পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশচন্দ্র প্রভৃতি বদরশ্নগণ সকলই তাহার ছাত্র। জয়গোপাল তখনকার সুপ্রীমক্ষোর্টের জজ পণ্ডিতদিগের অন্যতম ছিলেন। স্থবিখ্যাত মিসনী কেরী ও মার্সম্যান তাহার নিকট সংস্কৃত ও বাদালাভাষী অধ্যয়ন করেন। উপরোক্ত মিসনবীদ্বয় কর্তৃক ঐরামপুরে বাঙ্গালী মুদ্রাঘন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হইলে কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশিরামদাসের মহাভারত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার কর্তৃক পরিশোধিত হইয়া প্রথম প্রকাশিত হয় । বঙ্গভাষার বর্তমান উন্নতির স্বত্রপাত মিসনরীদিগের যত্বেই হইয়াছিল। ধরিতে গেলে জয়গোপালই এই উন্নতির মূলে সৰ্ব্বপ্রথম শক্তিসঞ্চার করিয়া মাতৃভাষার নব-জীবন দান করিয়াছেন। সুতরাং বাঙ্গালী মাত্রেই তাহার নিকট ঋণী । অপর দিকে জয়গোপাল একজন সুকবি ছিলেন । তিনি বাঙ্গালা ভাষায় যে সকল কবিতা রচনা করিয়া গিয়াছেন তাহার সকলই সুললিত ও কবিত্বপূর্ণ। অধুনা বঙ্গদেশে যে কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীদাসের মহাভারত প্রচলিত অাছে, উহার অধিকাংশই জয়গোপালের কবিত্বের সাক্ষ্যস্থল। আসল রামায়ণ মহাভারত এখন মিলে না । [ কৃত্তিবাস ও কাশিরামদাস দেখ । ] যদিও জয়গোপাল একজন সুকবি ও সুপণ্ডিত ছিলেন, প্রথমে রামায়ণাদি প্রকাশ করিয়া দরিদ্র বঙ্গবাসীর অনেক উপকার করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু তিনি বাঙ্গালার প্রাচীনতম গ্রন্থ রামায়ণের সংস্কার করিয়া প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যের ঘোর অনিষ্ট করিয়া গিয়াছেন । প্রাচীন বাঙ্গালাভাষা কিরূপ ছিল, জা নিতে হইলে প্রাচীন গ্রন্থ অবিকল মুদ্রিত হওয়া উচিত, কিন্তু জয়গোপাল তাহ না করিয়া রামায়ণ সংশোধন ও নিজ রচনা সংযোজিত করায় মুদ্রিত রামায়ণের অনেক স্থানে রসভঙ্গ এবং প্রাচীনত্বের লোপ হইয়াছে । স্ত্রীরামপুর সংস্করণের মহাভারতে বিরাটপর্বের স্বচনায়— “বনা মহামুনি ব্যাস তপস্তা-তিলক মহামুনি পরাশর যাহার জনক” ইত্যাদি ভারত প্রণেতা ব্যাসের যে একটী স্তব আছে, উহ। জয়গোপালের সম্পূর্ণ নিজস্ব। অন্ত কোন সংস্করণের পুস্তকে আমরা ঐ স্তবটী দেখিতে পাই না । এতদ্ব্যতীত তিনি কবি বিল্বমঙ্গলকৃত হরিভক্ত্যাত্মিক সংস্কৃত কবিতাগুলির বঙ্গানুবাদ, পারশী অভিধান নামাভিধেয় একখানি অভিধান ও ষড়ঋতুবর্ণনা প্রভৃতি কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতা রচনা করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার রচনার নমুনা স্বরূপ বিশ্বমঙ্গলকৃত প্রথম শ্লোকের बत्राश्न्तान निम्न सैकड श्रेण– 常 निम्नस्वङ्ग मोछिश्रद्दच्न निदान कब्रिम्न তথাপি ন জানিলেন যে লক্ষ্মীপতিকে সে লক্ষ্মীপতিকে দেখ গোধূলি-ভূষণ, তীরে লয়ে ক্রীড়া করে গোপ গোপীগণ ।” জয়গোপালের সময় তাহার জন্মভূমি বজরাপুরে সংস্কৃত ভাষার বিশেষ চর্চা ছিল। তাছার ভ্রাতা ও ভ্রাতু-পুত্ৰগণ স্থায়, জ্যোতিষ ও সাহিত্যশাস্ত্রে সমধিক ব্যুৎপন্ন ছিলেন। বিশ্বমঙ্গলের বঙ্গানুবাদের ভূমিকায় তিনি স্বনামের নিম্নলিখিত শ্লtথাস্থচক পরিচয় দিয়াছেন— “চারি সমাজের পতি, কৃষ্ণচন্দ্র মহামতি, ভূমিপতি ভূমিস্বরপতি । তার রাজ্য শ্রেষ্ঠ ধাম, সমাজ-পূজিত গ্রাম, বজরাপুরেতে নিবসতি ॥ শ্ৰীজয়গোপাল নাম, হরিভক্তিলাভকাম, উপনাম ঐতর্কালঙ্কার । ভক্তবৃন্দ মধ্য রবি, ঐবিশ্বমঙ্গল কবি, কবিতার প্রকাশে পয়ার।” বিশ্বমঙ্গলের বঙ্গানুবাদের শেষ ভাগে তিনি একটা সংস্কৃত শ্লোক রচনা করিয়া তাহার পরম মুহৃদ বজরাপুরনিবাসী মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম গ্রস্থে সংযোজিত করিয়াছেন । তৎপাঠে জানা যায় যে জয়গোপাল মহেশচন্দ্রের আদেশেই বিশ্বমঙ্গলের অনুবাদ প্রকাশ করেন । জয়গোপাল বারেন্দ্র ব্রাহ্মণবংশসস্তৃত। ইনি দুই বার দার পরিগ্রহ করিয়াও সস্তান মুখাবলোকনে বঞ্চিত ছিলেন । অবশেষে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করেন । র্তাহার সেই পোষ্যপুত্র অস্থাপি জীবিত আছেন । ইহার দুই পুত্র ও দুই কষ্ঠ । ( ১৮৪৪ খৃষ্টাব্দে ) ১৭৬৬ শকে চান্দ্র চৈত্রের দ্বিতীয় তিথিতে জয়গোপাল ইহলোক পরিত্যাগ করেন । জয়গোপালদাস, ভক্তিতাবপ্রদীপ নামে ভক্তিগ্রস্থরচয়িতা। জয়ঘোষণ ( ক্লী) জয়শব্বোচ্চারণ, উচ্চৈঃস্বরে জয়ঘোষণা । জয়চাদ, কনোজের রাঠোরবংশীয় শেষ রাজা। ১২২৫ সম্বতে ऍ३९कौ*{ लित्रिरङ झेनि छग्रफ़ऊ नाएभ श्रखिश्ठि झट्टेग्नांtछ्म । [ কনোজ ৮১ পৃষ্ঠা দেখ। ] ইহার পিতার নাম বিজয়চন্দ্র, তিনি দিল্লীশ্বর অনঙ্গপালের দুহিতার পাণিগ্রহণ করেন । জয়চাঁদ তাহারই গর্ভসস্তৃত। এক সময়ে সাৰ্ব্বভৌমপদের নিমিত্ত রাঠোররাজের সহিত অনঙ্গপালের তুমুল সংগ্রাম হয়। এই সংগ্রামে আজমীররাজ চোহানবংশীয় সোমেশ্বর অনঙ্গপালের যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন, দিল্লীশ্বর এই উপকারের WI >やや