পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চালমূগর পরিপূর্ণ, কিন্তু অপঙ্কগুলির শাস কৃষ্ণবর্ণ ও উহা হইতে বেশী তৈল বাছির হয় না ; যে টুকু তৈল পাওয়া যায়, তাছাও पञठि पञश्रद्रिकांद्र । কল হইতে তৈল বাহির করিবার উদ্দেশে ফলগুলিকে ভাঙ্গিয়া উহার শাস গ্রহণপূর্বক খোসার ভাগ পরিত্যাগ করিতে হয় ; পরে উক্ত শাসকে আতপতাপে গুঙ্ক করিয়া পশ্চিমদেশবাসীগণ যেরূপে উল্লখলের সাহায্যে তঙুল প্রস্তুত করে, সেইরূপে উডুখল দ্বারা অৰ্দ্ধ ভগ্ন করিতে হয়। তারপর অৰ্দ্ধভগ্ন শাস নরম কাম্বিসের ভিতরে রাখিয়া “ক্যাষ্ট্রর অইল” প্রস্বত-প্রণালীতে কলের সাহায্যে তৈল বাহির করিয়া থাকে । কিন্তু তাহাতে পরিষ্কার তৈল পাওয়া যায় না। কারণ অগ্নির উত্তাপে তপ্ত না হইলে এই তৈল পরিষ্কৃত হয় না । চালমুগরার তৈল সাধারণতঃ দুই প্রকার—এক প্রকার ময়লাবিহীন, উজ্জল এবং দীপ্তিমান। দেখিতে ঠিক সেরি’ মদের দ্যায়। অপর অতি স্বল্প শস্তকণাবিশিষ্ট, সুতরাং অমুজ্জল । জে মস মহোদয় রাসায়নিক বিশ্লেষণ দ্বারা স্থির করেন, ইহার ৮০ ভাগ অশ্লমিশ্রিত (শতকরা ১১.৭ অংশ.Gynocardic acid, ****f Palmitic acid, 8 * Hypogoeic acid এবং ২৩ অংশ Cocinic acid রহিয়াছে। ) এই সকল অল্প Glycerylএর সহিত রাসায়নিক সংযোগে সংশ্লিষ্ট । কিন্তু কোন অমের কিছু কিছু অংশ অসংশ্লিষ্ট অবস্থাতেও থাকে । এই তৈল ৪২ ডিগ্ৰী উষ্ণতায় দ্রব হয় । চালমুগরা তৈল চৰ্ম্মরোগের পক্ষে বিশেষ উপকারী। এমন কি এই তৈল রীতিমত ব্যবহার করিলে কুষ্ঠব্যাধিও আরাম হইয়া থাকে। ইহার ৰাহ ও আভ্যন্তরিক উভয় প্রকার প্রয়োগই ফলদায়ক। এ দেশে এখন চালমুগরাবীজ ও উহার তৈলের বহুল প্রচার দৃষ্ট হইতেছে এবং অনেকে স্কৃতের সহিত মিশ্রিত করিয়া এই তৈল ব্যবহার করিয়া থাকে। ইছার আভ্যন্তরিক প্রয়োগ বলকারক এবং বাহ্যপ্রয়োগ উত্তেজক। পাছড়া হইতে কুষ্ঠব্যাধি পৰ্য্যন্ত সকলপ্রকার চৰ্ম্মরোগেই ইহা ব্যবহৃত এবং সমভাবে উপকারী। চালমুগরা যে উপদংশ রোগের মহৌষধ, তাহ ১৮৫৬ খৃষ্টাবো ভারতপ্রবাসী শ্বেতপুরুষগণ জানিতে পারেন এবং তাহার কিছুদিন পরে ডাক্তার আর জোনস প্রকাশ করেন যে, উহা ক্ষয়কাশ ও গণ্ডমালা রোগে বিশেষ উপকারী। পরে ১৮৬৮ খৃষ্টাকে উহা মহোপকারী ঔষধের উপকরণ বলিয়া ভারতীয় সরকারী ঔষধ-তালিকাভূক্ত হয়। সেই সময়ে লিখিত হয় যে উহা কুষ্ঠব্যাধি, গণ্ডমালা, [ ২৫৯ ] চালিকর