পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊंशं झांथ { سامانه ] | אוחלט नांझर्लएडौभ देल्लङछद्र शं८उ भशंथनांनं श्रृंॉइंग्रां श्रांम८मा उभ* করিলেন । চৈতন্যদেব চিরভক্তিবিদ্বেষী সাৰ্ব্বভৌমের ব্যবহার দৃষ্টে প্রেমাবিষ্ট হইয়া বলিয়াছিলেন,“আজ আমার সকল ইচ্ছা পূর্ণ হইল। আজ আমি ত্রিভুবন জয় করিলাম, আজ আমার বৈকুণ্ঠ লাভ হইল, সাৰ্ব্বভৌমের মহাপ্রসাদে বিশ্বাস হইয়াছে।” [ চৈতন্তচন্দ্র ৪৩৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। ] 哆 চৈতন্তদেবের কথার ভাবেও জানা যাইতেছে যে, অনেকেরই মহাপ্রসাদে বিশ্বাস ছিল না, তাহারই গুণে মহাপণ্ডিত সাৰ্ব্বভেীমের মহাপ্রসাদে বিশ্বাস হইয়া ছিল । প্রেমের অবতার চৈতন্যদেব জগন্নাথে পা দিয়াই জগদ্বন্ধুর প্রেমে আত্মহারা হইয়াছিলেন, র্তাহার নিকট জগন্নাথদেবের যাহা কিছু সমস্তই অপার্থিব ও অলৌকিক, সুতরাং যে মহাপুরুধ হিন্দু যবনকে সমভাবে কোল দিয়াছিলেন, তিনি যে শবরপঙ্ক মহাপ্রসাদও সাদরে গ্রহণ করিবেন, তাহ কে না বিশ্বাস করিবে ? তাহার দেখাদেথি শত শত চৈতন্যভক্ত, মহাপ্রসাদকে অমৃত ভাবিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন ; সেই সময় হইতেই মহাপ্রসাদের প্রাধান্ত স্থাপিত হয় । যে চৈতন্যদেবকে উৎকলবাসীগণ সকলেই ভগবানের অবতার বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন এবং যে গৌরাঙ্গের মূৰ্ত্তি উৎকলের আট শতাধিক মন্দিরে এখনও পূজিত হইয়া থাকে, সেই চৈতন্যদেবের প্রসাদিত মহাপ্রসাদ উৎকলদেশীয় আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই গ্রহণ করিবেন, তাহাতে আর সংশয় কি ? “নীলাচলে প্রভূর ভোজন মহারঙ্গ । ইহার শ্রবণে হয় চৈতন্তের সঙ্গ ॥’ চৈতন্যভাগবতের এই কবিতাও আমাদের কথার সমর্থন করিতেছে | বাস্তবিক আমরা জগন্নাথে গিয়া দেখিয়াছি যে শাক্তগণ অপেক্ষ বৈষ্ণবেরাই মহাপ্রসাদের বেশী আদর করিয়া থাকেন এবং তাহারা দেশদেশান্তরে লইয়া অতি ভক্তিভাবে মহাপ্রসাদ বিতরণ করিয়া থাকেন। এখনও অনেক শাক্ত জগন্নাথের অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করেন না, কিন্তু মহাপ্রসাদের মাহাত্ম্য শুনিয়া অল্প ব্যতীত অপরাপর প্রসাদ গ্রহণ করিয়া থাকেন। পুরুষোত্মক্ষেত্রে প্রত্যহ হাজার হাজার টাকার মহা প্রসাদ ৰিক্রয় হইয়া থাকে, বিশেষতঃ কোন কোন রথযাত্রার সময় একদিনে লক্ষ টাকার মহাপ্রসাদবিক্রয়ের কথা শুনা যায়। মহাপ্রসাদবিক্রয়ে পুরীর ঠাকুর রাজা ও পাগু। পড়িহারীদিগের যথেষ্ট লাভ হইয়া থাকে। মহোৎসব।