পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্ত [ অচিরে জীবদেহের নাশ ঘটিৰায় সম্ভাৰমা । এই কারণে জগদীশ্বরের অপার করুণায় সেই দূষিত রক্ত ফুলফুলে সমানীত হইবার পর সম্পূৰ্ণৰূপে দোষমুক্ত হইয় পুনরায় অক্সিঙ্গন বাষ্পগ্ৰহণাস্তর পরিশোধিত হইয়। শরীরের পুষ্টিসাধন করিয়া থাকে। অতঃপর পুনরায় উহা স্বকীয় কাৰ্য্যকারিতাশক্তি বিস্তার করিয়া জীবনব্যাপী কাল পর্য্যস্ত সেই এক ঐশী নিয়মবশে শরীরের সর্বত্র ও সকল শিয়া-প্রশিয়াদিতে পরিভ্রমণ করিতে থাকে। অবশেষে উন্থ। তেজোহীন হইয়া মনুষ্যজীবনের অবসান-সময়ে অপকৃষ্টত প্রাপ্ত হয় ও ইহারও বিলয় প্রাপ্তি ঘটে । বল বাছ ৭্য যে, জীবিত্তাবস্থায়ও রক্তের ক্ষয় হুইয়া থাকে। অধিকচিন্তা,কঠিন পরিশ্রম ও সাংঘাতিক পীড়াসমূহেও অনেক সময়ে শরীর হইতে রক্তের নাশ ঘটিতে দেখা যায়। মুস্থ ও সবলকায় ব্যক্তির শরীরে নিরস্তুর নবোদ্ভূত রক্ত সব্বশরীরে পরিচালিত হইয়। ক্রমশঃ মাংস, মেষ, অস্থি, মজ্জা ও সৰ্ব্বশেষে শুয়ে রূপাস্তরিত হইয় থাকে । এই রক্তজ শুক্রের ক্ষয় অাছে। উৰ্দ্ধরে তা সন্ন্যাসিগণের ও সমাধিকালীন ঐকান্তিক চিন্ত কেতু এই ওজ:শক্তির ক্ষয় ঘটিয়া থাকে। ঐশনিয়মে এই ক্ষয়বিধান না থাকিলে নিঃসন্দেতে এই জীবদেহ ফাটিয়া নষ্ট হইয়। যাইত । বৈজ্ঞানিকগণ বলেন যে, “It goes on its useful circuit through the body till, following the laws which governs the cells and bodies composed of them., it wears out, degenerates and dies.” রক্ত প্রবাহই শ্বাসপ্রশ্বাসের ( (Respiration ) একটি মূল কারণ ও প্রধানতম উপাদান। জগদীশ্বর রক্তপ্রবহণের নিমিত্ত যেরূপ শিরা ও স্নায়ু প্রভৃতিকে তৎকার্ধ্যের উপযোগী ও সহায়করূপে সংগঠন করিয়াছেন, সেইরূপ শিরা সকলও রক্ত ধারণ করিয়ু শ্বাসপ্রশ্বাসাদির দ্বার পরিশুদ্ধ হইয়। শরীর মধ্যে বলবদ্ধম করিতেছে । রক্তের উপযোগিতা ও উপকারিত লক্ষ্য করিয়া তিনি শ্বাসপ্রশ্বাসের তারতম্য ঘটাইয়াছেন। মনুষ্যশরীরের রক্তরক্ষার জন্ত যেরূপ বায়ুর আবগুক, তিনি ঠিক সেই পরিমাণের শ্বাসগ্রহণব্যবস্থা সম্পাদিত করাইতেছেন, সুতরাং বলিতে হইবে যে, যেমন রক্তদোষনাtশল্প জন্ত শ্বাসের ব্যবস্থা, সেইরূপ রক্তের বিভিন্ন জ্ঞানুসারে তিনি স্বাসের ও তারতম্য নির্দেশ করিয়ছেন। মনুষ্যশোপিতের বিভিন্নতা ময়ুসারে আমরা যেমন শ্বাসপ্রশ্বাসকার্য্যের তারতম্য উপলব্ধি করিয়া থাকি, ভদ্রপ বিভিন্নশ্ৰেণীয় পক্ষী ও পখাদিতে বিভিন্ন প্রকার ধাতুঙ্গ রক্তের অবস্থানহেতু শ্বাসকার্য্যের বিশেষ বৈপরীত্য ঘটি থাকে। সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, ছাগ, মুষিক প্রকৃতি