাট, পত্র পাঠান্তে শিখ গুরুর দূতকে বিশেষভাবে সন্মানিত করেন এবং স্বহস্তে এক পত্র লিখিয়া গুরুগোবিন্দকে সাক্ষাৎলাভের প্রার্থন জানান। তদনুসারে গুরুগোবিন্দ দক্ষিণাত্যে যাত্র করেন, কিন্তু পথিমধ্যেই ১৭•৭ খৃষ্টাব্দে তিনি সম্রাটের মৃত্যুসংবাদ পান । দাক্ষিণাত্যে অবস্থিতিকালে একজন পাঠানের সহিত গুরুর পরিচয় হয় । ঐ ব্যক্তি তাহাকে কএকটী উৎকৃষ্ট ঘোটক বিক্রয় করে ; কিন্তু যথাসময়ে বিক্রীত অশ্বের মূল্য শোধ ন পাওয়ায় ঐ পাঠান বিরক্ত হইয়া কঠোর বাক্য প্রয়োগ করিলে গুরুগোবিন্দ তরবারি দ্বারা তাহার মস্তক ছেদন করেন । ইহাতে প্রতিহিংসাপরবশ হষ্টয় উক্ত পাঠানপুত্র গোপনে তাছার উদরে ছুরিকাঘাত করেন । ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে নাদের নগরে স্বাস্থ্য পরিবর্তনে যাইয়া সেই ক্ষতস্রাবে তাহীর মৃত্যু ঘটে । শিখসেন রাজ্যে বিপ্লব ঘটাইবে আশঙ্কা করিয়া সম্রাট বাহাদুর শাহ ও শিখ গুরু গোবিন্দকে রাজনৈতিক কৰ্ম্মস্থত্রে আবদ্ধ রাখিবার জন্ত থেলাৎ ও পরিচ্ছদাদি ভূযণ দান করিয়াছিলেন। দাক্ষিণাত্যে অবস্থিতিকালে গুরুগোবিলের সহিত বামা নামক এক বৈরাগীর পরিচয় হয় । ঐ বৈরাগীও সহস্ৰ শধ্যে