পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শির রক্ত প্রকৃতিস্থ অবস্থায় স্বীয় শির মধ্যে বিচরণ করিতে থাকিলে ধাতু সকলের পুরণ, বর্ণের উজ্জ্বলতা এবং স্পর্শ জ্ঞানের তীব্রতা ও বল,পুষ্টি প্রভৃতি বিবিধ প্রকার গুণ হয়। কিন্তু ঐ রক্ত কুপিত হষ্টয়া বিচরণ করিলে রক্তজন্ত নানা প্রকার পীড়া জন্মে। পূৰ্ব্বোক্ত শিরাসকল যে কেবল বায়ু, পিত্ত বা কঙ্ককেই বহন করে, এমন নছে। অবস্থাতেদে ইহার বাতাদি ত্রিদোষকেও বছল করিয়া থাকে । শিরায় বর্ণভেদ।-ৰে সকল শিরা বায়ু দ্বার পুর্ণ থাকে, তাছাদের বর্ণ অরুণ, যে সকল শিরা পিত্তপূর্ণ, তাহাদের বর্ণ নীল, এবং তাহাদিগকে স্পর্শ করিলে উষ্ণ বলিয়৷ বোধ হয়। কফপূর্ণ শিয়া সকল শীতল, গৌরবর্ণ ও স্থির এবং রক্তপূর্ণ শিরা সকল রক্তবর্ণ এবং অনতি শীতোষ্ণ । ( স্বত্রত শারীরস্থা” ) পাশ্চাত্য মতে শিরাতত্ত্ব । পাশ্চাত্য দেহৰিজ্ঞানৃবিদগণ মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করিয়া মানবদেহে যে সকল শিরার সন্ধান পাইয়াছেন, “এনাটমী" নামক গ্রন্থে তাহার বিস্তৃত বিবরণ দেখিতে পাওয়া ৰায় । সেই সকল বিবরণ এখানে সম্যকৃরূপে আলোচিত হওয়া অসম্ভব । শিরাতত্ত্বের প্রধান ও সারাংশ এস্থলে সঙ্কলিত হইল । সমগ্র মানবদেহু ধমনী ও স্বায়ুর ন্যায় শিরাজালে বেষ্টিত। কেবল ফুস্থ ফুসীয় শিরা চতুষ্টর ব্যতীত দেহের অপরিস্কৃত শোণিত রাশিকে বহন করিয়া ফুসফুসে লইয়া যাওয়াই শিরাসমুহের প্রধানতম কাৰ্য্য। চৰ্ম্মের নীচে আমরা বহুল নীলিম শিরা দেখিতে পাই । শি4:4মুং স্পন্দনহীন ও অপরিস্কৃত রক্তে পূর্ণ। অপর পক্ষে ধমনী পন্দনযুক্ত। ধমনীগুলি পরিষ্কৃত ও পরিশোধিত রক্ত ৰহন করিয়া দেহের সর্বত্র সঞ্চারিত করে । এই শিরাসঙ্কল দ্বার দেহের সর্বস্থানের কৈশিক সকল হইতে রঞ্চ হৃৎপিণ্ডে নীত হয় ; ইহারা কৈশিক শর ( ক্যাপিলারি ) হইতে জারন্ধ হয় এবং পরস্পর - মিলিত হইরা স্থলকায় শৈরিক কাগু নিৰ্ম্মাণ করে । সাধারণতঃ শিয়াসমূহকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যার ;–প্রথম বা অগভীর শ্রেণী, সুপারফিগুল ফ্যাপিয়ার স্তর মধ্যে অবস্থিতি করে, ইহারা ধমনীদিগের সহবর্তী ছয় না ; দ্বিতীৰ্থ বা গভীর শিরাশ্রেণী ধমণী সকলের সছিভ একত্র অবস্থিতি করে, এবং সাধরণতঃ উহাদের সহিত একসঙ্গে একটী কোষ ( Sheath ) দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। বৃহৎ বৃহৎ ধমনীর সহিত কেবল একট মাত্র শি৭ থাকে ; কিন্তু ক্ষুদ্রতর, যখ,—প্রকোষ্ঠের, হস্তের, পদের, ও ধমনী সকলের হুইটী করিয়া শিরা থাকে, ইহাদিগকে যুগুশির ( ভেনি কমিটিজ’ ) বলে। XX [ e&१ }

  • िघ्नीं

