পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৃঙ্গার থাকে , কিন্তু রসবিচ্ছেদ ঘটে বলিয়া কেহ তাং বর্ণনা করেন না, তবে কোন কোন স্থলে আসন্ন মৃত্যু পৰ্য্যন্ত বর্ণিত হইয়া থাকে। যেমন, কোন কামবিহবল কামিনী বলিতেছেন যে, जमबर्श्वन शकाद्र बांद्रा निश्रमिश्रख् ॰ब्रिभूम कक्ररु, छमान-दनछाठ অনিল মন্দ মন্দ প্রবাহিত হউক, চুতশিখরস্থ কেলিপিকগণ আম্রমুকুলাম্বাদনে উল্লাসিত হইয়া পঞ্চমস্বরে কুজন করুক এবং তাছাতেই আমার এই প্রস্তর সদৃশ কঠিন প্রাণ শীঘ্রই বাহির হউক । শীঘ্রই বাহির হউক । भान-हेक्ष ह३८ङ विश्वरु ८रुम श्रमिछेछनक अरुश्। वर्गो; না ; কারণ মান হইলে প্রথমে প্রিয়বাক্য দ্বারা স্বয়ং প্রণয়িনীকে তুষ্ট করিতে হয় ; তাহাতে কাৰ্য্য সফল না হইলে পর তাহার সখীকে উপাসনা করিবে, ইহাতে বিফল হইলে ভূধাদি দানার এবং তাঙ্গতেও কোন ফল ন হইলে অবশেষে পদানত হইয়া প্রণয়িনীর মানভঞ্জনের চেষ্টা করিতে হয়। তাহাতেও বিফল মনোরথ হইলে কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া নিরস্ত থাকিতে হয় বটে, কিন্তু তবুও বহুবিধ চেষ্ট দ্বারা সহসা ভয় বা হর্ষ প্রভৃতি জন্মাইয়া যে কোন রকমেষ্ট হউক না কেন, মানভঞ্জন করা হইয়া থাকে। প্রবাস—ইহার চরম অবস্থায় শরীরের মলিনতা, বিরহজর, অতিশয় মনঃকষ্টনিবন্ধন দেহের তেজোনাশ ও তজ্জন্ত পাণ্ডুত, বস্তু সাধারণের প্রতি বিগতস্পৃহত্ব ও অসন্তুষ্ট, হৃদয়ের শূন্তত বোধ,অবলম্বন-রাহিত্য অর্থাং জগতে দাড়াইবার যেন কোন স্থান নাই বলিয়া অনুভব এবং তন্ময়ত্ব অর্থাৎ বাহ ও আভ্যন্তরিক কাৰ্য্য দ্বারা অনিচ্ছাসত্ত্বেও অভীষ্টবিষয়ের প্রকাশ, প্রভৃতি নয়ট লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং অবশেষে মরণ পর্য্যন্তও ঘটিতে পারে ; কিন্তু পুৰ্ব্ববৎ রসবিচ্ছেদ ঘটে বলিয়া বক্ষ্যমাণরূপে উছ বর্ণিত হইয় থাকে যথা –কোন তামিনী বিদেশ গমনোন্তত পতির বিরহ কল্পনা করিয়া স্বীয় জীবনকে বলিতেছেন যে, হে জীবিত ! প্রিয়তমের যারামুখেই যখন তোমার সঙ্গিগণ প্রস্থান করিয়াছে, তখন কেন তুমি তাহাদিগকে ত্যাগ করিতেছ? এ তোমার নিতান্ত অন্যায়। কেন না তোমার এক সঙ্গী আমার চিত্ত, সে নিয়তই প্রিয়বরের অগ্রবর্তী থাকিবে বলিয়া আমা হইতে প্রস্থান করিয়াছে, আর এক সঙ্গী ধৈর্য্য, সে কিছুতেই ধৈর্য্য ধরিয়া আমার নিকট থাকিল না অর্থাৎ প্রাণনাথের গমনোছোগে আমি আর কিছুতেই ধৈর্য্য রাখিতে পারিতেছি না, তোমার অপর একটী সঙ্গী অশ্র নিয়তই চলিতেছে, তাহার আর বিরতি নাই, আরও একটী সঙ্গী হস্তস্থ বলয়, সেও [ হৃদয়েশ্বরের গমনচিস্তায় ] আমার কুশতাপন্ন দেহু হইতে স্বস্তান পরিত্যাগ করিয়াছে, অতএব আমি বলি cजैशह७ স্বীয় সঙ্গীদিগকে