পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রার্থনা করায় তাছাকে নিষেধ, করেন। ভারতী উাহাকে उकिब्र भिद्राहेत्र मe ७ रूय७नू निद्राशिगन । cर्णाब्रात्र সেই নবীন ধরলে, কাঙ্গালবেশে দণ্ড ও কমওলু হস্তে দাড়াইয়া সকলের নিকটে কৃষ্ণ নাম ভিক্ষণ করিতে লাগিলেন । অtহা ! তাহা ভাবিলেও শরীর শিহরিয়া উঠে ! দেখিতে দেখিতে গৌরের বাহঙ্কান বিলুপ্ত হইয়া আসিল, মনে ভাবিতে লাগিলেন এক নিশ্বাসে বৃন্দাবনে যাইবেন । তাই তিনি পশ্চিমদিকে দৌড়াইয়া চলিলেন । ইহা দেখিয় নরহরি, দামোদর ও বক্রেশ্বর প্রভৃতি অচেতন হইয় পড়িলেন । কিন্তু নিতাই, চজশেখর, মুকুন্দ ও গোবিন্দ সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াইয়া চলিলেন এবং সেইস্তানে উপস্থিত সহস্ৰাধিক দর্শকবৃন্দও প্রভূর সঙ্গে সঙ্গে হুড়াছড়ি করিয়া দৌড়িতে লাগিল। " গৌরাঙ্গ প্রথমে লক্ষ্য করে নাই, শেষে দেখিলেন যে লোকের ভিড়ে তাহার যাইবার পথ নাই, তখন অতি মধুর স্বরে বলিতে লাগিলেম, বাবা ! মা ! তোমরা গৃহে ফিরিয়া যাও, আমি প্রাণনাথের উদ্দেশে যাইতেছি, আমাকে বাধা দিওনা ।” এই কথা বলিতে বলিতে নিত্যানমা, চন্দ্রশেখর ও ভারতী প্রভৃতি আসিয়া গৌরাঙ্গকে ঘিরিয়া দাড়াইলেন । ভারতী সঙ্গে যাইবার কথা জিজ্ঞাসা করায় গৌরাঙ্গ স্বীকার করিলেন । এই সময়ে চন্দ্রশেখর প্রভুর নয়নগোচর হন। নিমাই এ পর্যন্ত রাধাভাবে আপনাকে হারাইয়া প্ৰাণেশ্বরের নিকটে যাইবার জন্য উন্মত্ত ছিলেন, তাহার আর কিছুই মনে ছিল না। চন্দ্রশেখরকে দেখিয়া লুপ্ত স্মৃতি জাগিয়া উঠিল, নবদ্বীপ মনে পড়িল, জন্মভূমি, ঘর, বাড়ী, বৃদ্ধ জননী, প্রাণাধিক ভক্তগণও প্রিয়তমা নবীনাভাৰ্য্যা এই সকলই ধীরে ধীরে তাহার স্মৃতিপথে উপস্থিত হইতে লাগিল । এই সময়ে গৌরের নয়ন হইতে ধীরে ধীরে অশ্রধারা পড়িতে লাগিল । তিনি বসিয়া চন্দ্রশেখরের গলা ধরিয়া কাতরস্বরে বলিতে লাগিলেন, “বাপ ! তুমি বাড়ী যাও । আমার জননীকে তুমি যাইয়া সাম্বন করিও । দেখিও তিনি যেন আমার বিচ্ছেদে প্রাণে না মরেন। আর যাহার। আমার নিমিত্ত চুঃখ পাইতেছে, তাহাদিগকে আমার মিনতি জানাইয়া বলিও যে তাহীদের নিমাই এ জন্মে কেবল আত্মীয় স্বজনকে ছুঃখ দিতে জম্মিয়৷ ছিল। তাহদের নিমাই অার স্বরে যাইবে না। ঘরে তাহাদের বলিও যে, নিমাই যে দিন গদাধরের পাদপদ্ম দর্শন করিয়াছে, সেই অবধি তাহার প্রাণ তাহাতে মিশিয়া গিয়াছে।” বলিতে বলিতে নিমাইয়ের কণ্ঠরোধ হইয়া গেল ; V i - - - - - - _ાં 8ર ] বলিল উদ্ধালে দুটা চলিলেন। গদাধর নম্বর চৈতন্যচন্দ্র

