किमेिं পদার্থ দেওয়া হয় বলিয়া উহা হিন্দুর পক্ষে অভোজ্য, সুতরাং এদেশে কলে চিনি প্রস্তুত হইত না। বৃহৎ কড়া, স্তেক কিম্বা ईक्लिग्न भएषा रेडूबन ब्राविब्रां ऊंशद्र मैौदछ जान मिप्ङ ७ भूभ খুলিয়া রাখিতে হয়। অগ্নির উত্তাপে ঐ রসের উপরিভাগে এক প্রকার মলিন পদার্থ জমিয়া বাল্প, উহা জমিম্বা মাত্র তুলিয়া ফেলিতে ছয়, ইহাকে গাদতোলা কছে। এইরূপে কতক সময় জাল দেওয়া ও গাদ তোলায় পর জলীয় অংশ বাস্প হইয় গেলে এবং উহা ঘনীভূক্ত হইয়া গুড়ক্ষপে পরিণত হইলে শীতল করিবার জন্য মৃৎপাত্রে ঢালিয়া রাখিতে হয় । রীতিমত দান ৰাধিলে উহার মৰ্য হইতে তরল অংশ ত্যাগ করিয়া কেবলমাত্র সারাংশ রাখিযার উদ্দেশে ঐ গুড় মোট বস্ত্রখণ্ডে বাধিয়া তাহার উপর, চাপ প্রয়োগ করিতে হয়। তরল অংশ সুচারুরূপে নিঃস্থত হইয়া গেলে সারাংশে জল মিশ্রিত করিয়া পুনরায় জালের উপর চাপাইতে হয় ; এবারে ইহার সহিত সামান্ত চুণ ও দুগ্ধ মিশাইতে হয়, কারণ চুণও হন্ধে ময়লা কাটে । জালের উপর খাকিয়া উত্তপ্ত হইলে উহার উপর পুনরায় ময়ল (গাদ ) জমিতে থাকে ও উহ। তুলিয়া ফেলিতে হয়। ক্রমাগত এইরূপ প্রক্রিয়ার পর যখন আর ইহার উপর মলিনাংশ ( গাদ ) দৃষ্ট হয় না, অথচ জলীয় অংশ বাস্পাকারে পৃথক হইয়া যায়, তৎকালে ইহা নামাইয়া শীতল করিবার জন্য মৃৎপাত্রে রাথিতে ছয় । মৃৎপাত্র মধ্যে দানা বাধিলে তরলাংশ পৃথক্ করিবার জন্য তলদেশে ছিদ্র ও চিনির বর্ণ উজ্জ্বল ও পরিষ্কার করিবার জন্য পাত্রের উপরিভাগ শৈবাল দ্বারা আবৃত করিয়া রাখিতে হয় । শৈবাল নিঃস্থত রস পাত্রের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া চিনির মলিনাংশের সহিত ছিদ্র দিয়া বাহির হইয়া যায় । শৈবালের গুণে চিনির দানা শুভ্ৰ হইয় পড়ে । পরে ইঁাড়ি হইতে চিনি বাহির করিয়া লইতে হয় । এই চিনি পুনৰ্ব্বার জালে চড়াইয়া পূর্বের ন্তায় আবার দান বাধিতে দেয়। চিনির মধ্য হইতে পাত্রের ছিদ্র দিয়া যে রস বাহির হইয়া যায়, তাহা অপর পাত্রে ধরিয়া অন্য প্রয়োজনে লাগান হইয়া থাকে। চীনদেশেও এই প্রক্রিয়ায় চিনি প্রস্তুত হইয়া থাকে । আমেরিকা মহাদেশে অতি সহজ উপায়ে ইক্ষুরস হইতে চিনি প্রস্তুত করা হইয়া থাকে । তথায় মাখ-মাড়া কল হইতে নিঃস্থত রস প্রণালীর মধ্য দিয়া পাত্রে পতিত হয় । ঐ পাত্রগুলি অগ্নিকুণ্ডের উপর স্থাপিত । অগ্নিকুও সকল সময়ে প্রজ্জ্বলিত থাকে না ; পাত্র রসপূর্ণ হইলে অগ্নিকুণ্ড প্রজ্জ্বলিত ও সেই সময়ে রসের সহিত অতি অল্প পরিমাণে চু৭ মিশ্রিত করা হয়। পারস্থ রস উত্তপ্ত { లిలిe } ििन