পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ१झt४ xoroo::::::::::::::::=o মোহন ও মূলমন্দির এই চারি অংশে বিভক্ত। ইহার মূলমন্দির দর্শন করিলে অতি প্রাচীন বলিয়াই বোধ হয়। নরসিংহদেবের তাম্রশাসনে মহারাজ চোড়গঙ্গ কর্তৃক লক্ষ্মীদেবীর প্রতিষ্ঠার জাভাস আছে। [ গাঙ্গেয় শব্দের ক্রোড়পত্র ২৮ শ্লোক দেখ। ] বোধ হয়, মহারাজ চোড়গঙ্গ জগন্নাথের মন্দিরের ন্যায় এই মন্দিরটাও নিৰ্ম্মাণ করাইয়৷ ইহাতে লক্ষ্মীদেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন । লক্ষ্মীদেবীর স্বতন্ত্র পাকশাল আছে। তাহাতে সাধারণ বিগ্রহদিগের ভোগাল্প প্রস্তুত হইয়া থাকে। লক্ষ্মীমন্দিরের পশ্চিমে একটী ছোটমন্দিরে সর্বমঙ্গল নামে কালীমূৰ্ত্তি বিদ্যমান। লক্ষ্মীর নাটমন্দিরের উত্তরে দুইটা রাধাকৃষ্ণের মন্দির ও ঈশানকোণে সূৰ্য্যনারায়ণ, তাহার পুৰ্ব্বে সূর্য্যের মন্দির, এ মন্দিরের কারুকার্য্যও অতি সুন্দর, কেহ কেহ বলেন নরসিংহদেবের সময় এই মন্দিরট নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকিবে। ইহার পূৰ্ব্বে জগন্নাথ, তাহার পূৰ্ব্বে পাতালেশ্বর, তাহার নিকটেই উত্তরস্কার । ইহার পূর্বভাগে কৃষ্ণ ও তাহার নিকট বাহনদিগের মন্দির। তৎপূৰ্ব্বে মহামন্দিরের ঈশানকোণে রাধাশুাম ও তাহার দক্ষিণে ভোগমগুপের ঈশানকোণে গৌরাঙ্গদেবের মূৰ্ত্তি। রাধাপ্তাম ও গৌরাঙ্গের মধ্যস্থলে একটা দ্বার অাছে, এই দ্বার দিয়া স্নানবের্দীতে যাইতে হয়। এই বেদীতে জন্মোৎসব বা স্নানযাত্রা হইয়া থাকে। স্নানমগুপের অগ্নিকোণে চাহনিমণ্ডপ । এখানে লক্ষ্মী আসিয়া দেবের স্নানোৎসব দেখিয়া থাকেন । সিংহদ্বারের দক্ষিণভাগে ভেটমণ্ডপ । জগন্নাথ গুণ্ডিচামন্দিরে গমন করিলে লক্ষ্মীদেবী এখানে আসিয়া তাহার প্রতীক্ষা করিয়া থাকেন। বাইশপইঠার উত্তরে পাণ্ডাগুহে মহাপ্রসাদ বিক্রয় হইয়া থাকে । হস্তিত্বারের নিকট প্রদক্ষিণার মধ্যে বৈকুণ্ঠনামে একট দ্বিতল গৃহ আছে। এখানে কতকগুলি নিম কাঠ থাকে, যে কাঠে গতবারে নবকলেবর হইয়াছে, ইহা তাহারই অবশিষ্ট, প্রতিবর্ষে স্নানযাত্রার পর এখানে দেবের কলেবর চিত্রিত হইয়া থাকে। বৈকুণ্ঠের পশ্চিমাংশে এক পাক চত্বর আছে, সেইখানে কলেবর প্রস্তুত হয় । (নবকলেবর প্রসঙ্গে অপরাপর বিবরণ দেখ।) ঐ চত্বরে দুইটী বেদী আছে, একটতে পুরাতনমূৰ্ত্তি রাখা হয় ও অপরটাতে নূতন মূৰ্ত্তি খোদিত হইয়া থাকে । শ্ৰীমূৰ্ত্তি ও মহাবেদী –রঘুনন্দনের পুরুষোত্তমতত্বধৃত ব্ৰহ্মাওপুরাণে লিখিত আছে,—মন্দিরে প্রবেশ করিয়া অগ্ৰে কল্পবট ও গরুড়কে নমস্কার করিয়া পরে সুভদ্রা, বলরাম ও জগন্নাথ দেবকে দর্শন করিবে, তাহাতে পরমগতি লাভ হয়। মন্দিরাভ্যন্তরে গিয়া প্রথমে রত্নবেদীকে