পঞ্চ এবং অষ্ট্ৰীচ, হইতে ক্ষুদ্রতম চটক পক্ষী পৰ্য্যন্ত ক্ষুদ্র ও • XVI * १ 3e o রক্ত বৃহৎ দীৰসঙ্গের শরীরে যে পুরিমাণে যেরূপ রক্ত প্রবাহিন্ত, তাছাদের শ্বাস-প্রশ্বাসাদির প্রণালীও তদনুসারে নির্বাহিত হইতেছে। এ কথার প্রত্যক্ষ প্রমাণ (ঐ সকল জীবাদিকে চক্ষুগোচর করিলে ) স্পষ্টই বুঝ। যাইতে পারে। ইহার আর s একটা প্রমাণ এষ্ট যে, যে দুৰ্গদ্ধে মনুষ্যাদির শ্বাসকার্যোর ব্যাঘাত ঘটে, সেক্ট কুর্গন্ধে অনায়াসে অন্ত জীব বাস করিতে সমর্থ হয়। মুষিকের দগ্ধগন্ধকবৎ গন্ধ যেরূপ অসহনীয়, অঙ্ক কোন জীবের আর সেরূপ দেখা যায় না। è# বিস্তৃত বিবরণ শ্বাসপ্রশ্বাস শঙ্কে দ্রষ্টব্য। ] রক্ত পান করিলে শারীরিক স্বাস্থ্যের কোন ব্যতিক্রম ঘটে না, বরং সুস্থ ও সবলকায় পশুপক্ষী প্রভৃতির রক্তসেবনে রক্তশল্প তা-ব্যাধিগ্রস্ত রোগী মুক্তি লাভ করিয়া থাকে ; কিন্তু যদি রুগ্ন অথবা দূষিত রোগীর রক্ত পান করা যায়,তাহা হইলে শরীরে নানা ব্যাধি আসিয়া উপস্থিত হইতে পারে । এতন্নিবন্ধন স্থবিজ্ঞ চিকিৎসকগণ রক্তাল্পত ( antamia ) প্রভূতিতে রোগীর দেছে বলসঞ্চয়ের জন্ত meat juice নামক রক্তমিশ্রিত পথ্য প্রয়োগ করিয়া থাকেন। পূৰ্ব্বতন কালে জিঘাংসাবশবৰ্ত্তী হইয়া লোকে শক্রর রক্ত পান করিত। মক্কাভারত পাঠে জ্ঞান ধায় যে, শত্রুর দর্পনাশের জন্ত মধ্যম পাণ্ডব ভীম দুঃশাসনের রক্তপান করিয়াছিলেন । বাইবেল-গ্ৰন্থ হইতেও জানা যায় যে, পুৰ্ব্বকালে । হত্যাকারীর দ গুবিধান জন্য সামাজিক কোন নিয়ম বিধিবদ্ধ ছিল না । অথবা রাজদণ্ডে ও তাহার। দণ্ডিত হইত না । হতব্যক্তির কোন নিকট আত্মীয় প্রতিহিংসাৰশবর্তী হইয়। তাছার পশ্চাদমুসরণ করত এবং যেখানে তাহাকে পাইত, সেইখানে তাহাকে নিহত করিয়া প্রতিশোধ গ্রহণ করিত। হিব্রুজাতির মধ্যে এইরূপ জিঘাংসাপরায়ণ ব্যক্তিকে রক্তছিংসক (Goël si Avenger of Blood ) ini sèvi aitw i gni উক্তরূপে হত্যাকারীর প্রতিহিংসায়) জীবহিংসা-য়ছিতের বাবস্থ৷ «rtaa (Numb. xxxv ) vissi y তিনি श्छांकांब्रेौरक নিরাপদ রাখিবার জন্তু বাইবেল নির্দিষ্ট ছয়ট আশ্রয়নগরীতে (Cities of Refuse ) cott's* witHot Cora कैि३ তৎকালে হত্যাকারীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বর্ধিত হইতেছে দেখিয়। তিনি অর্থবিনিময়ে জীবনরক্ষার ব্যৰস্থ৷ বিধিবদ্ধ शकtप्लभ मांझे ? cotziza's mosoto (Avenger of Blood ) ories দেওয়া হইয়াছে ; কিন্তু সেখানে ও হত্যাকারীর নিকট হইতে উপযুক্ত অর্থ গ্রন্থণ করিয়া তাহার প্রাণরক্ষার ব্যবস্থা আছে । এখনও আরববালিগণের মধ্যে ঐ প্রাচীন গ্ৰথা বলৰতা দেখা ধায়। এতান্তর বর্বর ও অর্ধসভ্য বিভিন্ন দেশবাণী জাতির