পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

meereeecereeeeeeeee- 幽 জয়পুর ধিশাখপঙ্কনের সমতলক্ষেত্র, দক্ষিণে রেকপল্লী ও গোলকুণ্ড। এবং পশ্চিমে বস্তায় । ভূপরিমাণ ৯৩৩ বর্গমাইল । লোক ংখ্যা প্রাঙ্গ সাঞ্চে ছয় লক্ষ । বৃটিশ গৰমেন্টকে ষোলহাজার টাকা করির ফর দিতে হয়। রায়গড়, গুণাপুর, জয়পুর, থা কোটিপাদ, মলকনগিরি, নবরঙ্গপুর ও কোরাপাত এই কয়টা তালুক জয়পুর রাজ্যের অন্তর্গত। সাধারণের নিকট ইহ জয়পুর জমিদারী নামে খ্যাত । এই জমিদারীর বেশীভাগ রাজা ও সহকারী বৃটশ এজেন্টের কর্তৃত্বাধীন এবং অপরাংশ গুণাপুর ও রায়গড় তালুক সিনিয়ার এসিষ্টান্ট কালেক্টরের অধীন, পাৰ্ব্বতীপুরে তাহার কাছারী । এই জমিদারীর মধ্যভাগে পাচহাজার ফিটু উচ্চ নিমগিরি नाएम शिब्रिभागा न७tब्रभान, उशी श्रेप्ड স্রোতস্বতী বাহির হইয়া দক্ষিণপূৰ্ব্বাভিমুখে কলিঙ্গপত্তনে বংশধারা নামে ও চিকাকোলের ধার দিয়া নাগাবলি নামে সমুত্রে পতিত হইয়াছে। বংশধারা নদীর উভয় তীরে যথেষ্ট বাশগাছ জন্মিয়৷ থাকে। পূৰ্ব্বে ও উত্তরপূৰ্ব্বাংশে শোঁরা পাহাড় প্রায় দুইশত ৰৰ্গমাইল বিস্তৃত দুইটা অধিত্যক সহ বিরাজ করিতেছে । জমিদারীর অধিকাংশে অৰ্দ্ধস্বাধীন কন্ধজাতির বাস । উত্তরাংশে গোদৈরি, বিষমকটক ও শৃঙ্গাপুর এই তিনটা স্থান তিনজন প্রধান সামন্তের অধীন। জমিদারীর প্রধান নগর জয়পুর, নবরঙ্গপুর ও কোটিপাদ । গ্রামের মধ্যে গুণাপুর, রায়গড়, শৃঙ্গাপুর ও কোরাপাত প্রধান । এখানে কন্ধ ও শবর জাতির বাসই অধিক । অধিবাসীগণ সকলেই প্রায় হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী। চেহারায় গৌড়, দ্রাবিড় ও কোলভাব মিশ্রিত। এখানে প্রকৃত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু প্রভৃতি আৰ্য্যজাতি অতি কম, এখানকার প্রজাগণ रुद्भिज्रांनी প্রায় অনাৰ্য্যভাবাপন্ন। নগরাদির প্রজাগণ অপেক্ষ পাহউীরা অনেকটা স্বাধীন। তাছাদের মধ্যে এক এক গোষ্ঠীপতি থাকে, তাহাদের আদেশমত সকলকেই চলিতে হয়। জমিদারীর দক্ষিণাংশে জঙ্গলকাটা ও চাষ লইয়া সৰ্ব্বদাই বিবাদ বিসস্বাদ হইয়া থাকে । এই জমিদারীর বন্দোবন্ত প্রাচীন হিন্দু প্রথানুসারে চলে। এখানে গোষ্ঠীপতি, তাহার উপর গ্রামপতি, তাহার উপর ब्राणा ।। ७थांटम ब्राजाहे जभिन्न *** সত্ত্বাধিকারী, গোষ্ঠীপতিও ইচ্ছানুসারে কোন ভূসম্পত্তির কতক অংশ হস্তান্তর বা বিক্রয় করিতে পারে, তাহাতে রাজার বা রাজপুরুষের अष्ट्रमऊि णहेरउ शत्र नौ । - এখানকার রাজবংশ প্রাচীন। প্রবাদ এইরূপ চন্দ্রবংশীয় নবপত বিনাঞ্চনেৰে সহিত কটকে গণপতি বংশীয় [ ৬৭৯ } জয়পুর রাজকতার বিবাহ হয় । তখন এখানে শিলাবংশীয়গণ রাজত্ব করিড়েন। শিলাবংশীয় শেষ রাজার মৃত্যু হইলে গজপতিরাজ বিনায়ুকদেবকে নন্দাপুর রাজ্য প্রদান করেন । বিনায়ক শিলা বংগীয় রাজকঙ্কারও পাণিগ্রহণ করিয়াস্থিলেগ । ঘাট পৰ্ব্বতের পাদদেশে এখনও ৰে সকল পাৰ্ব্বতীয় জমিদারী দৃষ্ট হয়, এক সময়ে সে সমস্তই জয়পুর রাজার অধিকারভুক্ত ছিল। প্রায় ১৬৫২ খৃষ্টাধো গোলকুণ্ডার ফৌজদার শের মুহম্মদখা শ্ৰীকাকোলে আগমন করেন । এই সময় বিশাখপত্তনরাজ প্রাচীন নন্দাপুর রাজ্যের অনেক স্থান আত্মসাৎ করেন । জয়পুররাজও ফৌজদারকে ২৪•• টাকা কর দিয়াছিলেন । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী উত্তরসরকার অধিকার করিবার পূৰ্ব্বে জয়পুররাজ বিশাখপত্তনের অধীন ছিলেন । ১৭৯৫ খৃষ্টকে পদ্মনাডের যুদ্ধে জয়পুররাজ ইংরাজদিগকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়া জয়পুর জমিদারীর মোরলী সনঙ্গ প্রাপ্ত হন । তৎপরে ১৮•৩ খৃঃ অব্দে ১৬• • • টাকা পেশকাস নির্দিষ্ট হয়। এ ছাড়া জয়পুররাজকে কোটিপাদ তালুকের জন্য বস্তাররাজকে বাধিক ৩• • ০ টাকা দিতে হয়। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে রাজপরিবার মধ্যে গৃহবিবাদ বাধে । শেষে এই গোলযোগ এতদূর গড়াইয়াছিল যে, বৃটশগবর্মেন্ট জমিদারীর নিম্নাংশ অবরোধ করিতে বাধ্য হন । ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে সেই বিবাদ আরও গুরুতর হইয়া রক্তপাত আরম্ভ হইল। শান্তিস্থাপনের জন্য ১৮৬৯ খৃঃ অব্দে বৃটিশগবমেণ্ট প্রথম হস্তক্ষেপ করেন। একজন সহকারী এজেণ্ট, ৬ জন সৰ্বমাজিষ্ট্রেট ও কতকগুলি পুলিসসৈন্ত এখন রাজ্য রক্ষা করিয়া থাকে । সেই অবধি রাজার পূর্ণ কর্তৃত্ব গিয়াছে। ১৮৬৫-৬৬ খৃষ্টাব্দে এখানে দুইবার শবর-বিদ্রোহ হয় । এখানে নানা জাতির বাস হইলেও রীতিনীতি ও ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম বড় একটা প্রভেদ নাই। যেখানে অধিক অসভ্যজাতির বাস, সেখানকার নবাগত সভ্যজাতিরও আচার ব্যবহার অনেকটা আদিম অসভ্যদিগের মত হইয়া দঁাড়াইয়াছে। আবার সহরের নিকট যে সকল অসভ্যজাতি বাস করে ও কৃষিদ্বারা কিছু অর্থ সঞ্চয় করিয়াছে, তাহারা আবার সভ্য হিন্দুর স্তায় অল্প বয়সে কষ্ঠার বিবাহ দিতেছে। কিন্তু ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মে এখনও আদিম জাক্তির প্রাধাপ্ত দৃষ্ট হয়। অনেকেই কন্ধদিগের অনুষ্ঠিত মেরিয়া কাণ্ডে যোগদান করিয়া থাকে । পূৰ্ব্বে এই মেরিয়া উৎসবে নরবলি হইত। কিন্তু বুটাশগবর্মেন্টের যত্নে এই কুপ্রথা উঠিয়া গিয়াছে । এখানকার লোকের বহু অসভ্যদিগের স্তায় বড়ই ডাইনের ভয় করে । জয়পুর, আসামৰ লখিমপুর জেলার অন্তর্গত একটা নগর।