जग्ननिश्ह কমলাদেবীকেই রাণ অধিক ভালৰালিতেন, কিন্তু তাহাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তিৰি জানিতেন তাঁহারই সপীপুত্র অমরসিংহ মেবারের আধিপত্য পাইবে, সুতরাং তাহার প্রতি রাণায় অনুরাগ বৃথা ; এই ভাবিয়া তিনি সপত্নীর সহিত মানাপ্রকারে বিবাদ করিতেন। বুর্নী-রাজকন্যা তাহাতে অত্যন্ত দুঃখিত হইয় একদিন পুত্র অমরকে যথেষ্ট তৎসনা করেন । তাছাতে অমরসিংহ উত্তেজিত হইয়া বুলীয়াজ্যে গিয়া পিতার বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন। এদিকে মেবারের অনেক প্রধান সামস্ত র্তাহাকে সাহায্য করিতে সন্মত হইলেন । অমরসিংহ প্রথমেই কমলমীরস্থ রাজকোষাগার অধিকার করিবার জন্তু অগ্রসর হইলেন । কিন্তু রাণার পক্ষ হইতে কএকজন প্রধান সর্দার ঝিলবাড়া গিরিসঙ্কট রক্ষা করিতেছেন শুনিয়া পিতার সহিত সন্ধি করিতে বাধ্য হইলেন। একলিঙ্গদেবের মন্দিরে পিতাপুত্রে মিলন হইল। জয়সিংহ ১৭৫৬ সম্বতে পুত্রকে রাজ্য দিয়া ইহলোক পরিত্যাগ করিলেন । জয়সিংহ (সবাই), জয়পুরের একজন বিখ্যাত রাজা এবং ভারতের একজন অদ্বিতীয় জ্যোতিৰ্ব্বিদ। ইনি অস্বররাজ মীর্জা জয়সিংহের প্রপৌত্র ও বিষ্ণুসিংহের পুত্র। বালককাল হইতে ইনি বিদ্যানুরাগী ছিলেন। ১৭৫৫ সম্বতে (১৬৯৯ খৃষ্টাব্দে) পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করেন । রাজ্যাধিরোহণের পরই ইনি দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধ করিতে যান। সেই যুদ্ধে জয় লাভ করিয়া দিল্লীশ্বরের প্রশংসাভাজন হন। সম্রাটু ইহাকে প্রথমে দেড় হাজারী, তৎপরে দুই হাজারী মনসবদারী পদ প্রদান করেন । অরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর যে সময় সাম্রাজ্য লইয়া বাদশাহকুমারগণের মধ্যে রণানল প্ৰজলিত হইয়াছিল, সেই সময় জয়সিংহ আজিমশাহের পুত্র কুমার বেদারবক্তের পক্ষ অবলম্বন করিয়া বাহাদুরশাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ; সেই জন্য বাহাদুর শাহ দিল্লীর সিংহাসনে অভিষিক্ত হইয়াই অস্বররাজ্য বাজেয়াপ্ত করিলেন। পরে অম্বরশাসনের জন্ত একজন শাসনকৰ্ত্তাও পাঠাইয়া ছিলেন । এই সময় জয়সিংহের কনিষ্ঠ বিজয়সিংহ রাজ্যলাভের চেষ্টা করেন। যখন জয়সিংহ আজিমশাহের পক্ষ গ্রহণ করেন, বিজয় সেই সময়ে বাহাদুর শাহের পক্ষ হইয়া ভীষণ যুদ্ধ করিয়াছিলেন। সেই জন্য বাহাদুর তাহাকে তিনহাজারী মনসবদারী প্রদান করেন। বিজয়ের মাতা জয়সিংহের বিমাতা। জয়সিংহ যাহাতে কোনরূপে রাজ্য করিতে না পারে, ইহাই তাহার একান্ত ইচ্ছা। সেই জন্ত সুযোগ বুঝিয়া অনেক মণিমাণিক্য হীরকাদি