পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਬਸ਼ੇਖੋ ভূমি অনেকাংশে পাশ্ববর্তী রদপুর ও দিনাজপুরের তুল্য বছদুৱৱিস্কৃত সমতল ধাস্তক্ষেত্র, তাহার মধ্যে মধ্যে বঁাশ, তাল, অাম, জাম ও অন্ত ফলতরুর উদ্যান-পরিবেষ্টিত , জোতদারদিগের গৃহাবলী সৰ্ব্বত্র দৃষ্ট হয়। পতিত জমির মধ্যে প্রায় ৫০-৬০ বর্গমাইল বিস্তৃত বৈকুণ্ঠপুরের রায়কতদিগের একটা শালবন আছে । উত্তরভাগের নাম পশ্চিমম্বার, ইহার বিস্তার প্রায় ২২ মাইল। উহা হিমালয়ের পাদদেশে পূৰ্ব্বপশ্চিমে বিস্তৃত। ইহার ভূমি সম্পূর্ণ বিভিন্ন । অসংখ্য পাৰ্ব্বত্য নদী ইহার মধ্য দিয়া প্রবাহিত এবং স্থানে স্থানে বিশেষতঃ নদীতীরে শাল ও তৃণগুল্মাদির নিবিড় জঙ্গল দৃষ্ট হয়। জঙ্গলের মধ্যে মধ্যে বহুসংখ্যক সিমুল বৃক্ষ জন্মে । ইহা ভিন্ন এই সকল জঙ্গলে অন্ত বৃক্ষ প্রায় দৃষ্ট হয় না । তবে গ্রাম সকলের চতুর্দিকে অপৰ্য্যাপ্ত বংশ, তাল, গুবাক, আম, জাম প্রভৃতি বৃক্ষ জন্মে । এই গ্রাম সকলের সংখ্যাও অত্যন্ত্র এবং পরস্পর বহু দূরে অবস্থিত। গ্রামের চতুর্দিকে কিয়ৎ পরিমাণে ধান্ত ও সর্ষপক্ষেত্র অাছে । জেলার উত্তরভাগে সিঞ্চল পৰ্ব্বতস্থ বক্সা-সেনানিবাসের নিকটস্থ ভূমি পৰ্ব্বতময় । নদী সকলের মধ্যে মহানন্দ, করতোয়া, তিস্তা, জলধাক্কা, ছছয়া, মুজনাই, তোর্সা, কালজানি, রায়চক এবং সঙ্কোস প্রধান । এই সকল নদীতে বহুদূর পর্য্যন্ত ৭০৷৮০ মণ বোঝাই লইয়া নৌকা সকল যাতায়াত করে। পৰ্ব্বত হইতে অবতরণকালে ইহাদের গতি প্রায়ই পরিবর্তিত হইয়া থাকে । পশ্চিমম্বার উপবিভাগে গবর্মেন্ট-রক্ষিত ৪২৮ বর্গমাইল জঙ্গল আছে। জল্পাইগুড়ী উপবিভাগের বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল হইতে বহুপরিমাণে শাল, কড়িকাঠ প্রভৃতি তিস্তানদীর স্রোতে ভাসাইয়া বহু দূরে নীত হয়। তৃণাদি অপৰ্য্যাপ্ত থাকায় নানা স্থান হইতে গো, মহিষ, মেষাদি প্রতি বৎসর এখানে চরাইতে আনা হয়। অরণ্যে হস্তী, গণ্ডার, ব্যাঘ্ৰ, ভল্লক, তরক্ষু, বরাহ, মৃগ, শশক, সজারু, শৃগাল ও বানরাদি দৃষ্ট হয়। এখানকার অধিবাসিগণ সস্তুষ্ট চিত্ত এবং সকলেরই অবস্থা স্বচ্ছল । খাদ্য দ্রব্যাদি সুলভ । এখনও বহুবিস্তৃত উর্বর! ভূমি অতি অল্প করে আবাদ করিতে পাওয়া যায়। ধান্তই প্রধান উৎপন্ন শস্ত। সমগ্র শস্তের শতকরা প্রায় ৬• হইতে ৭৫ জংশ কেবল আমন ধান্ত, অবশিষ্ট আগুধান্ত, গোধূম ও ষব । সর্ষপ, তুলা, তামাক প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে নালাস্থানে উৎপন্ন হয় । - এখানে চা উত্তমরূপ আবাদ হইতেছে এবং রাস্ত ঘাটের স্বব্যবস্থা হওয়ায় দিন দিন বহুসংখ্যক ইংরাজ চাকর তথায় চা-বাগান নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । WI >b"○