তিনবার প্রদ WI ›8ፃ [ ... J জগন্নাথ ক্ষিণ করিতে হয়। অনন্তর প্রথমে বলরাম, তৎপরে স্বাদশক্ষর মন্ত্ৰে শ্ৰীজগন্নাথদেবকে, পরে মূলমন্ত্রে সুভদ্রাদেবীকে পূজা করিবে । ( পুরুষোত্তমতত্ত্ব ) সচরাচর যাত্রীগণ সিংহদ্বার দিয়া মন্দিরে গিয়া প্রাঙ্গণমধ্যে অপরাপর দেবতা দর্শন করিয়া নাটমন্দিরের উত্তর স্বার দিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করে। পরে জগমোহনে আসিয়া, গরুড়মূৰ্ত্তিকে প্রদক্ষিণ ও নমস্কার করিয়া থাকে । জগমোহনের মধ্যে একটা বেড়া আছে, এই বেড়ার বাহিরে দাড়াইয়া, তাহারা শ্ৰীমূৰ্ত্তি সন্দর্শন করে। শ্ৰীমন্দিরের ভিতর অন্ধকার, দুইটমাত্র দীপ জ্বলে, সুতরাং যাত্রীগণ আলো হইতে আসিয়া এখান হইতে প্রথমে মূৰ্ত্তি দেখিতে পায় না, অনেকক্ষণ পরে অস্পষ্ট মূৰ্ত্তি দেখিতে পায় । যাহাদের দর্শন শক্তি কম, হয়ত তাহারী কিছুই দেখিতে পায় না । এই জন্যই সাধারণের বিশ্বাস যে, সকলের ভাগ্যে জগস্নাথ দৰ্শন ঘটে না। এখানে দেবদর্শন উপলক্ষে যাহা প্রণামী দেওয়া হয়, তাহ পাণ্ডারাই আত্মসাৎ করে । যাহারী কিছু বেশী খরচ করে, তাহারাই দক্ষিণদ্বার দিয়া মূলমন্দিরে যাইতে পায় । এখানে যাহা দক্ষিণ দেওয়া যায়, তাহ মন্দিরের আয় ব্যয় হিসাবে জমা হইয় থাকে । এখানে রত্নবেদী বt মহাবেদীর সম্মুখে দাড়াইয়া দর্শক কপূরালোকে দেবদর্শন ও পূজাদি করিয়া থাকেন। রত্ববেদী প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত, দৈর্ঘ্যে ১৬ ফিট ও উৰ্দ্ধে ৪ ফিট । প্রবাদ এইরূপ—ইহার মধ্যে লক্ষ শালগ্রামশিলা প্রতিষ্ঠিত আছে, এই জন্য দারুব্রহ্মমূৰ্ত্তি অপেক্ষ ইহার মাহাত্ম্য অধিক, এই জন্য ইহা মহাবেদী বা সিদ্ধপীঠ বলিয়া গণ্য । এই রত্নবেদীর উপর প্রথমে দক্ষিণপাশ্বে বলরাম, তৎপরে সুভদ্র, তৎপরে জগন্নাথ এবং তৎপরে সুদর্শন মূৰ্ত্তি অধিষ্ঠিত । ইহাদের সম্মুখে স্বর্ণনিৰ্ম্মিত লক্ষ্মীমূৰ্ত্তি, রজতের বিখধাত্রী মূৰ্ত্তি ও পিত্তলের মাধবমূৰ্ত্তি আছে। প্রধান চতুমূৰ্ত্তি কেবল স্নানযাত্রা ও রথোৎসব উপলক্ষে বাহিরে আনা হয়। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দারুমূৰ্ত্তির নানা প্রকার শৃঙ্গার (বেশ) হইয়া থাকে, প্রথমে প্রাতঃকালে মঙ্গল-আরতিশৃঙ্গার, তৎপরে অবকাশ-শৃঙ্গার, তৎপরে দ্বিপ্রহরের সময় প্রহরগৃঙ্গার, সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে চন্দনশৃঙ্গার এবং সন্ধ্যার পর বড়শৃঙ্গার বেশ হইয়া থাকে। সময়ে সময়ে দামোদর, বামন প্রভৃতি বেশও হয় । • দেবের প্রাত্যহিক বিধি –প্রথমে জাগরণ, এই সময়ে দুন্দুভি ধ্বনি, মঙ্গল আরতি, পরে যথাক্রমে দস্তকাষ্ঠ প্রদান, বসুপরিধান, বালভোগ ও সকাল ভোগ হয় । বালভোগে