পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ব্যঙ্গুলি [ 8 ) ব্যজন ব্যঙ্গ (পুং ) বিকৃতানি অঙ্গানি যন্ত । ১ ভেক। (মেদিনী) • ৱিকৃতানি অঙ্গনি - ২ মুখরোগবিশেষ, মুখের কালদাগ । ইহার লক্ষণ— “ক্রোধায়ালপ্রকুপিতো বায়ুঃ পিত্তেন সংযুতঃ। মুখমাগত্য সছস মওলং প্রন্থজত্যতঃ। নীরজং তমুকং খাবং মুখবাগতমৗদিশেৎ ॥” (ভাবপ্র ক্ষুদ্ররোগাধি” ) ক্রোধ ও পরিশ্রম দ্বারা বায়ুকুপিত ও পিত্তের সহিত মিলিত হইয়। মুখদেশকে আশ্রয় করিয়া বেদনাবিহীন অথচ শুধিবর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রপীড়ক উৎপাদন করিলে তাহাঁকে ব্যঙ্গরোগ কহে। চিকিৎসা-শিরাবেধ, প্রলেপ এবং অভ্যঙ্গদ্বারা ইহার চিকিৎসা করা বিধেয় । বটের কুড়ি ও মস্থর একত্র পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে উহা প্রশমিত হয়। মধুর সহিত মঞ্জিষ্ঠ পেষণ করিয়া প্রলেপ বা শশকের রক্ত লেপন, ও বরুণবৃক্ষের ছাল ছাগমূত্রদ্বারা পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে এইরোগ প্রশমিত হয়। জাতীফল পেষণ করিয়া, তাকন্দের আট ও হরিদ্রী একত্র মর্দন করিয়া এবং দুগ্ধদ্বারা পিষ্ট মন্থর ঘুতের সহিত মিশ্রিত করিয়া মুখে প্রলেপ দিলে ৭ দিনের মধ্যে ইহা আরোগ্য হইয় পদ্মের ন্যায় মুথের কান্তি হয় । বটের কাচ পাতা, মালতী, রক্তচন্দন, কুড়, কালীয়াকড় ও লোধ এই সকল পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে ব্যঙ্গ ও নীলিকা রোগে বিশেষ উপকার হয়। ইহা ভিন্ন কুঙ্কুমাগুতৈলও এই রোগে বিশেষ উপকারী । ( ভাবপ্র” ক্ষুদ্ররোগাধি” ) ৩ বিকলাঙ্গ, অঙ্গহীন । ৪ উপহাস, বিদ্রুপ। যে বাক্য দ্বারা বিদ্ধপাত্মক নিগৃঢ়ভাব প্রকাশ করে। ব্যঙ্গক (পুং ) পর্যাত। ব্যঙ্গত্ব (রী ) থঞ্চত, অঙ্গহীনতা । ‘বাঙ্গার্থ (পুং ) শব্দের বিদ্ধপাত্মক তাৎপর্যার্থ। [ ব্যঙ্গ্য দেখ। ] ব্যঙ্গার (ত্রি) অঙ্গার বা অগ্নিবর্জিত। ভারত ভীষ্মপর্কে ও মার্কণ্ডেয় পুরাণে ৪১৬ শ্লোকে ‘ব্যঙ্গারে’ শব্দ ‘অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত হইলে" অর্থে ব্যবহৃত হষ্টয়াছে। ব্যাঙ্গত (ত্রি) বিকলীকৃত। ব্যঙ্গিন ( ত্রি ) ১ ব্যঙ্গরোগবিশিষ্ট | বাঙ্গাকৃত (ত্রি) ছিন্নকৃত, কষ্ঠিত। “বালীকৃত রথদ্বিপা। ভারত ব্যস্কুল (ত্রি) অঙ্গলের বিস্তৃতির পরিমাণের যষ্টিতম অংশবিশেষ। যেমন পঞ্চাঙ্গুল-দশব্যঙ্গুল-পরিমিত-ছায়া বলিলে দশবাঙ্গুলাধিক পঞ্চাঙ্গুল ছায়া বুঝায়। (ত্রি ) ২ বিকৃতাঙ্গুল, যাহার অঙ্গুলি বিকৃত ইয়াছে। ব্যঙ্গুলি (ত্রি) दिक्लडाक्रूणि। ব্যঙ্গুষ্ঠ (ত্রি) ১ বিকৃতাঙ্গুষ্ঠ। ২ গুণভেদ। (হেম) “ ব্যঙ্গ্য (ত্রি) বি-অনুজ-শ্যৎ । ব্যঞ্জনা বৃত্তিদ্বারা বোধ্য অর্থ, তাৎপৰ্যার্থ, নিগূঢ়ভাব। শব্দের শক্তি তিনপ্রকার–বাচ্য, লক্ষ্য ও ব্যঙ্গ্য ; ইহার মধ্যে ব্যঞ্জনা-বৃত্তিদ্বারা যে সকল শব্দের অর্থ প্রকাশ পায়, তাহাদিগকে ব্যঙ্গ্য বলে।

  • ৰাচ্যোংর্থোইভিধয়া বোধ্যে লক্ষ্যে লক্ষণয়া মত: । ব্যঙ্গ্যো ব্যঞ্জনয় তাঃ সুস্তিস্ৰঃ শব্দস্ত শক্তয়ঃ *

( সা” দ” ২ পরি• ১১ ) ব্যঙ্গত (স্ত্রী) ব্যঙ্গত ভাব তল টাপ, ৰঙ্গেয় ভাব বা ধৰ্ম্ম। ব্যচ, ১ ব্যাজ, প্রতারণা। ২ সমৃদ্ধ। তুদি “পরীত্ব সক' সেট, লট, বিচতি। লিট, বিব্যাচ। বিবিচতুঃ। লুট বচিত। লুট বাচিযাতি। লুঙ, অবাচীৎ, অব্যাচীৎ। সৰু বিবাচিষতি . যঙ, বেবিচ্যতে। স্বঙ, লুক ব্যাব্যচীতি, ব্যাব্যক্তি। শিচ, ব্যাচয়তি, লুঙ, অবিব্যাচৎ। ব্যচস (প্লী) ব্যাপ্তি। “সমুদ্রো ন ব্যচদধে” ( খক্‌ ১।৩৭।৩) ‘ਬਾਂ ব্যাপ্তি:’ (সায়ণ) ২ আদিত্য। “বচচ্ছন্দঃ- ( শুক্লযজু” ১৫৪ ) ‘ব্যচঃ ব্যচতি ব্যাপ্তিকৰ্ম্ম বিচতি ব্যাপ্নোতি সৰ্ব্বং জগদিতি ব্যচঃ আদিত্যঃ' ( মহীধর ) ব্যচস্বও (ত্রি ) বাচস্ অতীর্থে মতুপ ব্যাপ্তিযুক্ত। ‘বাচস্বর্তী ধি প্ৰথস্তামজুর্যা” ( ঋক্ ২।৩৫) ‘বাচস্বর্তীঃ ব্যাপ্তিমতা:' ব্যচিন্ঠ (ত্রি ) ব্যাপ্ত। “বয়স বৃহস্তং ব্যচি8ং” ( ঋক্ ২১• $ ) “ব্যচিষ্টং ব্যাপ্তং ( সায়ণ ) ব্যচ্ছ (ত্রি) গমনশীল। “গোবাচ্ছমস্তকায়” ( শুক্লযজু ৩-১৮) ‘গোব্যচ্ছং গাঃ প্রতি গমনশীলং’ (মহীধর ) গোরুর প্রতি গমনশীল । বাজ (পুং ) বাজত্যনেনেতি বি-অজ ( গোচরসঞ্চরেতি । প৷ ৩৩১১৯ ) ইতি ঘএঃ, নিপাতনাদজে ব্যসঞপোরিতি বীভাবে ন ভবতি। বাজন। . . ব্যঞ্জন (রী ) বাজতনেনেতি বি-অজ-লুটি, ( বে। যে । প৷ ২৪৫৭ ) ইতি পক্ষে বী ভাবো ন ভবতি । তালবৃন্তক, চলিত গাখী। ইহার সামান্ত গুণ-মুছ1, দাহ, তৃষ্ণ, ঘৰ্ম্ম ও শ্রমনাশক। তালব্যঞ্জনগু৭–ত্রিদোষনাশক, ও লঘু বংশবাজনগুণ-কক্ষ, উষ্ণ, বায়ুপিত্তকারক। বেত্র বস্ত্র, ও ময়ূরপুচ্ছব্যঞ্জনগুণ-ত্রিদোষ-নাশক । চামরব্যঞ্জনগুণ তেজস্কর ও মক্ষিকাদি নিবারক (রাজব”) ভাবপ্রকাশ মতে ইহার সাধারণ গুণ দাহ, স্বেদ,মুছা ও শ্রান্তিনাশক। তালবৃন্তব্যজন ত্রিদোষনাশক । বংশব্যঞ্জন— উষ্ণ এবং রক্তপিত্ত প্রকোপক । চামর, বস্ত্র, ময়ুরপাখা এবং • বেত্রজবাজন ত্রিদোষনাশক, স্নিগ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী। ব্যঞ্জনের মধ্যে • এই ব্যঞ্জনই প্রশস্ত। (ভাবপ্র” ) a. *