छब्राहै७?ी আসাম অপেক্ষ এখানে চা আৰাদের সুবিধা , অধিক । কারণ এখানকার জলবায়ু উত্তম এবং অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী বলিয়া ছোটনাগপুর প্রভৃতি স্থান হইতে কুলি মজুত্ৰগণ আপনারাই দলে দলে এখানে আসিয়া কাজ করে । জালামের চা-করদিগের স্থায় জল্পাইগুড়ীর চা-কয়দিগকে বহু অর্থব্যয় অথবা ডিপো, আড়কাট প্রভৃতি দ্বারা কুলি সংগ্ৰহ করিতে হয় না। পুরুষেরা দেশীয় ও বিলাতী ধুতি চাদর ব্যবহার করে । কিন্তু রমণীরা বিলাতী কাপড়ে তত ভক্ত নহে। তাহারা দেশজাত পুরু ৩৪ হাত লম্বা আড়াই হাত প্রশস্ত একপ্রকার রঙ্গিন কাপড় বুকে জড়াইয়া পরিধান করে । - অধিবাসিগণ বিশেষ কোন শিল্পাদিতে পারদর্শী নহে সম্প্রতি রাস্তা ও ভূটান প্রান্তে কএকটা মেলা স্থাপিত হওয়ায় ইহার বাণিজ্যের অনেক উন্নতি হইয়াছে। শণ, পাট, তামাক, কড়িকাঠ, চা ও কিয়ৎ পরিমাণে তণ্ডুল রপ্তানী হয়। আমদানির মধ্যে বস্ত্র, লবণ ও গুবাক প্রধান । । তিস্তানদীর তীরবর্তী বৌরানগর তামাক ব্যবসায়ের প্রধান আডডা । তথা হইতে নদী দিয়া ইহা সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাণিকগঞ্জ, গোয়ালনা প্রভৃতি স্থানে নীত হয়। জল্পাইগুড়ী নগর ও তিস্তানদীর খানিক উপরে অবস্থিত । কেবল বর্ষ। ভিন্ন অন্ত সময়ে নদীতে নৌকা চলে না। করতোয় নদী দিয়াও কতক কতক বাণিজ্য সম্পন্ন হয় । দেবীগঞ্জ নগর ঐ নদীর তীরে অবস্থিত, তথা হইতে বহু পরিমাণে কড়িকাঠ স্রোতে ভাসাইয়া দিনাজপুর, পাবনা প্রভৃতি স্থানে আনীত হয়। নদারণ বেঙ্গল ষ্টেট রেলওয়ে এই জেলার মধ্য দিয়া গিয়াছে । হলদিবাড়ী, জল্পাইগুড়ী, শিকারপুর ও শিলিগুড়ি এই কয়ট প্রধান ষ্টেসন। শিলিগুড়ি ষ্টেশন হইতে দার্জিলিঙ্গ হিমালয়েন রেলওয়ে নামে একটা শাখা বাহির হইয়া দার্জিলিঙ্গ , পৰ্য্যস্ত গিয়াছে । জল্পাইগুড়ী উপবিভাগে পাক রাস্তার বন্দোবস্ত ভাল । এই জেলায় বিস্তাশিক্ষার সুব্যবস্থা নাই । অধিবাসিগণ ইতঃস্তত নিজ নিজ পরিবারবর্গের সহিত নির্জন স্থানে বাস করে। গ্রামের সংখ্যা অতি বিরল । ইহাও শিক্ষা বিস্তার না হওয়ার একট কারণ । - শাসনকার্য্যের সুবিধার জন্য এই জেলা ছুইটী উপবিভাগে বিভক্ত । শাস্তিরক্ষার নিমিত্ত এখানে ৮টা থানা আছে । ৩ট জজ ও ৬ জন বেতনভোগী মাজিষ্ট্রেট থাকেন। কেবলমাত্র জল্পাইগুড়ী নগরে মিউনিসিপাল আফিস আছে । জেলার দক্ষিণ অংশের অর্থাৎ জল্পাইগুড়ী নগরের নিকটস্থ । প্রদেশের জলবায়ু অনেকাংশ উত্তর বঙ্গের অস্তান্ত স্থানের জায়