পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्लिनि [ ৩২৮ ] ठेिनेि গুড় হইতে চিটা বাহির করিয়া সারভাগ শুষ্ক করিলে তাহাকে ভূরা বা ভূরাগুড় কহে। ভারতচন্দ্র ও ভূরা এই অর্থে ব্যবহার করিয়াছেন । “আট পণে আনিয়াছি আধসের চিনি। অন্য লোকে ভূরা দেয় ভাগ্যে আমি চিনি ।” এতদ্বারা ভূরা চিনি অপেক্ষ নিকৃষ্ট বলিয়াই প্রতীত হয়। কিন্তু উত্তরপশ্চিম প্রদেশ ও পঞ্জাব প্রভৃতি স্থানে ভুরা শঙ্গে উৎকৃষ্ট চিনি অর্থাৎ মিছরি বুঝায়। কাশীর দোবরা চিনি অতি উৎকৃষ্ট । দুইবার পরিষ্কৃত করা হয় বলিয়ঃ ইহার বোধ হয় দোবরী নাম হইয়াছে। ওলা ও ইংরাজী লোফ-মুগার (Loaf-sugar) একই পদার্থ। ভারতবর্ষে নানাস্থানে নানারূপ ইক্ষু জন্মিয় থাকে। বাঙ্গালায় কাজলী, কাতরি, খাগড়া, ছাচি, দুধে, পুড়ি, বোম্বাই প্রভৃতি তদ্ভিন্ন মরিচসহর, ওটাছিট, বার্বের্ণ, শিঙ্গাপুর, চীন প্রভৃতি হইতে আখের বীজ আনিয়াও চাস হইতেছে। কাজলী আখের রং লাল অথবা বেগুণে । তদ্ভিন্ন সকলেরই রং ঈষৎ পীত । দুধে আখের রং শাদা । চিত্র বিচিত্র আখও পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরের একরূপ স্বচ্ছ আর্থ অতিশয় কোমল ও মিষ্ট, কিন্তু অতিশয় ভঙ্গপ্রবণ বলিয়া ঝড় বা বেশী বাতাসে সহজে ভঙ্গিয়া যায়। বোম্বাই ও ওটাছিটর আখ সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক বড় হইয়া থাকে। কেবল চিবাইয়া রস খাইবার জন্য বহুপরিমাণে ইক্ষু ব্যবহৃত হয়। এই সমস্ত ইক্ষু অপেক্ষাকৃত অনেক কোমল। থাইতে খুব ভাল হইলেই সে আখে উৎকৃষ্ট চিনি হয় না । কোমল ও ভঙ্গপ্রবণ আখ চাস করিলে ক্ষতির ভয় অধিক । খুব সতর্ক হইয়া রক্ষা না করিলে শৃগাল ও মানুষেই অনেক খাইয়া ফেলে। মনুষ্য শৃগালাদির উপদ্রব হইতে এড়াইবার জন্য অনেকে কাতরি, খাগড়া, চীনে প্রভৃতি কঠিন মাথের চাষ করিয়া থাকে। এই সকল অাথে গুড় প্রায় সমান হয়, তা ছাড়া মানুষের কথা দূরে থাকুক, শৃগাল, রুই ইত্যাদিও একথানি নষ্ট করিতে পারে না । সেই জন্য এই সকল আখ না বাধিলেও কোন ক্ষতি হয় না । ঝড়ে পড়িয়া গেলেও ইহাদিগকে নিৰ্ব্বিঘ্নে তুলিয়া দেওয়া যায়। শৃগাল ও চোরের উপদ্রব ব্যতীত আখের আরও অনেক বিঘ্ন আছে। ১ম আর্থ চাস বহু ব্যয়সাধ্য, সুতরাং দরিদ্র কৃষক ঋণ না করিয়া আথচাস করিতে পারে না । কিন্তু দেশীয় মহাজনদিগের কবলে একবার পড়িলে কেহই সহজে ঋণজাল হইতে মুক্ত হইতে পারে না। ইক্ষুচাব এইরূপ বিপদ দেখিয়া সহজেই বিশেষ সঙ্গতি না থাকিলে, কেহ অগ্রসর হইতে চায় না । তাহার পর দেবতার অনুগ্রহ হইলে যদি কেহ চাস করিল, তখন আবার