সঙ্গে দিয়া বিজয়কে সম্রাটের নিকট পাঠাইৰ দিলেন। আলীখাকে অম্বররাজ্যের ফৌজদার করিয়া পাঠাইলেন । ঐ সময় জয়সিংহ কিছু দিন রাজসিংহাসনে বসিতে পান নাই। এই সময়ে তাহার হৃদয়ে মুসলমানদিগের উপর भांग्रन्* दिाइश्वरश् ि७धंख्यूजिङ रुग्न । कि क्ररत्र रूिनि ब्रांखा ॐकांद्र করিবেন, সৰ্ব্বদাই তাহার উপায় অনুসন্ধান করিতেন । যে সময় (১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে ) সম্রাটু বাহাদুরশাহ ভ্রাতা কামবক্সকে দমন করিবার জন্ত দাক্ষিণাত্যে যাত্র করেন । জয়সিংহ সেই সময় মারবাররাজ অজিতসিংহের সহিত মিলিত হইয়া মুসলমান ফৌজদারকে তাড়াইয়। আবার সিংহাসন গ্রহণ করিলেন । অজিতের কন্যা স্বৰ্য্যকুমারীর সহিত জয়সিংহের বিবাহ হইয়াছিল । তিনি বৈমাত্রেয় বিজয়সিংহকে সন্তুষ্ট রাখিবার জন্ত বিজয়ের প্রার্থনা মত র্তাহাকে অম্বররাজ্যের মধ্যে অতীব উৰ্ব্বর বসবা প্রদেশটা প্রদান করেন । কিন্তু তাহাতে বিজয়ের মাতার মন উঠিল না। তিনি পুত্রকে রাজ্যলাভের লোভ দেখাইয়া উত্তেজিত করিলেন । তদমুসারে বিজয়সিংহ দিল্লীতে গিয়া সম্রাটের প্রধান প্রধান আমীরকে অর্থ দ্বারা বশীভূত করিলেন ও জ্যেষ্ঠ জয়সিংহের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলিয়া পুনরায় রাজ্যলাভের চেষ্টা করেন। উৎকোচে বশীভূত হইয়া সম্রাটের প্রধান মন্ত্রী কমার উদ্দীন খ বিজয়ের পক্ষ সমর্থন করিলেন। কমার-উদ্দীন সম্রাটুকে গিয়া জানাইলেন, “বিজয়সিংহ বরাবর আমাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিতেছেন। কিন্তু চতুর জয়সিংহ বরাবর আমাদের বিপক্ষ । এরূপ স্থলে বিজয়সিংহকেই অম্বররাজ্য প্রদান করা কর্তব্য । বিজয়কে রাজা করিলে তিনি পাচকোটী টাকা দিতে প্রস্তুত আছেন এবং আমাদের আবগুক মত পাচহাজার অশ্বারোহী সরবরাহ করিবেন।” মন্ত্রীর কথা শুনিয়া সম্রাটু জিজ্ঞাসা করেন, “বিজয়সিংহ যে তাহার কথা মত কাৰ্য্য করিবে, তাহার জামিন কে ?” মন্ত্রী উত্তর দিলেন, “আমিই তাহার প্রতিভূ ।” তখনই সম্রাট বিজয়সিংহের পক্ষে সনন্দ প্রস্তুত করিতে আদেশ দিলেন । খ। দৌরান নামে একজন প্রধান আমীরের সহিত পাগড়ীবদল করিয়া জয়সিংহ মিত্রতাপাশে আবদ্ধ হইয়াছিলেন। এখন সেই আমীর গোপনে সকল কথা শুনিয়া জয়সিংহের দরবারস্থ উকীল কৃপারামকে জানাইলেন। অনতিবিলম্বেই কৃপারাম অম্বররাজের নিকট সেই কুসংবাদ পাঠাইলেন। , কৃপারামের পত্র পাইয়া বীর জয়সিংহও চিন্তিত হইলেন, প্তাহার ভ্রাতা যে মোগলসৈন্তের সহিত র্তাহার বিপক্ষে श्रानिएउटाइन, cशहे छछद्दे ऊँशिग्न क्रिखी । अछ cफ्इ इऐरण WI - s१७