  • à আবার প্রেমে বিহ্বল হইয়া “প্রাণবল্লভ ! আমি এই জাইলাম” বলিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া চলিলেন। সমুদায় লোক তাহার পশ্চাতে দৌড়াইল। কাটোয়ার পশ্চিমে তখন বন ছিল, দেখিতে দেখিতে প্ৰভু সেই বনে প্রবেশ করিলেন । সকল লোকও তাহার অনুসরণ করিয়া বনে প্রবেশ করিল। নিমাই দৌড়াইয়া যাইতেছেন, লোক সঙ্গে চলিতে পারিতেছে না, কিয়ৎকালের মধ্যেই প্ৰভু সকলকে পাছে রাখিয়া নিবিড় বনে অদৃশ্ব হইলেন। " কিন্তু নিত্যানম্ব, চন্দ্রশেখর, মুকুন্দ ও গোবিন্দ প্রাণপণে র্তাহার সহিত দৌড়াইতে লাগিলেন। প্রভু কমণ্ডলুট কটির ডোরে বাধিয়া হাতে নূতন বংশদওটা লইয়াবি্যুতের স্থায় দৌড়াইতেছেন, নিত্যানন্দ প্রভূর সহিত দৌড়াইতে না পারিয়া পশ্চাৎ হইতে “প্রভো ! একটু অপেক্ষা কর, আমরা আর পারিনা।” ইত্যাদি বলিয়া ডাকিতেছেন, প্ৰভূ তাহাতে “স্থা” কি “না” কিছুই বলিতেছেন না । ভক্তগণের মধ্যে কেবল নিতাই প্রভুর পশ্চাতে অল্পদুরে, তাহা ছাড়া আর সকলেই অনেকদূরে পড়িয়াছেন। এখন আর প্রভুর দিগ্‌বিদিক জ্ঞান বড় একটা নাই । পুরুষোত্তম আচাৰ্য্য প্রভুর পরমভক্ত। প্ৰভু তাহদিগকে ছাড়িয়া নিৰ্ম্মমের স্থায় চলিয়া গেলেন এই কারণে তপহার মনে বড়ই দৈস্য উপস্থিত হইল । পুরুষোত্তম ক্রোধ করিয়া যে দেশে নিমাইয়ের কথা নাই, যে মগরের সাধুগণ ভক্তিকে ঘৃণা করে, সেই বারাণসীধামে যাইয়া গৌরাঙ্গের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করিয়া সন্ন্যাসী হন । র্তাহার নাম হুইল

স্বরূপ দামোদর । দোঁড়িতে দৌড়িতে বিশ্বস্তুর মূৰ্ছিত হন, কিছুকাল পরে মুচ্ছ ভঙ্গ হইলে আবার দৌড় মারিলেন, তাহার নিকটস্থিত ভক্তগণের প্রতি একবার লক্ষ্যও করিলেন না। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে নিমাই অতিশয় দ্রুতবেগে ধাবিত হইলেন, এবারে নিত্যানন্দও তাহার পশ্চাদগামী হইতে পারিলেন না । দেখিতে দেখিতে সন্ধ্যা হইল, ভক্তগণ বিষণ্ণ মনে অধোবদনে দাড়াইলেন। নিমাই কোথায় !’ সম্মুখের গ্রামে প্রবেশ করিয়া বাড়ী বাড়ী জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, কেহ কোন খবর বলিতে পারিল না । সকলে বসিয়া রহিল। কাহারও আহার নিদ্রা নাই, কষ্ট্রে রাত্রি শেষ হইল। এমন সময়ে তাহার কাতর ধ্বনি শুনিতে পাই . *লেন । ভক্তগণ সেই ধ্বনি লক্ষ্য করিয়া মাঠের মধ্যে যাইয়। দেখিলেন যে র্তাহাদের কৃষ্ণচৈতন্য একটা অশ্বখবৃক্ষের তলে বসিয়া শূন্তগাত্রে একখানি কেীপীনমাত্র পরিধান করিয়া বাম হস্তে গগু রাখিয়া, “প্রাণনাথ ! কৃষ্ণ ! আমি কি দর্শন পাইব না, আর যে সহিতে পারি না, এখন দেখা দেও।” > ob"