পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলাজতু শিলাঞ্জ (ক্লী ) শিলায় জায়ত্তে ररूि ཝ་ཞ་ཡུ ། > শৈলেয়, শৈলজ। শিলাজতু । ( শশ্বচs ) ২ লৌহ । ( রাজনি• ) শিলাজতু (কী) পৰ্ব্বভজাত উপধাতুবিশেষ। হিন্দী-শিলাজৎ। সংস্কৃত পর্যায়—গৈরের, অর্থ্য, গিরিজ, অশ্বজ, শিলাজ, জগজ, | শৈল, অদ্রিজ, শৈলেয়, শীতপুষ্পক,শিলাব্যাধি, অশোখ, অশ্বলাক্ষা, অশ্বজতুক, জত্বশ্বক। গুণ-তিক্ত, কটু, উষ্ণ, রসায়ন, মেহ, উম্মাদ, অশ্বরী, শোথ, কুষ্ঠ ও অপস্মাররোগনাশক । ( রাজনি" ) ইছার নাম, উৎপত্তি, শোধন ও গুণাদির বিষয় বৈদ্যকে এইরূপ লিখিত্ত আছে—

  • নিদাৰে ঘৰ্ম্মসত্তপ্তং ধাতুসীরং ধরাধরাঃ । নির্যাসবৎ প্রমুঞ্চন্তি তচ্ছিলাজঙু কীৰ্ত্তিতম্ ॥ সৌবর্ণং রাজতং তাম্রং আল্পসং তচ্চতুৰিধম্। শিলাজত্বদ্রিজতু চ শৈলনিৰ্য্যাল ইত্যপি ।- ( ভাবগ্র” ) নিদাঘকালে স্বৰ্য্যকিরণ দ্বারা সম্ভপ্ত পৰ্ব্বত সকল হইতে নিৰ্য্যাসের ন্যায় ৰে ধাতুলার বিগলিত হয়, তাহাকে শিলাজতু কহে। এই শিলাজতু চারিপ্রকার, সোঁবর্ণ, রাজত, তাম্র ও আয়ুস। ভাবপ্রকাশ মতে গুণ-কটু, তিৰুরস, উষ্ণবীৰ্য্য, কটুবিপাক, রসায়ন, ছেদী, যোগবাহী এবং কফ, মেদ, অশ্বরী, শর্করা, মূত্ৰকৃচ্ছ, ক্ষয়, শ্বাস, বায়ু, অৰ্শ, পাণ্ডু, অপস্মার, উন্মাদ, শোথ, কুষ্ঠ, উদর ও কৃমিনাশক।"

দেীবর্ণ শিলাজতু জবাপুষ্পের ন্তায় বর্ণবিশিষ্ট, মধুর, কটু, তিক্তরস, শীতধীৰ্য্য এবং কটুবিপাক। রাজত শিলাজতুশ্বেতবর্ণ, শীতবীৰ্য্য, কটুরস ও মধুর বিপাক। তাম্রশিলাজতু ময়ুম্বকণ্ঠের ন্যায় আভাবিশিষ্ট, তীক্ষ এবং উষ্ণবীৰ্য্য। লৌহ শিলাজতু জটায়ুর পক্ষ সদৃশ আভাবিশিষ্ট, তিক্ত, লবণ রস, কটুবিপাক এবং শীতৰীর্য্য। এই শিলাজতুই সৰ্ব্বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । ঔষধ প্রস্তুতাদিতে আয়ুস শিলাজতুই প্রশস্ত। শিলাঞ্জতু শোধন করিয়া ব্যৰহার করিতে হয় । যে শিলাজতু গোমুত্রবৎ গন্ধযুক্ত, কৃষ্ণবর্ণ, স্নিগ্ধ, কোমল, গুর, তিক্ত, কষায় রস এবং শতবীৰ্য্য, সেই আয়স শিলাজতু ঔষধকরণে শ্রেষ্ঠ এবং মারণের উপযোগী । শোধনপ্রণালী-শিলাজতু বিদ্ধ্যাদ্রি পৰ্ব্বতে বহু পরিমাণে উৎপন্ন হয়, এইজন্ত ইহাতে লৌহের আধিক্য থাকে, সুতরাং শোধন না করিলে কোন কাৰ্য্যকরী হয় না। প্রথমে শিলাঞ্জতু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খও করিয়া গরম জলে নিক্ষেপ করিয়া এক প্রহর কাল রাখিতে হইযে, পরে উহা মৰ্দ্দন করিয়া ঐ জল বস্ত্র দ্বারা ছাকিয় একটা মৃৎপাত্রে স্থাপন করিয়া রৌদ্রে রাখিতে হয়, তৎপরে সেই পাত্রের উপরিস্থিত ঘনভাগ অস্তপাত্রে রাখিবে । এইরূপ পুনঃপুনঃ করিয়া ঘনাংশ গ্রহণ করিলে দুই মাসের মধ্যে [ so o J শিলাজতু শিলাজতু কাৰ্যক্ষম হইয় থাকে। পরে ইছ অগ্নিতে নিক্ষেপ করিলে যদি উচ্ছসিত হইয়া লিঙ্গোপম হয়, অথচ ঘুম দৃষ্ট না इब्र, ठांश झहैtण हेहाँ cश्वाषिङ श्हेब्रांtझ खांनिtऊ इहेष्य । বাগভট ইহার শোধন প্রণালী এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন,—শিলাজকুর ছিমল অপহরণের জঙ্ক প্রথমে বিশুদ্ধ জলে প্রক্ষালন করিতে হইবে, তৎপরে উছার অন্তর্নিতি মৃত্তিক ও বালুকাদি দোষ দূর করিবার জন্য পশ্চাৎ উক্ত কাথ দ্বারা ভাবনা দিতে হইবে। শিলাজতুকে জলে ধুইয়া রৌদ্রে শুদ্ধ করিয়া লৌহপাত্রে ভাবনা দিতে হয়। যতটুকু শিলfজতু হইবে, তাছার সমপরিমাণ কাৰ্য ঔষধ গ্রহণ করিয়া ৮ গুণ জলে পাক করিয়া চতুর্থাংশ অবশিষ্ট থাকিতে নামাইতে হুইৰে । কিন্তু ঐ কথি উঞ্চ থাকিতেই ছাকিয়া তাহাতে শিলাঞ্জতু নিক্ষেপ করিতে হয়। পরে কাথের সহিত উছা মিলিত হইলে শুদ্ধ করিবে, আবার ঐরূপ করিয়া কাখে ফেলিয়া গুকাইবে । এইরূপে ৭ ৰার ভাবনা দিবে। পরে পঞ্চতিক্তাদি স্তুতে ভিন দিন ডুবাইয়। রাখিতে হয়, তৎপরে ত্রিফলার কাথে তিন দিন, পটোলীর কাথে তিন দিন, যষ্টিমধুর কাথে তিন দিন নিমগ্ন করিয়া রাখিলে শিলাজতুর দোষ সকল ৰিদূরিত হয়। নিম, গুলঞ্চ, ঘুত ও যব এই সকল দ্রব্য দ্বারা ক্কাথ প্রস্তুত করিতে হয় । অদ্যপ্রকার—মহর্ষি অগ্নিবেশ ইহার শোধন প্রণালী নির্দেশ করিয়াছেন যে-গ্রীষ্মকালে যে দিন প্রখর রৌদ্র হয়; সেই দিন চারিখানি কৃষ্ণবর্ণ লৌহপাত্র সমতল ভূমির উপর রেীত্রে স্থাপন করিবে। পরে উৎকৃষ্ট শিলাজতু লইয়া উহার একটা পাত্রে স্থাপন করিয়া শিলাজতুর দ্বিগুণউঞ্চঙ্গল ও পূৰ্ব্বোক্ত অৰ্দ্ধাংশ উষ্ণ কাৰ্থ দ্বারা যথানিয়মে শোধন করিলেই বৃত্তিকাদি মলদোষ দূরীভূত হয়। পরে উহা রৌদ্রের উত্তাপে গরম হইয়া আসিলে যখন দেখিবে উহার উপরিভাগে কৃষ্ণবর্ণ সর জম্মিয়াছে, তখন ঐ সর দ্বিতীয় পাত্রে রাখিয়া পুনরায় উষ্ণ জল দিয়া রৌদ্রে রাখিলে পুনরায় ঐক্ষপ লয় পড়িবে, তখন ঐ সর গ্রহণ করিয়া তৃতীয় পাত্রে রাখিয়া পুনরায় উষ্ণজল দিবে, তৎপরে ঐরূপ সর পড়িলে উছা গ্রহণ করিয়া চতুর্থ পাত্রে উক্ত নিয়মে উষ্ণজল দিবে। তৎপরে যখন দেখিৰে যে উপরিস্থিত জল বিশুদ্ধ হইয়াছে ও কৃষ্ণবর্ণ মল সকল পাত্রের অধোদেশে পত্তিত হইয়ছে, তখন ঐ সকল জল পরিত্যাগ করিবে । এইরূপ প্রণালীতে শিলাজতু বিশুদ্ধ হয়। শোধিত শিলাজতুর গুণ—তিক্ত, কটুরস, উষ্ণবীৰ্য্য, ৰুটুবিপাক, রসায়ন, যোগবাহী এবং কফ, মেহ, অশ্বরী, শর্করা, মুত্ৰকৃচ্ছ, ক্ষয়, খাস, শোথ, অৰ্শ, পাণ্ডু, বাতরক্ত, কুষ্ঠ, অপস্মার ও উদয়রোগনাশক । ( ভাৰ প্রকাশ )