পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তচন্দন জঙ্কিতে দেখা যায়। মাস্ত্রাঙ্গ প্রেসিডেন্সীর বিভিন্ন জেলার এবং বোম্বাই ও বাঙ্গালার স্থানে স্থানে এই বৃক্ষেয় চাস আছে।. ঈষদুষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ুতে এবং পাৰ্ব্বত্য ভূমিতেই ইহ পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে জন্মিয় থাকে। এই গাছ বেশী বড় হয় না। গন্ধযুক্ত ও লাল বর্ণ এই কাষ্ঠ সাধারণের বিশেষ আদরণীয়। সংস্কৃত পৰ্য্যায়—তিলপণী, পত্রাঙ্গ, রঞ্জন, কুচন্দন, তাম্রসার, তাম্রবৃক্ষ, চন্দন, লোহিত, শোণিতচন্দন, রক্তসার, তাম্রসারক, ক্ষুদ্রচন্দন, অর্কচন্দন, রক্তাঙ্গ, প্রবালফল, পত্তঙ্গ, পত্ত্বগ, রক্তবীজ। ইহার গুণ—অতি শীতল, তিক্ত, চক্ষুগত রক্তগোষ, ভূক্তদোষ, পিত্ত্ব, কফ, কাস, জর, ভ্রাত্তি, বমধু ও তৃষ্ণানাশক । ( রাজনিe ) বিভিন্ন দেশে এই কাষ্ঠ বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিনী --রখ তোচন্দন, উলাম, লালচন্দন, রকতচশন; বাঙ্গালা— কুচন্দন, তিলপণী, রঞ্জন, রক্তচলান, লালচন্দন উড়িয়া-রক্তচদন ; পঞ্জাব-চন্দনলাল ; বোম্বাই—য়তাঞ্জলী, রক্তচন্দন, লালচন্দন ; মরাঠা-রক্তচন্দন, তাম্বাধচন্দন, তাম্বাদ-গন্ধ হাচাছেক্কা ; গুর্জর-রতাঞ্জলি ; দাক্ষিণাত্য-লালচন্দন, উন্দম্ ; তামিল-সেয়াপুচন্দনম্, সেনসন নম্, লালচন্দন; রক্তচন্দন ; তেলগু—কুচনানন, এর-গন্ধপুচেক, রক্তচন্দন, লালচন্দন, সেন্ধপুচন্দনম্, চন্দম্, এড়চন্দনম্, রক্তগন্ধম, গেড়চন্দন; কণাড়ী —কেমপুগন্ধচেকে, হোন্নে, রক্তচন্দন, অগুরু ; মলয়ালমউরুত্তচন্দনম্, রক্তচন্দনম্ ; ব্রহ্ম—সন্দকু, নস-নি; সিঙ্গাপুর— রক্তৃহন্দন, রতম্বন্দন ; সংস্কৃত—রক্তচন্দন, অগুরু-গন্ধকাষ্ঠ, সুজন, কুচম্বন, তিলপরি ; আরব-সন্দলিয়ামার, উন্দম্ ; পারস্ত—বকৰ্ম্ম, সমালে-মুখ, স্বন, উন্দম্, দলমুথ ; ইংরাজীSanders Red Ri Red sandal wood. Witol—Sautale Rouge; wool-Rothes Sandelholz, Retol—Sandalorose, fift={Rtst–Sandel-Hout. পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি যে, দক্ষিণাত্যবাসিগণ ব্যবসার নিমিত্ত এই বৃক্ষের চাষ করিয়া থাকে। তাছার মে ও জুন মাসে বীজ সংগ্ৰহ কল্পিয়া একথও জমি প্রস্বত করে । সাধরণতঃ ৮ ফুট চতুরস্ৰ নরম মুক্তিকাযুক্ত ভূমিতে প্রায় ৭ বা ৮শত বীজ ১ ইঞ্চ গভীর মাটীর মধ্যে বপন করিতে দেখা শার। পরে তাহতে একরাত্রি অন্তর.