ত্যাগ না করিয়া আমাকে ত্যাগ করাই সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । [ سa sw ] স্বার_ করুণ–এই বিপ্রলন্তে মায়ুকনায়িকার অবস্থার বিশেষ কোন পরিণতি মাই ; কেন না ইহাতে পরম্পরের মিলন প্রায়ই অসম্ভব হওয়ায় রতিবিলাসবাসনায় ক্রমশঃ খৰ্ব্বতী ভিন্ন বিবৃদ্ধি হয় না ; তবে যদি সহসা দৈববাণী প্রভূতিদ্বার জন্মান্তরে মিলন হওয়ার সামান্ত কোন আশা পাওয়া যায়, তাছা হইলেসেও অনেক দূরবর্তী বলিয়া তাহা হইতে একরকম নিয়ন্ত হইয়া থাকিতে হয়। শৃঙ্গারাদি রসের বর্ণন সম্বন্ধে শাস্ত্রে অনেক গুলি দোষ ও গুণ কীৰ্ত্তিত হষ্টয়াছে ; বাহুল্য ভয়ে শৃঙ্গার রসের দোষ গুণ সম্বন্ধে এখানে মাত্র কয়েকট উদাহরণ প্রদত্ত হইল ; যথা— দোষ-শৃঙ্গার রসের বর্ণনায় সাক্ষাৎ সম্বন্ধে 'পৃঙ্গার’ ‘রস’ ‘রতি’ ‘কেলি' প্রভৃতি শব্দের উল্লেখ করিলে উহা দোষের মধ্যে গণ্য হয়। যেমন, ‘চন্দ্রমওলমালোক্য শৃঙ্গারে ম্যমন্তরযু চন্দ্রমওল নিরীক্ষণ করিয়া অস্তঃকরণ সুরতক্রিয়ায় নিমগ্ন হুই তেছে ; এস্থলে "শৃঙ্গার’ শব্দ ব্যবহার করা শাস্ত্রসঙ্গত দোষাবহ হইয়াছে। বর্ণনায় বিরোধী রস সুচিত হইলে তাহ দোষ বলিয়া গণ্য। যেমন, ‘মানং মা কুরু তম্বঙ্গি জ্ঞাত্বা যৌবনমস্থিরং” অয়ি ! কৃশাঙ্গি ! নিশ্চয় জানিও ষে, যৌবন কখনই চিরস্থায়ী নহে ; অতএব মান সম্বরণ কর, আর মান করিও না। এস্থলে শৃঙ্গার রসের উদ্দীপনাথ বিভাব বর্ণনা করিতে গিয়া “যৌবন কখনই চিরস্থায়ী নহে এই কথা দ্বারা তদীয় ৰিব্রুদ্ধ শাস্তুরসের বিষয় স্থচিত হওয়ায় বিরোধিতা দোষ ঘটিতেছে। অসময়ে নায়কনায়িকার মিলন বা বিচ্ছেদ বর্ণন করিলে তাহ দোষ মধ্যে পরিগণিত হয়। যেমন, বেণীসংহারের দ্বিতীয় অঙ্কে, প্রভূত সৈন্যসংক্ষয়কালে ভানুমতীর সহিত দুৰ্য্যোধনের যে শৃঙ্গারপ্রসঙ্গ বর্ণিত হইয়াছে, উহাতে সময়োচিত (অর্থাৎ তৎকালোচিত কারুণ্যাদি রসের) বর্ণনা না করিয়া শৃঙ্গাররসের বর্ণনা করা অনুচিত হইয়াছে। কেন না ওরূপ স্বজনবিয়োগের সময় হৃদয়ে করুণাদি রস না আসিয়া শৃঙ্গাররসের আবির্ভাব হওয়া নিতান্ত অস ম্ভব। আলঙ্কারিকগণ কুমারসম্ভবোত্ত উমামহেশ্বরের সম্ভোগগৃঙ্গারবর্ণনকে কবিকর্তৃক স্বীয় পিতামাতার সম্ভোগবর্ণনের স্থায় অতিশয় দোষাবহ মনে করেন । গুণ—কোন কোন স্থলে ভাবসুলভ প্রযুক্ত শ্রতিকটু দোষাদি গুণে পরিণত হয়। যথা— “তদ্বিচ্ছেদকৃশস্ত কণ্ঠলুঠতপ্রাণন্ত মে নির্দয়ং ক্রর পঞ্চশরঃ শরৈরতিশিতৈর্ভিন্সন মনে নির্ভরম্। শম্ভেীভূতকৃপাবিধেয়মনসঃ প্রোদামনেত্রীনলজালাল্লালকরালিতঃ পুনরসাবাস্তাং সমস্তাত্মনা” (সাহিতম্ব-) তাহার বিচ্ছেদে আমি যার পর নাই ক্ষীণতম এবং কণ্ঠীগত প্রাণ হইয়াছি, তবুও সেই নৃশংল, কল্প আমার উপর প্রচও