ধমনী অপেক্ষ শিল্পী সকল পরম্পর বাংল্যরূপে সম্মিলিত হয়, এতন্নিবন্ধন দেহের সকল স্থান হইতে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রত্যাগমনের সুযোগ ও সুবিধা হয়। কতকগুলি শিরার বিশেষ স্বভাব দৃষ্ট হয় ; ৰথ,-ভাটত্রীর শিরা, মস্তিষ্কের শৈরিক প্রণালীসকল এবং পোর্টাল भिन्न ; हेक्षान्न ५अनौच्न नश्रुरुँौं श्ध्र मा, ७ हेक्ष्tि१ाग्न मिश्री५ সম্বন্ধেও বৈলক্ষণ্য দৃষ্ট হয়। শিরামধ্যে সচরাচর দৃষিত নীলবর্গের রক্ত থাকে, কিন্তু প্যালমোনারি শিয়াতে ধমনীর স্থায় লোহিত বিশুদ্ধ রক্ত থাকে। গ্রন্থি পদার্থ হইতে ৰে শিরা লিঙ্গীত তদন্তর্গত রক্ত গ্রন্থির ক্রিপ্তাধিক্য ঘটিলে, ধমনীর রক্তের দ্যায় লোহিত হয় । শির সকলের বৃত্তের তুলনায় উছাদিগের প্রাচীর অত্যন্ত পাতলা ; সুতরাং ইহা অনুপ্রস্থতাবে কৰ্ত্তন করিলে মিলিত হইরা যায়। শিয়া-প্রাচীর প্রসারশীল, দৃঢ় ও ধমনী সকলের ভায় সহজে ছিন্ন হয় না ; সাধারণতঃ শিরা সকল তিনটী আবরণ দ্বারা নিৰ্ম্মিস্থ, এবং শৈরিক বিধানের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই জাবরণের নিৰ্ম্মাণ বিভিন্নতা দৃষ্ট হয়। অtভ্যস্তরিক আবরণ বা শিরায় যে অংশ রকুলোতে ংলগ্ন থাকে, তাহ সাধারণ কোষঝিল্লি (সেল-মেম্বন) দ্বার নিৰ্ম্মিত । এই ঝিল্লির এণ্ডোথিলিয়্যাল কোষ সকল ধমনী সমূহের ঐ সকল কোষ অপেক্ষ ক্ষুদ্রতর এবং অপেক্ষাকৃত কম ; কিন্তু উহাদিগের উভয়ের সাধারণ সংস্থানপ্রণালী ও বাহবয়ব প্রায় একষ্ট রূপ । এই ঝিল্লীর বাহাদিকে একটা সুহ্ম অস্পষ্ট আবরণ বর্তমান থাকে, তাহাকে ইন্টরমিডিয়েট বা মধ্যবর্তী বা ব্যবধায়ক স্তর বলে। ইহা আবার একটি জাভ্যস্তরিক-স্থিত. স্থাপক পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। উহা ধমনী সকলের এই গুরের স্ত্যীয় পরিবর্জিত নহে । মধ্য-আবরণ পেশীগ শিরা ও স্থিতিস্থাপক তত্ত্ব স্বারা নিৰ্ম্মিত ; স্থিতিস্থাপক তন্তু সকলের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত অল্প, এই সকল স্থিতিস্থাপক তত্ত্বর সহিত প্রচুর পরিমাণে খেতবর্ণের সৌত্রিক ( ফাইব্রাস্) তন্তু বর্তমান থাকে, এ কারণ শিরা সকল ধমনী অপেক্ষ দৃঢ়তর এবং চাপসহিষ্ণু হয়। অধিকাংশ স্থলে હારે স্থিতিস্থাপক ও পৈশিকস্বত্র সকল শিয়াকে চক্রাকারে বেষ্টিত করিয়া বর্তমান খাকে । আবার, কোন কোন শিল্পায় আদৌ পৈশিক সূত্র দৃষ্ট হয় না। এ কারণে শিরা সকলকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায় ;–পৈশিক ও পেশীবিহীন। পারামেটার ও ভিক্টরামেটারে শিরা সকল, রেটিনার শিরা সকল, ইণ্টানলি ও এক্সটনাল জুগুলার শিল্পীসকল এবং গর্ভবতী স্ত্রীলোকের