পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিরোরোগ [ কারণে কুপিত ও বলবান বায়ু স্বয়ং অথবা কফসহায় হইয়া মস্তকের অৰ্দ্ধাংশ আশ্রয় করে, তখন একপার্থের মন্ত, ক্র, শঙ্খ, কৰ্ণ, অক্ষি ও ললাটে তীব্র ৰেদন উপস্থিত হয় । ইহাকে অৰ্দ্ধাবভেদক ( চলিত আধ কপালে মাথা ধরা ) কহে। ইহার বেদন অ্যুৎপাদক অরণি কাঠের ঘর্ষণবৎ বা শস্ত্রাঘাত তুল্য এবং ইহা তীব্র যন্ত্রণাদায়ক হয়। ইহা প্রবৃদ্ধ হইলে চক্ষুঃ অথবা কর্ণ বিনষ্ট হয় । ( মাধবনি” শিরোরোগাধি” ) চরকসংহিতায় অগ্নিবেশ আত্রেয়কে এই রোগের পূৰ্ব্বরূপ ও নিদানাদির বিষয় এইরূপ বলিয়াছেন,—মলমূত্রাদির বেগধারণ, দিবানিদ্রা, রাত্ৰিজাগরণ, মত্ততাজনক দ্রব্যসেবন, উচ্চভাষণ, শিশির, পূৰ্ব্ববায়ু, অতি মৈথুন, অসাত্মা গন্ধপ্রাণ, ধূলি, ধুম, বায়ু, আতপ, ও গুরুপাক দ্রব্য ভোজন, অন্নভোজন, আদ্রকাদি ভোজন, অতি শীতল জলসেবন, মস্তকে অভিঘাত, দুষ্ট আম, রোদন, অশ্রবেগ ধারণ, মেঘাগম, মনস্তাপ, এবং দেশ ও কালের ৰৈপরীত্য ভাব এই সকল কারণে মন্তকস্থ বাতাদিদোষ মস্তকস্থ রক্তকে দূষিত করিয়া বিবিধ লক্ষণান্বিত রোগ সকল মস্তকে জন্মাইয়া থাকে। ইহাকে শিরোরোগ কহে । ইহ পাচ প্রকার। যথা বাতজ শিরোয়োগনিদান-উচ্চভাষণ, অতিভাষণ, তীক্ষ মদ্যপান, রাত্ৰিজাগরণ, শীতল বায়ুসেবন, বায়াম, মলমূত্রাদির বেগধারণ, উপবাস, মস্তকে অভিঘাত, অতি বিরেচন, অতিবমন, রোদন, শোক, ভয়, ত্রাস এবং ভারবহন ও পথগমন জন্ত ক্লেশ, এই সকল কারণে বায়ু কুপিত হইয়া শিরোগত ধমনীসমূহে প্রবেশ এবং মস্তকে মহৎ শূল উৎপাদন করে। তথন শহ্মদেশ স্থচীবেধবৎ বেদনার অত্যন্ত ব্যথিত হয়, ঘাড় যেন ছিড়িয়া পড়ে, ক্রদ্বয়ের মধ্যভাগ এবং ললাট অত্যন্ত বেদনন্বিত ও তাপযুক্ত হয়, কর্ণদ্বয়ে নিয়ত শব্দ হইতে থাকে। নেত্রদ্বয় যেন টানিয়া বাহির করিতেছে এইরূপ বোধ হয়, সমস্ত মস্তক ঘুরিতে থাকে এবং তাহা যেন সন্ধিবন্ধন হইতে মুক্ত হইতেছে বলিয়া বোধ হয়। শিল্পী সকল দপ্‌ ঘপ্‌ করিতে থাকে এবং শিরোধর গ্রীবা স্তম্ভিত হয় । এই সকল লক্ষণ প্রকাশ পাইলে তাছাকে বাতঙ্গ শিরোরোগ কহে। স্নিগ্ধ ও উষ্ণ দ্রব্য সেবন দ্বারা ইছা প্রশমিত হয়। পিত্তজ শিরোরোগ-কটু, অন্ন, লবণ, ক্ষার, মদ্য, ক্রোধ, স্বৰ্য্যাতপ ও অগ্নিসত্তাপ এই সকল কারণে পিত্ত কুপিত হইয়া মস্তকে শিরোরোগ উৎপাদন করে। এই রোগে মস্তকে দাং ও স্বচাবেধবৎ যন্ত্রণ উপস্থিত হয়, রোগী শৈত্য আকাজ করে, cनजइग्न शशबिउ रुग्न, हेशष्ठ cब्रागैब्र छूक्ष, श्राजपूनि ७ ঘৰ্ম্ম কইয়া থাকে । কফজ শিরোরোগ-নিরস্তুর উপবেশনপ্রিয়ঙা, নিদ্ৰালুত, ৪০৬ ] শিরোরোগ ७ङ्गत्रिशं८ठांछन ७ अठि cखांजम ७हे जकण कांब्रहण कम झटे হইয়া মস্তকে শিরোরোগ অনিয়ন করে। এই শিরোরোগে मस्त्रक भमा भने ८षलनोविज्र, व्ञ्चोर्नथखिशैन ७ छोग्नाक्लास्त्र इग्न । ইহাতে তন্ত্রীরোগ, আলস্ত ও অরুচি জন্মিয় থাকে। ত্রিদোষজ শিরোরোগ-ফ্ৰিদোৱজ শিরোরোগে বাতাদি ত্রিদোষেরই লক্ষণ প্রকাশ পায়। বাতপ্রকোপৰেভু শূলব ৰেদন, ঘুর্ণন, কম্প, পিত্ত প্রকোপহেতু দাহ, মত্তত, ও তৃষ্ণ, কফ প্রকোপ হেতু মন্তকের গুরুত্ব ও তন্ত্রী হইয়া থাকে। কৃমিজ শিরোরোগ-প্রবল বাতাদি বহু দোষে আক্রান্ত পাপশীল ব্যক্তি তিল, দুগ্ধ, গুড়, পুতি ও বিরুদ্ধ দ্রব্যভোজন করিলে তাহার কফ, রক্ত ও মাংস ক্লিন্ন হয় এবং সেই ক্লিন্ন কফাদির ক্লেদ হইতে কৃমি জন্মে। ঐ কৃমি সকল উৎপন্ন হইয়া অতি কষ্টদায়ক শিরোরোগ আনয়ন করে, তখন নাসাদির রন্ধ হইতে পুয়াদি নির্গত হয় । এই রোগে মস্তকে বিদ্ধবৎ ও ছেদবৎ যন্ত্রণ, বেদনা, কণ্ডু ও শোথ এবং কৃমি রোগোক্ত সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়। ( চরক স্বত্রস্থান” ১৭ অ” ) এই রোগ বিশেষ কষ্টদায়ক, এই রোগ উৎপন্ন হইবামাত্রই নুবিজ্ঞ বৈদ্যের চিকিৎসা উচিত। ভাবপ্রকাশে ইহার চিকিৎসার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে,— বাতজষ্ঠ শিরোরোগে স্নিগ্ধ স্বেদ এবং পান, আহার ও উপনাছ স্বেদপ্রদান করিবে । কুড়, ভেরেওীর মূল ও শুঠ সমভাগে গ্রহণ করিয়া তক্র দ্বারা পেষণ ও কিঞ্চিৎ উষ্ণ করিয়া কপালে প্রলেপ দিলে শিরোরোগ প্রশমিত হয়। স্বাস-কুঠাররসদ্বারা নস্ত গ্রহণ করিলে নিশ্চয়ই শিরঃশূল প্রশমিত হয়। ইহা শিরোবন্তি ও শিরোরোগে ৰিশেষ উপকারী। [ শিরোবন্তি দেখ ] পিত্তজ শিরোরোগে চন্দনসিক্ত জল, কুমুদ, উৎপল ও পদ্ম প্রভৃতি শীতল স্পর্শ এবং শীতল বায়ু সেবন করিবে। শত ধৌত ঘৃত মস্তকে ধারণ করিলেও ইহা প্রশমিত হয়। অল্প পরিমাণে শ্বাসকুঠাররস, কপার, কুকুম, চিনি ও ছাগী দুগ্ধ এই সকল চন্দনের সহিত একত্র ঘর্ষণ করিয়া তদ্বারা নস্ত প্রয়োগ করিলে পিত্তজ শিরোরোগ বিনষ্ট হয়। এই নস্ত সকল প্রকার শিরোরোগেই বিশেষ উপকারী । পুরাতন গুড় ও শুঠদ্বারা নন্ত গ্রহণ করিলেও শিরঃশূল নষ্ট হয়। রক্তজ শিরোরোগে পিত্তজন্ত শিরোরোগের স্থায় আহার, প্রলেপ ও সেচন কৰ্ত্তব্য। বিশেষতঃ বিপর্যায় ক্রমে শীতক্রিয়া ও উষ্ণক্রিয়া করিবে, অর্থাৎ শীত ক্রিয়ার পর উষ্ণক্রিয়া, এবং উষ্ণক্রিয়ার পর শীতক্রিয়া করিতে হয়। রক্তজ শিরোরোগে রক্ত-মোক্ষণ করা অতি প্রশস্ত। কফজ শিরোরোগে কফের পাচক রুক্ষ ও উষ্ণ স্বেদ প্রয়োগ করবে। ত্রিদোষজ শিরোরোগে ত্রিদোষনাশক চিকিৎসা করা