অন্যান্ত চৰ্ম্ময়োগ এবং বাত প্রভৃতি রোগে ব্যবহার্ষ্য। সেই সময়ে উহার প্রয়োগ পরিমাণও স্থিরীকৃত হয়। ছয় গ্রেশ বীজচুর্ণ দ্বারা বটিক প্রস্তুত করিয়া দিবসে তিনবার किच्चा दिन भएक्षा अँोष्ठ झ्म्न ८झैोप्ने ठेउल वादहाँद्र कब्रि८द । বর্তমান সময়ে সমগ্র যুরোপখওে উহা পরিব্যক্ত হইয়াছে ও উহার যশ গৌরব দিন দিন বৃদ্ধি হইতেছে। আজকাল ইহা vers (Gynocardic acid, gynocardata of magnesia প্রভৃতি) নানাপ্রকার মলম প্রস্তুত হইতেছে। এই তৈল অত্যস্ত উপকারী হইলেও সকল রুগ্ন ব্যক্তির ব্যবহার্য্য নহে। রুশ্ন ও অল্পজীর্ণ, লোকের পক্ষে ইহা সেরূপ নহে, কারণ ঐ প্রকার লোকের পক্ষে ইহা ব্যবহার করিলে ক্ষুধামান্দ্য প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। এই তৈল আহারের পরে ব্যবহার করিতে হয়। ৪ হইতে ৩১৪• গ্রেণ পর্য্যন্ত মাত্রা বৃদ্ধি করা যাইতে পারে। Vaselineএর সহিত একত্র করিয়া ইহার উৎকৃষ্ট মলম প্রস্তুত করিতে হয় । চালমুগরা তৈল, বীজচুর্ণ ও ইহার মলম ব্যবহার করিয়া অনেক কুষ্ঠরোগী যে আরোগ্য লাভ করিয়াছে, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। রোগের প্রথমাবস্থায় ব্যবহার করিলে রোগ প্রবল হইতে পারে না এবং দিন দিন আরাম হইতে থাকে । কলিকাতায় চালমুগরা বীজের মণ ৫ ৭২ টাকায় বিক্রীত হয়। কিন্তু আমদানী অল্প হইলে সময়ে ১২ । ১৩ করিয়াও বিক্রয় হইতে দেখা - যায়। বর্ষার শেষে ইহার আমদানি হয়। ইহার তৈল প্রতি মণ ৬০২ । ৭০ টাকা । কলিকাতা হইতে বোম্বাই ও মাত্রাঙ্গ অঞ্চলে রপ্তানি হইয়া থাকে, সুতরাং তথায় অপেক্ষাকৃত মূল্য অধিক । চালায়ুনী, বঙ্গদেশের অন্তর্গত ভাগলপুর জেলার একটা নদী। হরাবত পরগণায় বাহির হইয়া পরগণা নারদিগরের অন্তর্গত থাল্লাগড়ী নামক গ্রাম দিয়া প্রবাহিত হইয়া অবশেষে গেড়ে। নদীতে গিয়া পতিত হইয়াছে। এই নদীর কিনারায় অনেক স্থানে চাউল জন্মিয় থাকে । চালিকর, মহারাষ্ট্র আধিপত্যকালে ধারবারের খাজনা আদায়কারী একপ্রকার কৰ্ম্মচারী। ইহারা অপেক্ষাকৃত অল্প করে জমি দখল করিত এবং তাহার পরিবর্তে প্রজাদিগের নিকট হইতে খাজনা আদায় করিয়া দিত। কোন প্রজা খাজনা দিতে না পারিলে চালিকরকে ঐ খাজনা পূরণ করিয়া দিতে হইত। তদ্ভিন্ন তাহাদিগের অন্যান্ত দায়িত্ব ছিল । সচরাচর নিৰ্দ্ধারিত খাজনা ব্যতীত আরও নানারূপ কর চালিকরদিগের নিকট আদায় হইত। চালিকরদিগের