পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্রবিদ্যা [ 8 لاo ] চিত্রবিদ্যা স্থায়ী করিবার জন্য বার্লিস মাথান হইয়া থাকে। বার্ণিস করিলে চিত্র উজ্জল হয় এবং ধূলি লাগিয়া সেই চিত্র নষ্ট হয় না। Žsassi ( oil painting) wrototo উৎকৃষ্ট ও দীর্ঘকালস্থায়ী। ইহা সচরাচর বস্ত্রের উপর অঙ্কিত হয় । একখানা মোট কাপড় ফ্রেমে টান করিয়া লাগাইয়া তাহাতে একরূপ প্রলেপ মাথান হয়। ঐ প্রলেপদ্ধারা বন্ত্রের ছিদ্র থাকে না ও রন্থ দিলে আর চুপসিয়া যায়না। তিসি, গর্জন প্রভৃতি তৈলে রঞ্জ গুলিয়া ছবি আঁকিতে হয়। হিস্কুল, হরিতাল, সফেদা, ভূষ। প্রভৃতি এই কার্য্যে ব্যবহৃত হয়। সকল প্রকার তৈল এখন তৈয়ারি ক্রয় করিতে পাওয়া যায় । ঐ সকল রঙের কতক একট ক্ষুদ্রপাত্রে রাখিয়া আবশুক মত তুলি দিয়া চিত্রে লাগান হয়। চিত্র আঁকা হইলে পর তাহ বাণিস করিতে হয় । এদেশে পুৰ্ব্বকালে কিরূপ তৈলচিত্র ছিল, তাহার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায় না, তবে মুসলমানদিগের সময় যে ভারতে তৈলচিত্রের প্রচলন ছিল, তাহার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় । কিন্তু সেই সকল তৈলচিত্রে তেমন উন্নতি লক্ষিত হয় না । তৈল চিত্র প্রকৃত প্রস্তাবে এদেশে অধিক উন্নতি লাভ করে নাই । নানাস্থানে মোটামুটি রকমের তৈলচিত্র প্রস্তুত হয়, তন্মধ্যে শ্ৰীক্ষেত্রের জগন্নাথদেবের চিত্রই প্রধান । তথায় পুরাতন বস্তু কর্দম লেপন করিয়া পরে গাল সংযোগে তাহাকে শক্ত ও চিক্কণ করা হয়, তৎপরে উহাতে চিত্রাদি অঙ্কিত করে । জগন্নাথের পর্বাদির চিত্র সম্বলিত এইরূপ একটা সুদীর্ঘ চিত্রপটের তাড়া ৪০ টাকা পর্য্যন্ত বিক্রীত হয়। সম্প্রতি য়ুরোপীয় শিক্ষকের নিকট অনেক ছাত্র এই বিদ্যা শিক্ষা করিতেছে। এখন অনেক ভারতবাসী উত্তম চিত্রকর হইয়াছেন। ইহার বড় বড় লোকের, হিন্দুদেবদেবী এবং সমাজের নানারূপ চিত্র অঙ্কিত করিয়া যথেষ্ট্র অর্থ উপার্জন করিতেছেন। অট্টালিকার প্রাচীর-গাত্রে ও মনুষ্য, পশু, পক্ষ্যাদির চিত্র অঙ্কিত করিবার প্রথা ভারতের সর্বত্রই প্রচলিত আছে । দেওয়ালের চুণ (কাঁচা) মার্ক্স থাকিতে থাকিতে উহাতে রঙ মাখাইয়া ঐরূপ চিত্র অঙ্কিত হয়। রঙ চুণের সহিত মিশিয়া কঠিন হইয়া যায় ও দীর্ঘকালস্থায়ী হয়। কৃষ্ণনগরে এইরূপে চিত্রিত একটা প্রকাগু দালান আছে। মুসলমানরাজত্বের শেষভাগে (১৫০ • হইতে ১৮• • খৃঃ অঃ) প্রস্তুত কাগজের উপর অঙ্কিত বাদসাহ প্রভৃতির বহুসংখ্যক প্রতিমূৰ্ত্তি আজও পাওয়া যায়। কলিকাতা-প্রদর্শনীতে ঢাকা ও সাহারাণপুর হইতে এইরূপ অনেকগুলি চিত্র সংशृंशैङ इग्न । उग्रtथा शूद्रछझांम ८वशय, तांबख शैi, ब्रांज যশোবন্তসিংহ, সম্রাটু সাহঅালম ও আলমগীর প্রভৃতির চিত্র আছে । জয়পুর রাজপুস্তকাগারস্থ ‘রাজম নামার’ ছয়ট চিত্র বৃহদাকারে অঙ্কিত করিয়া ভারতীয় প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়। তন্মধ্যে একটা যুধিষ্ঠিরের নরকদর্শন, আর একটা রাজস্বয়যজ্ঞের চিত্র। বলা বাহুল্য ঐ সকল চিত্র অতি উৎকৃষ্ট । জয়পুরে অদ্যাপি পুরুকাগজে উৎকৃষ্ট চিত্র প্রস্তুত হয় । ঐরূপ একখানা মহাকালীর চিত্রের মূল্য ২১ টাকা, জয়পুরের রাজার চিত্র ৮ টাকা, শ্রীকৃষ্ণের চিত্র ৪২ টাকা । বিকানীরেও জয়পুরের দ্যায় উৎকৃষ্ট চিত্র প্রস্তুত হয়। লাহোরের তোতারাম নামে জনৈক চিত্রকরের অঙ্কিত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ প্রভৃতি কয়েকটা চিত্র ভারতীয় যাদুঘরে রক্ষিত হইয়াছে। লাহোরের চিত্রকরগণের দ্বারা অতি কুরুক্ষেত্র, কৌরবরাজসভা, কংসবধ, কালিয়দমন, বরাহ অবুতার প্রভৃতি চিত্রের মূল্য ৭০ ৮০ টাকা পৰ্য্যন্ত । মাস্ত্রীজের নানাস্থানে কাগজের উপর উৎকৃষ্ট চিত্র অঙ্কিত হয়। কলিকাতা আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে মাঙ্গাজ হইতে, শ্ৰীকৃষ্ণ ক্ষীরভাগুহস্তে ও র্তাহার দুইপাশ্বে দুই গোপাঙ্গন, এইরূপ একটা চিত্র প্রেরিত হয়। উহার মূল্য ১৩২ টাকা । কিছুকাল পূৰ্ব্বে বাঙ্গালার পটুয়াগণ উৎকৃষ্ট হিন্দু দেবদেবীর চিত্র অঙ্কন করিত । লিথোগ্রাফের প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় তাহাদের অতি কুরবস্থা হইয়াছে । পুৰ্ব্বধরণের একথানা ছবির মূল্য প্রায় ১০২ টাকা। মহিম্বরে চিত্রকরগণ যবে রঙ্গে কাগজের উপর চিত্রাদি আঁকে। একখানার মূল্য ৫\ হইতে ১৫ টাকা । পূৰ্ব্বে বাঙ্গালার নানাস্থানে কাচের উপর দেবদেবী প্রভৃতির চিত্র অঙ্কিত হইত। সম্প্রতি উহা একরূপ উঠিয়া গিয়াছে । মাত্রীজের চঞ্জগিরি এবং ভারতের অন্যান্ত স্থানে এখনও কাচের উপর নানারূপ চিত্র অঙ্কিত হয় । দিল্লীতে হস্তীদন্তের উপর অতি সুন্দর নানারূপ চিত্র অঙ্কিত হয়। পারসী হস্তলিপিতে ঐরুপ চিত্র প্রদত্ত হইত। মুসলমান বাদসাহ, বেগম প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তি এবং তাজমহল জুম মসজিদ প্রভৃতি মন্দিরের চিত্র হস্তীদম্ভের উপর জলের রঙে অঙ্কিত হয়। চিত্রকরেরা ফটোগ্রাফ দেখিয়া ও বর্ণ দ্বারা তদনুরূপ চিত্র আঁকিয়া থাকে। এই সকল চিত্রিত হস্তীদন্তের বাক্স, সজ্জায় কিম্বা মণিযোগে,অলঙ্কাররূপে ব্যবহৃত হয়। দিল্লীর অনেক মুসলমান হস্তীদন্ত-চিত্রকর সম্প্রতি কলিকাতা বোম্বাই প্রভৃতি স্থানে বাস করিতেছে। এক