পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগন্নাথপঞ্চিত x #:#erte: রাজাকে আসিয়া সংবাদ দিল। প্রতাপরুদ্রও তাহ প্রত্যক্ষ করিয়া যেমন জগন্নাথকে ধরিতে যাইবেন, দেখিলেন সেই দেবদাসীদ্বয় কোথায় অন্তস্থিত হইল। রাজা বিস্মিত হইয়া জগন্নাথের প। জড়াইয়া ধরিলেন। প্রভাতে পাত্রমিত্র আসিয়া উপস্থিত হইল । সকলের সম্মুখেই জগন্নাথদাস আপনাকে পুরুষোত্তমের দাসী বলিয়া পরিচয় দিলেন। জগন্নাথচরিতামৃতরচয়িত লিথিয়াছেন— এই সময়ে সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য জগন্নাথের পুরুষ-অঙ্গে স্ত্রীচিহ্ন ও প্তাহার কৌপীনবাসে রক্ত দেখিয়া রাধিকার অবতার ভাবিয়া তাহার পাদবন্দনা করিয়াছিলেন। জগন্নাথচরিতামৃতে জগন্নাথদাস সম্বন্ধে এইরূপ অনেক অলৌকিক কথার প্রসঙ্গ আছে । তৎপরে জগন্নাথ ব্ৰহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন । প্রথমে ১৬ জন সাধু তাহার শিষত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমে আরও অনেক লোক তাহার শিষ্য হইয়াছিল । এই সময় তিনি উৎকল ভাষায় শ্ৰীমদ্ভাগবত, প্রেমসাধন, ব্রহ্মাগুভূগোল, দূতীবোধ প্রভৃতি ভক্তিগ্রস্থ প্রচার করেন। ৬০ বর্ষ বয়ঃক্রমে তিনি পুরুষোত্তমের অঙ্গে বিলীন হইলেন । ( জগন্নাথচরিতামৃত ) এখনও উৎকলের অনেকেই জগন্নাথকে বিশেষ ভক্তি শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। জগন্নাথদীঘী, ত্রিপুরা সদরের অধীন একটা থানা। এই থানায় কতকগুলি আদিম অসভ্য জাতির বাস আছে, তাহারা পাহাড়িয়া নামে খ্যাত । ইহারা বলে যে প্রায় ৩০৪০ বৎসর হইল, তাহারা ইংরাজ রাজত্বে আসিয়া বাস করিতেছে, কারণ ইতিপূৰ্ব্বে তাহারা স্ত্রীপুত্রহরণ, গ্রামদাহ ইত্যাদি নানা কারণে উৎপীড়িত হইত । জগন্নাথদেব, মাত্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত কৃষ্ণা জেলার অধিপতি । ১৪২৭ খৃঃ অব্দে কোওবীডু-রাজবংশ মুসলমানকর্তৃক পরাজিত হইলে ইনি কৃষ্ণাজেলায় আধিপত্য বিস্তার করেন । পরে বিজয়নগরাধিপতি কৃষ্ণদেব রায় ১৫০৯ (?) খৃষ্টাৰে ইহাকে পরাস্ত করিয়াছিলেন। জগন্নাথ দেব বিদ্রোহাদি নানা উৎপাতে সৰ্ব্বদাই বিব্রত থাকিতেন। কৃষ্ণাজেলার অন্তর্গত মাচন্নাগ্রামে বিভূতিকুও নামে একটা তীর্থ আছে। ঐ কুণ্ডসমীপে ১৩৬৬ শকে উৎকীর্ণ শিলাফলকে বর্ণিত আছে যে রুধিরোদগারী নামে জনৈক ব্যক্তি অধিপতি জগন্নাথদেবের সন্মানাথ ভূমিদান করিয়াছিলেন। জগন্নাথপঞ্চানন, আনন্দলহরীর একজন টাকাকার। জগন্নাথপণ্ডিত, ১ তঞ্জোরনিবাসী একজন বিখ্যাত পণ্ডিত। ইনি অখধাটকাব্য, রতিমন্মথ নাটক ও বসুমতীপরিণয় নাটক রচনা করেন। WI [ د ه نن ] জগন্নাথপাণ্ড্য =too ২ “সংবাদবিবেক” নামক