—প্রাত্যহিক নিত্য নৈমিত্তিক কাৰ্য্য ব্যতীত জগন্নাথের অনেকগুলি যাত্রা বা উৎসব হইয়া থাকে २ देयक्षांश भांtग अक्रब्रङ्गजैौद्रां श्रेष्ठ २२ निनदाठी গন্ধলেপন বা চন্দনযাত্রা’। এই সময় জগন্নাথের ভোগমূৰ্ত্তি মদনমোহনকে প্রত্যহ নিকটবৰ্ত্তী নরেন্সসরোবরে লইয়া গিয়া নৌকায় পরিভ্রমণ করান হয় । ২ বৈশাখের শুরু অষ্টমীতে প্রতিষ্ঠোৎসব । এই দিন ইঞ্জস্থায় কর্তৃক দেবের প্রতিষ্ঠা হয় । ৩ জ্যৈষ্ঠমাসে শুক্ল একাদশীতে রুক্মিণীহরণ । এইদিন মদনমোহন গুণ্ডিচায় গিয়া রুক্মিণীকে হরণ করিয়া আনেন । রাত্রিকালে বটমূলে উভয়ের বিবাহ হয়। ৪ জ্যৈষ্ঠমাসে পূর্ণিমার দিন স্নানযাত্রা বা জন্মযাত্রা । এই দিন দারুমূৰ্ত্তিগুলি স্নানবেদীতে আনিয়া রাখা হয়, এবং অক্ষয়-বটমূলস্থ রোহিণকুণ্ডের জল লইয়া দেবের স্নানকাৰ্য্য সম্পন্ন হয়, এসময়ে লক্ষ্মীদেবী চাহনিমওপে বসিয়া স্নানোৎসব দর্শন করেন। স্নানের পর শৃঙ্গারবেশ হয়। এই দিন মহাধূমধামে পুজাদি হইয়া থাকে। তৎপরে দারুব্রহ্ম জগমোহনের পাশ্বস্থ নিরোধন ( আঁতুড় ) ঘরে গিয়া ১৫ দিন থাকেন । এই সময় ১৫ দিন কপাট ও পাকশাল বন্ধ থাকে । এই কয়দিন মহাপ্রসাদ হয় না, অথবা কেহ দেবদর্শন করিতে পায় না। পাণ্ডার বহিরের লোকদিগকে বুঝাইয়। দেন, অতিরিক্ত জলসেচন দ্বারা জগন্নাথ মহাপ্রভুর জর হইয়াছে, এই জন্ত তাহারা পাচন ভোগ দিয়া থাকেন । বাস্তবিক পাগুদিগের এই সকল কথা মিথ্যা, এই ১৫ দিন নিরোধনগৃহে অনেক কাৰ্য্য হইয়া থাকে । তখনকার গুপ্ত ব্যাপার সাধারণে জানিবার জন্ত বড়ই উৎসুক হইয়া থাকেন। নীলাদ্রিমহোদয়ে ১৫ দিনের কার্য্যাদি এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে— ‘স্নানোৎসবের পর ১৫ দিন দ্বাররুদ্ধ বংশাবৃত স্থানে প্রভুকে রাখিয়া ঐ বংশাবরণ চিত্র বিচিত্র বস্ত্র দ্বারা আবৃত করিয়া রমণীয় একখানি পর্যাঙ্ক উহার নিকটে রাখিবে, পরে সাৰ্দ্ধ হস্তত্রয়পরিমিত মোট কাপড়ে কৃষ্ণ বলরাম প্রভৃতির মূৰ্ত্তি চিত্রিত করিবে। বলরাম মূৰ্ত্তি শ্বেতবর্ণ, চতুর্তজ, শখ, চক্র, হল ও মুষলধারী এবং নানা প্রকার অলঙ্কারে অলঙ্কত। কৃষ্ণমূৰ্ত্তি মেঘের স্তায় নীলবর্ণ পদ্মাসনস্থ, ইহার হস্ত চতুষ্টয়ে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম থাকিবে এবং বনমালা ও কৌস্তভাদি নানা আভরণ চিত্রিত হইবে । সুভদ্রামূৰ্ত্তি পীতবর্ণ, পদ্মাসনস্থ, চতুভূজ, হস্ত চতুষ্টয়ে পদ্মম্বয়, বর ও অভয় থাকিবে। এই প্রকারে ৩ খানি পটে উক্ত মূৰ্ত্তিত্রয় চিত্রিত করিয়া পূৰ্ব্বদ্বার হইতে আরম্ভ করিয়া মন্দির প্রদক্ষিণ করিবে, প্রদক্ষিণাস্তে পূৰ্ব্বোক্ত বংশাবৃত স্থানে ঐ মূৰ্ত্তিত্রয় স্থাপন করিৰে। অনন্তর পূর্বস্থাপিত পর্যাঙ্কে বলদেবের সন্মুখভাগে