পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবাঞ্জি দেশ উদ্ধারের কোনরূপ ব্যাঘাত না হয় ইছাও বিবেচ্য। শিবাজী মন্ত্ৰিগণের সহিত পরামর্শ করিয়া দিল্লীশ্বর শাহজাহানের শরণগ্রহণ করাই উপস্থিত বিপদে সমীচীন বলিয়া মনে করিলেন। দিল্লীশ্বর শিবাণীকে পাচ হাজার অশ্বের মনসবদার নিযুক্ত করিয়া শাহজীর মুক্তির জন্ত ৰিজাপুরে পত্র লিখিলেন । এই উপায়ে শাeজী মুক্তিলাভ করেন। বিজাপুরের মহম্মদ শাহ জািতঃপর দেখিতে পাইলেন, শিৰাজীর ক্ষমত দিন দিন আরও বদ্ধিত হইতেছে। এই নিমিও তিনি শিবাজীকে বন্দী করিবার নিমিত্ত জাবলীর চন্দ্র রাওয়ের সহিত পরামর্শ করেন। বাজী স্তামরাও ইহাদের সহিত যাগ দিয়াছিলেন। কিন্তু শিবাজী ইছাদের অভিসন্ধি জানিয়া চন্দ্ররাও ও খামরাওকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন। অভ্যস্ত নিস্তেজ হইয়াছিলেন । হাবলী রাজ্য আক্রমণের পরে শিবাজী কিছু দিন হরিহরেশ্বর নামক স্থানে অবস্থান করেন। এখানে একজন সম্রাস্ত বীরপুরুষ তাহাকে একখানি উৎকৃষ্ট তরবারি উপহার প্রদান করেন। শিবাজী প্রতিদানে ডক্ত বীরপুরুষকে প্রায় আটশত টাকা ( তিন শক্ত হোণ) জহরও পরিচ্ছদ প্রদান করেন। শিবাজী এই তরবারী খানিকে “ভবানী” আখ্যা প্রদান করিয়াছিলেন । এই তরবারিখানি আঞ্জীবন শিবাজীর সহচর ছিল। জনসাধারণের ৰিশ্বাস ছিল যে, শিবাজী ভবানী তরবারি সহ সমরাঙ্গণে উপনীত চইলে শত্রুর কথন জয়tশা নাই। ১৬৫৫ খৃঃ অব্দে শিবাজী সহসা জাবলী আক্রমণ করেন । চঞ্জরাও জাবলীর অধিকারী ছিলেন। রঘুনাথ পস্ত ও শম্ভাঙ্গী কথায় কথায় সে স্থলে উপস্থিত হইয়া চন্দ্ররাও ও তদীয় ভ্রাতা স্বৰ্য্যরাওকে নিহত করেন। অতঃপর এক যুদ্ধ হয় তাহার ফলে জাবলী শিবাজীর অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। এই সময়ে শৃঙ্গারপুরাধিপতি মুরবে রাও শিবাজীর বগুত৷ স্বীকার করেন, এবং শিবাজীর সহিত যোগ দিয়া তাহার কার্য্যেদ্বারর বিশ্বস্ত সহায় হন । সুরবেরাজের সহিত শিবাজীর পদ্ধত্ব ক্রমেই ঘনিষ্ট হয়। শিবাজী এই বন্ধুতা আরও ঘনিষ্ট sর করার জন্ত মুন্নৰেয়াজের কস্তাকে স্বীয় পুত্রবধুরূপে গ্রহণ করেন। শিবাজীর সেনানায়কগণের মধ্যে মোরোপস্তের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই মোরোপন্ত বহু নগর জঃ ও বহু দুগ নিৰ্ম্মাণ করেন। ছগ সমুহের মধ্যে গ্রতাপগড় স্থগ নিৰ্ম্মাণে মোরোপস্ত যে অসাধারণ ক্ষমতার পরিচয় দিয়াছিলেন, অস্থাপি তাহার সমুজ্জ্বল নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। দিল্লীর সম্রাট অরঙ্গজেব বিজাপুরের শাসনকর্তার সহিত যুদ্ধ করিবার জন্ত সময়সস্তারসহ বিজাপুরে আসিয়া শিবাজীকে স্বপক্ষে XX এই সংবাদে মহম্মদ শাহ | 88s | לא כי כל শিবাঞ্জি ' अामब्रन कङ्गान्न ७धब्रान् श्रृंोन । किरू श्झङ्कङ्ग