কই, ইঙ্গুর, শৃগাল তন্থকাদির উপত্ৰৰ আছে । সময়ে সময়ে ইহাদের এরূপ উপজব হয় যে সমস্ত हेकूरकज याकबारग्न महे शऐब्रां षांत्र । ठ हफ़ अफ़क शांश, ধল ধরা ও অন্যান্য কীটাদির উপজৰ আছে। একরূপ কীট আখের গায়ে ছিদ্র করিয়া বাস করে এবং রস পান করিতে থাকে । ইহার একস্থানে ছিদ্র করিয়া তাহাতে প্রবেশ করে এবং ক্রমে পথ কাটিয়া অগ্রসর হইতে থাকে । একবার দুই একটা জাখে রুই লাগিলে সমস্ত ঝাড়ে ব্যাপ্ত इहेब्रा भएफ़ । जानक जमग्र cण५ दांत्र, cय प्रभग्नक्र° स्रांश জন্মিয়াছে, বাহিরে কোন বৈলক্ষণ্য নাই,কিন্তু একগাছি ভাঙ্গিয় দেখ, কোন পাব (পৰ্ব্ব) গুস্ক, কোথাও বা লাল ও বিশ্বাদ হইয়া গিয়াছে অথবা সমস্তটাই একরূপ অন্নাস্বাদযুক্ত হইয়াছে। বাবু জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য অনেক কৃষিতত্বানুসন্ধিৎসু মহোদয় এই বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিয়া স্থির করিয়াছেন, যে বহুবর্ষ ধরিয়া এক জমিতে একরূপ ইক্ষু আবাদ করিলে পূৰ্ব্বোক্ত রোগের প্রাচুর্তাব অধিক হয়। র্তাহারা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, বাঙ্গালায় যেসকল জমিতে বোম্বাই অাথের চাস ১৯২০ বৎসর ধরিয়া হইতেছে তথায় এই সকল রোগ অত্যন্ত অধিক, আবার যেখানে ১০১২ বৎসর মাত্র চাস হইতেছে, তথায় অাদে ঐক্কপ কোন রোগ নাই । অনেক সময় ইক্ষুক্ষেত্রে বহু পরিমাণে আগাছ ও পল্পগাছা জন্মিয় বিস্তর ক্ষতি করে । এই সমস্ত পরগাছার দেীরাত্মো অনেক সময় কৃষককে ইক্ষুচাস বন্ধ করিতে হয়। পরগাছা আথের গোড়ায় উৎপন্ন হয় এবং উহার গায় শিকড় ফুটাইতে থাকে। ইহাদের শিকড় ইক্ষুর ত্বক ভেদ করিলে ইক্ষু আর বন্ধিত হয় না, শুষ্ক ও মৃতবৎ হইয়া যায়। প্রথমে জমিতে শণ, নীল প্রভৃতি আবাদ করিয়া পরে ভালরূপ সার দিলে ইহাদের হাত এড়াইতে পারা যায়। এই সকল বিস্ত্র বিপত্তি অতিক্রম করিয়া যৎকিঞ্চিৎ ইক্ষু জন্মিলেও রক্ষা নাই। দেশীয় প্রথা অনুসারে কোন দ্বিজ ইক্ষুক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া যথেচ্ছ ইক্ষু ভাঙ্গিয় লইয়া গেলেও তাহাকে কিছু বলিবার যো নাই ; কেন না মন্থর নিয়মামুসারে দ্বিজের ইক্ষুগ্রহণে অধিকার অাছে। তা ছাড়া পথিক, গাড়োয়ান, রাখাল প্রভৃতি গোপন ভাবে অনেক অপহরণ করে। গ্যাদাল দিবার (অর্থাৎ ইক্ষু কৰ্ত্তনের ) দিন আর্থবাড়ীতে একরূপ লুঠ পড়িয়া যায়। লোক আসিয়া যথেচ্ছ ভক্ষণ করে ও দুচার গাছি না লইয়। ফিরে না। চক্ষের উপর এইরূপ ডাকাতি দেখিলেও দেশাচারের খাতিরে কৃষক কিছু বলিতে পারে না । আখশালেও ব্রাহ্মণাদি বা অপর