পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

asummummiměstamiem স্থানে জগঞ্জাখ অস্থিত হইলেই জগন্নাথকে বুদ্ধাবতার বলা पाँईtड भारब्र भः । यॉर्फ़ौम श्मिन्शिtब्र cयथाप्न झलांबडांtब्रब्र বুদ্ধমূৰ্ত্তি খোদিত অাছে, তথায় ধ্যানী বুদ্ধমূৰ্ত্তি দৃষ্ট হয় -এখনকার মত হস্তপদহীন জগন্নাখমুৰ্ত্তি দেখা যায় না। যেমন প্রাচীন বোধগয়া হিন্দুর করতলগত হইবার পরেও বায়ুপুরাণীয় গয়ামাহাঙ্ক্যে বোধিত রুমুলে বুদ্ধকে নমস্কার করিয়া পিণ্ডাদি প্রদান করিবার-ব্যবস্থা আছে; সেইরূপ যদি জগন্নাথ বৌদ্ধতীর্থ হইত, তাহা হইলে পুরাণাদি কোন না কোন সংস্কৃত গ্রন্থে নিশ্চয়ই বুদ্ধের কোনরূপ আভাস থাকিত। বরং উৎকালখণ্ডে লিখিত আছে— “অতো দশাবতারাণাং দর্শনাদ্যৈস্ত যৎ ফলম্ । তৎফলং লভতে মর্ত্যে দৃষ্ট জীপুরুষোত্তমম্।।” (৫১ অঃ) উক্ত শ্লোকে দশাবতার হইতে জগন্নাথের প্রভেদ বর্ণিত হইয়াছে। মাগুনিয়া দাসাদির কথা নিতান্ত আধুনিক ও অপ্রামাণিক বলিয়া অগ্ৰাছ । রাজেন্দ্রলাল যে জগন্নাথের বুদ্ধবেশাদির কথা লিখিয়াছেন, তাহারও প্রমাণ নাই । নীলাদ্রিমহোদয়ে জগন্নাথের শৃঙ্গারবেশাদির সমস্তই উল্লেখ আছে, কিন্তু বুদ্ধবেশের কথাই নাই। এ ছাড়া উক্ত পুরাবিদগণ শ্ৰীক্ষেত্রে বর্ণবিচারপরিত্যাগপ্রথা উল্লেখ করিয়া বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্ত প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাহাও ঠিক নহে, শ্ৰীক্ষেত্রে বিলক্ষণ বর্ণবিচার প্রথা প্রচলিত আছে, কেবল এখন মহাপ্রসাদ ভক্ষণ সম্বন্ধে নাই, কিন্তু এ প্রথা আধুনিক, যথাস্থানে তাহ প্রকাশ করিব । জগন্নাথের রথযাত্রা যে বুদ্ধদেবের রথযাত্রার অনুকরণ, তাহ ঠিক বলা যায় না । কারণ রথযাত্রার প্রথা বহু প্রাচীন, জগন্নাথ ব্যতীত অপরাপর হিন্দু দেবদেবীরও রথযাত্রার বিবরণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বুদ্ধের পূর্ববর্তী গ্রসিদ্ধ জৈনতীর্থঙ্কর পাশ্বনাথ ও মহাবীর স্বামীর রথযাত্রায় প্রমাণ দ্বারা বৌদ্ধধর্মের অভু্যদয়ের পূর্ব হইতেই যে রথযাত্রা প্রচলিত ছিল, তাহাতে আর সন্দেছ থাকিতেছে না । [ রথযাত্রা শব্দে বিস্তৃত বিবরণ দেখ। ] আমরা যেরূপ প্রমাণ পাইয়াছি, তাহাতে পুরুষোত্তমকে আৰ্য্যজাতির এক প্রাচীনতম দেবপ্রতিমা বলিয়া মনে করি । শাখায়নত্রীক্ষণে লিখিত আছে—

  • জাদে বদরু প্লবতে পিন্ধো: পারে অপুরুষম্। ভদ লভস্ব দুনে তেন যাহি পরং স্থলম্।” শাখায়ন-ভাষ্যকার লিখিয়াছেন—‘জাদে বিপ্রকৃষ্টদেশে বর্তমানং বঙ্গারু দারুময় পুরুষোত্তমাখ্যদেবতাশরীরং প্লবতে জলতোপরি বর্ততে অপুরুষং নিৰ্ম্মাতৃরস্থিতত্বেন অপুরুষং ভৎ জালতৰ হনো ছেহোত তেন দারুময়েণ দেবেন ॐांछमां८बम नब्रश् ऋण१ वकवर ८णांक९ अंदशहछार्थः ।’