প্রতি তৃতীয় সন্ধ্যায় দেয়। ৰপন করিৰার পুঙ্করাত্রে যদি বীজগুলি [ ১১৯ ]; রক্তচন্দ্রয় , আগাছা উঠাইয় ফেলে। ছয়মালে গাছগুলি বাড়িয়া উঠিলে সেই চার গাছ আমূল পর্যন্ত উৎপাটন করিয়া পৃথগ ভাৰে ঝুড়িতে তুলিয়া ছায়ার মাঝে রাখিয়া দেয় এবং প্রতি দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে তাহার উপরে জল ছিটাইয়৷ দিয় থাকে । যখন ঐ শিকড়গুলি ঝুড়ির গঞ্জ উত্তমরূপে জড়াইয় ধরে, তখন উপযুক্ত ক্ষেত্রে গৰ্ত্ত খুড়িয়া এক একটা ঝুড়ি স্বতন্ত্র স্থানে পুতিয়া ফেলে; ক্রমে গাছ বাড়িয়া সারবান ছুইলে তাহা কাটিয়া বাজারে বিক্রয়ার্থ প্রেরণ করে । বোম্বাইপ্রদেশের বসিজেলায় এই ভাবেই রক্তচন্দনের চাষ হইয়া থাকে। বৈশাখে উপ্ত বীজের চারা গাছগুলি এইরূপে আশ্বিন মাসে রোপিত হইয় প্রায় ৩ বৎসর কাল পর্য্যস্ত পরিবর্দ্ধিত হইতে পারে। অতঃপর বৃক্ষগুলি ছেদন করিয়া রৌদ্রে শুকান হইয়৷ থাকে। সরু সরু শিকড়গুলি শুকাইয়া রঙের জন্তু বাজারে বিক্রয়ার্থ প্রেরিত হয় । -- বৈজ্ঞানিকের ভাষায় রক্তচন্দনের লালবর্ণ পদার্থকে “Santalin” বলে। কোন একখানি পাথরে (চন্দনপিড়ি) চন্দনকাষ্ঠ ঘর্ষণ করিলে লালবর্ণের যে গাঢ় পদার্থ বাহির হয়, তাহ৷ সাধারণে দেবমূৰ্ত্তিপুঞ্জ ও জিলকাদি ধারণ জন্য ব্যবহার করে। ইহার কাথে কাপাসৰস্ত্র রঞ্জিত হইয়া থাকে। দেশীয় তরল ঔষধাদিতে রঙ রাখিবার জন্ত যুরোপীয় ঔষধাগারসমূহে প্রভূত পরিমাণে চন্দন রপ্তানী হয়। এতদ্ভিন্ন তদেশে চৰ্ম্ম ও কাষ্ঠাদি রঞ্জিত করিবার জন্ত রক্তচন্দনের বহুল ব্যবহার দেখা যায়। কেহ ব্যঞ্জনাদির বর্ণ ও গন্ধ বৃদ্ধি করিবার জন্য ইহা ব্যবহার করিয়া থাকেন। প্রাচীন আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রে শ্ৰীখণ্ড বা শ্বেতচন্দন, পীতচন্দন ও রক্তচন্দনের গুণ লিপি বদ্ধ হইয়াছে। প্রথমোক্ত ছুইটী চন্দনবৃক্ষের বৈজ্ঞানিক নাম Santalum album [চন্দন দেখ] রক্তচন্দন শৈত্যগুণবিশিষ্ট বলিয়া সাধারণে শ্বেতচন্দলের দ্যায় স্নানের পর ঘসা রক্তচন্দন ও অঙ্গে লেপন করিয়া থাকে। মাথা ধরিলে চমনিপিড়িতে জল দিয়া চন্দন ঘসিয়া দুষ্ট রগে এবং কপালে দিলে তৎক্ষণাৎ পীড়ার উপশম হয়। ইছা ধারক ও বলবৰ্দ্ধক । আয়ুৰ্ব্বেদীয় চিকিৎসকগণ ঔষধ দিতে ইহা প্রয়োগ করিয়া থাকেন। মুসলমান হাকিম000S BB BBBB BBBB MDD BBBDB BBBBB ব্যবহার্য্য। মলে পিত্ত ও রক্ত থাকিলে উভয় প্রকার কাঠের ৰাথ সেবন করান যাইতে পারে। তিলতৈলের (gingellyoil) সহিত রক্তচন্দনচুর্ণ মিশ্রিত করিয়া অনেকে স্বানের পর অঙ্গে লেপন করিয়া থাকে। উছাতে চৰ্ম্মরোগ বিদূরিত হয় । अत्र ७८झाप्लेक भगाrड़ देश घण-ठेभ*षकाङ्गैौ। ऐश इ४ि