लियाबी cपथि८शन বিজাপুর অরঙ্গজেবের অধীন হইলে দাক্ষিণাতে রাজশক্তির সমভ রক্ষা পাইবে না, ইছাই মনে করিয়৷ তিনি অর্জলেবের সহিত মিত্রতাপাশে বদ্ধ হইতে অস্বীকৃত হইলেন । ইহাতে আরঙ্গজেবের সহিত শিবাজীর শক্রতাব পুত্ৰপাত হইল। অতঃপর শিবানী মোগলসম্রাটের অধীন গ্রাম ও নগরসমূহে ভয়ানক উপদ্রব ও লুণ্ঠন করিতে আরম্ভ করেন । কিন্তু এদিকে বিজাপুর মধি, পতি অরঙ্গজেবের সহিত সন্ধি করিতে প্রস্তুত হইয়াছেন গুনিয়৷ শিবাজী ক্ষুঃ হইলেন, এবং একাকী যুদ্ধ করা অসঙ্গত মনে করিয়৷ অরঙ্গজেবের সচিত্ত সন্ধি করিতে প্রস্তুত হন। অরঙ্গজেব এই উপলক্ষে শিবাজীকে সন্ধিতে আবদ্ধ করিলেন । শিবান্ধীও অরঙ্গজেবের সহিত মিত্রতা স্থাপন করিলেন । কিন্তু বিজাপুরের শাসনকর্তার সহিত শিবাজীর শক্রতা ধিন দিন বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। এই সময়ে বিজাপুর অধিপতি মহম্মদ আদিলের মৃত্যু হইল । বেগমসাহেব আফজলখাকে প্রধান সেনাপতিপদ্ধে প্রতিষ্ঠিত করিলেন । আফজল খাঁ অতি দাত্তিক ও গৰ্ব্বিত লোক ছিলেন। পদ্মগৌরবের সহিত র্তাহার অত্যাচারস্পৃহা দিন দিন বাড়িতে লাগিল। শিবাজী তাহার ব্যবহারের কথা শুনিয়া তাহার বিনাশের উপায় দেখিতে লাগিলেন । এই সময়ে কৃষ্ণাঞ্জী পশু এই উদ্দেশ্যের প্রধান সহায় রূপে উপস্থিত হন। কৃষ্ণাঙ্গাপন্ত ও গোপীনাথ পস্ত আফজল ধার নিকটে উপস্থিত হইয়া বলেন, শিবাজী তাছার অধীন হইতে প্রস্থত ; এজন্তু আফজল থাকে একবার প্রতাপগড়ে যাইতে হইবে, শিবাজী তাeাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন,নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে হইবে । আফজল খ মুশোভিত নিমন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হইলেন । শিবাজি নিমন্ত্রণের সকল প্রকার উপকরণ অর্থাৎ সৈন্তাদি পূৰ্ব্ব হইতে সংগৃহীত করিয়া রাখিয়াছিলেন। আফজল খার নেও কুভাব ছিল। তিনিও সৈন্তসহ উপস্থিত হইয়াছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণাজীর পরামর্শে তিনি সৈন্তসমূহকে দূরে রাখিয়া আসিলেন । আফজল থ শিবাজীকে আলিঙ্গন কল্পিতে অগ্রসর হন এবং গুপ্ত অস্ত্র দ্বারা তাহার বধসাধনের চেষ্ট করেন। সুচতুর শিবাজী মুহূর্ত মধ্যে হস্তস্থিত বাঘনখ দ্বারা তাহার উদর এবং কৰ্ত্তরিক দ্বারা উহার বক্ষ বিদীর্ণ করেন । এই অবস্থায় শিবাজী আফজল থাকে নিহত করেন । ইহার পক্সেই মুসলমান সৈন্তদের সহিত শিবাজির ঘোরতর যুদ্ধ হয় । এই যুদ্ধে জয়লাভ করি শিবাজী ও হস্তী, ৪••• ঘোটক, ১২•• উচু ২০•• ৰস্ত কাপড় ও ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণরৌপ্য দ্রব্য প্রাপ্ত হন। এতদ্ব্যতীত তিনি বহু পরিমাণে বন্দুক, কাণনি ও তলবার প্রভৃতি দ্রব্যও প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। অতঃপর শিবাজী