[ ¢ १4 ] ञ्जश्झर्थेि জাদিকাল হইতে বিপ্রকৃষ্ঠদেশে ষে অপৌরুষের দারুমূর্তি সমুদ্রতীরে ভাসিয়াছে, তাহার উপাসনা করিলে লোক পয়মলোকে গমন করে । স্মার্ত রঘুনন্দন ও বাচস্পত্য-রচয়িত পণ্ডিত তারামাখও अथर्खप्वप्नब्र नाम तिब्र अिहे बरुनी ख्रु उ कब्रिब्राप्रुन “আদে বঙ্গারু প্লবতে সিন্ধোর্মধ্যে অপুরুষম। তদালভস্ব ছুদূনে তেন যাহি পরং স্থলম্।” কিন্তু উক্ত বচনট মুদ্রিত অথৰ্ব্ববেদে পাইলাম না, বোধ হয় ঐ বচনটী শাখাস্তরে অথবা অথৰ্ব্ববেদীয় অপর কোন গ্রন্থ হইতে উদ্ভূত হইয়া থাকিৰে। অনেকেই এই বচনটা কল্পিত বা প্রক্ষিপ্ত বলিয়া গ্রহণ করিতে চান, কিন্তু ঐ বচনটী প্রক্ষিপ্ত বা আধুনিক নয়, তাহারও প্রমাণ আছে। অমর। সাত শত বর্ষের হাতের লেখা উৎকলথগুের পুথি পাইয়াছি, তাহাতে উক্ত বচনের অমুকুলে এইরূপ শ্লোক দৃষ্ট হয়— “ব এষ প্লবতে দারুঃ সিন্ধুপারে হপৌরুষঃ । তমুপান্ত দুরারাধ্যং মুক্তিং যান্তি মুছলভা ।” (উৎকল খ* ২১৩ শ্লোক ) ঐ শ্লোকের পর লিখিত আছে— * “ব্ৰহ্মজ্ঞাননিধিঃ সাক্ষান্নারদঃ প্রত্যুবাচ তং । নধি প্রবৃত্তিবিষ্ণোস্তু বিন বেদং প্রবর্ততে । পরেষাং ষন্ত বা স্থষ্টে শ্রুতি প্রামাণ্যবান প্রভূ । বিনা শ্রুতিং প্রবৃত্তে তৎ কস্তং প্রামাণ্যমৃচ্ছতি । তস্মাৎ স্মৃতিপ্রসিদ্ধোইয়মবতারোছত্র ভূপতে । বেদান্তব্যেং পুরুষং গীতং তং সামগীতিষু । প্রতিমামেব জানীহি নিঃশ্রেয়সকরীং মৃণাম । সন্ত্যেৰ শ্রাতয়ঃ পূৰ্ব্বমেতদর্চাপ্ৰকাশিকা ।” উক্ত প্রমাণের দ্বারা অমুমিত হয় যে সময়ে বেদান্তবেগু উপনিষদে ত্রহ্মের মহিমা কীৰ্ত্তিত হইতেছিল, সেই প্রাচীন কালে অথবা তাহার অনতিকাল পরে দারুত্ৰন্ধের প্রতিম। প্রকাশিত হইয়া থাকিবে । আমরা ঋগ্বেদ হইতেই বিষ্ণুর মাহাত্ম্য শুনিতে পাই। বিষ্ণু দেখ। ] বোধ হয় যখন বিষ্ণুমতাবলম্বী জাৰ্য্যগণ প্রথম উৎকলরাজ্যে প্রবেশ করেন, সেই সময় এখানে অনার্য্যগণের আধিপত্য দেখিতে পান । পৃথিবীর নানা স্থানেই আদিম অসত্য জাতিগণ এখনও কাষ্ঠপ্রস্তরাদির পূজা করির থাকে। সাওতাল প্রভৃতি জাতির মধ্যে তাহার প্রমাণের অসম্ভাব নাই। ঋগ্বেদের ঐতরেয়ন্ত্রাহ্মণে বিশ্বামিত্ৰপুত্র দুর্ধর্ব শযরজাতির উল্লেখ আছে । [ শবয় দেখ । ] উৎকল ও দক্ষিণ কোশলে বহু পুৰ্ব্বকাল হইতে শবরগণ প্রবল ছিল।