ministrans= হইলে উহার বঙ্গ অংশ উপরে ভাসিয়া উঠে। ক্ষস পরিস্ক করিষার জন্য ঐ মলিম স্থান অংশৰে তুলিয়৷ কেলির দিতে হয়, উহাকেই এদেশে গাদতোলা ৰলে। কিছুক্ষণ এই রূপে স্তাপে পরিষ্কৃত হওয়ার পর যখন দেখিতে পাওয়া যায় যে জদের উপরিভাগ শুক্লবৰ্ণ ফেশায় উঞ্চলাইয়া উঠিকেছে সেই পর্মক্ষে জন্ধিযুগুস্থ জঞ্জি নিৰ্ব্বাণ করিয়া দিতে হয় এবং এক খণ্টাকাল ঐ রস সেই জবস্থায় রাখিয়া পরে অপর পাত্রে ঢালিয়া দেয়। এই সময়ে ক্ষস দেখিতে ঠিক পিঙ্গলবর্ণ সুরার স্থায় উজ্জল ও পজিকৃত বোধ হয় । সমুদায় পাত্রান্তরিত হইলে উহায় জলীয় অংশের কথঞ্চিৎ বাস্পাকারে পরিণত করিবার জষ্ঠ পুনরায় রসপূর্ণ পাজের তলদেশে অগ্নির উত্তাপ দেয় । অগ্নির উত্তাপে রসের উপরিতাপে গাদ একত্র হইলে উহ! অতি সতর্কভাবে তুলিয়া ফেলে , অবশেষে রস জমাট বাধিবার উপযোগী হইলে, হাত কিম্বা ঐ রূপ কোন উপকরণ দিয়া প্রথমে শীতলকরণার্থ কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত বাক্স কিম্বা নলের দ্যায় আকৃতিবিশিষ্ট কোন পাত্র মধ্যে রাথিয়া পুনঃ পুনঃ নাড়িতে হয়, পরে ঘন করিবার জন্ত তাহা হইতে অপর পাত্রে ঢালিয়া থাকে । এই পাত্র মধ্যে রসের কিয়দংশ কোমল দানাবিশিষ্ট হয় ও কিয়দংশ ঘন মোটাল জানাবিহীন তরল অবস্থায় থাকে । দানাদার অংশ, দান বিহীন তরল রস হইতে পৃথক হইলেই চিনি হয় । সুতরাং উভয় প্রকার পদার্থ পৃথক্ করাই দরকার। তরল অংশ হইতে দানাদার অংশ পৃথক করিবার জন্য শেষোক্ত পত্র হইতে দানাযুক্ত অংশ বাহির করিয়া একটা বৃহৎ গৃহ মধ্যে লইয়া যায়। উক্ত গৃহের মেজের মধ্যে গৰ্ত্ত করিয়া যথেষ্ট পরিমাণে তরল পদার্থ-ধারণের উপযুক্ত চৌবাচ্চ প্রস্তুত ও তাহার উপরিভাগে ফ্রেমের উপর কতকগুলি থালি পিপ স্থাপিত। ঐ সকল শুষ্ঠ পিপার তলদেশ কলার ডেগো ঢাকা ও তাহাতে আট দশটা করিয়া ছিদ্র থাকে। পূৰ্ব্বলিখিত দানাদার অথচ সামান্ত তরল রসমিশ্রিত চিনি এই সকল পিপার মধ্যে রাখিলে উহার তরল অংশ ক্রমে সছিদ্র কলার ডেগোর মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া নীচে ভূমি গর্ভস্থ চৌবাচ্চ মধ্যে পতিত হয় এবং শুষ্ক চিনি পিপার মধ্যে রহিয়া যায় । - চিনি প্রস্তুতের জন্ত অনেক স্থলে অনেক প্রকার কল আবিষ্কৃত হইয়াছে ; তন্মধ্যে ভবৃলিউ এগু এ মইন ( W. and A. Monie) সাহেব কর্তৃক আবিষ্কৃত কলই য়ুরোপখওে সৰ্ব্বত্র প্রচলিত ও বিশেষ আদৃত । [ চিত্র দেখ। ] এই কলে তাম্রনিৰ্ম্মিত শূন্ত কটাহ সংলগ্ন থাকে, ইহার ব্যাস ৯ ফিট্র ও নিম্নাংশ তিল । উভয় তলের মধ্যস্থলে ২ ইঞ্চি কিম্বা এক