স্থায়গ্রন্থ রচয়িত । ৩ তঞ্জোরবাসী শ্ৰীনিবাসের পুত্র, অনঙ্গ-বিজয়ভাণ-রচয়িত। ৪ বিশ্বনাথের পুত্র, ইনি ১৫৯৬ খৃষ্টাব্দে ঐষ্টিকৈকাহিকপদ্ধতি রচনা করেন। - জগন্নাথপণ্ডিতরাজ, একজন বিখ্যাত তৈলঙ্গ পণ্ডিত। ইহার পিতার নাম পেরম । ইহার শিক্ষাগুরুগণের নাম জ্ঞানেক্স, মহেন্দ্র, খগুদেব, বিদ্যাধর, পেরু ভট্ট ও লক্ষ্মীকাৰ । ইনি দিল্লীতে বাস করিতেন ও প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন। ইহার কাব্যে শস্বালালিত্য ও অলঙ্কারের মাধুর্য্য অতি সুন্দর । মোগলসম্রাট শাহজহানের জ্যেষ্ঠপুত্র দারার হস্তে ১৬৫৯ খৃষ্টাব্দে ইনি নিহত হন। ইহার রচিত গ্রন্থ অনেক ; তন্মধ্যে অমৃতলহরী ( যমুনাস্তোত্র ), আসফবিলাস (নবাব মাসফখার গুণকীৰ্ত্তন ), করুণালহরী, গঙ্গালহরী, চিত্রমীমাংসাশ্বগুন, জগদাভরণ, পীযুষলহরী, জ্ঞানাভরণকাব্য, ভামিনীবিলাস, মনোরমাকুচমৰ্দ্দন, যমুনাবর্ণনচম্পু, রসগঙ্গাধর (অলঙ্কার গ্রন্থ), লক্ষ্মীলহরী ও সুধালহরী ( স্থৰ্য্যস্তোত্র ) পাওয়া যায় । ইহার মধ্যে কোন কোন পুস্তকে কবির যে “ভট্ট” উপাধি ছিল, তাহা জানা যায়। প্রবাদ এইরূপ যে ইনি কেবল অপ্পয়দীক্ষিতকে আপনার সমকক্ষ জ্ঞান করিতেন । ইনি বালবিধবার বিবাহের পক্ষপাতী ছিলেন । অল্পবয়সে ইহার এক কহু বিধবা হইয়াছিল, তাহার পুনর্বিবাহ দিবার জন্ত জগন্নাথ অনেক শাস্ত্রীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেন । কিন্তু অপর পণ্ডিতেরা তাহার বিরোধী হইয়াও শাস্ত্রযুক্তিতে তাহাকে পরাস্ত করিতে না পরিয়া তাহার মাতাকে আসিয়া ঐ সস্বাদ দেন । জগন্নাথ নিজ বালবিধবা কস্তার পাত্র স্থির করিয়া মাতার অনুমতি লইতে গেলেন । জগন্নাথের মাত পুত্রের কথা শুনিয়া কহিলেন, “যখন বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসঙ্গত, তখন আমার একটা কথা আছে । তোমার কন্যা প্রেমরসে বঞ্চিত, কিন্তু আমি যখন উপভুক্ত হইয়া বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসঙ্গত জানিতেছি, তখন অগ্রে আমার বিবাহ দেওয়া কৰ্ত্তব্য ।” মাতার কথা শুনিয়া জগন্নাথ সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিলেন । জগন্নাথপাঠক, দেবনাভের পুত্র, স্বভাবার্থীপিকা নামে বিষ্ণুপুরাণের টীকাকার । - জগন্নাথপাণ্ডা, দক্ষিণাত্যের একজন পাও্যরাজ, চন্দ্রবংশীয় ৬৩শ রাজা । মতুরস্থোপয়িতা কুলশেখরপাগু হইতে ৬২ পুরুষ অধস্তন । কথিত আছে-কাঞ্চীপুরের চোলরাজ ইহার সময় পাও্যরাজ্য আক্রমণ করেন, কিন্তু ইনি তাহাকে পরাস্ত করিয়া জৈনধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করাইয়াছিলেন ও চোলের জৈনগণকে ঘানিগাছে নিম্পেষিত করেন । এই ঘটনা কাহারও {: