পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতান্তরে-প্রস্তুত করিবার প্রণালী—ত্রিফল প্রত্যেক দুই মাৰ, পিপ্পলী ২ মাষ, লৌহ ৪ মাষ, অভ্র ২ মাষ, তাম্র ২ মাৰা, রৌপ্য ও রতি, স্বর্ণ ও রতি। রস ও গন্ধকের কজ্জলী ঋরিয়া পর্পটী পাক করিয়া লইবে । পরে ৪ মাষ পর্পটী পূৰ্ব্বোক্ত ঔষধে দিয়া নিম্নলিখিত ঔষধে তাবনা দিয়া মুগপ্রমাণ বট প্রস্তুত করিতে হয়। এই বটার অনুপান—তুলসীপত্ররস ७ भधू । छांदनांग्न छछ अग्नर्सौ*ाह्मग्नन, विस्रब्रांद्रन, फ्रेिऊांद्रन, তুলসী রস, মাদার রস, কেশরাজ রস, ভৃঙ্গরাজরস, নিগুণ্ডীরস, খুলকুজীরস, প্রত্যেক রসের পরিমাণ দুই তোলা । এই ঔষধ শোথ জরে ও সৰ্ব্বদা বিষম জরে প্রয়োজ্য। ( চিকিৎসাসারসংগ্ৰহ ) জয়মঙ্গলী, মহিমুর রাজ্যে প্রবাহিত একটা নদী। দেবরায়স্বর্গ নামক গিরি হইতে বাহির হইয়া উত্তরাভিমুখে তুমকুড় জেলার কেীৰ্ত্তগিরি তালুকের মধ্য দিয়া বেল্লারি জেলায় উত্তর পিনাকিনী নদীতে মিলিত হইয়াছে। ইহার বালুকময় গর্তে কপিলী নামক কূপ সাহায্যে ক্ষেত্রে জলসরবরাহ হইয়া থাকে । জয়মল, একজন বিখ্যাত রাজপুতবীর ও বেদনোরের অধিপতি। ইনি মেবারের একজন প্রধান সামন্ত মধ্যে গণ্য ছিলেন । যখন সঙ্গরাণার পুত্র ভীরু উদয়সিংহ অকৃবরের ভয়ে চিতোর পরিত্যাগ করিয়া যান, সেই সময় বেদনোরের জয়মল ও কৈলবার পুত্ত চিতোররক্ষার্থ বাদশাহ আকবরের বিরুদ্ধে অসি ধারণ করিয়াছিলেন । উক্ত মহাবীরত্বয়ের অসাধারণ বীৰ্য্যবত্তা-দর্শনে মোগল সেনাপতিগণও চমৎকৃত হইয়াছিলেন । পরিশেষে জয়মল জননী জন্মভূমির জন্ত ১৫৬৮ খৃষ্টাব্দে অক্ৰরের হস্তে নিহত হন। দিল্লীশ্বর ঘৃণিত উপায়ে জয়মলের প্রাণবধ করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহার অমুপম তেজোবীৰ্য্যের মহিমা বিস্তুত হন নাই । তিনি উক্ত রাজপুত বীরন্বয়ের প্রস্তর-প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিল্লীনগরে আপন প্রাসাদের সম্মুখে স্থাপন করিয়াছিলেন। উক্ত ঘটনার প্রায় শতবর্ষ পরে বিখ্যাত ভ্রমণকারী বার্ণিস্বার দিল্লীয় সিংহদ্বারে প্রবেশকালে উক্ত দুই মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া বীরযুগল ও উভয়ের বীর্যবতী জননীর বিস্তর প্রশংসাবাদ कग्निद्रां भिग्नां८छ्न । জয়মল, একজন ধৰ্ম্মশীল রাজা। ইনি অতিশয় বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ ছিলেন, তাহার গৃহে গুমিলসুন্দর নামে একটা দেবসুপ্তি ছিল। তিনি প্রতিদিন অন্ততঃ দশদণ্ডকাল সেই বিগ্রহের পূজা করিতেন। এমন কি সেই দশ ও সময়ের মধ্যে যদি WI 1 دسمان ] S&S अग्रभन TLLLLSSSLLLLLLSCLLLCAAASLLLLLSLLL- - - - - ~ তাহার রাজ্য নষ্ট হইয়। যাইত, তাছা হইলেও তিনি কৃষ্ণপুজা ত্যাগ করিতেন না । উtহার এইরূপ স্বভাব জানিতে পারিয়া অম্ভ এক রাজা সসৈন্তে উক্ত সময়ের মধ্যে আলিঙ্গ তাহার রাজ্য আক্রমণ করেন। শক্রহস্তে র্তাহার রাজ্য লওভও হইতে লাগিল, তখন তাহার মাত ক্ৰন্দম করিতে কল্পিতে গ্রুতবেগে দেবগৃহে মাসিয়া জয়মলকে বলিলেন, “বৎস ৷ সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত, শক্ৰ আসিয়া তোমার রাজ্য লণ্ডভণ্ড করিতেছে এবং সৰ্ব্বস্ব লুটিয়া লইতেছে, তুমি কেমন করিয়া নিশ্চিভ রছিয়াছ, তোমার আম্বেশ ভিন্ন সৈন্তগণ শত্রুসৈঙ্কের সহিত যুদ্ধ করিতে পারিতেছে না, দঁাড়াইয়া পরাজিত হইতেছে।” জয়মল মাতার এতাদৃশ বচন শুনিয়া কিছুমাত্রও বিচলিত হইলেন না, বরং কহিলেন, “মা ! কেন আপনি উদ্বিপ্ন হইতেছেন। যিনি আমাকে এই বিপুল সম্পদ দিয়াছেন, তিনিই লইতেছেন, যাহার সম্পদ তিনি লইলে কাহার সাধ্য রোধ করে । সামান্ত রাজ্যের কথা দূরে থাকুক, এমন কি, এখন যদি শত্রু আসিয়া আমার মস্তক ছেদন করে, তথাপি আমি নিয়মিত পূজা ত্যাগ করিব না।” এই সময়ে জয়মলের ইষ্টদেব শু্যামলসুন্দর ভক্তের হিতসাধনার্থ স্বয়ং বীরবেশে শক্রমণ্ডলীর মধ্যে হুঙ্কার করিতে করিতে প্রবিষ্ট হইয় তাহীদের রাজা ভিন্ন সমস্ত লোককে শাণিত অস্ত্রে ধরাশায়ী করিলেন । অনন্তর রাজা জয়মল নিয়মিত পূজা শেষ করিয়া যোদ্ধ বেশে সমরক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া দেখেন, একমাত্র শত্রু রাজা ব্যতীত সকল ব্যক্তিই যুদ্ধে নিহত হইয়াছে, এরূপ দেখিয়া তিনি অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হইলেন, এবং ভাবিতে লাগিলেন, আমার কোন হিতৈষী বন্ধু এইরূপ শক্রদিগকে নিহত করিলেন ? এমন সময় সেই পরাজিত রাজা কৃতাঞ্জলিপুটে তাহার সম্মুখে আসিয়া বলিলেন, “মহারাজ ! আমি না জানিয়া যেমন অসৎকৰ্ম্ম করিতে আসিয়াছিলাম, এখন তাহার সমুচিত প্রতিফল লাভ করিলাম। আপনার কে একজন খামমূৰ্ত্তিধারী বীরপুরুষ অশ্বারোহণে আসিয়া জামার সমস্ত সৈন্তকে মুহূৰ্ত্তমধ্যে থওবিধও করিয়া বিদ্যুদ্বেগে কোথায় চলিয়া গেলেন। এখন আমি আমার আপনার সহিত শক্ৰতা করিতে চাহি না, আপনি আমার সমস্ত রাজ্যধন গ্রহণ করুন। আমি আপনার নিকট সম্পূর্ণরূপে বহুত স্বীকার করিলাম। কিন্তু সেই গুমিলসুন্দর পুরুষকে দেখিবার জন্ত মন অতিশয় ব্যাকুল হইয়াছে, অতএব যদি অনুগ্রহ করিয়া আর একবার সেই বীরপুরুষকে দেখাইদা দেন, তাহ হইলে জাঞ্জি কৃতকৃতাৰ্থ হইব । আমার সর্বস্ব গিয়াছে, তাহাতে अमि কিছুমাত্র দুঃখিত নছি। কিন্তু সেই মহাবীর মুর্বির ভিতর কি